জ্ঞানী ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের চিন্তার মধ্যে পার্থক্য!
Source
আমরা সকলেই বই পড়ি। শৈশবকাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অনেক বই পড়েছি। গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও অন্যান্য অনেক বিষয়েও পড়েছি। আমরা অনেকেই বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিকদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে গল্প কবিতা লেখার চেষ্টাও করেছি। কিন্তু আমরা কি পেরেছি তাদের মত করে লিখতে?
তাদের লেখাতে সাহিত্যিক ও গাম্ভীর্যপূর্ণ একটি ভাব থাকে যা আমরা আমাদের মধ্যে নিয়ে আসতে পারিনা। যার কারণে আমাদের লেখাও তাদের মত হয়না। এর পিছনে শুধু একটিই কারণ রয়েছে এবং সেটি হচ্ছে আমরা তাদের মত করে চিন্তা ভাবনা করিনা। তারা একটি কবিতা/গল্প লেখার আগে একটি কাহিনি কল্পনা করেন এবং সেই কবিতা/গল্পটিকে এমনভাবেই উপস্থাপন করেন যে প্রতিটি পাঠক খুব আনন্দের সাথে পড়তে পারেন। এর পিছনে একটি ই কারণ রয়েছে আর সেটি হচ্ছে সঠিক ভাবনার প্রয়োগ। তারা কোনো কিছু লেখার আগে প্রচুর ভাবেন আর আমরা চেষ্টা করি কত তাড়াতাড়ি লেখাটি শেষ করা যায়। এর জন্যই আমরা তাদের মত সফল নই।
এবার আপনাদের একটি প্রশ্ন করি। প্রশ্নটি হচ্ছে, "পুরো পৃথিবী ঘুরে আসতে একজন ব্যাক্তির কতটুকু সময় লাগবে?"
পারবেন কি উত্তর দিতে?
আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা প্রশ্নটি শুনেই বলছেন বোকার মত প্রশ্ন। আবার অনেকেই হয়তো ভাবছেন এর কোনো উত্তর আছে নাকি। তবে আপনি যদি জ্ঞানী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি চিন্তা করবেন যে এরও একটি যুক্তিসঙ্গত উত্তর থাকতে পারে এবং তার উত্তর বের করার জন্য গভীরভাবে চিন্তা শুরু করেন। এই প্রশ্নটি আমি পড়েছিলাম ষষ্ঠ শ্রেণির একটি বইয়ে। গল্পটির লেখকের নাম মনে নেই। তবে তার উত্তরটি ছিল এমন যে, " আপনি যদি সকাল বেলা সূর্য ওঠার সাথে সাথে সূর্যের বেগে হাটতে শুরু করেন তাহলে পরদিন সূর্য উঠার সময় পুরো পৃথিবী টা একবার ঘুরে আসতে পারবেন।"
আপনি কি কখনও প্রশ্নটিকে এমনভাবে ভেবেছিলেন?
আপনাদের মধ্যে অনেকেই পারিনা বলে এড়িয়ে গিয়েছিলেন আবার অনেকেই হয়ত ভেবেছিলেন একেকজনের গতি একেক রকম তাই একেক ব্যাক্তির ক্ষেত্রে উত্তরটি একেক রকমের হবে। এটাই হচ্ছে একজন সাধারণ মানুষ ও একজন জ্ঞানী ব্যাক্তির মধ্যে পার্থক্য।
একই গল্পে আরও একটি প্রশ্ন ছিল তা হল,
"আপনি ঠিক কখন মারা যাবেন?"
জীবণ মৃত্যু মহান আল্লাহ তায়ালা নিয়ন্ত্রণ করেন তাই কেউ তার মৃত্যুর সঠিক সময় বলতে পারবেন না। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির কথা মনে আছে?
সেখান থেকে রেশমা নামের একজন মেয়েকে ১৭(সম্ভবত) দিন পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। এতদিন তিনি কিভাবে সেখানে বেঁচে ছিলেন?
কারণ আল্লাহ তায়ালা বাচিয়ে রেখেছিলেন।
তাই কেউ বলতে পারবেন না আপনার মৃত্যু কখন হবে। তাই বলে এই ভাববেন না যে এই প্রশ্নের কোনো যুক্তিসঙ্গত উত্তর নেই। একটা মানুষ ঠিক ততক্ষণ বেঁচে থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত তার শেষ নিঃশ্বাস শেষ না হয়। তাই একমাত্র যুক্তি সংগত উত্তর হবে, "শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আপনার মৃত্যু হবেনা। "
এটাই হচ্ছে একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি ও একজন সাধারণ মানুষের মধ্যে মূল পার্থক্য। প্রতিটি মানুষকেই আল্লাহ তায়ালা মস্তিষ্ক দিয়েছেন সঠিক চিন্তা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। কিন্তু আমাদের মধ্যে কেউ সঠিক চিন্তা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করি ও অনেকেই মন যা বলে তাই করি। যারা প্রথমে চিন্তা করেন ও পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তারাই জীবণে সফল হতে পারেন। যারা চিন্তাশক্তিকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের মনকে প্রাধান্য দেন তারাই জীবণে কিছু করতে পারেন।
"আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকেই সমান জ্ঞান দিয়েছেন।
তবে কেউ কেউ সে জ্ঞানকে কাজে লাগায় ও কেউ কেউ কাজে লাগাতে পারেনা। "
Posted using Partiko Android
Congratulations @delwar! You have completed the following achievement on the Steem blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
You can view your badges on your Steem Board and compare to others on the Steem Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Do not miss the last post from @steemitboard:
Vote for @Steemitboard as a witness to get one more award and increased upvotes!
Hello!
This post has been manually curated, resteemed
and gifted with some virtually delicious cake
from the @helpiecake curation team!
Much love to you from all of us at @helpie!
Keep up the great work!
Manually curated by @ayasha-art.
Hi @delwar, your post has been upvoted by @bdcommunity! It is a manual curation project from Bangladesh.
If you want to support us, please consider setting us as your witness proxy, or delegating STEEM POWER to us.
JOIN US ON