RE: আমার বাংলা ব্লগ - একটু হাসি || কৌতুক সপ্তাহ - ২৭
পহেলা বৈশাখের দিন বল্টুর গার্লফ্রেন্ড টুনি বল্টুকে ফোন দিয়া বললো,বাবু এখন বাড়িতে কেউ নেই, আমার খুব একা একা লাগছে, তুমি কি একটু আসবে আমার বাড়ি।এই কথা শুনে বল্টু এক লাফে খাট থেকে উঠে গিয়া বললো, আসব না মানে! এক্ষুণি আসছি। অতঃপর বল্টু আমায় ফোন দিয়া বললো, বন্ধু জীবনে প্রথমবারের মত একটা বড় ধরনের পাপ কাজ করতে যাচ্ছি, আশীর্বাদ করিস। অতঃপর বল্টু ঢেং ঢেং করতে করতে চলে গেল।বল্টু তার গার্লফ্রেন্ড টুনির বাড়িতে গিয়ে দেখলো, সত্যিই তার গার্লফ্রেন্ড টুনি ছাড়া বাড়ীতে আর কেহ নেই। বল্টু মনে মনে ভাবতে লাগলো অঘটনটা এক্ষুণি ঘটিয়ে ফেলতে হইবে, দেরী করা যাবে না। যাহা ভাবা তাহাই কাজ,বল্টু তাহার গার্লফ্রেন্ড টুনিকে বললো-
বল্টু : জান, চল আমরা লুকোচুরি খেলা খেলি।
টুনি : খুশিতে গদ গদ হয়ে বললো, চল,খেলা যাক। অতঃপর বল্টু বললো, তুমি লুকাও আমি তোমাকে খুঁজে বের করব।টুনি যেই লুকালো বল্টু তার পাপ কাজটা করার জন্য এদিক সেইদিক খুঁজতে লাগলো এবং বল্টু সেটা পেয়েও গেল। অতঃপর বল্টু আস্তে আস্তে করিয়া কাছে গেল, এবং আলতো করে খুলে ফেললো ফ্রীজের দরজাটা। যেহেতু বল্টুর গার্লফ্রেন্ড প্রচন্ড বড়লোক ছিল তাই তাদের ফ্রিজে ছিল প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ। বল্টু সেখান থেকে দুটো ভালো দেখে ইলিশ মাছ নিয়ে আস্তে করে কেটে চলে আসলো বাড়ি। কারণ পহেলা বৈশাখের দিন বল্টুর কাছে পান্তা দিয়ে ইলিশ মাছটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বল্টু তো ভাল একটা দাও মেরেছে বলা যেতে পারে।
পহেলা বৈশাখের দিন বল্টুর কাছে বল্টুর গার্লফ্রেন্ডের থেকেও ইলিশ মাছ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি মনে করি, এটাই হওয়া উচিত আসলে। হা হা হা..