ভালো লেখার সংজ্ঞা কি?(What is the definition of good writing)
নিজের লেখাকে সবারই শ্রেষ্ঠ বলে মনে হয়, এবং কেউ সেই লেখা নিয়ে প্রশ্ন তুললে সেটা মন খারাপের কারণ হয়ে ওঠে;
তৎক্ষণাৎ মনে হয় এখানে আর কাজ করা যাবে না!
আসলে অনেকেই সঠিক পথ দেখাতে গিয়ে আজকাল বিপদের মুখে পড়ে যান, এখন কোনো কথা বা উপদেশ ভালোভাবে নেবার মানসিকতা হারিয়ে যাচ্ছে।
এর পিছনে কারণ এই প্ল্যাটফর্মে আসার সাথে সাথেই এখন ইউজার বা লেখক লেখিকা যাই বলুন আগের চাইতে অনেক বেশি সমর্থন পেয়ে থাকে।
আমি যখন এই প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করেছিলাম, তখন এখনের মত হাংরি গ্রিফিন, এত স্টিম কিউরেটর দের এতো একাউন্ট ছিল না।
সমর্থনের মাত্রা এতোটাই কম ছিল, আর ভোটের পরিমাণ;
যদি এখন সেরকম হতো আমার মনে হয় অর্ধেক অংশ অনেক আগেই কাজ ছেড়ে চলে যেতেন।
আজকে অনেকটাই খারাপ লাগা থেকে কথাগুলো বলছি।
এখানে সেই অর্থে কেউ কিন্তু পেশাদারী লেখক লেখিকা নন।
এখানে কিছু বিষয় এড়িয়ে সব কিছু নিয়েই লেখা সম্ভব, এটা একটা ভালো দিক।
তবে, তারমানে যেমন তেমন করে যা ইচ্ছে লেখাকে সমাদর করা একেবারেই উচিত নয়।
আর, ঠিক সেই কারণে আজকে আমার মনে হলো, আমি যতটুকু এই তিন বছরে শিখেছি, তার ভিত্তিতে ভালো লেখার সংজ্ঞা আমার দৃষ্টিভঙ্গি দিতে তুলে ধরবার চেষ্টা করি।
অন্ততপক্ষে একজনও যদি এই পোস্ট পড়ে নিজেকে উন্নত করতে সক্ষম হন, তাহলে আমার লেখার পাশাপশি সেই ব্যক্তি আশারাখি নিজেকে উন্নত করতে সক্ষম হবেন।
কথায় কথায় আমরা ভালো বা উন্নত লেখার কথা বলি, তাহলে খুঁজে দেখা যাক কাকে বলে উন্নত বা ভালো লেখা!
ট্যাগের ভিত্তিতে প্রথমে লেখাকে কিছু শ্রেণীতে ভাগ করে নিলে হয়তো বুঝতে বেশি সুবিধা হবে। |
---|
- ফটোগ্রাফি:-
- লাইফস্টাইল:-
- ক্রিয়েটিভ রাইটিং:-
- ডায়রী গেম:-
- আর্ট:-
- ক্রাফট:-
- ফুড:-
- হেলথ:-
- ফিন্যান্স:-
- ক্রিপ্টো:-
- সাইন্স:-
- টেকনোলজি.
আরো বেশকিছু গুরুত্বপুর্ণ ট্যাগ পূর্বের আলোচিত পোস্টের লেখায় উল্লেখিত।
মূলত এগুলো ভিত্তিক লেখা আমরা লিখে থাকি, কিন্তু সেই লেখার মধ্যেও লেখার মান সঠিক থাকে না, কারণ কি?
আসলে আমরা একটা ট্যাগ ব্যবহার করে যা মনে হলো লিখে দায়সারা গোছের কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি;
কারণ আমরা একসাথে অনেক একাউন্ট চালাচ্ছি আর তার সাথে অনেক প্ল্যাটফর্মে কাজ করছি, কাজেই সময় কোথায় ভালো লেখার!
এক একজন, একদিন ৩ থেকে ৪টি লেখা লেখেন! ব্যাক্তিগত জীবনে কাজ সমাধা করে আমার মনে হয় না কারোর পক্ষে এতগুলো লেখা তাও মানসম্মত তুলে ধরা অসম্ভব!
আমার নিজের কর্মদক্ষতার নিরিখে বিচার করে বলছি, সহমত প্রকাশের আশা না রেখেই।
যাইহোক, আসলে সর্বাগ্রে আমাদের জানা প্রয়োজন, আমাদের আগ্রহ ও দক্ষতা কোন বিষয়ের উপরে বেশি।
যেমন:- আমার রান্না সম্পর্কে কম বেশি ধারণা থেকে আমি ফুড ব্লগার হিসেবে এখানে পদার্পণ করেছিলাম।
এবার বাকিদের আগে জানতে হবে, কোন বিষয়ে তারা সাবলীল।
কারণ লেখাটা আমাদের একটা ভালোলাগা থেকে আমরা লিখে থাকি;
কাজেই লেখায় তার ছোঁয়া থাকাটা অতন্ত্য জরুরি।
লেখা কতরকম হয়ে পারে? |
---|
যে লেখায় আমাদের পারদর্শীতা প্রস্ফুটিত হয়, সেটা উপরিউক্ত উল্লেখিত ট্যাগ এর যেকোনো বিষয় হতে পারে।
যেমন:- নিজের লেখা কবিতা, গল্পো, কাহিনী ইত্যাদি।
যে লেখা থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবটাই শেখার সুযোগ আছে। মানে ধুরুন একটা ফুলগাছ ও তার পরিচর্চা থেকে শুরু করে রান্না, সেলাই, যেকোনো হাতের কাজ, সাথে আঁকা ইত্যাদি ইত্যাদি।
যে লেখা জীবন সমন্ধে জানতে ও বুঝতে শেখায়, যে লেখা কারোর জীবনের কাহিনীর সাথে অনুপ্রেরণার স্রোত বয়ে আনতে সক্ষম।
এখানে ইতিহাস থেকে ভূগোল, অঙ্ক সহ আপনি ক্রিপ্টো সমন্ধে এবং মার্কেটিং সহ স্টিমের যাবতীয় তথ্য ভাগ করে নিতে পারেন।
ছবি এবং কবিতা বাদে যেকোনো লেখা যদি আপনি উন্নত করতে চান তাহলে তার অভ্যন্তরে প্রবেশ করা ভীষণভাবে প্রয়োজন, আর সেই কারণেই শব্দ সংখ্যা মাথায় রাখতে হবে যেটা অর্থ বহন করে।
অযথা হিবিজিবি লিখে পাতা ভরালেই লেখার মান উন্নত হয় না, এটা আমার ধারণা।
যদি কোনোদিন লিখতে মন না চায়, লিখবেন না, সময় নিয়ে একটি ভালো বিষয়(আপনার পারদর্শিতা অনুযায়ী) নির্বাচন করে;
যথাযত শব্দ চয়নের মাধ্যমে উপস্থাপন যার আক্ষরিক অর্থ আছে, আমার মনে হয় তাকেই ভালো লেখা বলা হয়। আপনাদের অভিমত জানার প্রতীক্ষায় রইলাম!
ছোট থেকেই পড়তে ভালো লাগে আমার। পড়ার ক্ষেত্রে সর্বভূক ছিলাম বলা যায়।এজন্য আমার পরিবারকেও ধন্যবাদ দেয়া উচিত কারন তারা আমাকে কখনো কোন বই পড়তে মানা করে নাই কখনো। তবে আমি নিজে লেখার তেমন একটা চেষ্টা করি নাই কখনো।ইদানীং পাঠক থেকে লেখক হওয়ার চেষ্টা করছি মাত্র।যদিও এখনো নিজেকে পাঠকই ভাবি আমি।
আমার কাছে মনে হয় ভালো লেখার জন্য নিজেকে আগে পড়তে হবে।তাহলেই শব্দ চয়ন, ঠিকঠাক বাক্য গঠন, বানান এগুলো ঠিক হবে।আমি নিজেও শিক্ষার্থী এই জগতে।
তবে আমি পড়ি আর সেটা আনন্দ নিয়ে। ভালো কোন লেখা পড়লে আলাদা একটা ভালোলাগা কাজ করে।
ভালো লেখার ক্যাপশনটাও বিশেষ ভূমিকা পালন করে বলে মনে হয় আমার কাছে। ছবি নির্বাচনও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশ নিয়ে কিছু লেখতে যেয়ে আমি যদি মিশরের কোন কিছুর ছবি দিয়ে দেই তাহলে বিষয়টা হাস্যকর।
ছবি পাওয়া না গেলে আমার মনে হয় অন্তত কাছাকাছি কোন ছবি দেয়া উচিত। আমরা যে যে বিষয়েই লেখি না কেন আমার কাছে মনে হয় লেখার বিষয়বস্তু অনুযায়ী লেখার টাইটেল, শব্দচয়ন,এবং বানান ঠিক রাখাটা জরুরী।
দুই একটা ভুল হলে সেটাকে ইগনোর করা যায় কিন্তু একটা দশ শব্দের বাক্যের মাঝে যদি চারটাই ভুল বানান থাকে তাহলে পড়ার মজাটাই কিছুটা নস্ট হয়ে যায় বলে আমার মনে হয়।
আপনি খুব সুন্দর করে ভালো লেখা কি বুঝিয়ে দিয়েছেন আমাদের সবাইকে এজন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন সবসময় এই শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সত্যি কথা বলতে আমাদের লেখা আমাদের রুচি এবং সৃষ্টিশীলতার নজির বহন করে, কাজেই শীর্ষক থেকে শুরু করে সঠিক ছবির ব্যবহার সহ লেখা সবটাই সমানভাবে মাথায় রাখার প্রয়োজন আছে।
এটিও একটি অবশ্যই লক্ষ্যনীয় বিষয়, যেটি অনেকেই লেখার পরে দেখার প্রয়োজন বোধ করে না। মূল বিষয়টি হলো কোনো কিছুর প্রতি ভালোবাসা সততা না থাকলে বোধহয় কোথাও স্থায়িত্ব পাওয়া সম্ভব নয়।
অবশেষে অনেক ধন্যবাদ আপনার গুছিয়ে নিজের মতো করে সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য।
ভালো থাকবেন আর অবশ্যই সঙ্গে থাকবেন।
আমি যদি আজকে আপনার পোস্টটি না পড়তাম, তাহলে আমি অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত থাকতাম। বিশেষ করে লেখার সৌন্দর্য এবং লেখার মধ্যে সঠিক ট্যাগ ব্যবহার করা। আমি জানি আজকে আপনি যে কথাগুলো লিখেছেন, এগুলো অনেকবারই আমাদের কে টিউটোরিয়াল ক্লাসে বলেছেন।
আজকে আমি সত্যি অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি এবং কিভাবে লেখার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। আমি চেষ্টা করব আমার জায়গা থেকে আমার পোস্ট গুলো আরো উন্নত করার জন্য এবং সঠিক ট্যাগ ব্যবহার করার।
আপনি সবকিছু এতবার বলার পরও আমাদের ভালোর জন্য, সবকিছু আবারও পোষ্টের মাধ্যমে বলে দিয়েছেন !সেজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
জীবনের শেষদিন পর্যন্ত শেখ যায়, যদি শেখার ইচ্ছে থাকে। অনেকেই আসলে টিউটোরিয়াল ক্লাসে উপস্থিত থাকার প্রয়োজন বোধ করেন না, কিন্তু উপরিউক্ত আলোচিত বিষয়গুলো প্রয়োজনীয় কাজেই, বলার পরেও অনুপস্থিত সদস্যদের জন্য এই লেখা। তবে আদেও কতজন পড়বে বা পড়েছে সেই বিষয় আমি সন্দিহান।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক নিয়ে আজকে আপনি আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন! অবশ্যই আমাদের চেষ্টা করা উচিত! আমরা যে লেখাটা লিখছি,, তার মধ্যে সঠিক শব্দ চয়ন হচ্ছে কিনা! সে লেখাটা থেকে কেউ কিছু শিখতে পারছে কিনা! এই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রেখে,,,, আমাদের লেখা শুরু করা উচিত।
আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন,,, আমরা একেক জন অনেকগুলো অ্যাকাউন্ট চালাতে গিয়ে! আমাদের মাথা নষ্ট হয়ে যায়! এখানে পোস্ট করতে হবে! ওখানে ছবি আঁকতে হবে! এই করতে করতে সময়টা কখন পার হয়ে যায় বুঝতে পারিনা! আর সঠিক কাজ করা থেকে,,, নিজেরা অনেক দূরে চলে যাই।
আমি আমার জায়গা থেকে অবশ্যই চেষ্টা করব,, আপনার পোস্টে উল্লেখিত প্রত্যেকটা বিষয় ফলো করে,,, নিজের লেখাটা সম্পূর্ণ করার জন্য! অসংখ্য ধন্যবাদ এই বিষয়গুলো এত সহজ ভাবে আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য! আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভালো থাকবেন।
নিজেকে উন্নত করতে পোস্ট পড়ার অভ্যেস খুবই জরুরি, এবং আপনার এই অভ্যেস দেখবেন একদিন ফলপ্রসূ হবে। আমরা অনেকেই শোনার কথা শুনে যাই, তবে খুব কম মানুষ আছেন যারা প্রকৃত অর্থে সেই শোনা কথা কাজে লাগিয়ে নিজেদের উন্নত করতে ইচ্ছুক। তবে আপনার সদিচ্ছা জেনে খুশি হলাম।
জী দিদি অবশ্যই,,, আপনার কথা সব সময় শোনার চেষ্টা করেছি! ভবিষ্যতেও শুনে কাজ করবো ইনশাল্লাহ।
আমি একদম নতুন সদস্য হিসেবে সবসময় সজাগ থাকি কিভাবে লেখার বিষয় ঠিক করা যায়। অবশ্যই লেখার সঠিক মান, ছবি, ট্যেগ ও টাইটেল ঠিক করাটা যথেষ্ট কঠিন। এসময় আপনার এই লেখাটা আমার জন্য খুব মুল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা। আমি আপনার থেকে জানতে পারলাম যে লেখা উন্নত মানের করার জন্য বিষয়ের ওপর কতোটা সঠিক ধারণা ও জ্ঞান থাকা দরকার। আপনাকে যাই বলে ধন্যবাদ দিনা কেন সেটা আপনার জন্য কম হবে।
আপনাদের মধ্যে একজনের ও যদি পোস্ট কোনো কাজে আসে সেটাই আমার স্বার্থকতা। বিষয়টি হলো, সঠিক পথপদর্ষকের বড়ো অভাব আর এটা বোঝার মানুষের আজ আরো বেশি অভাব।
ভালো লাগলো জেনে লেখাটি আপনার কাছে মূল্যবান মনে হয়েছে। পাশে থাকুন আর পথ চলা দীর্ঘ্য হোক এই আশা রাখি, ধন্যবাদ এর চাইতে সেটা অনেক বেশি কাম্য।
ভালো থাকবেন, আর সময়ের অভাবে আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের সদুত্তর দিতে না পারায় ক্ষমাপ্রার্থী।
TEAM 4
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator07. Good post here should be..Thank you my strict yet lovely friend for this encouraging support.
সত্যি কথা বলতে আমার কখনোই খারাপ লাগে না। তাই আজও একটি সত্যি কথা বলছি যা হল আমি কখনোই কোন পাঠক বা লেখক ছিলাম না।
আমার প্রয়োজনীয় বই-পুস্তক ছাড়া আমি কখনোই গল্প উপন্যাস পড়িনি বা পড়ার অভ্যাসও ছিল না। কিন্তু মাঝেমধ্যে দুই একটা কবিতা লিখতাম তার মধ্যে জীবনে প্রথম একটি কবিতা আমাদের কলেজের ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল। আর কলেজ থেকে বের হওয়ার পর কখনোই লেখালেখিতে হাত দেইনি।
আমার লেখায় যথেষ্ট পরিমাণের ভুল আছে এবং সঠিক টপিক্স এবং সঠিকভাবে তার টাইটেল ও নির্বাচন করতে পারিনা। আর সঠিক ট্যাগ ব্যবহার করা তো একদমই না।
কিন্তু ইদানিং আমি একটি পরিবারের সাথে যুক্ত হয়ে এত কিছু শিখেছি বা শিখছি যা অকল্পনীয়। আমি যদি আরো আগে এই পরিবারের সাথে যুক্ত হতাম তাহলে হয়তো বা আমার লেখার মান আরেকটু উন্নত হতো।
যাইহোক এখন আমি চেষ্টা করছি কম লিখব কিন্তু ভালো মানের লেখা লেখার চেষ্টা করব বা করছি।
ইনশাল্লাহ আমি অবশ্যই ভালো কিছু করতে পারবো, সবাই পারলে আমি কেন পারব না।