আমার বড় ভাই বাংলাদেশে যাচ্ছে তার কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ চলে আসলাম আনন্দের মাঝে দুঃখের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। আনন্দ বলতে নিজের মনে অনেক বেশি আনন্দ লাগছে আজ ২৩ তারিখ। এবং আজকে বড় ভাই বাংলাদেশে যাচ্ছে, এবং দুঃখ লাগছে বিদেশে এসে বড় ভাইয়ের কাছে উঠেছিলাম। এবং বড় ভাইয়ের সাথে তিন মাস পরে দেখা হবে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আমার বড় ভাই যেনো ভালো ভাবে বাড়ি গিয়ে পৌঁছে যায়।
দীর্ঘ ১১ বছর পরে আজ প্রথম বাংলাদেশের মাটিতে পা দিচ্ছে, ১১ টি বছর তার জীবন থেকে সে এই বিদেশের মাটিতে পার করেছে, গতকাল কে টিউটোরিয়াল ক্লাসে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি। কারণ বড় ভাইয়ের জিনিস গুছিয়ে দিচ্ছিলাম রাতে। সারাদিন ডিউটি করে এসে বড় ভাইয়ের বাড়ি যাওয়ার জিনিস গুলো গুছিয়ে না দিলে কে গুছিয়ে দেবে। যাইহোক বন্ধুরা আজ বড় ভাই বাংলাদেশে যাচ্ছে বলে। আমাদের সাথে আরো যে ভাইয়েরা কাজ করে তাদের কে দাওয়াত দিয়ে ছিলাম কিছু খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করে।
বাংলাদেশে যারা যায় তারা তাদের নিজের মনে আনন্দ নিয়ে যায়, কারণ অনেক বছর পরে তারা নিজের পরিবারের কাছে যাচ্ছে। এবং কিছু সময় নিজের পরিবারের সাথে কাটাবে, তাই তাদের মনে অন্যরকম একটি আনন্দ চলে আসে, আজকে সব চেয়ে বেশি খারাপ লাগা কাজ করছে। আম্মা যদি বেঁচে থাকত তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো। এবং অনেক বেশি খুশি হতো আমার আম্মা। কি আর করব কপালে ছিলো না বলে সে বড় ভাইকে দেখে যেতে পারলো না।
যাইহোক আজকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কাজ করে রুমে চলে আসি, কারণ নয় জন মানুষ খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। তাই তাদের জন্য রান্না করার জন্য আমি চলে আসলাম একটু দ্রুত, রুমে এসে মাংস ফ্রিজে ছিলো সেখান থেকে বের করে মাংস গুলো পানিতে ভিজিয়ে রেখে ছিলাম। তার কিছু সময়ের মধ্য অনেক জোরে বৃষ্টি চলে আসে, অনেকটা বিরক্তিকর মনে হয়েছিল বৃষ্টি আসার জন্য। কারণ অনেক কাজ করতে হবে,যাইহোক বৃষ্টি এসেছে তার সাথে আবার ঝড় উঠেছে।
বৃষ্টি অবস্থায় মামুন ভাই এবং আমার বড় ভাই এবং আমি এক সাথে সবাই মিলে রান্নার কাজ সেরে নিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে আরেক টি বড় ভাই সেখানে উপস্থিত হয়ে যায় তখন বাজে সাড়ে সাতটা বড় ভাই গিয়ে বলছে খাওয়া-দাওয়ার কাজ সেরে নিলে ভালো হয়। কারণ আমার বড় ভাই আমাদের এখান থেকে চলে যাবে দশটার দিকে। তাই দেরি না করে রুমে এসে সবাইকে ডেকে নিয়ে গেলাম খাওয়া-দাওয়া করার জন্য।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এই রুমে এসে যেখানে বড় ভাইয়ের জিনিস গুলো রাখা ছিলো।সেখানে এসে আবার সবকিছু গুছিয়ে দিলাম। কারণ কলেজ ব্যাগে কিছু জিনিস নিয়ে যাচ্ছে। যার জন্য সেখানে এসে কলেজ ব্যাগে সব জিনিস গুলো গুছিয়ে দিয়ে ছিলাম। এবং গুছিয়ে দিতে দিতে এবং বড় ভাইয়ের সাথে কিছু সময় কথা বলতে বলতে তার সময় চলে আসে আমাদের কে ছেড়ে বাংলাদেশে চলে যাওয়ার জন্য।
এয়ারপোর্টে যেতে হয় একটু আগে কারণ যখন ফ্লাইট হবে তার কিছু সময় আগে সব কাগজ পাতি ঠিক করে নিতে হয় । এবং সাথে জিনিস গুলো বুঝ করে দিতে হয়। সাড়ে তিনটের সময় ফ্লাইট এবং পানি আসছে বলে দশটার দিকে বড় ভাই চলে যায় এয়ারপোর্টে। সেখানে গিয়ে কিছু সময় বসে থাকলে সমস্যা না। কিন্তু কিছু সময় দেরি করে গেলে অনেক সমস্যা। যার জন্য একটু আগে বের হয়ে যাই বড় ভাই বৃষ্টি অবস্থায়।
সেখানে গিয়ে বড় ভাই আমার কাছে ফোন দেয়ার পরে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তাই আজ এই মুহূর্ত তুলে ধরা হলো আপনাদের মাঝে। আশা করব ভালো লাগবে আপনাদের কাছে সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
Device | Name |
---|---|
Android | VivY77 /v2169 vivo |
Camera | focal length:26mm(equivalent to 35mm focal length film) |
Location | Malaysia 🇱🇷🇱🇷🇱🇷 |
Short by | @bayezid123 |
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টটি সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। বাবা মায়ের কাছ থেকে এতদিন থাকার কথা চিন্তাও করতে পারি না এখন। আপনার বড় ভাই দেশের থেকে অনেক দিন দুরে রয়েছে এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, পরিবারের মানুষকে খুশি রাখার জন্য। আর আজ সে পরিবারের মানুষের কাছে ফিরছেন এটা অবশ্যই অনেক বেশি আনন্দের আর এটা শুধুমাত্র সেই বুঝবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
পরিশ্রমের চেয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় নিজের পরিবার ছেড়ে থাকতে গেলে আমি অনেক মানুষকে দেখেছি যখন তারা নতুন নতুন এই বিদেশে আসে পরিবারের জন্য কান্নাই ভেঙে পড়ে এবং অনেক মানুষ আছে অল্প কিছুদিন থেকে তারা নিজের পরিবারের টানে আবার চলে যায় সেখানে আমার বড় ভাই তার জীবন থেকে অনেক বছর পার করে দিয়েছেন নিজের পরিবারের কাছ থেকে অনেক দূরে এবং সে কতটা কষ্ট স্বীকার করেছে এখন আমি একজন প্রবাসী হয়ে ঠিক বুঝতে পারছি।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আমি তো সামান্য বাড়ি থেকে খুলনায় গিয়ে কয়েকদিন কাটাতে না কাটাতেই বাড়ির কথা খুব মনে পড়ে তখন বাড়িতে চলে আসি। আর নিজের দেশ ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে অন্য দেশে বছরের পর বছর কাটানো অনেক কষ্টের ব্যপার। আর তাছাড়া আপনারা ইচ্ছা করলেই দেশে আসতে পারেন না এটাই সব থেকে কষ্টের। ধন্যবাদ আপনাকে।
বড় ভাই হচ্ছে বাবার পরবর্তী একটা বটগাছ বাবা না থাকলে বড় ভাই ছায়ার মত। আমাদের পাশে থাকে আপনি বিদেশে যাওয়ার পর, আপনার বড় ভাইয়ের কাছে প্রায় দীর্ঘ ৩ মাস থেকেছেন। কিন্তু আপনার বড় ভাইয়ের সাথে আপনার দীর্ঘ সময় পর দেখা। কারন আপনারা আলাদা জায়গায় কাজ করেন। আজকে আপনার মা বেঁচে থাকলে হয়তো বা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করত। কেননা আপনার মা আপনাদের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন তিনি যেন পরকালে ভালো থাকে।
আপনার বড় ভাই বর্তমান সময়ে বিবাহিত। নিশ্চয়ই বাড়িতে গিয়ে খুব সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠান করে আপনার ভাবিকে তুলে নিয়ে আসবে। তাই ওনাকে দেখে অনেক বেশি খুশি খুশি মনে হচ্ছে। আশা করি উনি খুব দ্রুত এবং সুস্থতার সাথে বাংলাদেশের এসে যেতে পারবেন। ধন্যবাদ বড় ভাইকে বিদায় দেয়ার মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
জি আপু বড় ভাই বাড়ি পৌঁছে গিয়েছে এবং 26 তারিখে বড় ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান হবেই এবং 27 তারিখে বউ ভাতে আপনাদের দাওয়াত থাকলো।
যাই হোক আজকে মা বেঁচে থাকলে সত্যি অনেক বেশি আনন্দ হতো এবং আমরা সবাই খুশি হতাম বড় ভাই বাড়ি গিয়েছে কিন্তু মায়ের অভাব থেকে দিয়েছে অনেক বছর পরে বাড়ি গিয়েছে সে এবং বাড়ি গিয়ে মায়ের দেখা পেল না।
বিদেশে আসা পর্যন্ত ভাইদের কাছে ছিলাম এবং ভাই অল্প কিছুদিন হল আমার কাছ থেকে দূরে ছিল আবার এখানে এসে সেই বাড়ি চলে গেলো আপনারা সবাই দোয়া করবেন সে বাড়ি গিয়ে সুস্থ ভাবে থাকবে এবং তার সংসার জীবন যেনো সুন্দর হয়।
শুধুমাত্র বৌভাতের দাওয়াত দিলেন,🤔 বিয়ের দাওয়াত দিলেন না। এটা কিন্তু মেনে নিতে পারলাম না। আচ্ছা যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাওয়াত করার জন্য। আসলে আমরা পৃথিবীতে কেউই থাকবো না। একটা সময় সবাইকে চলে যেতে হবে, কিন্তু আফসোস আপনার ভাই দীর্ঘ প্রায় ১০-১১ বছর বিদেশে কাটিয়েছে। কিন্তু বাড়ি গিয়ে আপনার মায়ের দেখা পেল না।
আমাদের মায়ের অভাব মায়ের ভালোবাসা কেউই পূরণ করতে পারে না। হয়তোবা সবাইকে নিয়ে ভালো থাকবে কিন্তু দিনশেষে আফসোস এবং মায়ের প্রতি ভালোবাসাটা, অবশ্যই উনার মনে কষ্ট হবে। উনাকে একটু বুঝিয়ে শুনিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। কেননা আপনি হয়তোবা অনেকটা সময় মায়ের কাছে থাকছেন। কিন্তু উনি মায়ের কাছ থেকে দূরে ছিল অনেকটা বছর। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
আমি ওখানে বলেছি ২৬ তারিখে বিয়ে এবং 27 তারিখে বৌ ভাতে দুইটা দিন উল্লেখ করে দিয়েছি মানে দুইদিন আপনার দাওয়াত দেয়া হয়েছে। আপনি আজকের রাতে রওনা দেন।
অবশ্যই এবং বড় ভাই এখন বুঝতে শিখেছে এবং সে আমার ছাড়া অনেক বড় সে সবকিছু বুঝে মানিয়ে নেবে এটি আমার বিশ্বাস।
TEAM 1
Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags.অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য।
আপনার বড় ভাই দীর্ঘ ১১ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে পা দিতে যাচ্ছে। সত্যি এই মুহূর্তটা যতটাই আনন্দের ততটাই কষ্টের।
অনেকদিন পর বাসায় আসবে অনেক জিনিসপত্র সাথে ছিল এগুলো আপনি গুছিয়ে দিয়েছেন।
সত্যিই একজন মানুষ প্রবাস জীবনে শুধুমাত্র কষ্ট করে নিজের পরিবারকে খুশি রাখার জন্য।
পোস্টের শেষে সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার মুহূর্তটা খুব সুন্দর ছিল।
সুন্দর একটি মুহূর্ত নিয়ে পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া অনেক বছর পরে বাড়ি যাচ্ছে যতটা আনন্দের ততটা কষ্টের কারণ বাড়ি থেকে আসার সময় যে মানুষগুলো রেখে এসেছিল সেই মানুষদের সাথে সবার আর দেখা হবে না কারণ অনেক মানুষ আমাদের জীবন থেকে চলে গিয়েছে। এবং বড় ভাইয়ের জিনিসগুলো আমি নিজ হাতে গুছিয়ে দিয়েছিলাম এবং তার বাড়ি যাওয়ার সুন্দর মুহূর্তে আমি থাকতে পেরে নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছি। কারণ সে আমাদের জন্য অনেক কষ্ট এবং পরিশ্রম করে গিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য
অনেক দিন বাদে আপনার বড় ভাই বাংলাদেশে আসতেছে এটা যে কত বড় আনন্দের তা বুঝানো বলে সম্ভব না ৷ পরিবারের কাছে ফেরার আনন্দ টাই অন্যরকম অনেক সুখের বলা যায় ৷
সাড়ে তিনটার দিকে ফ্লাইট ছিলো বৃষ্টি আসার কারনে অনেক আগেই বের হতে হয় ৷
যাই হোক আপনার বড় ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইলো ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
আসলে বড় ভাই যেদিন বাড়ি যাবে সেদিন মালয়েশিয়ায় প্রচন্ড বৃষ্টি হয়েছিল তাই তাকে একটু অনেক আগে বেরিয়ে যেতে হয়। তার উপরে এয়ারপোর্ট এর মধ্য সব সময় ফেলাইট হওয়ার আগে আগে যেতে হয়। বোর্ডিং পাস নিতে হয় ২ ঘন্টা আগে যার জন্য এয়ারপোর্টের মধ্য দিয়ে বসে থাকতে হয়।
সুন্দর মন্তব্য উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার বড় ভাই দীর্ঘ ১১ বছর নিজের আপনজনদের ছেড়ে ছিলেন। বিয়ে উপলক্ষে এবার তিনি তিন মাসের জন্য ঘরে ফিরে যাচ্ছেন। আপনার আম্মা বেঁচে থাকলে আজ সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। বড় ভাই বাংলাদেশে যাওয়ার আগে দাওয়াত দিয়ে ভাল কাজ করেছেন। আবার তিন মাস বাদে আপনাদের দেখা হবে।
বড় ভাই বাংলাদেশে আসবে তার জন্য মন খারাপ এটা স্বাভাবিক।। অনেকদিন হয় তার ভাইয়ের সাথে কথা হয় না আগে অনেক কথা হতো খুব মিস করি তাকে।। তিন মাসের জন্য বাংলাদেশে আসছে তারপর আবারো মানুষের যাবে আসলে জীবনটা এমনই চাইলেও অনেক সময় অনেক কিছু করা যায় না।। ভাইয়ের জন্য সুস্থভাবে যেন বাংলাদেশে আসে।।