অতিরিক্ত ইগোর ফল😥😥
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
আত্মসম্মান আর ইগো কখনোই এক জিনিস নয়। আত্মসম্মান হলো নিজেকে অপমানের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখা।ইগো এমন জিনিস, যার কারণে মানুষ ধ্বংসের একেবারে শেষ প্রান্তে চলে যায়,তাও সে এটা বুজতে পারে না যে তার ইগো প্রবলেম আছে । আসলে যাদের মাঝে এই ইগো সমস্যা আছে, তারা কোনো দিন এটা বুঝতে চায় না যে তারা আসলে ইগো সমস্যায় ভুগছে । তাই এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব সহজ কাজ নয় ।আমরা যারা জীবন নিয়ে অনেক সচেতন এবং আমরা আমাদের জীবন উপভোগ করতে চাই, তাদের উচিৎ এই ইগো নামের পশু থেকে দূরে থাকা ।
আমার জীবনের বাস্তবিক একটি ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
আজ থেকে দীর্ঘ ১১ বছর আগে হঠাৎ একদিন আমার একজনের সাথে পরিচয় হয় তার নাম মিতা শিকদার।বাড়ি ফরিদপুর জেলায় হাজবেন্ডের চাকরির সুবাদে ঢাকায় বসবাস।আমি এক বাসা ছেড়ে আরেক বাসায় উঠবো বলে বাসা খুঁজতে যাই গিয়েই মিতা বৌদির সাথে প্রথম দেখা হয়।উনি ওই বিল্ডিং এর নিচতলায় বসবাস করতেন।প্রথমত সনাতন ধর্মাবলম্বী দেখে খুবই ভালো লাগলো তার কারণ আমি নিজেও একজন সনাতনী ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক।মিতা বৌদির কাছ থেকে বাসার ভালো-মন্দ দিকগুলো জানার চেষ্টা করলাম।উনি আমাকে বললেন সবকিছুই ঠিকঠাক আপনি নিঃসন্দেহে নিতে পারেন।বৌদির কথায় কেমন যেনো একটা আস্থা পেলাম তার কথার উপর ভিত্তি করে আর বেশি কিছু যাচাই-বাছাই না করে বাসা এ্যাডভান্স করে ফেললাম এবং নির্ধারিত সময়ে বাসায় উঠে পড়লাম।
প্রথম দিন বৌদির সাথে পরিচয় জন্য নিজের যেকোনো সুবিধা অসুবিধায় বৌদির সাথে সবকিছু শেয়ার করতাম।আর এক পর্যায়ে আমাদের খুব ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়।তারপর আমার বড় মেয়ে আর তার ছেলেকে একই স্কুলে ভর্তি করানো হয়,সেজন্য আমরা দুজনে একসাথে যাতায়াত করতাম।তারপর কেনাকাটা কোথাও যাওয়া সবকিছুই আমরা একসাথে করতাম। এভাবেই আমাদের সম্পর্কটা আরও দৃঢ় হয়ে গেলো।একবেলা যদি আমরা না দেখা করতাম তাহলে কেমন জানি অস্থিরতা কাজ করতো তখন আমরা ফোনে কথা বলতাম।আর এই কথা আমাদের ঘন্টার পর ঘন্টা চলতো।তখন আমার হাজব্যান্ড দেখে শুধু একটা কথাই বলতো একই বিল্ডিং এ থেকে কি এতো কথা বলতে হয়!তার চেয়ে ভালো নিচে গিয়ে দেখা করে আসো তবু তো অন্তত ফোনের টাকাটা বেঁচে যায়।যদিওবা সে মজা করেই বলতো।
আমাদের একসাথে চলাফেরা গভীর সম্পর্ক এগুলো কেনো জানি দিন দিন আশেপাশের মানুষের কাছে হিংসের কারণ হয়ে যাচ্ছিলো। ঠিক সেরকমই একজন হিংসাত্মক ব্যক্তি আমাদের দুজনের মাঝে বন্ধু হয়ে ঢুকে পড়ে।আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি তিন জন মিলে বেশ একসাথে চলাফেরা করতাম গল্পগুজব করতাম ভাবতাম সেও আমাদের মতই ভালো মানুষ।কিন্তু আসলে তা নয় সে আমাদের মাঝে ঢুকে আমাদের আমাদেরই ক্ষতি করার চেষ্টা করে এবং একটা সময় গিয়ে সফলও হয়।একদিন সে আমাকে এমন একটা কথা বলে যে মিতা বৌদি আপনার নামে এই কথাটা বলেছে। কথাটা শুনে আমি পুরাই হতভম্ব হয়ে গেলাম এবং ভাবতে লাগলাম বৌদি আমার নামে এই কথাটা বলতে পারলো!আবার এই একই কাজ মিতা বৌদির সাথে ঘটিয়েছে আমার নামে বেশ কিছু কথা বলেছে মিতা বৌদিও শুনে খুবই অবাক হয় যে বৌদি আমার নামে এই কথাটা বলতে পারলো!
প্রথমবার আমি চেষ্টা করেছিলাম যাতে সম্পর্কটা ঠিক হয় সেজন্য আমি বৌদিকে ডেকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলেছিলাম যে উনি আমাদের ক্ষতি করার জন্যই বন্ধু বেশে আমাদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।বৌদি বললো ঠিক আছে এখন থেকে আমরা সাবধানে থাকবো ওনার কথা গুরুত্ব দেবো না। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ওই ব্যক্তিটি বৌদির পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকতো আর আমি চার তলায় থাকতাম।পাশাপাশি থাকার দরুন সে সার্বক্ষণিক মিতা বৌদির সাথে লেগে থাকতো এবং আমার নামে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলতো।আবার বৌদি যখন কিছু বলতো সেগুলো এসে আমাকে বলে দিতো।দিনের পর দিন আমিও চিন্তা করে দেখলাম বৌদির আমি অনেক উপকার করেছি তার বাচ্চা হওয়ার সময় থেকে ডাক্তার দেখানো তার সিজারের সময় তাকে সাহায্য করা রান্নাবান্না করে দেওয়া আরো অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিয়ত তাকে হেল্প করার চেষ্টা করেছি। যদিওবা এই এগুলো বলা উচিত না কথার প্রসঙ্গে বলতে হচ্ছে।যখন আমি খারাপ কথা শুনতাম তখন মনে মনে খুব রাগ হতো আর এটা মনে করতাম যার জন্য আমি এতো কিছু করলাম সে আমার নামে এই ধরনের কথাবার্তা কেনো বলছে!সব মিলিয়ে আমাদের সম্পর্কটা আস্তে আস্তে বেশ খারাপের দিকে যাচ্ছিলো।
মিতা বৌদি ও হয়তোবা ঠিক আমার মতোই পরিস্থিতিতে পড়েছিলো তাই হয়তো তারও একই রকম অনুভূতি হয়েছে।তারপর আমরা আস্তে আস্তে দুজন দুজনের থেকে দূরে থাকা শুরু করলাম।একটা পর্যায়ে গিয়ে দেখা হলেও আর তেমন একটা কথা বলতাম না শুধু কেমন আছেন কি করছেন এতোটুকুই।দিন দিন এই কথাটুকুও বন্ধ হয়ে গেলো তখন আমরা রাস্তায় দেখা হলেও কেউ কারো সাথে একটাও কথা বলতাম না।বাসায় আসার পর খুবই কান্না করতাম,যে মানুষটার সাথে দিনরাত কথা না বলে থাকতে পারতাম না দেখা না করে থাকতে পারতাম না, অথচ আজ তার সাথে গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগলেও কথা বলার মত পরিস্থিতি নেই। অনেকদিন কান্না করেছি। তার জন্য আমার হাজব্যান্ড অনেক বকাবকিও করেছিলো। সব সময় বলতো তোমাকে তো না করতাম!মানুষের সাথে বেশি মিশতে যেওনা পরবর্তী সময়ে কষ্ট পাবা,আজ দেখো ঠিক সেটাই হচ্ছে।আসলে তখন বলার মতো কিছু ছিলো না চুপচাপ শুনতাম আর চোখের জল ফেলতাম।
তারপর আমি বিশেষ কারণে ঢাকা ছেড়ে চলে আসি নিজ এলাকায়। সিদ্ধান্ত হচ্ছিলো এলাকার মোটামুটি সবাই জেনে গেছিলো যে আমি ঢাকা ছেড়ে নিজ এলাকায় চলে যাচ্ছি। আমার যেদিন চলে আসার কথা তার দুদিন আগেই মিতা বৌদি বাসা ছেড়ে তার এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে ছিলেন যাতে আমার সাথে দেখা করতে না হয়।আমিও তাকে আসার সময় ফোন করে কিছু বলিনি আসার পরেও কখনো তাকে ফোন করে কথা বলার চেষ্টা করিনি।আমি শুধু বারবার ভাবতাম বৌদি যদি ঐদিন বাসায় থাকতো তাহলে আমি তার কাছে গিয়ে দেখা করে জড়িয়ে ধরে সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে আসতে পারতাম। তাহলে হয়তোবা সম্পর্কটা আজও ঠিক থাকতো।আমার মতো হয়তো বা বৌদিও ভেবেছিলো যে সে তো চলে গেলো একবার তো আমাকে ফোন দিতে পারতো তাহলেই তো সম্পর্কটা আবার আগের মতো হতো।হয়তো দুজনের ভাবনাটা একই রকম ছিলো,আর এভাবেই আমাদের সম্পর্কটা একেবারে শেষ হয়ে যায়।
আসলে মানুষের সাথে চিরকাল একরকম সম্পর্ক থাকে না। কিন্তু আমরা যদি নিজের ইগো থেকে বেরিয়ে এসে যেকোনো একজন পদক্ষেপ নিতাম তাহলে হয়তো আজও সম্পর্ক বজায় থাকতো। আজও হয়তোবা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে আমি দেখতে পেতাম সে আমাকে দেখতে পেতো।কিছু না হোক দিনশেষে মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে অন্তত হাই হ্যালো হতো কে কোথায় কেমন আছি এতটুকু জানা যেতো। তারপরও হয়তোবা সম্পর্কটা বেঁচে থাকতো।😥তখন হয়তোবা বুঝতে পারিনি কিন্তু এখন বুঝতে পারি ভালোবাসার সম্পর্কের মাঝে কখনো ইগোকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না। একবার যদি এগোতে পেয়ে বসে তাহলে সম্পর্ক যেভাবেই হোক নষ্ট হবেই। ইগো খুবই মারাত্মক জিনিস এটাকে সবসময় বর্জন করা উচিত।
আমরা সবাই ইগো থেকে বেরিয়ে আসি এবং সুস্থ স্বাভাবিক সম্পর্কে আনন্দের সহিত বাঁচি এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইগো মানুষের জীবনের খুব খারাপ একটি দিক।আপনার আর এই বৌদির পোস্টটি ফেসবুক থেকে পড়েছিলাম আপু।এতো ভালো সম্পর্ক আপনাদের পরে গিয়ে লোকের নজর লেগে গেল। কু নজর ব্যাপারটা আর ইগো এগুলো আসলেই মানুষের মধ্যে খুব খারাপ একটি দিক।আমার এখন এই জিনিসটি মনে হয় যে আগে কথা বলে মাফ চেয়ে নিলে হয়তো সাময়িক খারাপ লাগবে আমার কিন্তু মনের একটি শান্তি কাজ করবে।কারণ মানুষ না থাকলে তার সাথে জেদ করা যায় না।অল্প দিনের দুনিয়ায় ইগো বজায় রেখে কি হবে।যেকোনো বৈধ সম্পর্কে ইগো রাখা উচিত নয় আমিও তাই মনে করি।
জ্বি আপু যে সম্পর্ক গুলো অনেক বেশি ভালোবাসার সেই সম্পর্কে ইগো রাখা উচিত নয়।গতকাল খুব ওনার কথা মনে পড়ছিলো তাই ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম।ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। কিছু কিছু মানুষের সাথে মেলামেশা করতে করতে একসময় সে মানুষটি আমাদের অনেক আপন হয়ে যায়। কিন্তু এই মিলটা অনেক মানুষই দেখতে পারে না আর তখনই তৃতীয় ব্যক্তি সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আর তখনই সম্পর্কটা ভাঙতে শুরু করে। ঠিক এরকমই একটি ঘটনা আপনার সাথে ঘটেছে। তবে ঢাকা থেকে চলে আসার সময় আপনি যদি মিতা বৌদির সাথে একটু কথা বলে আসতেন তাহলে হয়তোবা অনেকটাই আপনাদের মধ্যেকার ভুল বোঝাবুঝি কেটে যেত। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জ্বি আপু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো সম্পর্ক একদম দেখতে পারে না তাদের হিংসে হয়।এরকম মানুষ আমাদের আশেপাশে অভাব নেই।শেষ সময়ে দেখা হলে সত্যিই ভুর বোঝাবুঝি কেটে যেতো আপু।ধন্যবাদ আপু।
একদমই ইগো খুব মারাত্মক জিনিস সম্পর্ক গুলো নষ্ট করে দেয়। বিশেষ করে খুব ভালো সম্পর্ক এমন আপনজন, বন্ধু, আত্নীয় সজনদের সাথে একদমই ইগো করতে নেই।ওই বৌদির বাসায় গিয়েছিলাম আমি বেশ ভাব ছিলো আপনার সাথে।ফোনে কিংবা মেসেনজার কথা বলতে পারেন কোন একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ তুমিও তো দেখেছো আমাদের সম্পর্ক কেমন ছিলো।আমি চেষ্টা যে করিনি তা কিন্তু নয় ফেসবুকে রিকোয়েস্ট দিয়েছিলাম কিন্তু আমাকে ব্লক করে দিয়েছে। তারপর আর কি চেষ্টা করা যায় বলো?ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলছেন আপু ইগো আসলে খারাপ জিনিস মানুষকে খুব ক্ষতি করে ফেলে। তবে আমাদের জীবনে চলার পথে এত ইগো রাখা ভালো নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদেরকে নমনীয়তা অর্জন করে চলতে হয়। আর অচেনা মানুষের সাথে এত বেশি গভীর সম্পর্ক তৈরি করা একদম উচিত নয়। আজ থেকে অনেক বছর ধরে আমি বাসা নিয়ে থাকি কিন্তু কারো সাথে আমার এত গভীর সম্পর্ক কখনো তৈরি হয়নি। কারণ একজন এক এক জায়গার মানুষ মন মানসিকতা ভিন্ন হতে পারে। যদি দেখা হয় তাহলে হাই হ্যালো দিয়ে চলে আসি। তবে বাসায় গিয়ে একটুও আসা যাওয়া করিনা। যাক আপনাদের সম্পর্কটা খুবই সুন্দর ছিল। তবে মাঝ পথে ভিন্ন একজন এসে সম্পর্কটা নষ্ট করে দিলো। দুইজনে অনেক কষ্ট পেলেন আপনারা। আপনার পুরো গল্পটি পড়ে বেশ খারাপ লাগলো।
আপু আপনি যা করেন বর্তমান সমাজে এটাই করা উচিত। কারণ আমি আমার জীবন দিয়ে বুঝতে পারছি মানুষের সাথে কখনোই ভালো সম্পর্ক রাখা উচিত নয়।আপনার ঘরে আসবে বসবে এবং আপনারই ক্ষতি করার চিন্তা করবে।আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখান থেকে চলে যাওয়ার পর আর কখনো প্রতিবেশীদের সাথে মেলামেশা করবো না।জানিনা কতটা কি করতে পারবো তারপরও আপনার কথাটা মনে রাখবেো আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ইগো জিনিসটা খুবই খারাপ। এটার প্রভাবের স্বীকার আমি। তবে শুধুমাত্র কয়েকজনের ক্ষেএেই আমার এই ইগো কাজ করে। তবে আপনার এবং মিতা ভাবীর সুন্দর সম্পর্ক টা এইভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার বিষয়টি খুবই খারাপ লাগল আমার কাছে। সম্পর্কের এমন ভাঙন এমন পরিণতি সত্যিই খুব দুঃখজনক।
আসলেই ইগো অনেক খারাপ ভাইয়া।আর বার বার আমিই শুধু এই ইগোর স্বীকার হই মানুষের সাথে যতোই ভালো ব্যবহার করি না কেনো তারপরও আমাকেই এটা সাফার করতে হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া।