যে বয়সে আমি নিজের শখ মেটানোর কথা সেই বয়সে দুঃখের সাগরে জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, যে বয়সে আমি নিজের শখ মেটানোর কথা সেই বয়সে দুঃখের সাগরে জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। জীবনের কিছু গল্প বলতে যাচ্ছি আপনাদের। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্ট টি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
জীবনটা থমকে গেছে। আমি আর আমার নিজের মধ্যে নেই। নিজেরে বলতে কোন কিছুই নেই আমার।জীবনের সময় গুলো বেশ খারাপ যাচ্ছে। যে দিকে তাকায় হতাশা আচ্ছন্ন অন্ধকার দেখতে পায়। রঙ্গিন স্বপ্ন গুলো ধীরে ধীরে ধূসর অন্ধকারে ঢেকে গেলো। হতাশার চাপে আমি অধিক কান্ত। ভালো লাগা, ভালো থাকার অনুভূতি হারিয়ে গেছে অনেক আগে। দেহে শুধু আত্মা নিয়ে বেঁচে আছি। কোন আশা ভালোবাসার ছোঁয়া নেই । বয়স আমার বেশ নয়। মাত্র ২৩ বছর। যে বয়সে আমি মোটর সাইকেলে চড়ে হাওয়ার উপর ভেসে থাকার কথা সে বয়সে আমি এক রাশ হতাশা আর দুঃখের মরুভূমিতে ঘুরে বেড়াই।
জীবনটা কেন এমন হলো জানি না। জীবনে অর্থই এখন খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। দুঃখ হচ্ছে আমার জীবন সাথী যেদিকে যাই দূর থেকে বহুদূর দুঃখ যে আমার পিছু ছাড়ে না। হতাশা হচ্ছে আমার আপন মানুষ যেখানে থাকি না কেন হতাশা আমাকে ঠিকই খুঁজে বের করে নেই। চোখের অশ্রু ঝরতে ঝরতে শুকিয়ে গেছে। এখন আর হৃদয়ের কান্না হলে টিস্যু দিয়ে চোখ মুছতে হয় না। ঠোঁটের কিনারায় হাসি ফুটেছে সে কবে এখন আর মনে নেই। এখন শুধু অন্যের হাসির দিকে চেয়ে থাকি দুই পলকে। বেঁচে আছি ইট পাথরের মূর্তির মতোন। হৃদয়ে হাজারো রকম স্বপ্ন ছিলো।
কিন্তু সময়ের ব্যবধানে পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতে স্বপ্নগুলো উড়ে গেলো। মনে ইচ্ছে গুলো মাটিতে মিশে গেছে নিমিষে। বাস্তবতা যে কত বড় কঠিন তা বলে বুঝানো কখনো সম্ভব নয়। বাস্তবতার সামনে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তন হতে পারে তা কল্পনা বিহীন। যতোদিন মায়ের আঁচলের তলে আর বাবার হাতে গড়া হোস্টেলে ছিলাম ততোদিন ভালোই ছিলাম। তখন পৃথিবীর সব কিছুই রঙিন মনে হলো। যখনই মায়ের আঁচড় ছেড়ে দিলাম আর বাবার হোস্টেল থেকে বেরিয়ে পড়লাম। তখনই বাস্তবতার আসল চেহারা দেখতে পেলাম সময়ের প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায় তার।
পথ চলার প্রতিটি বাঁকে বাঁকে সাহারা মরুভূমি দেখা পাই আর না হয় বরফে আচ্ছন্ন এভারেস্ট সামনে পড়ে। সাহারা মরুভূমি আর বরফ আচ্ছন্ন এভারেস্ট পাড়ি দিতে দিতে আমি যে বড় ক্রান্ত। আজ জীবনের এই পর্যায়ে এসে বলতে হচ্ছে জীবনটাই আমার ব্যর্থ। জন্মটাই হয়েছে আমার অভিশপ্ত। এতটাই অভাগা আমি যে সফলতার ছোঁয়া কখনো পেলাম না। মধ্যবিত্ত শব্দটা সবচেয়ে আমার বড় কষ্টের কারণ। কেন যেই মধ্যবিত্ত বাবার পরিবারের জন্মগ্রহণ করেছি সৃষ্টিকর্তার কাছে এইটাই প্রশ্ন? এখন আমি দুঃখের সাগরে ভেসে বেড়াই মৃত্যুর প্রহর গুনে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আজ আপনার পোস্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।এর ভিতরের কথাগুলো বেশ সাজিয়ে লিখেছেন। আসলে ভাইয়া পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যাদের দুঃখ থাকে চিরকালের জন্য সাথী হয়ে। আর হতাশা একদম নিজের আপন হয়ে থাকে। বাস্তবতা আসলেই বড় কঠিন। একদম সত্যি কথা ভাইয়া মায়ের আঁচলের তলে আর বাবার হোস্টেলে থাকলে তখন পৃথিবীটার সব কিছুই রঙিন মনে হয়।বাস্তবের পরিবেশটা অনেক কঠিন। আর যখন বাস্তবতার মুখোমুখি হই তখন পৃথিবীটা মনে হয় অনেক অন্ধকার। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। এত সুন্দর একটি পোস্ট সুন্দর করে গুছিয়ে লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পোস্টটি পড়ে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আসলে মানুষের দুঃখের পরে সুখ আসে এটা স্বাভাবিক। তবে সেজন্য হয়তো অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। আর এটাও ঠিক যে অনেকের ক্ষেত্রে সফলতা অনেক পরে আসে। আর কারো কারো অল্পতেই সফলতা চলে আসে। তবে অনেক পরে আসলে এতে ভেঙে পড়ার বা হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। ২৩ বছর পেরিয়ে গেলও এখনো অনেক সময় বাকি আছে মোটরসাইকেলে করে নিজেকে ভাসানোর। তাই যেকোনো কাজের সাথে লেগে থাকলে একটা সময় সেটার ফলাফল পাবেই। সেজন্য হতাশ না হয়ে, নিজেকে ছোট না করে, জীবনে কিভাবে উন্নতি করা যায় সেদিকেই বেশি ফোকাস করো। অযথা চিন্তা করে কোন লাভ নেই। ধন্যবাদ তোমাকে।
আসলে ভাইয়া কিছু কিছু মুহূর্তে নিজে বেঁচে থাকাটাই ব্যর্থ মনে হয় । যখন অর্থের জন্য ভালো লাগা, ভালোবাসা জিনিস গুলো হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান অনুভূতি শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য ।
ভাইয়া আপনার পোস্টটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো। এই বয়সে আপনি কেন এতটা হতাশাগ্রস্ত? কেন এতটা দুঃখের সাগরে নিমজ্জিত বুঝতে পারলাম না ।যাই হোক যে পরিস্থিতিতেই আমরা থাকি না কেন সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা থাকতে হবে। এরকম পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ অনেক বেশি জরুরী ।সবসময় সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন যেন তিনি এই অবস্থা থেকে মুক্তি দান করেন। আর আপনি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেই এমন করছেন, তাহলে একবার ভেবে দেখুন যারা নিম্নবিত্ত পরিবারে আছে তাদের কি অবস্থা? সব সময় নিজের অবস্থানটার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানানো উচিত। যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা। আপনি যেন এই অবস্থা থেকে দ্রুত ভালো অবস্থায় উন্নীত হতে পারেন।
জি আপু অবশ্যই দোয়া করবেন যেন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারি। মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এতটাও হতাশ হয়ে পড়বেন না ভাই। মাত্র ২৩ বছর বয়সে আপনার ভিতরে যতটা হতাশা দেখছি, এটা কিন্তু একেবারে ঠিক নয়। বরঞ্চ আপনি মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখুন এবং কিভাবে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করুন। আপনি যদি এরকম হতাশাগ্রস্ত জীবন যাপন করেন তাহলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তার পরিবর্তে আপনি উঠে দাঁড়ান এবং নিজেকে শক্ত করুন। আশা করি, আপনার এই হতাশার সমস্ত কারণ নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।
আপনার মূল্যবান অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
মায়ের আঁচলের তলে আর বাবার হোটেলে থাকলে, জীবনটা রঙিন মনে হয় ভাই। কিন্তু নিজের কাঁধে যখন দায়িত্ব চলে আসে, তখন জীবনটা এলোমেলো হয়ে যায়। জীবনটা যে কি, তখন সেটা উপলব্ধি করা যায়। তবে হতাশ হবেন না ভাই, জীবনের অনেকটা পথ এখনো বাকি। সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই আপনার জন্য ভালো কিছু রেখেছেন। চেষ্টা চালিয়ে যান এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করুন। কারণ তিনি চাইলে এক নিমিষেই আপনার জীবন পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। যাইহোক আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
অবশ্য দোয়া করবেন ভাই, যেন হতাশা দূর হয়। ধন্যবাদ আপনাকে মতামতের শেয়ার করার জন্য।
ভাই এতো হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জীবনে যদি দুঃখ না আসে তাহলে আপনি কখনোই সুখের দেখা পাবেন না। আসলে দুঃখ হচ্ছে সুখের আগমনের বার্তা। আপনি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছেন এইটা নিয়ে নিরাস হওয়া যাবে না। আপনি যে অবস্থাতেই থাকেন না কেন সবসময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন। আর ধৈর্য ধারন করুন সফলতা একদিন ঠিকই আপনার কাছে এসে ধরা দেবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভালো থাকবেন।
সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া এই হতাশা সবসময়ই সবাইকে গ্ৰাস করে। যতদিন মায়ের আঁচলের তলে আর বাবার হোটেলে থাকা হয় তখন দুঃখ কষ্ট কি আর এই পৃথিবী কেমন বুঝা যায় না। তখন চারপাশের সবকিছুই রঙিন মনে হয়। কিন্তু যখন এই ছায়াতল থেকে বের হয়ে আসা হয় তখনই বুঝা যায় এই পৃথিবীটা কত কঠিন। তখন অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। তবে এই অবস্থায় হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। নিজেকে শক্ত হাতে সবকিছু তখন সামলাতে হয়। তাছাড়া সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই সময়টা আল্লাহ্ তায়ালার উপর ভরসা রাখতে হয়। তিনিই সবকিছুর সমাধান করে দেবেন। তিনি আমাদের সবসময়ই বিভিন্ন পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন আর আমাদের উচিত ধৈর্য ধরে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল যাতে আপনার সব হতাশা কেটে যায়। ধন্যবাদ।
আসলে আপু কিছু কিছু মুহূর্তে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যায়। তখন বেঁচে থাকাটাই ব্যর্থ মনে হয়। মূল্যবান অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।