অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস 😇
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
ইতিমধ্যে আমি একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম তাতে হয়তো বা আপনারা কিছুটা হলেও জেনেছেন যে আমি মানসিক এবং শারীরিকভাবে খুবই অস্থিরতার মধ্য দিয়ে দিন পার করছিলাম।কোনোভাবেই নিজের শরীর ও মনকে শান্ত করতে পারছিলাম না। অনেকভাবে চেষ্টা করছিলাম কাজে ফেরার জন্য কিন্তু দিন শেষে গিয়ে আবার সেই অস্থিরতায় ভুগছিলাম,তাই আর কাজ করা হয়ে ওঠে না।আমার বড় মেয়ে বর্ষা চাকী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো তা আপনারা সকলেই জানেন।ওর পরীক্ষা নিয়ে খুবই চিন্তার মধ্যে ছিলাম পরীক্ষা শেষ হলো।তারপর দেখতে দেখতে রেজাল্ট এর দিনও ঘনিয়ে আসলো।
রেজাল্টের কয়েকদিন আগ থেকেই চিন্তার পাহাড় মাথায় নেমে আসলো।যখনই মনে হচ্ছিলো রেজাল্টের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি তখনই হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছিলো।ভাবতে ভাবতেই সেই মুহূর্ত চলে আসলো।রেজাল্টের আগের দিন সারারাত ঘুমাতে পারিনি মনে হচ্ছিলো দম বন্ধ হয়ে আসছে। কখনো মনে হচ্ছে আজকেই রেজাল্ট হলে ভালো হতো আবার কখনো মনে হচ্ছিলো আরো যেনো অনেক দিন পর রেজাল্ট টা দেয়,আকাশ পাতাল ভাবনা আসছিলো মনে।কি হবে কি হবে এই একটা চিন্তা কিছুতেই মাথা থেকে নামাতে পারছিলাম না সারারাত না ঘুমিয়ে পার করলাম।পরের দিন খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম কাজ করতে ইচ্ছে করছিলো না মনে হচ্ছে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে,কোনো কিছু করার শক্তি পাচ্ছি না।তারপরও ভাবলাম অন্তত সকালবেলার খাবারটা বানিয়ে বাচ্চাদেরকে খাওয়াই এবং আমিও একটু খাই।যদি কোনো কারণে রেজাল্ট খারাপ হয় তখন তো আর খেতে পারবো না এগুলো ভেবেই সকালের খাবার তৈরি করলাম।দুই মেয়েকে খেতে দিলাম এবং আমিও নিলাম কিছুতেই যেনো গলা দিয়ে খাবার নামছিলো না কিন্তু তারপরেও খেতে হবে ভেবেই খেলাম।
সকাল ১১ টা বাজার সাথে সাথে হার্টবিট যেনো আরো বাড়তে থাকলো,মনে হচ্ছে যে কোনো সময় হার্ট অ্যাটাক করবো।কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ফোনে একটি কল আসলো দেখেই বুঝতে পেরেছি যে মেয়ের রেজাল্টেরই খবর হবে!সে আমার খুবই প্রিয় একজন কাছের মানুষ সেও খুব টেনশনে ছিলো,সবার প্রথম সেই মেয়ের রেজাল্ট আমাকে জানায়।ফোনটা রিসিভ করতেও খুব ভয় লাগছিলো ওপাশ থেকে কি বলবে এটা ভেবেই মনে হচ্ছিলো না কলটা রিসিভ করি! কিন্তু তারপরেও তো জানতে হবে।ভয়ে ভয়ে কলটা রিসিভ করলাম তখন ওপাশ থেকে মেয়ের রেজাল্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানালো।বললো মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে শুনেই আনন্দে মেয়েরা লাফিয়ে উঠলো এতক্ষণে আমার শ্বাস-প্রশ্বাস মনে হয় একটু ঠিক হলো।
নিজের পরীক্ষার সময় হয়তো বা এতোটা টেনশন করিনি যতোটা মেয়ের জন্য করেছি।ভগবানের অশেষ কৃপায় বেশ ভালো একটা ফলাফল পেয়েছি এতে অনেক খুশি।আশা করি সামনের দিনগুলোতে আরো অনেক ভালো কিছু করে দেখাবে এটাই আমার স্বপ্ন।আপনারা সকলে আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ দোয়া করবেন যাতে করে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মেয়ের চেয়ে আপনি যেন বেশি টেনশন ছিলেন। সবশেষে মামা কাঙ্খিত ফল পেয়েছে, তার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। আর আপনি মেয়ের পিছনে যতটা শ্রম দিয়েছেন সেটা যেন সার্থক হয়েছে।
হ্যাঁ ভাই আমার কষ্ট অনেকটাই স্বার্থক হয়েছে।দোয়া করিও আগামীতে যেনো আরও ভালো কিছু করতে পারে।ধন্যবাদ ভাই।
প্রথমে বর্ষা চাকীর জন্য রইলো আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সে যেন তার স্বপ্নটা পূরণ করতে পারে সে আশা ব্যক্ত করি। আসলে আপু কি আর বলবো রেজাল্টের আগে থেকেই জানো মনের মধ্যে একটু অন্যরকম কাজ করে। কোন কাজ করেও করতে ইচ্ছে করেনা। আপনার মেয়ের রেজাল্ট আপনারাও ঠিক এমনটি হয়েছিল যা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। তবে রেজাল্টের দিন যখন ঘূর্ণি আসলো ঠিক ১১ঃ০০ টার সময় আপনার একটি ফোন আসলো। আপনি তো ফোন ধরতে ভয় পাচ্ছিলেন তারপরেও জানার জন্য ফোনটা ধরে ছিলেন। তবে যাই হোক ওপার থেকে যে সংবাদ এসেছিল তাতে আপনারা অনেক খুশি। সাথে আমাদের মিষ্টি টা দিবেন খুব তাড়াতাড়ি। এবার এসএসসি পরীক্ষায় বর্ষা চাকী জিপিএ ৫ পেয়েছে বিষয়টা খুবই আনন্দের। এতে আপনি তো আরও বেশি আনন্দিত। তাই বর্ষা চাকীর্র জন্য সব সময়ের জন্য শুভকামনা রইলো। সে আর বড়ো হোক। ধন্যবাদ আপু এই আনন্দঘন মুহূর্তটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মিষ্টি অবশ্যই খাওয়াবো যদি কখনো সেই সুযোগ আসে ভাইয়া।দোয়া করবেন যাতে অনেক ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অভিনন্দন আপু আপনার আর মেয়ের জন্য। খবরটা শুনে ভীষণ ভালো লাগলো। মেয়ের চেয়ে মায়েরাই দুশ্চিন্তা বেশী করে আসলে।এই ফিলিংসটা কাউকে আসলে বোঝানো যায় না।দোয়া করি আরো এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই তাই আপু মায়েদের চিন্তা গুলো কাউকেই বলে বোঝানো সম্ভব নয়। দোয়া করবেন আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
রেজাল্ট দেওয়ার সময় শুধুমাত্র স্টুডেন্টের না, তার পরিবর্তে স্টুডেন্টের বাবা মারও অনেক চিন্তা হয় দিদি, এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া আপনার মেয়ে যে জিপিএ-৫ পেয়েছে, এটা আগেই শুনেছিলাম এবং শুনে খুব খুশি হয়েছিলাম। যাইহোক, শেষ পর্যন্ত মেয়ের রেজাল্ট পেয়ে খুশি হয়েছেন এবং কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লাগছে।