মুড সুইং।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷
মুড সুইং |
---|
আচ্ছা মুড সুইং ব্যাপারটা এমন কেন?মনটা এই ভালো তো কিছুক্ষণ পরই খারাপ হয়ে যায়।যদিও এই ব্যাপারটা সম্পর্কে আগে তেমন কোনো ধারণাই ছিল না।যখন মুড সুইং হতো তখন ভাবতাম এমন কেন হচ্ছে?কিছুক্ষণ ভালো মেজাজে থাকলে তার কিছুক্ষণ পরই মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়।কোনো কারণ ছাড়াই।
শুধুমাত্র তাই নয়,কেউ কিছু বললো তো তখন বসে বসে ভাবি এমন করে কেন বললো, একথা কেন বললো? আসলে এগুলো মাথার মধ্যে ঘুরতেই থাকে।কোনো কারণ ছাড়াই মনটা খারাপ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে কান্না পায়,খামোখাই বলতে গেলে।আসলে এ সময়টা পার করতেও খুব কষ্ট হয়।
শুধুমাত্র যে এই মুড সুইং আমার হয় তা কিন্তু নয়।আমি, আমরা সবাই,ছেলে -মেয়ে উভয়েই এই ব্যাপারটার স্বীকার। হরমোনের কারণে,মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস এর কারণেও মুড সুইং হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকম ভাবে মানসিকভাবে বিষাদগ্রস্ত হলে অথবা পুষ্টিকর খাবার সমূহের অভাবে, শরীরে বিভিন্ন রকম ভিটামিন বা ক্যালসিয়ামের অভাবেও যখন হরমোন এর সমস্যা হয় তখন এই মুড সুইং হয়ে থাকে।
মুড সুইং ব্যাপারটা স্বাভাবিক হলেও অনেক সময় এটি অস্বাভাবিকভাবেই সকলের মধ্যে কাজ করে। কারণ অনেকেই নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারে না।অন্যদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং সে ক্ষেত্রে সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যায়। কারণ যার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে সে বুঝবে না সেটা তার কন্ট্রোলের অন্তর্ভুক্ত নয়।তবে এটা ঠিক মুড সুইং এর সময় বিপরীত অবস্থানে থাকা ব্যক্তি কখনো কখনো বুঝতে পারে না।তবে যখন বুঝার মত মানুষগুলো বুঝেও না বুঝার মত থাকে তখন অনেক সত্যিই কষ্ট লাগে।
যাইহোক, আজকে এই ব্যাপারটা নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হওয়ার একটাই কারণ,আমার নিজের অবস্থাটাই এমন।সকাল থেকেই কেমন বিরক্ত লাগছে,নিজের প্রতি, নিজের কাজের প্রতি। মাথাটা ধরেই রয়েছে,সামান্য কোনো কাজে বিফল হচ্ছে তো, নিজের চুল ছিড়তে মন চাচ্ছে।আসলে এই সময়টা পার করা আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। কারণ যখন অন্য কেউ বুঝে না এই ব্যাপারটা তখন খুবই কষ্ট লাগে।
আর সত্যি বলতে আমাদের সকলেরই উচিত কাছের মানুষগুলোকে ভালোভাবে বোঝা।কারণ এই মুড সুইং এর ক্ষেত্রে কাছের মানুষগুলোই সেরা অবদান রাখতে পারে।তাকে বুঝে তার এই ব্যাপারগুলোকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে দেয়া, তাকে আগলে রাখা।যাইহোক আপাতত এতটুকুই , ভালো থাকবেন সকলেই।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
https://twitter.com/bristy110/status/1622272684607537152?s=20&t=SKiVXIsyL1jZ3V-O3TYxQA
@tipu curate
অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টে কি কিউরেট করার জন্য
মুড সুইং সবার ক্ষেত্রে কম বেশি হয়ে থাকে আবার কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অনেকটা বেশি হয় । যেটা বিভিন্ন ভিটামিন খাদ্য ঘাটতির কারণে হয় ।অনেক ভালো একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন যেটা থেকে সবাই কিছুটা হলেও ধারণা পাবে কি জন্য এই ধরনের মুড সুইং হয়।
ভিন্ন রকম একটি মন্তব্য পড়লাম আপনার কাছ থেকে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সব সময় সাপোর্ট করে যাওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মুড সুইং প্রবলেমটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যে হয়ে থাকে, আবার ছেলেদের মধ্যেও এই অভ্যাস দেখা যায়। আমার মধ্যে এরকম সমস্যা আছে কিনা জানিনা তবে মাঝে মাঝে অনেকদিন পর পর হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়া মন খারাপ থাকে , মন খারাপের কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না তবে মন খারাপ হয়।
ভাইয়া এটাকেই মুড সুইং বলে।কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করে মন খারাপ হওয়া বা মেজাজ খারাপ হওয়াটা মুড সুইং এর অন্তর্ভুক্ত। আর এটা কমবেশি সবার মধ্যেই হয়।
আপনি সুন্দর একটি টপিক্স তুলে ধরেছেন মুড সুইং নিয়ে।আপনি যে মুড সুয়ং নিয়ে আলোচনা করছেন সে সম্পর্কে আমার কোন জানা নেই।তবে আজ জানতে পেরেছি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।মুড সুইং এর ব্যপারে রাগ হলে আসলে সেটা মানুষে বুঝবে না রাগ করছে যে সেই ব্যাপারটা।আপনার আজকের টপিক্স পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে অনেক কিছু জানার ছিল ধন্যবাদ।
আপনাদের ভালো লাগার জন্য বিভিন্ন রকম টপিক নিয়ে উপস্থিত হই ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিই মুড সুইং এমন একটা বিষয় যা কাটানো সত্যিই অনেক কষ্টকর। আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের সকলকে কাছের মানুষগুলোকে বোঝা উচিত। অনেকেই আছে নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করতে পারে আবার অনেকে আছে কন্ট্রোল করতে পারে না। একে অপরকে যদি সব সময় বুঝে তাহলে সবকিছুই ভালোভাবে মিটে যায়। যেকোনো কারণে মুড সুইং হয়। যদি কিছুক্ষণ ভালো থাকি এর কিছুক্ষণ পরে আবার মুড সুইং হয়ে যায়। যাই হোক আপনার আজকের পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন একে অপরকে যদি সব সময় বুঝে তাহলে সবকিছুই ভালোভাবে মিটে যায়।
আপু মুড সুইং এর জন্য যে এত গুলো কারন থাকতে পারে সেটা আমার জানা ছিল না। আমি জানতাম রাগ অভিমানের কারনে এমনটা হতে পারে। এটার সাথে যে হরমোন যুক্ত আছে সে ব্যাপারে আমার কোন ধারনাই ছিল না। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন সর্বদাই কামনা করি।
আসলে মুড সুইং এমন একটি ব্যাপার যার কারণে কিছুই ভালো লাগেনা। এতক্ষণ ধরে হয়তো আমরা ভালো ছিলাম যদি কিছুক্ষণ পরে মুড সুইং হয়ে যায় তাহলে কিছুই ভালো লাগেনা আর। আর এই মুড সুইং কাটানো একেবারেই কষ্টকর কিন্তু। সে সময় কেউ যদি কোন কথা বলে তাহলে রাগের মাথায় কি বলে দেই কিছুই বুঝা যায় না। পরে হয়তো এই ব্যবহারের জন্য আমরা অনুতপ্ত হই। কিন্তু শুরু থেকেই রাগ কন্ট্রোল করা ভালো। যারা রাগ কন্ট্রোল করতে পারে তাদের জন্য কিন্তু এই বিষয়টি খুবই সিম্পল। ভালোই লাগলো পড়ে কিন্তু।
একদম ঠিক বলেছেন আপু সে সময় কেউ যদি কোন কথা বলে তাহলে রাগের মাথায় কি বলে দেই কিছুই বুঝা যায় না