আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ২৭
আমার বাংলা ব্লগের আরো একটি নতুন আয়োজন- এবিবি একটু হাসি’তে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। এটা একটু ভিন্ন ধরনের উদ্যোগ, মনের উচ্ছ্বাসে প্রাণ খুলে হাসার আয়োজন। যেখানে সবাইকে নিয়ে প্রতি সপ্তাহের একটা দিন একটু অন্য রকমভাবে কৌতুকের সাথে আনন্দ করার প্রয়াস চালানো হবে। নিজেকে একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করতে হবে, সবাইকে নিজের কথায় কিংবা কৌতুকে মাতিয়ে রাখতে হবে। বিষয়টি যেন আরো বেশী আকর্ষণীয় হয়ে উঠে সেই জন্য প্রতি সপ্তাহে পাঁচজনকে $২.০০ ডলার করে মোট $১০.০০ ডলার এর ভোট দেয়া হবে। তবে যারা এই আয়োজনের ক্ষেত্রে আন্তরিকতার পরিচয় দিবে এবং মজার কিছু শেয়ার করার চেষ্টা করবে, পুরস্কারের ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এবিবি-ফান এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহের বুধবার এবিবি একটু হাসি পোষ্ট শেয়ার করা হবে, যেখানে প্রতি সপ্তাহে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নির্বাচন করা হবে। আপনারা সেই বিষয়টির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নিজের মতো করে কৌতুক অথবা মজার কোন হাসির অনু গল্প শেয়ার করবেন। এখানে মূল উদ্দেশ্য থাকবে হাসি, এমন কিছু শেয়ার করতে হবে সবাই যেন প্রাণ খুলে হাসার সুযোগ পায়। সেটা আপনার নিজের হতে পারে কিংবা সংগৃহীত হতে পারে, তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মের ভিতর থাকতে হবে, যেন কপিরাইট এর বিষয়টি সামনে আসতে না পারে।
আমাদের জীবনে মজার নানা ঘটনা রয়েছে, যেখানে হাসির একটা বিষয়ও সংযুক্ত রয়েছে। যেগুলো স্মরণ হলে এখনো আমরা মনে মনে হাসি অথবা লুকিয়ে হাসার চেষ্টা করি। আমরা আড়ালে থাকা সেই বিষয়গুলোকে সম্মুখে আনতে চাই এবং সকলের সাথে তা শেয়ার করার মাধ্যমে একটু অন্য রকমভাবে দিনটি উপভোগ্য করতে চাই। কৌতুকের ব্যাপারে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, কৌতুক মোটেও কপিরাইটেড না। তবে সেটা সংগৃহীত পুরনো কৌতুক হবে, যদি ক্রিয়েটিভ কৌতুক হয় যেটার লেখকের নাম জানা আছে সেটা কপিরাইটেড। আশা করছি বিষয়টি পরিস্কার এখন।
আজকের বিষয়ঃ
পহেলা বৈশাখ বা বৈশাখী মেলা নিয়ে মজার কোন কৌতুক বা হাসির অনু গল্প।
বিষয় নির্বাচনকারীঃ
অংশগ্রহণের নিয়মাবলীঃ
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প সর্বোচ্চ ৭৫ শব্দের মাধ্যমে দিতে হবে।
- একজন ইউজার শুধুমাত্র একটি কৌতুক/হাসির অনু গল্প শেয়ার করতে পারবে।
- কৌতুক/হাসির অনু গল্প অবশ্যই উপরের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য/সংযুক্ত থাকতে হবে।
- এডাল্ট কিছু শেয়ার করা যাবে না, তবে সকলের সাথে ভাগ করে নেয়া যায় সেই ধরনের কিছু শেয়ার করা যাবে।
- পোষ্টটি অবশ্যই রিস্টিম করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
সদ্য গ্রাম থেকে আসা এক ভিক্ষুক পহেলা বৈশাখের দিন ভিক্ষা করতে করতে রমনা বটমূলে উপস্থিত হয়। শহরে প্রথমবার আসায় তার নববর্ষের ঐতিহ্য সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না। সেখানের পান্তা চত্বরে গিয়ে তো তার চক্ষু চড়কগাছ! সে দেখে সকলে গণহারে পান্তা খাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে সে ভাবতে লাগল, “আমি শহরে এলাম আচ্ছামতো ভিক্ষা করতে আর শহরে কিনা আকাল পড়ল!” তো সেখানের এক ভদ্রলোকের সাথে তার কথোপকথন:
ভিক্ষুক: (কৌতূহলে) স্যার, আপনেরা সব্বাই পান্তা খাইতাছেন কেন? শহরে আকাল লাগল নাকি!
ভদ্রলোক: (ক্রুদ্ধ হয়ে) এখানের কেউ ফকির হয়নি। আমরা আমাদের পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ভুলে যাইনি, তাই...
ভিক্ষুক: (খুশি হয়ে) বুচ্ছি স্যার, আপনেরা বড়লোক হইলেও আপনেগো বাপ-দাদারা আমগোর মতো ফকিন্নি আছিল! আপনেরা তাগোর লাইগ্যা ট্যাকা কামাই করতে পারলে, আমগোরেও তো দুইডা পইসা দিতে পারেন!!!
পহেলা বৈশাখের দিন বাসার বাইরে ভিক্ষুক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে এলাকার দানবীর আঃ রহিম সাহেব এগিয়ে গেলেন। ভিক্ষুক কাঁচুমাঁচু মুখে বলল, "আজ আনন্দের দিন, একটু পান্তা ভাত দিবেন। দুই দিন না খায়া আছি।"
আঃ রহিম সাহেবের বাসায় আবার দামের চোটে পান্তা ইলিশ নাই। তাই তিনি লজ্জিত মুখে বললেন, "এই ধরো পঞ্চাস টাকা। হাফ প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে নিও। পান্তা খাওয়াবার সামর্থ্য আমারও নাই"।
পহেলা বৈশাখের দিন বল্টুর গার্লফ্রেন্ড টুনি বল্টুকে ফোন দিয়া বললো,বাবু এখন বাড়িতে কেউ নেই, আমার খুব একা একা লাগছে, তুমি কি একটু আসবে আমার বাড়ি।এই কথা শুনে বল্টু এক লাফে খাট থেকে উঠে গিয়া বললো, আসব না মানে! এক্ষুণি আসছি। অতঃপর বল্টু আমায় ফোন দিয়া বললো, বন্ধু জীবনে প্রথমবারের মত একটা বড় ধরনের পাপ কাজ করতে যাচ্ছি, আশীর্বাদ করিস। অতঃপর বল্টু ঢেং ঢেং করতে করতে চলে গেল।বল্টু তার গার্লফ্রেন্ড টুনির বাড়িতে গিয়ে দেখলো, সত্যিই তার গার্লফ্রেন্ড টুনি ছাড়া বাড়ীতে আর কেহ নেই। বল্টু মনে মনে ভাবতে লাগলো অঘটনটা এক্ষুণি ঘটিয়ে ফেলতে হইবে, দেরী করা যাবে না। যাহা ভাবা তাহাই কাজ,বল্টু তাহার গার্লফ্রেন্ড টুনিকে বললো-
বল্টু : জান, চল আমরা লুকোচুরি খেলা খেলি।
টুনি : খুশিতে গদ গদ হয়ে বললো, চল,খেলা যাক। অতঃপর বল্টু বললো, তুমি লুকাও আমি তোমাকে খুঁজে বের করব।টুনি যেই লুকালো বল্টু তার পাপ কাজটা করার জন্য এদিক সেইদিক খুঁজতে লাগলো এবং বল্টু সেটা পেয়েও গেল। অতঃপর বল্টু আস্তে আস্তে করিয়া কাছে গেল, এবং আলতো করে খুলে ফেললো ফ্রীজের দরজাটা। যেহেতু বল্টুর গার্লফ্রেন্ড প্রচন্ড বড়লোক ছিল তাই তাদের ফ্রিজে ছিল প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ। বল্টু সেখান থেকে দুটো ভালো দেখে ইলিশ মাছ নিয়ে আস্তে করে কেটে চলে আসলো বাড়ি। কারণ পহেলা বৈশাখের দিন বল্টুর কাছে পান্তা দিয়ে ইলিশ মাছটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বল্টু তো ভাল একটা দাও মেরেছে বলা যেতে পারে।
পহেলা বৈশাখের দিন বল্টুর কাছে বল্টুর গার্লফ্রেন্ডের থেকেও ইলিশ মাছ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি মনে করি, এটাই হওয়া উচিত আসলে। হা হা হা..
গত বছরের বৈশাখী মেলা নিয়ে আমার একটি মজার ঘটনা আছে সেটা আজকে শেয়ার করবো। গত বছর বন্ধুদের সাথে আমাদের নিকটবর্তী একটি বৈশাখী মেলায় গেছিলাম। মেলায় যেহেতু বন্ধুরা মিলে গেছিলাম তাই আমরা সবাই মিলে প্ল্যান করি আমরা যে খাবারগুলো খাব, এক একটা সেকশনে এক একজন খাবারের পেমেন্ট গুলো করবে। প্রথমে জিলাপি খাওয়া হলো তখন একটা ফ্রেন্ড সে পেমেন্ট করে দেয় । তারপর খাওয়া হলো ফুচকা সেটা অন্য একটি ফ্রেন্ড পেমেন্ট করে দেয় । তৃতীয় নাম্বারে আমাদের খাওয়া হয়েছিল মিষ্টি এবং এই মিষ্টি খাওয়ার পর পেমেন্ট করার কথা ছিল আমার। খাওয়া দাওয়া শেষ করে পেমেন্ট করার সময় দেখি পকেটে মানিব্যাগে নেই! আমি তো হতবাক হয়ে গেলাম। মানিবাগ কোথায় গেল? আমি বাড়ি থেকে তো ঠিকই মানিব্যাগ নিয়ে গেছিলাম। পরে বুঝতে পারলাম মজার ঘটনাটি হয়েছে মেলার ভেতর পকেটমার আমার মানিব্যাগ গুম করে দিয়েছে। যাই হোক সবাই এই নিয়ে বেশ হাসাহাসি করেছিলাম। সবচেয়ে বেশি হাসি পাচ্ছিল এই জন্য সেই দিন মানিব্যাগে মাত্র ২০০ টাকা নিয়েই গেছিলাম। যে পকেটমার আমার মানিব্যাগ নিয়েছে সেও মনে মনে আমায় গালি দেবে এই মানিব্যাগ পেয়ে, তাই ভেবেই আরো বেশি হাসি পাচ্ছিল।
পহেলা বৈশাখের দিন বল্টু তার প্রেমিকাকে নিয়ে পার্কে গেছে কিছু সময় কাটাতে, হঠাৎ তার প্রেমিকার আরো কিছু বান্ধবী এসে হাজির, তারপর-
বান্ধবী: এটা কে রে?
প্রেমিকা: আমার ভাই।
বান্ধবী: কেমন ভাই? চাচাতো, মামাতো, খালাতো না ফুফাতো?
প্রেমিকা: না, এসব কিছুই না।
বান্ধবী: তাহলে কী ভাই, বলবি তো?
প্রেমিকা: না মানে, ও হলো আমার ভালোবাসাতো ভাই!
জীবনে আজ প্রথম শুনলাম ভালোবাসাতো ভাই হয়,হা হা হা।
আমারও এই মুহূর্তে একটা ভালবাসাতো বোন খুব দরকার। হা হা হা....😂
১ম বন্ধু: দোস্ত, গলায়, কাঁটা বিঁধছে।
২য় বন্ধু: ক্যামনে?
১ম বন্ধু: পান্তা আর ইলিশ একসাথে গিলছিলাম। তো পান্তা পেটে গেছে। আর মাছের কাঁটা গলায় আটকে গেছে। এখন কী করব?
২য় বন্ধু: একটা বিড়াল খেয়ে ফেলো , বিড়ালই সব কাঁটা খেয়ে ফেলবে,হা হা হা।
পহেলা বৈশাখের আগের দিন রাতে, বয়ফ্রেন্ড আমারে বললো, সে নাকি খুব ভালোবাসে আমারে। আমি বলেছিলাম প্রমাণ দিতে। বললো “কি প্রমাণ চাও "? আমি বললাম কালকে দেখা করে বলি।
তারপর বললাম আমাকে একটু শপিং করতে নিয়ে যেতে, অল্প কিছু ড্রেস কিনবো, যা যা পছন্দ হবে সব কিনে দিলেই বুঝবো আমাকে অনেক ভালোবাসো তুমি।
শুনেই বললো"ধূর তোর ভালোবাসা, একটা পঞ্চাশ পয়সার কয়েনও খরচ করবো না, আজ থেকে এইখানেই শেষ 👊।"
আমার জামাও গেল, জামাই ও গেল 😭😭।
বল্টু: পহেলা বৈশাখের দিন বল্টু খালি গলায় গান শুরু করলো এসো হে বৈশাখ এসো এসো।
বল্টুর গার্লফ্রেন্ড: পিছন থেকে বল্টুর গার্লফ্রেন্ড এসে বলল দড়ি দিয়ে নিজেকে বেঁধে এরপর গান শুরু কর।
বল্টু: কেনো কেনো?
বল্টুর গার্লফ্রেন্ড: যেই ভাবে গানের সুরে গর্জন করে ডাকতেছ তাতে করে কালবৈশাখী ঝড় চলে আসবে। তখন বৈশাখ তোমার কাছে না এসে তুমি নিজেই বৈশাখের কাছে উড়ে যাবে।😅😅