প্রবাসী জীবন।
হ্যালো বন্ধুরা,?শুভ রাত্রি,
কেমন আছেন আপনারা সবাই আশা করি আপনারা সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন, বন্ধুরা বিগত কয়েক দিন ধরে আমি নিজের একটু সমস্যার জন্য আপনাদের মাঝে কোন কিছু শেয়ার করতে পারেনি। কিন্তু চেষ্টা করব আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য।
আপনারা অধিকাংশ মানুষ জানেন আমি দেশের বাহিরে থাকি, দেশের বাহিরে থাকার কারণে কাজের চাপ এতোটা বেশি আছে যে ফোনের দিকে তাকানোর সময় থাকে না, আসলে বিদেশের বুকে এসে টাকা উপার্জন করা অনেক কঠিন। পরিশ্রম করতে হয় তবে মানুষ টাকা দেয়, আমি যে ছবি গুলো আজ ব্যবহার করেছি ছবি গুলো আমার নিজের ২৫ তলা বিল্ডিং কাজ করছি কেবল এখানে কাজ শুরু হয়েছে ১০ তলা পর্যন্ত,,।
এখন কাজের এতটা চাপ যাচ্ছে যে দিন শেষে পরিবারের সাথে একটু কথা বলবো সেই সময় টুকু পাওয়া যাচ্ছে না, খুবই ব্যস্ততার মধ্যে এখন দিন পার করতে হচ্ছে, আসলে বড় প্রজেক্টে কাজ করতে হলে খুবই সমস্যার ভেতরে দিন পার করতে হয়, কারণ সেখানে মানুষ থাকে অনেক রান্না করার সময় রান্নাঘরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় গোসল করার সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, কারণ এখানে মানুষ কাজ করে অনেক, অনেক প্রবাসী আছে তাদের ও সময় শেষ হয়ে গেলে আমাদের যেতে হয়।
আমাদের বাংলাদেশের মানুষেরা একটু বেশি প্রবাস জীবন পার করছে তারা কিভাবে টাকা উপার্জন করছে আমাদের পরিবার হয়তো বা সেই জিনিসটা দেখতে পায় না কিন্তু তারা যদি একটু দেখতে পেতো তাহলে বুঝতো কতটা পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে টাকা উপার্জন করতে হয় একজন প্রবাসী।
এমনও দিন যাই আমাদের এক বেলা না খেয়ে কাজ করতে হয় কারণ গত পরশু দিন দুপুরে খেতে গিয়ে দেখি তরকারি নষ্ট হয়ে গিয়েছে সময় ছিলো হাতে মাত্র এক ঘন্টা এই এক ঘন্টার মধ্যে তরকারি রান্না করে খেয়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না তাই দোকান থেকে ২ টি ডিম কিনে এনে ভাজি করে ভাত খেয়ে চলে যেতে হলো এমনও দিন যায় না খেয়ে চলে যেতে হয় কাজে।
এই বিদেশের বুকে আমাদের পরিবার নেই আমরা কাজে যাবো আর আমাদের পরিবার রান্না করে আমাদের জন্য রেখে দেবে এমন চিন্তা মাথায় ও আসে না আমাদের প্রবাসীদের ,কারণ নিজেদের কাজ নিজেদের রান্না নিজেদের কে করে নিতে হয় এমন ও দিন যাই সারা দিন পরিশ্রমের মধ্যে থেকে মনে হয় না কাজ থেকে এসে রান্না করতে যায়।
এই প্রবাসী জীবন অনেক কঠিন যারা বিদেশে আছে তারাই শুধু এক জন বিদেশী মানুষের দুঃখ কষ্ট বুঝতে পারবে, কিন্তু যারা বাড়ি আছে তারা কখনো বুঝতে পারবে না ,তারা কতটা কষ্টের ভেতর দিয়ে দিন পার করছে। কোন মাসে টাকা বাড়ি কম পাঠালে তখন বোঝা যায় পরিবারের মানুষ কতটা আমাদের কে ভালোবাসে একটি মাস যদি টাকা বাড়ি না পাঠাতে পারি তাহলে হাজারো সমস্যা বাড়ি সৃষ্টি হয়ে যায় একজন বিদেশী মানুষের বাড়ির মানুষেরা শুধু টাকাটাই চেনে তারা একবারও জানতে চায় না সেই টাকা টি কিভাবে উপার্জন করছে একজন প্রবাসী।
বন্ধুরা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম আমার নিজের অনুভূতি বলতে পারেন বা কষ্টের কথা বলতে পারেন তাই আজ আর বেশি কথা আপনাদের মাঝে বলতে পারছি না এখানে শেষ করছি ধন্যবাদ সবাইকে আমার সাথে থাকার জন্য।
Device | Name |
---|---|
Android | VivY77 /v2169 vivo |
Camera | focal length:26mm(equivalent to 35mm focal length film) |
Location | Malaysia 🇱🇷🇱🇷🇱🇷 |
Short by | @bayezid123 |
ধন্যবাদ আপনাকে,আপনি বাংলাদেশের একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা।আমি জানি কতটা কষ্ট,কতটা ত্যাগ আপনাদের করতে হয় ওখানে।পরিবার ছেড়ে বছরের পর বছর ১০০০ কিলোমিটার দূরের কোন দেশে থাকতে কতটা ধৈর্যের পরিক্ষা দিতে হয় সেটা মনে প্রাণে অনুভব করি।সাবধানে থাকবেন,দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনারাই পারেন টেনে তুলতে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জীবন যুদ্ধ যদি বাস্তবে দেখতে হলে তাহলে একজন প্রবাসীর দিকে তাকিয়ে দেখুন। রোদ গরম বৃষ্টি প্রতিকূল পরিবেশেও তারা যেন টিক আছে এক মুঠো স্বপ্ন নিয়ে।
ভাই আমি বলতে চাই কাজের চাপে মাঝে মাঝে এমন হয় তবে একটু সময় করে বাড়িতে খোঁজ-খবর নিবেন কেন না তারাও আপনারে দেখে চেয়ে থাকে।
আপনে ঠিক কথাই বলেছে প্রবাসী জীবনে একটি খুব কষ্টের একটা কাজ।আমরা যেকোনো কাজ করি না কেন প্রত্যেকটা কাজের ভিতর ভালো-মন্দ কষ্ট দুঃখ সবকিছুই আছে।
তার ভিতরে প্রবাসীর জীবনটাই কষ্টকর বেশি মানুষের কাজ অনুসারে কাজ করতে হয়।
প্রবাসীরা এমন কাজ করে যে মাঝের মত তাদের সময়ের অভাবে খেতে পারে না। তাড়াতাড়ি করে নাকে মুখে খাবার দিয়ে তাদের আবার সেই কাজ করতে যেতে হয়। তারপর মাস শেষে কাজ করে টাকাটা পেয়ে একটু মনে শান্তি পাওয়া যায়। সারা মাসে যে কষ্টটা করেছে ওটা একটু ভোলা যায়। আপনাকে এ কথাটি বলছি একটু সময় বের করে পরিবারের সাথে কথা বলবেন কিন্তু তারা আপনার দিকেই চেয়ে থাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জীবনে কষ্টগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য থ্যাঙ্ক ইউ।
আসলে আপনারা পরিবারের সুখের জন্য প্রবাসে পাড়ি দিয়েছেন! প্রবাস জীবন খুবই কষ্টের একটা জীবন! যেটা হয়তোবা আমরা কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারি! আপনারা সারাদিন কাজ করে এসে রান্না বান্না করে খেয়ে,,, ঘুমিয়ে পড়েন! আবার সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না করে,,, কাজে চলে যেতে হয়।
আপনি লিখেছেন আপনাদের তরকারি নষ্ট হয়ে গেছে! যার কারণে দোকান থেকে ডিম নিয়ে এসে ভাজি করে খেয়ে তারপরে আবার কাজে গেছেন! কোন কোন দিন আপনাদের না খেয়ে কাজে যেতে হয়! আসলে এই কথাগুলো কতটা হৃদয়বিদারক! সেটা হয়তোবা আমি আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না! এত কষ্টের মধ্যে থেকেও আপনি আমাদের সাথে আবারও বেশ কয়েকদিন অনুপস্থিত থাকার পর আবার এসে উপস্থিত হয়েছেন! এটা দেখেই অনেক বেশি ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল! ভাল থাকবেন।
সত্যি প্রবাসী ভাইরা অনেক কষ্ট করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আর একজন মানুষ এমনিতে কখনো প্রবাসে যায় না। অনেক পরিস্থিতির মোকাবেলা করে তারা প্রবাসে যায় । একটা ভালো জীবন যাপন করার জন্য পরিবারের সদস্যরা ভালো থাকুক মূলত এই জন্যই।
আপনি আরো অনেক আলোচনা করেছেন আপনার কর্মজীবন নিয়ে। আপনারা যারা প্রবাসে আছেন তাদের জন্য দোয়া ও ভালবাসা রইল সব সময় ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।