সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।বাস্তব ঘটনা নিয়ে লেখা।পর্ব-৩
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
(২য় পর্ব......
https://steemit.com/hive-129948/@bristy1/55svhw)
রাত তখন দেড়টা,সবাই আবারো বাইরে বেরোলো। কারণ এমন সব সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই শান্তিতে থাকা যায় না।যতই হোক, মেয়ে দুটোর ভবিষ্যৎ রয়েছে সেই ভাবনা থেকেই সবাই চায় এর সমাধান হোক।যারা সেই কাকাকে হেল্প করছে তারা কিন্তু আবার কাকীকেও তাল দিচ্ছে।কাকী তখন বলতেছিল ওরা কোথায় কোথায় যাচ্ছে সব আমি জানি,আমাকে জানানো হচ্ছে।তাও আবার বিদেশ থেকে কল করে।কিন্তু যারা তাকে ইনফর্ম করতেছিল মূলত তারাই চেয়েছে বিয়ে হয়ে যাক। আবার তারা নিজেদের হিডেন রেখেছে যাতে দুই দিক থেকে অন্যরা দোষারোপ পাক।
কিন্তু এদিকে তো পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।মূলত যারা বাজারে দেখেছিল কাকাকে তারাই চাচ্ছে বিয়ে হয়ে যাক।আর এদিকে আমাদের বাড়িতে কিছু লোভী মানুষ আছে যারা পুরো বাড়িটা নিজের দখলে নিতে চায়। আর কাকা যেহেতু কোনো কাজ করে না সেহেতু টাকার জোগান দিচ্ছে সেই লোভী ব্যক্তিরাই। তারা সরাসরি কাকার প্রথম স্ত্রীকে কল করে বলতেছে তাদের বিয়ে পড়াবে না কিন্তু বাড়িতে কিছু লোক লাগিয়ে রেখেছে যাতে তাদের বিয়ে পড়িয়ে দেয় এবং তারাই টাকা দিচ্ছে খরচের জন্য।
এভাবেই অনেক রকম কথাবার্তা এবং চেঁচামচির মাধ্যমেই চলে গেল আরও প্রায় এক ঘন্টা। তাদেরকে বারবার জিজ্ঞেস করতেছিল যে তারা এখন কোথায় আছে। কিন্তু ওই লোকগুলো তাদের কথার উত্তর দিচ্ছিল না। যদিও আমরা সবাই ভেবেছিলাম তারা অবশ্যই দোকানে রয়েছে। কিন্তু অন্যরা বলছে তারা দোকানে নেই। দোকান থেকে কোথায় চলে গিয়েছে, তাদের ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। যদি তারা একবারের জন্য বলতো তারা দোকানেই আছে তাহলে হয়তোবা সেদিন রাতেই বিয়েটা ঠেকানো সম্ভব হতো। কিন্তু তারা চেয়েছিল রাত পার হোক এবং বিয়েটাও হোক। সেজন্যই সারারাত তারা দোকানেই ছিল আর ওদের আশ্রয় দিয়েছিল সেই লোভী লোক গুলো।
তারপর কাকি ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দিল যাতে ওরা রাতে এসে ঘরে ঢুকতে না পারে। তিনিও আর ঘরে থাকলেন না। আমার এক জেঠার ঘরে তারা অবস্থান করছিল। আমরা কিছুক্ষণ সেখানে ছিলাম বিস্তারিত কথাগুলো শুনলাম। তিনি বলতেছিলেন যে বাসায় তার সাথে এসব বিষয়ে কখনো কোন ঝগড়া হয়নি। শুধুমাত্র যখন কাকাকে কোন ইনকামের কথা বলতো তখনই ঝগড়া করতো চেঁচামেচি করতো। এরপর থেকে কাকি আর সেসব কথা বলতো না। কিন্তু কাকা তার মেয়েদের সাথে এই মহিলার পরিচয় আগেই করিয়েছিল। মহিলাটি টিকটক করতো আর সে হিসেবে কাকার সাথে পরিচয় হয়েছে। কাকা মেয়েদেরকে নিয়ে টিকটক গুলো দেখতেন কিন্তু কাকিকে কখনো মোবাইল ধরতে দিতেন না।
কাকিও আর এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিতেন না। কারণ তিনি জানতেন কয়েকজন মহিলার সাথে কাকা কথা বলে। আর কাকার তো স্বভাবগত অভ্যাস এটা। যাইহোক তার সাথে অনেকক্ষণ কথা হলো সেখানে। এরপর আমরা চলে এলাম , কারেন্ট ও ছিল না সেজন্য বাইরে ছিলাম। যখন কারেন্ট এলো তখন বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতেই দেখি আবারো চেঁচামেচি শুরু হয়েছে উচ্চস্বরে। তখন বাইরে বেরিয়ে দেখি কাকা কে ঘিরে সবাই দাঁড়িয়ে বসে রয়েছে। সবাই জিজ্ঞাসাবাদ করছে সে এই বিয়ে করবে কিনা। তখন সবার প্রতি তার উত্তর একটাই ছিল যে এই মেয়েটিকে আমি নিয়ে এসেছি কি ছেড়ে দেয়ার জন্য? আমি বিয়ে করবো অবশ্যই করবো। দরকার হলে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেবো তাও আমি বিয়ে করবোই করবো।
ব্যাপারটা হাস্যকর এবং অন্যরকম হলেও তিনি বারবার বলতে লাগছিলেন যে মেয়েটা আমার ভালোবাসার টানেই এখানে এসেছে। মেয়েটার বাড়ি হল কিশোরগঞ্জ। সেখান থেকে এখানে এসেছে তাহলে আমি কেন তাকে বিয়ে করব না। আর এদিকে কাকাকে কাকি বলছিল আমার দুটো মেয়ে আছে। মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অন্তত এই কাজ যেন না করে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। কাকাতো বিয়ে করবেই করবে, যেভাবেই হোক। তারপর কাকি চলে গেল আমাদের নতুন বাড়িতে। সেখানে ওই মহিলাকে রাখা হয়েছিল। দুই বাড়িতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। সেখানে গিয়ে দেখে ওই বাড়ির অনেকজনের ওই মেয়েটিকে দেখতে এসেছে।...(চলবে)
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | বাস্তবিক ঘটনা। |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আপু কিছু কিছু মানুষ রয়েছে আমাদের সমাজে অনেক খারাপ। তারা সব সময় মার কোলে ও থাকে আবার জির কোলে ও থাকে। আর এই ধরনের লোকের জন্য অনেক সময় ভালো মানুষ বিপদে পড়ে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে বিয়ে করে কি না।
পরবর্তী পর্ব টাও শেয়ার করেছি আপু পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে এরকম মানুষ আমাদের সমাজ এখনো দেখা যায় যে ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকতেও অন্য মেয়ের সাথে কথা বলে এবং অন্য মেয়েকে বিয়ে করার প্রতি আগ্রহ দেখায়। আর আপনার এই বাস্তব গল্পে কাকার দ্বিতীয় বিয়ের আগ্রহটা খুবই বেশি প্রকাশ পেয়েছে। যাহোক আপনার এই বাস্তবসম্মত গল্পের পরবর্তী পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আসলে মানুষ মনুষত্ব হারিয়ে ফেললে এরকম করে।
সুখে থাকতে ভুতে কিলায় আজকের পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। গল্পের মাঝে সমাজের কিছু বাস্তব চরিত্র তুলে ধরেছেন । প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ি হলেও সে দ্বিতীয় বিয়ে করবে এটা খুবই পাগলামি। আসলে এতে করে উভয় সংসারের মাঝে বেশ ঝামেলায় সৃষ্টি হবে। পরবর্তীতে বিয়ে করে কিনা দেখার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া বিয়ে করে ফেলেছে। কিন্তু এখন তারা সংসারও করছে ধন্যবাদ গল্পটা পড়ার জন্য।
আপু আপনার এই বাস্তব গল্পটির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব আমি পড়েছিলাম, আজ আবার তৃতীয় পর্ব পড়ার সুযোগ পেয়ে গেলাম। সত্যি বলতে কি আপু, যার স্বভাব যে রকম, সেরকম লোকের সাথেই তার দেখা হয়। আর তাইতো আপনার কাকার সাথে টিকটক করা মেয়েটির স্বভাব একদম মিলে গেছে। আর এজন্যই আপনার কাকি অর্থাৎ প্রথম স্ত্রীর কপালে দুর্ভোগ নামতে শুরু করেছে। দুই দুটি মেয়ে ঘরে থাকার পরেও, যে পুরুষ অন্য মেয়েকে দেখে ভালোবাসার কথা বলতে পারে, তার চেয়ে নির্লজ্জ বেহায়া বোধ হয় আর কিছুই নেই। যাইহোক আপু পরবর্তীতে এই বাস্তব গল্পের কি হলো তা জানার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
২মেয়ের কথা চিন্তা না করে এভাবে সংসার নষ্ট করা তার পক্ষেই সম্ভব।বিবেক বুদ্ধি না থাকলে এরকমই হয়।
মূলত যারা এই বিয়েকে ইন্দ্রন দিয়ে আরেক জনের সংসার ধ্বংস করেছে, তোমার কাকার উৎসাহের সহযোগী হয়েছে, তারাও কিন্তু সমান পাপী। ধিক্কার জানাই এসব লোকদের উপর। যাই হোক ঘটনাটি সবার উদ্দেশ্যে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তোমাকে।
তার মাথার উপর হাত না থাকলে সে এত বড় কাজ করতে পারত না। সাহস পেয়েছে বলেই এতদূর গড়িয়েছে বিষয়টা।