আমার পছন্দের কবিতা "সোনার তরী"@karobiamin71
হ্যালো বন্ধুগন,
Incredible India সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা কে। আমার ইউজার আইডি @karobiamin আমার দেশ বাংলাদেশ।আপনার সকলে কেমন আছেন, আমি আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সোনার তরী কবিতা নিয়ে।
"রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" আমাদের বিশ্ব কবি। তিনি আমার অনেক পছন্দের একজন কবি। এবং আমি চেষ্টা করি তার সকল ধরনের কবিতা, উপন্যাস, নাটক,ছোট গল্প, এই গুলো পড়ে নিজেকে চর্চা রাখার জন্য। এবং এগুলা পড়তে আমার খুব ভালো লাগে তাই আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ভালো লাগার একটি কবিতা সেটা হল "সোনার তরী "
"জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসাই সোনার তরী" এই কাব্যের মুল উপজীব্য নিয়ে আলোচনা করতে চাই।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৃথিবীর কবে কথাটি তিনি নিজেই 'ঐকতান' কবিতায় বেশি আত্মতৃপ্তের সাথে উচ্চারণ করেন। এই কবি অভিধানে পরিচিত জন্য তিনি বহুবার বহু জায়গা নিজেকে উন্মুক্ত করে দীপ্ত হন। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'সোনার তরী' কাব্যটি ১৮৯৮ সালে প্রকাশিত হয়। এবং সোনার তরী কাব্যে ৪৩ টি কবিতা আছে।এই কবিতা গুলোর মধ্যে আমি জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসা সোনার তরী এটা নিয়ে কথা বলবো
প্রকৃতি প্রমিক:
একজন সার্থক কবি বৈশিষ্ট্য রবীন্দ্রনাথের সহজাত জীবন জিজ্ঞাসায় ফুটে ওঠে।প্রাত্যহিক সমাজ জীবনকে কখনো কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়নি। এ অবস্থায় বন্দি পাখির মতো বালক রবীন্দ্রনাথের ডানা ঝাপটানো ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না।স্বভাব কত তাড়নায় প্রচন্ড যন্ত্রণায় তিনি ছটফট করেছেন। এর সব অবস্থায় চলচিএ তার বিভিন্ন সৃষ্টিকর্মেও নানাভাবে রূপায়িত হয়। বিশেষত শৈশবকালীন বন্দী জীবন,স্কুল জীবন ও ডাকঘর নাটকের, আমল চরিত্রের বন্দী জীবনে ১ সূত্রে গাথাঁ।
কবি ছন্দপতনে লিখেছেন:-
"পৃথিবীতে যে বাস্তবিক কী আশ্চর্য সুন্দরী তা কলকাতায় থাকলে ভুলে যেতে হয়। এই যে ছোট নদী ধারে শান্তিময় গাছপালার মধ্যে সূর্য প্রতিদিন অস্ত যাচ্ছে এবং এই অনন্ত ধূসর নির্জন নিঃশব্দ চরের উপরে প্রতি রাতে শত সহস্র নক্ষত্রের নিঃশব্দ অভ্যুদয় হচ্ছে। জগতসংসারে এ যে কী একটা আশ্চর্য মহৎ ঘটনা তা এখানে থাকলে তবে বোঝা যায়।"
সোনার তরী' কাব্যের কবি মূল প্রত্যক্ষ জীবন বোধসম্পন্ন স্বকীয় অবস্থানকে তুলে ধরেছেন। বিশ্ব প্রকৃতির সৌন্দর্য রহস্যের মাধ্যে প্রানাবেগ সঞ্চয় করেছে,মাটি ও মানুষকে ছারিয়ে পৃথিবীর কোনো সৌন্দর্যই অর্থপূর্ণ হতে পারে না। পারিপার্শ্ব পৃথিবীতে কেউ উপক্ষক নয়, বরং তা পূর্ণাঙ্গরূপে আত্নস্হ করেই সব রকম সৌন্দর্য সৃষ্টি আস্বাদন করা সম্ভব। সোনার তরী কাব্যের কবিতার নাম মহিমা অর্জন করেছে সোনার তরী, পরশ পাথর, আকাশের চাঁদ, দৌলত, ২ পাখি, কবিতা উল্লেখ করা যায়।
শ্রাবনের ঘনঘোর আকাশের নিচে বর্ষা ভরা নদী ছুটে চলে। চারদিকে বাঁকা জলের খেলায় মাঝখানে কৃষক ধানের স্তব নিয়ে প্রতীক্ষারত। এরই মধ্যে চেনা অচেনা এক মাঝি নৌকা নিয়ে হাজির কৃষকের অনুরোধে মাঝি সব ধান গুলো নৌকার মধ্যে সাজিয়ে রাখে এবং পরিশেষ কৃষক নিজেও সেই নৌকায় উঠায় অনুমতি প্রার্থনা করে। কিন্তু মাঝেই কৃষকের নৌকা তুলতে অসম্মতি জানাই এবং কৃষকেরা ধানের বোঝাই
করা নৌকা নিয়ে মাঝে চলে যায়। অথচ ঘনঘোর বর্ষার এই দুর্যোগ নিয়ে শূন্য নদীর পারে কৃষক একভাবেই পড়ে থাকে এরকম।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভরা ভরা ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধার
খরপরশা।"
আজ আমি আপনার সাথে বলতে এসেছিলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসা কবিতা থেকে নেওয়া একটি কবিতার থেকে কিছু অংশ আমি যতটুকু পেরেছি ততটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আর কেমন হয়েছে মতামতটা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন। আমি পরবর্তীতে ভালো কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করব।
10% of this payout for @meraindia
◦•●◉✿ Thank You ✿◉●•◦
Here are my Verified links:
Achievement -1
Achievement -2
Achievement -3
রবীন্দ্রনাথের কবিতার মধ্যে সোনার তরী কবিতা বেশ জনপ্রিয়। মূলত, “সোনার তরী” কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত। এই কবিতায় ‘সোনার ধানের কথা এসেছে, সোনার ধান বলতে এখানে মানুষের/কবির সৃষ্টিকর্মকে বোঝানো হয়েছে।