দুই ভাই একসাথে পুরী ও মুংলাই খাওয়ার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৪/০৮/২০২৪) রোজ: বুধবার।
💞 শুভ বিকেল 💞
আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কাজের ধারাবাহিকতাই ফিরে আসার চেষ্টা করছি।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
গত সপ্তাহে ঠিক বিকেলে বড় ভাইয়ের একটা ফোন আসলো। ফোন রিসিভ করতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। এর পরে ফোন রিসিভ করে ভাই বলছিল পুরি খেতে যাওয়ার কথা। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে আমি রেডি হয়ে দুই ভাই মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পুরি খাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমার গ্রাম থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে হেমায়েতপুর বাজারে গিয়েছিলাম পুরি খাওয়ার জন্য। সেখানে মামা ভাগ্নে নামে একটা হোটেল আছে । সেখানে খুব ভালো পুরি পাওয়া যায়। তাই গেলাম পুরি খেতে। গিয়ে দেখলাম দোকানটি বন্ধ। হঠাৎ করেই যেনো কি একটা ঝামেলা হয়ে দোকানটা বন্ধ হয়ে গেছে। তাই সেখান থেকে আবার রওনা দিয়েছিলাম হাটবোয়ালিয়া বাজারে। দুঃখের বিষয় সেখানে গিয়ে বাজারে কোথাও পুরি পাওয়া গেল না। সব রেস্টুরেন্টে শুধু মিষ্টি আর মিষ্টি ছিল। কারণ ওই দিনটা ছিল ৬ই আগস্ট। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চায় না। এরপরে ওখান থেকে আবার রওনা দিলাম গাংনীতে। হাটবোয়ালিয়া থেকে গাংনীর দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। এরপরে গাংনী প্রথমে আমরা ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে পরী পেয়ে ছিলাম না। এরপরে আরো বেশ কয়েকটা রেস্টুরেন্টে দেখতে পেলাম পুরি নাই। এরপরে ওখান থেকে হসপিটাল বাজারে গেলাম। গিয়ে সেখানে পুরীর দেখা পেলাম। সত্যি এতো ঘোরাঘুরির পর যখন পুরি পেলাম তখন মনের মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ অনুভব করেছিলাম । এরপরে যাই হোক বেশ মজা করে দুই ভাই আটটি পুরি খেলাম। এরপরে সেখানে আমাদের বিল হয়েছিল ৮০ টাকা। এরপরে বিল পরিশোধ করে সেখান থেকে আবার বাজারে ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে গেলাম। তখন সময়টা ছিল ঠিক সাড়ে পাঁচটা কিবা ছয়টা। ওই সময় দেখছিলাম মুংলাই তৈরি হচ্ছে। মুংলায় দেখে লোভ আর সামলাতে পারলাম না। মুংলাইয়ের এতোই চাপছিল যে মুংলায় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে আমাদের আমি আর ভাই মংলায় অর্ডার দিলাম। মুংলাই অর্ডার দিয়া রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। তারপর আমরা একটা টেবিলে বসলাম। বসে আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমার ভাই বসে আছে। মূলত আমরা দুজনা মুংলায় এর অপেক্ষায় রয়েছি।
পরে ঠিক পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করার পরেই আমাদের মুংলায় চলে আসলো। আসলে ঐদিন আবহাওয়াটা ছিল হালকা ঠান্ডা । আর যে কারণে গরম গরম মুংলায় এর ক্রেতা ছিল অনেক বেশি। এমনকি বাইরে থেকেই সেগুলো তৈরি করার সাথে সাথে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এবং পার্সেল করে নিয়ে চলে যাচ্ছে সবাই ।রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রবেশ করার আগেই সব বিক্রি হয়ে যাচ্ছে । ওই মুহূর্তে আমরা অর্ডার দেওয়াই আমাদের টা পেয়েছিলাম। মুংলাই টেবিলে দিতেই আমি সেখান থেকে উপরের ছবিটি সংগ্রহ করি। এরপরে দুই ভাই খাওয়া শুরু করলাম। ঐদিন সত্যি মুংলাই টা ছিল খুবই টেস্টি। দুই ভাই একদম আত্মা ভরে খেয়েছিলাম। মুংলাই টা যেমন স্বাদ হয়েছিল সেই সাথে যে টক দিয়েছিল মুংলাই এর সাথে ওই টকটা ছিল অন্যদিনের তুলনায় একটু বেশি মজাদার। এরপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমাদের দুটি মুংলাই এর বিল হয়েছিল ১৮০ টাকা। প্রতিটি মুংলাই এর মূল্য নিয়েছিল ৯০ টাকা করে। এরপরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল পরিশোধ করে আমরা সেখান থেকে প্রায় সন্ধ্যার আগেই আবার বাসার দিকে রওনা দিলাম। যাইহোক শেষমেষ আমরা এতো ছোটা ছুটি করার পরে পুরি খেতে পেরে খুবই ভালো লেগেছিল। সেই সাথে পুরী খাওয়ার সাথে সাথে মুংলায় খেয়েছিলাম । আর এই খাওয়া-দাওয়ার মধ্য দিয়ে বেশ দারুন একটা সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
!upvote 10
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ Participate in the "Seven Network" Community2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ ⚜💯.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven).
the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 125%
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
আপনারা দুই ভাই তো দেখছি খুবই সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন। এই ধরনের তেলে ভাজা গুলো খেতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে আমাদের উপজেলা শহরে যায় আর পুরি ও মোগলাই খাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মতামতটি শেয়ার করার জন্য।