ইলিশ মাছ দিয়ে ধুন্দোল রান্নার রন্ধন প্রণালী
হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা |
---|
কেমন আছেন সবাই। আশা রাখি দুর্দান্ত ভাবে ই কেটচ্ছে আপনাদের দিন কাল। আমিও মোটামুটি ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব বন্ধুরা ইলিশ মাছ রান্নার রেসিপি। তো আমি রেসিপিতে কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি তা ধাপে ধাপে বলার চেষ্টা করছি । এই রেসিপির মূল উপকরণ হল ইলিশ মাছ ও ধুন্দোল। সাথে ছিল অন্যান্য উপকরণগুলো।
ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ তা আমরা সবাই জানি। ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করা যে কোন খাবার খুব সুস্বাদু হয় ।আমার কাছে খুব ভালো লাগে ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করা যে কোন খাবার ।আমি সারা বছরের জন্য ইলিশ মাছ রেখে দেই ।যখন ইচ্ছে তখন রান্না করি। এখন রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করছি । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। এবং আমার র রেসিপিটি দেখে আপনারা ইচ্ছে করলে রান্না করে নিতে পারেন।যারা রান্নায় নতুন
তারা।
উপকরণসমূহ
ইলিশ মাছ, ধুন্দোল ,হলুদ মরিচ ও ধনিয়া গুড়া, পেঁয়াজ, রান্নার তেল ,ধনেপাতা ও কাঁচামরিচ।
উপকরণ পরিমাপ
ইলিশ মাছ | কয়েক পিস |
---|---|
হলুদ মরিচ ও ধনিয়া গুড়া | পরিমাণমতো |
রান্নার তেল | এক কাপ |
পিঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
কাঁচা মরিচ ও ধনিয়া পাতা কুচি | অল্প পরিমাণে |
১ম ধাপ
রান্নার শুরুতে ই আমরা সাধারণত যে কাজটা করে থাকি তাহলো সব কিছু ভালো মতো ধুয়ে নেই। আমি ও তাই করেছি। সবজিগুলো কেটে খুব ভালো মতো ধুয়ে,পানি ঝরিয়ে নিয়েছি। এবং বাকি উপকরণ গুলো ও কেটে আলাদা আলাদা ভাবে রেখেছি।যাতে রান্নার করার সময় সুবিধা হয় ।
২য় ধাপ
এই পর্যায়ে এসে আমি একটা পাত্র বসিয়ে দিয়েছি, চুলার মধ্যে,যখন গরম হয়ে গিয়েছে তখন এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি, পরিমাণ মতো তেল ও আগে থেকে কেটে রাখা পিয়াঁজ কুচি গুলো। কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে যখন হালকা বাদামি রঙের হয়ে আসছে তখন দিয়ে দিয়েছি গুড়া মসলা গুলো। এবং সাথে সাথে ই অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে দিয়েছি। কারন হলো এতে করে মসলা গুলো পুড়ে যাওয়ার সম্ভবনা নেই।
৩য় ধাপ
এখন মসলা গুলো খুব ভালো ভাবে কষিয়ে এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি ইলিশ মাছ গুলো, কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে খুব ভালো ভাবে কষিয়ে নিতে হবে।এর পর মাছ
গুলোকে নামিয়ে নিতে হবে।তা না হলে ভেঙে যাওয়া
সম্ভাবনা থাকতে পারে ।
৪র্থ ধাপ
এখন যে কাজটি করতে হবে তা হলো সবজি গুলো দিয়ে দিতে হবে। কয়েক মিনিট ধরে রান্না করার পর
দিয়ে দিতে হবে, পরিমাণ মতো পানি। এরপর ঢেকে
দিয়ে ২০/৩০মিনিট পর ,যখন দেখব সবজি গুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং পানি শুকিয়ে গেছে। তখন
বুঝতে হবে রান্না হয়ে গেছে।
সবশেষে একটি বাটিতে নামানোর আগে ধনিয়া পাতা কুচি ও কাঁচা মরিচ দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
তো হয়ে গেল ধুন্দোল দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না।এখন
সবাই মিলে খেয়ে নেওয়ার পালা।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আমার এই রেসিপিটি।তা
কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান অপেক্ষায় রইলাম। আবারো আসব
নতুন কিছু নিয়ে একটু নতুন ভাবে।
সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সর্বপরি মনের যত্ন নিবেন বন্ধুরা।
ধুন্দল মূলত বর্ষাকালের সবজি। আমি ওই সময়েই এটি বেশি খাই। তবে এই শীতে ধুন্দল দিয়ে ইলিশ দেখে প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রান্নার পদ্ধতি ধাপে ধাপে দেখিয়ে দিয়েছেন যা আমার বুঝতে সহজ হয়েছে। আশা করি আমিও এই রান্না করতে পারবো। ধন্যবাদ
তাই, এখন সারা বছরই সবকিছু পাওয়া যায় ।তবে এটি বর্ষাকালীন সবজি। বর্ষাকালে বেশি মজা। হয় তো আজকেও খারাপ লাগেনি ,ভালই লেগেছে খেতে । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন ।ভালো রাখবেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বাহ, বাহ, ধুন্দোল কপালে ইলিশ মাছ 🐟 ধুন্দোল নিজেই ধন্য যে তার মত সবজিতে ইলিশ মাছের মত দামি মাছ ভাসছে।
এই সবজিটা বাজারের সবচাইতে কম দাম তবে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই চিংড়ি মাছ দিয়ে ধুন্দোল রান্না করি। আজকে দেখলাম আপনি ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করছেন।
রন্ধন প্রণালী ধাপে ধাপে সাজিয়ে লিখছেন এজন্য আরো বেশি সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আনকমন একটি রেসিপি আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য।
আসলেই আপনি ঠিক বলেছেন। ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ হলেও এর দাম কিন্তু মোটেও কম নেই। সবার সাধ্যে কুলায় না ইলিশ মাছ কিনে খাওয়ার জন্য। তবে ধুন্দোলের একটু দামি কম। তাই সবাই খেতে পারে মজা ও হয় আমিও তাই রান্না করি ।ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টে পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন ,অন্য কেউ ভালো রাখবেন ,শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ইলিশ মাছ এমন একটি মাছ যা, যে কোনো সবজি দিয়ে রান্না করলেই ভালো লাগে, এজন্যই হয়তো জাতীয় মাছ।
আমিও ধুন্দুল দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করি,তবে আমি ইলিশ মাছ আগে আলাদা করে কসিয়ে তারপরে সবজির মধ্যে দিয়ে রান্না করি।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ইলিশ মাছ আমাদের জাতীয় মাছ। জাতীয় মাছ কাটায় ভরপুর কাটার জন্য অনেকে পছন্দ করে আবার করে না। আসলে ইলিশ মাছের পাশে যে কোন সবজি যেকোনো সবজি দিলে খুব ভালো লাগে। আপনি ইলিশ মাছ দিয়ে ধুন্দর রান্না করেছেন এবং খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দিয়েছেন কিভাবে রান্না করেছেন।
খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন ।ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। আর ইলিশের সাথে যে কোন সবজিই মানায়। তবে একটু কাটা বেশি কাঁটা বেশি হলেও খেতে বেজায় স্বাদ ।আমার তো খুবই ভালো লাগে ।ইলিশ ভাজা আমার আরো বেশি পছন্দ আমার।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ,নিজে ভাল থাকবেন অন্য কেউ
ভালো রাখবেন ।
ধুন্দোল দিয়ে ইলিশ মাছ এর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, আপনাদের ওখানে ধুন্দল বলা হয় কিন্তু আমাদের এই সবজিটিকে পোল্লা বলা হয়, ইলিশ মাছের এত পরিমান দাম যে মধ্যবিত্তদের খাওয়া খুবই কষ্টকর, গরিবদের তো খাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ব্যক্তিগতভাবে ইলিশ মাছ আমার অনেক পছন্দ কিন্তু আমাদের যমুনাতে খুব বেশি ইলিশ পাওয়া যায় না, সবচেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যায় পদ্মাতে।
এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তাই জেনে খুব ভালো লাগলো যে আপনার এলাকায় ধুন্দোলকে পোল্লা বলে ।আসলে এলাকাভিত্তিক নাম হয়ে থাকে শাকসবজি গুলোর। হ্যাঁ ভাই আমি ধাপে ধাপে রেসিপিটি শেয়ার করার চেষ্টা করেছি ,কারণ আমার রেসিপিটি দেখে যাতে কেউ রান্না করতে পারে। আপনি ঠিকই বলেছেন ইলিশ মাছ দিয়ে যা রান্না করি না কেন তাই সুস্বাদু হয়। খেতে ভালো লাগে। ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ ,আসলে এর গুনের জন্য ই এদিকে জাতীয় মাছ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু সারা বিশ্বে পদ্মার ইলিশের কোন জুড়ি নেই। পদ্মার রুপালি ইলিশ আমাদের দেশের মানুষের চাহিদা পূরন করে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। আমাদের দেশে একদল জেলে আছে তারা শুধুই ইলিশ মাছ নদী থেকে সংগ্রহ করে এবং বাজারে বিক্রি করে। বলতে গেলে ইলিশ মাছ ধরেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে।
যাইহোক আপু আজ আপনি চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধুন্দল এবং ইলিশ মাছের এই রেসিপিটি আমি এর আগে কখনো খাই নি। আপনার রেসিপিটি অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো। নিশ্চই অনেক সুস্বাদু হয়েছে এটি।
ভালো থাকবেন আপু। প্রতিদিন আমাদের নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করবেন সেই প্রত্যাশা করি।
একদমই ঠিক বলেছেন আপনি। পদ্মার ইলিশের কোন জুড়ি নেই। পদ্মা ইলিশের কদর সবার কাছেই রয়েছে। পদ্মা পাড়ের ছেলেদের প্রধান জীবিকা হল ইলিশ মাছ ধরা। এই মাছ ধরি মূলত তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। রুপালী ইলিশের কদর বিশ্বজুড়ে। আপনি কখনো ধূন্দোল দিয়ে ইলিশ মাছ কখনো খান নি । তো সময় করে একদিন খেয়ে দেখবেন। আশা করি ভালই লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
ধুন্দুল পানি জাতীয় রসালো সবজি। এটি চুলায় দিলেই প্রচুর পানি বের হয়। তাই এটিকে ঝোল করে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনি আজকে ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করেছেন এতে তো এটা স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। চমৎকার লাগছে আপনার রান্নাটি। তবে আপু একটা কথা, ইলিশ মাছের চেষ্টা করবেন ধনিয়া পাতা না দিতে। কারণ ধনিয়া পাতার আলাদা একটা গন্ধ আছে যা ইলিশের স্বাদ কে কমিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো।
কি যে বলবো আপু আমি পারলে ভাতের মধ্যেও ধনেপাতা দেই। ধনেপাতা দেখলে আমার হুশ থাকে না। সব তরকারির মধ্যে ধনেপাতা দেই ।এমন কোন তরকারি নেই যে আমি ধনেপাতা
দেই না। তবে চেষ্টা করো পরবর্তী ইলিশ মাছের ধনেপাতা না দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ উপদেশ দেওয়ার জন্য।
একেবারেই অপ্রত্যাশিত একটা সবজি ইলিশ মাছের সাথে যোগ হয়েছে।তবে ধুন্দল খেতে কিন্তু বেশ মজার।মিষ্টি মিষ্টি স্বাদ একে আমার কাছে খুব স্বাদু লাগে।
নতুন একটা অভিনয় শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
অভিনয়? বুঝলাম না ,তবে ধুন্দোল নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। হে আপনি ঠিকই বলেছেন তাই আমারও ভালো লাগে খেতে ।তাছাড়া ইলিশ মাছের সাথে যে কোন নিজেই একাই ১০০। ইলিশ ভাজা খেতেও কিন্তু দারুণ। ভালো থাকবেন ,অন্য কেউ ভালো রাখার চেষ্টা করবেন।
দুঃখিত, টাইপিং মিসটেক এর জন্য অভিনয় শব্দটি লেখা হয়েছে।ওটা রেসিপির কথা বলা হয়েছিল।ধন্যবাদ।
আপনারা এটাকে ধুন্দোল বলেন, আর আমরা বলে থাকি পল্লা,, এটা মিষ্টি লাগে বাট ছোট মাছ দিয়ে রান্না করলে বেশি ভালো লাগে। গরমের সময় আমরা বেশি খায় আর বাড়ির আঙিনায় অযন্তে বেড়ে ওঠে,, অনেকে খায় আবার খায়না,, কিন্তু আপনি ইলিশ মাছ দিয়ে ধুন্দোল রান্না করেছে। এবং ধাপে ধাপে সুন্দর করে বনর্ণা করে দিয়েছেন। অসাধারণ একটা পোস্ট।
তাই এলাকার ভিত্তিতে একই জিনিসের নাম ভিন্ন রকম হয়। তা আজকে আপনার মন্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম ।হ্যাঁ এটি খুব মজা হয় ছোট মাছ রান্না করলে ।বিশেষ করে চিংড়ি মাছ
দিয়ে রান্না করলে অসাধারণ লাগে ।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সবসময়।