লড়াইটা অনেক সহজ হয় যখন সহ যোদ্ধারা সমান আগ্রহী থাকে যুদ্ধ জেতায়।
প্রিয় বন্ধুরা,
ঘড়ির কাঁটায় এখন ভারতীয় সময় বলছে রাত ১০টা বেজে ৩৪মিনিট, আজ শারিরীক পরিস্থিতি আগের চাইতে একটু উন্নত; যদিও এখনও ওষুধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে এবং সাথে অভ্যন্তরীণ শারিরীক দুর্বলতা খানিক অবশিষ্ট রয়ে গেছে।
যাক, অসুস্থতার কথা শুনতে আর বলতে ভালো লাগে না, কাজেই আজ আমার লেখার শীর্ষক নিয়েই বেশ কিছু কথা আপনাদের মাঝে ভাগ করে নিতে এসেছি।
আপনারা ইতিহাস কম বেশি সকলেই পড়েছেন, ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে বোঝা যায় কোনো একটি দেশের রাজার সফলতার পিছনে কোটি কোটি সৈনিকের রক্ত এবং বলিদানের গল্পো আজও লুকিয়ে আছে, যাদের কথা বিশেষ কেউ বলে না।
কোনো দেশ আজও যুদ্ধ ঘোষণা করলে, সেই দেশের সৈনিক দেশের জন্য লড়াই করে দেশকে শত্রু মুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর থাকে।
আমি অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা পড়তে গিয়ে বেশ অবাক হয়েছি, যেখানে রাজা, সেনাপতি ঘোড়া, হাতির পিঠে যুদ্ধে সামিল হতেন, সেখানে পদাতিক সৈন্য কিন্তু মাইলের পর মাইল পথ পার করতো পায়ে হেঁটে।
আচ্ছা, যদি এই সৈনিকরা রাজার সঙ্গে না থাকতেন, তাহলে কোনো রাজা যুদ্ধে নামার কথা ভাবতেন কি?
অথবা একা লড়াইটা চালিয়ে যেতেন কি?
উভয়ক্ষেত্রেই উত্তর কিন্তু আমাদের সকলের জানা, কোনো ভাবেই সেক্ষেত্রে যুদ্ধে নামা দূরের কথা তারা কখনো যুদ্ধের কথা ভাবতেই পারতেন না।
বর্তমান আধুনিক সমাজে দাড়িয়ে আজও কত মা, কত স্ত্রী, কত সন্তানের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা ঘরে ও বাইরে সুরক্ষিত, তাহলে যারা একমাত্র সন্তানকেও যুদ্ধে পাঠিয়ে দেন, তারা কি পাগল? না সেইসব মায়ের মধ্যে মমতা নামক বস্তু নেই?
এক্ষেত্রেও সেই মায়ের কাছে মাতৃভূমির ঋণ বড়ো বলেই তার এই আত্মত্যাগ।
আসলে উপরিউক্ত কথাগুলো কেনো হটাৎ আজ বলছি?
এর পিছনেও যথেষ্ট যুক্তি বা কারণ আছে, সেটা উল্লেখ করবার আগে উদাহরণগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
যেকোনো কাজ সুসম্পন্ন করতে যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন, আর এই কথাটি চাকরি জীবনে বহুবার বলেছি নিজের অধীনে থাকা সহকর্মীদের উদ্দেশ্যে।
পথ সুগম হোক বা দুর্গম, ঐক্যবদ্ধ থাকলে পার করে নেওয়া সম্ভব:- |
---|
পরিবার, প্রতিবেশী, কাজের জায়গা এবং দেশ প্রতিক্ষেত্রেই কিন্তু দেখবেন একার দ্বারা কোনো কাজ সুসম্পন্ন করা যায় না, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা কোনো না কোনো ভাবে উভয়ের প্রতি নির্ভরশীল আর পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি যেমন আমাদের অবিচল থাকতে সহায়তা করে উল্লেখিত মানুষগুলো ছাড়া আমরা কিন্তু অচল।
কাজেই, দিনশেষে আমরা একে অন্যের পরিপূরক।যেখানে ঐক্যতা নেই, মনের মিল নেই, লড়াইয়ের ইচ্ছে নেই, কেবল আত্মতুষ্টি নিয়ে বাঁচার চেষ্টা, সে পথ কখনো সুদূরপ্রসারী হতে পারে না।
আজ দেশে সৈনিক না থাকলে, যেমন দেশ সুরক্ষিত রাখা সম্ভব নয়, তেমনি কাজের জায়গায় একসাথে পথ চলার মানসিকতা না থাকলে সেখানেও সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়।
নিজেকে উন্নত করতে হলে কেবল নিজের কথা নয় আশেপাশের এবং সঙ্গে থাকা মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল হবার প্রয়োজন আছে।
নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সঙ্গে চলা মানুষদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থা সর্বাগ্রে করার কথা ভাবার প্রয়োজন আছে, তেমনি সৈনিক যদি দেশদ্রোহী হয় তাহলেও সেই দেশের মঙ্গল কখনোই সম্ভব নয়, তার উদাহরণ লেখা আছে ইতিহাসের পাতায়।
পরিশেষে তাই আজ সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, লড়াইটা অনেক সহজ হয় যখন সৈনিক যুদ্ধ জেতায় সমান আগ্রহী থাকে।
লেখাটা যখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি, তখন ভারতীয় সময় অনুযায়ী একটা দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে, আর নতুন দিনের সূচনা বলছে আজ বিশ্ব শ্রমিক দিবস, কাজেই আমার কুর্নিশ সেই সকল কর্মীদের যাদের জন্য আমাদের অস্তিত্ব আজও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
প্রশ্ন হলেও এটা আমাদের সকলেরই জানা যে কখনোই একতা ছাড়া কিছুই করা সম্ভব না। তবে কেউ কেউ সাময়িক লাভ বা নিজের স্বার্থের জন্য একাই পথ চলতে চায়।
শেষ পর্যন্ত একটা ব্যর্থতার গ্লানিই পাওয়া যায়। না পারে পূর্বের অবস্থানে আসতে আবার না পারে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
Pienso que un soldado debe estar unidos para poder ganar la guerra y su vez es muy difícil que una madre envié a su único hijo a la guerra pero es un debe que se debe cumplir por su país. Hay muchas personas que van a la guerra con mucho orgullo pero también hay muchos familiares que sufren enviando a sus hijos a la guerra y siempre tiene las esperanza de que vuelva con bien a casa. Excelente publicación. Saludos y bendiciones.🤗
সত্যি বলতে আপনার বাংলা লেখা ব্লগ এর জন্য অপেক্ষা করি যদিও আমি ইংরেজী সামান্য কিছু পারি,,,,আমি জেনে গিয়েছি আপার লেখা ব্লগ থেকে আমি অনেক কিছু পাবো,,,,একটা গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন রাজা এবং সৈন্য গল্পটা থেকে অনেক বিষয় সম্পর্কে নিজেকে প্রশ্ন করতে মন চায়,,,,,আমি কোন কাজে কতটুকু আগ্রহী,,, এবং যেই কাজ করছি সেই বিষয় গুলো সঠিক ভাবে বুঝেছি কি না,,,,
আমাদের যে কোনো কাজে হোক বা অন্য কিছু সেই বিষয় নিয়ে আমরা যদি অনেকটা পথ পাড়ি দিতে চাই,,,,অবশ্যই আমাদের দলগত প্রচেষ্টা থাকতে হবে,,,, তবেই গল্পের রাজা এবং সৈন্য দের মতন করে সফল হওয়া সম্ভব।
দিদি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সেই সাথে কৃতজ্ঞতা জানাই ঐসব শ্রমিকদের যাদের জন্য আজ পৃথিবী সচল রয়েছে। আপনার লিখায় স্পষ্ট হয়েছে যে দশে মিলে করলে কাজ হারি জিতি নাহি লাজ।
আমরা চেষ্টা করবো আপনার কথাগুলো মানার। তাই আমাদের আশীর্বাদ করুন যাতে আমরা সকলেই একসাথে আমাদের এই কমিউনিটিকে সঠিক কাজের দ্বারা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি।
একদমই ঠিক বলেছেন,,, একজনের দ্বারা কখনো সবগুলা কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়! একটা মানুষ কাজ করার জন্য,,, তার পেছনের পরিবারের,,,প্রত্যেকটা মানুষের হাত থাকে।
একটা কোম্পানি চালাতে হলে,,,, যেমন কোম্পানির প্রত্যেকটা শ্রমিকের প্রয়োজন হয়! আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে,,,,, আমরা যখন কোন বড় কাজে হাত দেই! সেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য! আমাদের আশেপাশের বন্ধু-বান্ধব,,, পরিবারের, আত্মীয়-স্বজন, সবারই সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন হয়।
আপনি একদমই ঠিক বলেছেন,,, শুধু নিজের কথা ভাবলে হবেনা! আশেপাশের মানুষের ভালো মন্দ! সবকিছুর কথাই আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে! কিন্তু বর্তমান সময়ে,,,, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুঃসাধ্যকর ব্যাপার।
আপনার লেখার শীর্ষ প্রকটে,,, আমি যেই শব্দগুলো পড়েছিলাম! সেগুলো থেকে আমি অনুধাবন করেছি! আমাদের সবাইকে আরো কঠোর পরিশ্রম হতে হবে! আমাদের কমিউনিটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য,,,, যতটুকু পরিশ্রম করা প্রয়োজন! আমাদের তার চেয়ে অনেক বেশি করতে হবে! তাহলে হয়তোবা আমরা সবাই মিলে,,,, অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো।
আমাদের জীবনটা ছোট্ট! এই ছোট্ট জীবনে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। তবে সেটা আমাদের একার পক্ষে কখনো সম্ভব না। আমরা সবাই মিলে যদি,,, হাতে হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। তাহলে আমাদেরকে বাধা দেয়ার মত কোন শক্তি থাকবে না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,,, এত মূল্যবান একটা বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করছি সৃষ্টিকর্তা যেন,,, আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেয়।