বয়কটে কাজ হয়েছে!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ফল হলো তরমুজ। অতিরিক্ত তাপমাত্রা গরমে এই পানি জাতীয় ফলটা অনেক উপকারী পাশাপাশি অনেক পছন্দের অধিকাংশ মানুষের। তার উপর যেহেতু রমজান মাস চলছে সারাদিন রোজা রাখলে মানুষের শরীরে তৈরি হয় একটা পানি শুণ্যতা। সেজন্য মানুষ এই জাতীয় ফলের দিকে একটু বেশি ঝোঁকে। ইফতারে সবাই চাই এইরকম রসালো মিষ্টি লাল তরমুজ খেতে। এবং ঠিক এই সুযোগ টাই নেয় আমাদের দেশের অসাধু ব্যবসায়ী এবং সিন্ডিকেট সদস্যরা। আমাদের দেশের এইসব অসাধু ব্যবসায়ীদের অবস্থা টা এমন এরা যদি জানতে পারে আগামীকাল কেয়ামত তাহলে কাফনের কাপড়ের দাম বৃদ্ধি করে দেবে। এদের মধ্যে নীতি নৈতিকতার লেস মাএ নেই।
একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের তরমুজ চাষীদের সাথে এবার কথা বলে জানা যায় সাধারণত ব্যবসায়ীরা তাদের থেকে বড় বড় তরমুজ গুলো ৬০-৮০ টাকা পিস কিনে নিয়ে যায়। এবং যেগুলোর ওজন ৮-১০ কেজি হবে। এবং কৃষকরা জানেও না যে খুচরা বাজারে তরমুজ কেজিতে বিক্রি হয়। যাইহোক এইসব সিন্ডিকেট এইসব ব্যবসায়ী ঐ দামে তরমুজ কিনে নিয়ে এসে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি শুরু করে ৮০-৯০ টাকা কেজি। হ্যা সে হিসেবে একটা তরমুজের দাম দাঁড়ার ৬০০-৮০০ টাকা। যা কৃষক কে দেওয়া ক্রয়মূল্যের প্রায় ৮-১০ গুণ। আমি স্বীকার করলাম মাঝে অনেক খরচ আছে বেশ কয়েকবার হাত বদল হয় তাই বলে দাম কখনো এতো বৃদ্ধি পাবে না। এগুলো সব একশ্রেণির ব্যবাসায়ীদের চক্রান্ত। তারা খুচরা পর্যায়ে বিক্রেতাদের কাছেও কেজিতে বিক্রি করে। এবং তাদের কোন উপায় না থাকায় তারাও ঐগুলো কেজিতেই বিক্রি করে।
বিগত কয়েক বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে। কিন্তু এবার কিছুদিন আগে স্যোসাল মিডিয়ায় একটা ট্রেন্ড ভাইরাল হয় যে তরমুজ বয়কট করুন। অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কে শিক্ষা দিতে হবে। আশ্চর্যের বিষয় বেশ একটা সাড়া পাওয়া যায় এতে। অনেক মানুষ সত্যি সত্যি তরমুজ বয়কট করে কেনা বাদ দিয়ে দেয়। যেহেতু তরমুজ পচনশীল ফল বেশিদিন রাখলে পঁচে যায় সেজন্য সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখাও যাবে না। বেশি না একটা সপ্তাহ একটা সচেতন অংশের মানুষ তরমুজ কেনেনি। এখন ঢাকা সহ বাংলাদেশের প্রতিটা জায়গাই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজিতে। একেবারে দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। চিন্তা করেছেন একবার। শুধুমাত্র অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ এটা বয়কট করেছিল সেজন্য এক সপ্তাহে দাম কমে গেছে প্রায় অর্ধেক।
এখানে ব্যাপার টা হয় তরমুজ চাষীরাও দাম কম পাই অন্যদিকে আমরা বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করি। কিন্তু আসল মুনাফা টা আসল ফায়দা টা নেয় এইসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। যা খুবই হতাশাজনক একটা ব্যাপার। এটা শুধু তরমুজ এর ক্ষেএে না। পিয়াজ বলেন, চাউল বলেন নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল কিছুর ক্ষেএেই এটা ঘটে থাকে। এদের কে শিক্ষা দেওয়ার এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর উপায় একটাই আমাদের কে বয়কট করতে হবে। দেখুন আমরা যদি না কিনি কিছুদিন কষ্ট করে থাকতে পারি একটু মানিয়ে নিয়ে চলতে পারি তাহলে এরা এমনেই সোজা হয়ে যাবে। এদের কে সোজা করার উপায় একটাই। বাকি সরকার যতই ঐ ভোক্তা অধিকার দপ্তর থেকে টিম প্রেরণ করুক যতই দাম নির্ধারণ করে দিক কোন কাজ হবে না। সাধারণ মানুষ যদি বয়কট করে সেটা হবেই। এর সবচাইতে ভালো উদাহরণ কোকাকোলা বয়কট করার পর এখন সেটার দাম ৮০ টাকা থেকে ৬০ টাকা তে নেমে এসেছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বয়কটে বেশ ভালো কাজ হয়েছে। আমার মনে হয় যে কোন দ্রব্যের দাম যখনই উর্ধ্বগতি হবে তখনই এরকম বয়কট করা উচিত। আর সাথে সাথে আমার মনে হয় কাজ হয়ে যাবে। বেশ ভালো লিখেছেন ভাইয়া খুব ভালো লাগলো আমার কাছে আপনার আজকের ব্লগটি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটা ঠিক গ্রীষ্মকালে সব থেকে অন্যতম ফল তরমুজ। বিশেষ করে রমজান মাসে তরমুজের কদর একটু বেশি থাকে। সারাদিন মানুষ রোজা থাকার পরে তরমুজটা সবাই একটু বেশি পছন্দ করে। কিন্তু আমাদের দেশের অসাধু ব্যবসায়ীরা এ রমজান মাসটাকে ফায়দা লুটে নেয়। চাষীদের কাছ থেকে কম দামে কিনে আমাদের কাছে অধিক দামে বিক্রয় করে। এটা ঠিক বয়কট করার পরে এখন আমাদের এলাকায় ৪০ টাকা কেজি তরমুজ চলছে।
তরমুজ চাষিরা অল্প দামে তরমুজ বিক্রি করে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তরমুজের দাম এতটাই বাড়িয়ে ফেলেছিল যে সাধারণ মানুষের কেনা সাধ্যের বাইরে ছিল। তবে বয়কট করে বেশ কাজ হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে আবারও তরমুজের দাম সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে চলে এসেছে। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আসলে আমরা যদি সকলে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং সচেতন হয় তাহলে এরকম অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে খুব সহজে নাজেহাল করা সম্ভব হয়। আমাদের গাংনী বাজারে তরমুজ বিক্রেতারা মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।
হ্যাঁ ভাই বয়কটের সুন্দর কাজ হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের এই গাংনী মেহেরপুরে আরো বেশি কাজ হয়েছে। এখন গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে বিক্রয় করে বেড়াচ্ছে তরমুজ নাওগো তরমুজ নাও। কাঁচা ফল নিয়ে যখনই ব্যবসিকরা এমন করবে, তখন আমাদের জাতিকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। তখনই বুঝবে কত ধানে কত চাল।
আসলে ভাইয়া আমাদের সবারই এই তরমুজ বয়কট করা উচিত। সত্যি তরমুজ পচনশীল ফল আমরা কয়েক দিন না কিনে থাকলে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা ঠিক হয়ে যাবে।যাইহোক বয়কটে কিছুটা কাজ হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমরা মানুষরাই ঠিক না৷ কারণ আমরা যখন শুনি যে কোনো কিছুর দাম বেড়ে যাবে তখন আমরা সেই জিনিসগুলো আরো বেশি করে কিনতে চলে যাই৷ এর ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা আরো অনেক বেশি পরিমাণে সুযোগ পেয়ে যায়৷ তাদের যে টার্গেটটি ছিল তা তারা পূরণ করে নেয়। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি৷ বয়কট করার ফলে কাজ হয়েছে এবং তরমুজ পচনশীল৷ যদি আমরা মানুষরা কয়েকদিন তরমুজ খাওয়া বন্ধ করে দিই তাহলে সে অসাধু ব্যবসায়ীরা ঠিক হয়ে যাবে এবং যখন তাদের ক্ষতি হতে থাকবে তখন তারা তাদের যে টার্গেট ছিল এবং তারা যে অসাধু পথ অবলম্বন করেছিল সেটি থেকে তারা সরে যাবে৷ তারা স্বল্প লাভে তা বিক্রি করে দিতে পারবে৷ সাধারণ মানুষও এটি নিতে পারবে৷
সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের এই শিক্ষাটা দেওয়া একেবারেই দরকার ছিল। আমিও বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম যে, ফেসবুকে একটা ট্রেন্ড হয়েছে তরমুজ বয়কট করা এবং সেটা যে এতটা কাজ দেবে বুঝতে পারিনি। তবে এই কথা একেবারেই সত্যি যে, এই ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ লাভ করে তার তুলনায় অন্তত ৮-১০গুণ কম টাকা দেওয়া হয় প্রান্তিক চাষীদের। যারা এত কষ্ট করে চাষ করে তারা ঠিকমতো টাকা পায় না, এটা দুঃখজনক। যাইহোক, এখন যদি এই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের একটু টনক নড়ে তাহলে হয়তো নিম্নবিত্ত মানুষও এই তরমুজ জিনিসটা কিনে খেতে পারবে।
জী ভাইয়া তরমুজ বয়কটে কাজ হয়েছে। আশি টাকা কেজির তরমুজ এখন ১৫ টাকা কেজি। তাও কেউ নেয় না। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোন অপশক্তি,সিন্ডিকেট মোকাবেলা করা সম্ভব। ধন্যবাদ।