একটি উত্তপ্ত দুপুর।
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম/আদাব। সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আশা করছি। আমিও মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমার ব্লগ লেখা শুরু করছি।
![]() |
---|
ঠান্ডার সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা সবাইকে জমাট বাঁধিয়ে দিয়ে যায় প্রায়। এইতো কয়েক বছর আগে ২০১৮ সালের ৯ই জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এইদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ব্যারোমিটারে ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ হলেও আমাদের দেশে এখন আর ছয়টি ঋতু পরিলক্ষিত হয় না। মৌসুমী বায়ুর প্রভাব ও আবহাওয়াগত কারণে ঋতুর পরিবর্তন হয়েছে। গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল ও শীতকাল এখন এই তিনটি ঋতুই আমরা দেখতে পাই।
গ্রীষ্মকালে মাত্রাতিরিক্ত গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে থাকে। গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি থাকে যে কোনভাবেই নিজেকে সামলানো যায় না। বিশেষ করে পরিবারে বয়স্ক যারা আছেন তাদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি।
আবার ছোট বাচ্চাদের নিয়েও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অতিরিক্ত গরমের কারণে ছোট বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। খুব বেশি ঠান্ডা যেমন তারা সহ্য করতে পারে না তেমনি অতিরিক্ত গরমও তাদের জন্য অসহ্যকর।
![]() |
---|
সবেমাত্র বসন্ত ঋতুর মাঝামাঝি চলছে। দিনটি ছিল পহেলা চৈত্র প্রচন্ড রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ছিল সেদিন। দুপুরের দিকে রোদের তীব্রতা ধীরে ধীরে অসহ্যকর হয়ে ওঠে।
আর বর্তমানে আবহাওয়া প্রচন্ড শুষ্ক চারিদিকে প্রচুর ধুলাবালি। দুপুরের দিকে যখন বাইরে বের হই তখন মনে হয় শরীর থেকে সমস্ত জল বাষ্প হয়ে যাচ্ছে। আসলে আবহাওয়া বেশি শুষ্ক হওয়ার কারণে এমনটা হয়।
সে সময়টার মনে হয় গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। শরীর এতটাই দুর্বল হয় যে কোন কাজে ঠিকমতো মনোনিবেশ করা যায় না। যাইহোক এমন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে। আর দুপুরের দিকে বেশি বেশি পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
![]() |
---|
সেদিন দুপুরের দিকে আমার এক এমপিও কে সাথে নিয়ে কাজ করছিলাম। এমতাবস্থায় সে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। আমি অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। কি করব কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
অবশেষে তাকে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। বিপি চেক করে দেখা গেলো সেটা স্বাভাবিক আছে। তাহলে সমস্যা কোথায় এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা। এমন সময় মাথায় এলো ব্লাড সুগার চেক করে দেখলে কেমন হয়।
তৎক্ষণাৎ ডিজিটাল মেশিনগুলোতে ব্লাড সুগার চেক করে দেখা গেল অনেকটাই হাইপো হয়ে গিয়েছে। তাই আর দেরি না করে আমি দ্রুত তাকে হোটেলে নিয়ে গেলাম।
![]() |
---|
হোটেলে নিয়ে ভালোভাবে জিলাপি ও সিঙ্গারা খাওয়ালাম। যাতে করে হাইপো হওয়ার হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পাওয়া যায়। ডায়াবেটিকস পেশেন্টদের এটাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার কারণ।
ব্লাড সুগার বেশি হলে অনেকটাই সময় পাওয়া যায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু হাইপো হয়ে গেলে বেশি কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই। যতদ্রুত সম্ভব মিষ্টি জাতীয় খাবার খাইয়ে স্বাভাবিক করা।
যাইহোক কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর তাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসলাম। বাসায় পৌঁছে দেয়ার পর আমি ফ্রেশ হয়ে মসজিদে অজু করে নিয়ে যোহরের নামাজ আদায় করি। দিনশেষে সুস্থ থাকাটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের একটু সতর্কভাবেই চলতে হবে। শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলা-বালির কারণে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করব। আর বেশি বেশি পানি পান করব
সুস্থ থাকতে চাইলে এমন আবহাওয়ায় দুপুরের দিকে একটু নিরাপদে থাকতে হবে। কারণ দুপুর বেলাতেই সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। আমাদের এখানে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে রেকর্ড হয় ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বন্ধুরা আজ আর লিখছিনা। অন্য কোনদিন অন্যকিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে আসবো। আজকের জন্য বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/7) Get profit votes with @tipU :)
Wow amigo si que hace calor en tu país y yo me quejó del calor que está haciendo en el mío, debes hidratarte bastante y controlar tus niveles de azúcar, eso es muy importante para tu salud y como diabético no debes descuidarte.
Te deseo muchas bendiciones y que Dios cuide tu salud.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আর বলিয়েন না ভাই দুপুর বেলার গরমে অবস্থা শেষ হয়ে যায় ৷ বিশেষ করে আপনাদের রাজশাহীতে প্রচন্ড গরম ভাই আমি একবার গিয়েছিলাম সেখানে গরমের জন্য থাকা যাচ্ছে না ৷ যেহেতু আমি হঠাৎ করে গিয়েছি আর আপনাদের ঐ জায়গায় থেকে থেকে অভ্যাস হয়ে গেছে ৷ তারপর ও ভাই সাবধানে থাকবেন অতিরিক্ত গরমের কারনে রোগ ব্যাধি অনেক কিছুই হয়ে থাকে ৷
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে
বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ হলেও বর্তমান কিন্তু শুধুমাত্র তিনটি ঋতু পরিলক্ষিত হয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত এই তিনটি ঋতুই দেখা যায়। আর বর্তমান আবহাওয়ার পরিস্থিতি দিনে গরম রাতে ঠান্ডা। আবহাওয়া এই দোটানোর মধ্যে অনেকেরই শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়।
আমাদের অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করে চলা উচিত। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমানে প্রচন্ড গরম, আর এই গরমে বের হলে কারোর না কারোর যে কোন সমস্যা দেখা দেয়।
যাইহোক আপনি প্রথমে ভয় পেয়ে গেছেন, পরে আপনি ওনাকে নিয়ে হোটেলে গেলেন এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাইয়ে, উনার শরীরটা ঠিক করলেন বিষয়টা জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, ভালো থাকবেন।
আসলেই ঠিক কথা বলেছেন ভাই, বাংলাদেশে আর ছয় ঋতু পরিলক্ষিত হচ্ছে না। শীত হলে প্রচন্ড শীত, গরম হলে উত্তপ্ত রোদের আভায় সহ্য করা কঠিন।
ক'দিন ই বা হলো শীত গেলো, তাই এখনি দুপুরের রোদে থাকা কষ্ট হয়ে যায়। সেই সাথে ধুলাবালির তো কোন অভাবই নেই। সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। ভালো থাকবেন।
আসলে আবহাওয়া দিন দিন ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। এটা সত্যি অনেক উদ্বেগজনক।