ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ব্যাধ ( পর্ব ৫ )

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'ব্যাধ' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা হান্টার্স এন্ড দ্যা হান্টেড"। গত পর্বে শেষ দেখেছিলাম যে কানাই আর সৌভিক সেই খুনি লোকটার খোঁজে মুকুন্দপুর গ্রামে চলে যায় এবং আজকে সেখানে কি ঘটনার আলোকপাত হয় সেটা দেখবো।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
ব্যাধ
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
দ্যা হান্টার্স এন্ড দ্যা হান্টেড
পরিচালকের নাম
অভিরূপ ঘোষ
অভিনয়
রজতাভ দত্ত , অনির্বান চক্রবর্তী, খরাজ মুখার্জি, সৌমেন বোস , বিবৃতি চ্যাটার্জি, যুধজিৎ সরকার ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২( ইন্ডিয়া )
সময়
২১ মিনিট ( পঞ্চম পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

তো তারা সবাই মোটামুটি মুকুন্দপুর গ্রামে যাওয়ার পরে চিঠির ঠিকানা অনুযায়ী মধুসূদন দত্তের বাড়িতে যায় এবং তারা সাধারণত ওই বাড়িটাই মনে করে ওই খুনি লোকটার। তবে ওই লোকটাও তখন তার কাস্তেতে ধার দিচ্ছিলো এমন সময় তার দরোজাতেও কড়া নাড়তে থাকে। তবে তার একজন স্টুডেন্ট ছিল সে, যাইহোক এখন কানাই আর সৌভিক যেখানে গিয়েছিলো সেখানে একজন মহিলা দরজা খোলে আর মধুসূদন এর কথা জিজ্ঞাসা করতেই বলে সে মারা গিয়েছে অনেক দিন হলো। এই কথা শুনে তাদের শক লেগে গেলো, যে যাকে খুঁজতে আসলাম সেই মারা গিয়েছে। সাধারণত ওই মহিলার দাদা ছিল সে। এরপর তারা মধুসূদনের ঘর দেখতে চাইলো, কারণ সে আলাদা থাকতো আর তার ঘরটাও বছরখানিকের মতো বন্ধ ছিল অর্থাৎ কেউ ঢুকতো না সেই রুমে। তো সৌভিক সেখানে কিছু লেখা দেখতে পায় চড়াই পাখি নিয়ে। এছাড়া সে লোকটা আলিপুর জেলেও অনেকদিন জেল খাটে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

তো এখন এই বিষয় নিয়ে কানাই আর সৌভিক ভাবে যে এই মধুসূদনকে খুঁজে পেতে হলে জেলে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে অর্থাৎ এইটা জানা প্রয়োজন কার সাথে এইসব বিষয় নিয়ে সে আলোচনা করেছিল। তারা আগে সেই মুকুন্দপুর পোস্ট অফিসে যায় যেখানে এই চিঠিগুলো পাঠাতো। এরপর সেই পোস্ট মাস্টারের কাছে সবকিছু শুনতে লাগে যে, এখানে কে আসে আর এই চিঠিগুলো পাঠায়, তবে তার বক্তব্যের সাথে সেই লোকটার হুবহু সবকিছু মিলে যেতে লাগে। এখন তাকে ধরার জন্য তাদের কাছে একটাই প্ল্যান আছে যে, এখানে একটা কনস্টেবল রেখে যাবে, আর যখন ওই লোকটা আসবে তখন তাদের কাছে ফোন করে জানাতে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এই হিসেবে তারা কলকাতায় ফিরে গিয়ে সৌভিক কমিশনারের কাছে গিয়ে কিছু ফোর্স চায় কিন্তু এই কেসের জন্য সে কোনো ফোর্স দিতে চায় না, বরং তাকে উল্টে নারকোটস এ ট্রান্সফার করে দেয়। এখন তাদের এই নিয়ে একটা বিরাট সমস্যা তৈরি হয়ে যায়, কারণ এখনো এই কেস শেষ হয় নি আর তীরে এসে সব ডুবিয়ে দিলে সমস্যা হয়ে যাবে। তো এই নিয়ে কানাই এর সাথে সৌভিক এর ঝামেলা হয় একটু যে সে আর এই কেসে থাকতে পারবে না। কানাই সাধারণত তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে যে, আমাদের কোনো ফোর্স লাগবে না, দুইজনেই কেস সল্ভ করে ফেলবো।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

কাহিনী প্রায় শেষ পথে চলে এসেছে অর্থাৎ এখন এই খুনিকে হাতেনাতে ধরার পালা। যেহেতু পোস্ট মাস্টারের বক্তব্য অনুযায়ী এই লোকটা দিন ১৫ বাদে বাদে এসে চিঠি দিয়ে যায়, সেহেতু এই দিনের অপেক্ষা করতে হবে। আর ওই লোকটা সাধারণত তাদের মত অনুযায়ী মুকুন্দপুরের না, অন্য গ্রাম থেকে এসে এই পোস্ট অফিসে এসে এসে চিঠি দিয়ে যায়। এদিকে সৌভিক অনেক চিন্তাভাবনা করার পরে সকালে সে অন্য কোথাও জয়েন করতে যায়নি বরং কানাই এর কাছে এসে এই কেস সল্ভ করতে রাজি হয়। তাদের এখন প্রথম যে কাজ থানায় গিয়ে খোঁজ নেওয়া, কারণ যে মধুসূদন মারা গিয়েছে সে যদি সেই সময়ে কারো সাথে তার এই চড়াই পাখি লেখা নিয়ে আলোচনা করে থাকে তাহলে তার সন্ধান পাওয়া যাবে। আর নিশ্চিত হতে পারবে যে, এই লোকটাও আগে জেল খেটেছে কোনো না কোনো অপরাধে, রেকর্ড চেক করলে তার পরিচয় পাওয়া যাবে। এখন শেষ পর্বে এই বিষয়গুলো জানা যাবে।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৮.৮/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂



শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দাদা ব্যাধ ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গিয়েছে। এই ওয়েব সিরিজের পঞ্চম পর্ব পড়তে কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি সবসময় চেষ্টা করি আপনার ওয়েব সিরিজ গুলো এবং মুভিগুলোর রিভিউ পড়ার। এখন তো দেখছি ওই খুনিটাকে হাতেনাতে ধরার সময় চলে এসেছে। আশা করছি রেকর্ড চেক করলে তারা ওই খুনিটার পরিচয় পেয়ে যাবে এবং খুব শীঘ্রই ওই খুনিটাকে তারা ধরতে পারবে। চড়ুই পাখি গুলোকে এভাবে মারা কিন্তু উচিত হয়নি। যাই হোক এই ওয়েব সিরিজ এখন শেষের পর্যায়ে চলে এসেছে এটা দেখে ভালো লাগলো। এই ওয়েব সিরিজটা শেষ হলে আশা করছি আপনি নতুন করে আরেকটা ওয়েব সিরিজ আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, সব সময় আমাদের মাঝে নতুন নতুন ওয়েব সিরিজ শেয়ার করার জন্য। দাদা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আপনি এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।

 last year 

দাদা আপনার এই ওয়েব সিরিজটি পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। আপনার এই ওয়েব সিরিজের প্রত্যেকটা পর্ব আমার পড়া হয়েছিল। আর এই কয়েক দিন পঞ্চম পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। ব্যাধ মুভিটার কাহিনী দেখছি এখন কিছুটা শেষের দিকে চলে এসেছে। আর ওই লোকটা দেখছি ১৫ দিন পরে পরে এসে চিঠি দিয়ে যায়। আর তারা ওই ঘরটাতে যাওয়ার পরে চিঠি পেয়েছিল চড়ুই পাখিদের কে নিয়ে লেখা। আর তারা দুজনেই কেসটা সল্ব করতে পারবে বলে আমারও মনে হচ্ছে। রেকর্ড যদি চেক করে তাহলে পরিচয় পাবে আশা করছি এবং খুব তাড়াতাড়ি ওই খুনিটাকে তারা ধরে নিতে পারবে বলে মনে হয়। এত সুন্দর করে এই মুভিটার পঞ্চম পর্ব আমাদের মাঝে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

বিষয়টি বেশ রহস‍্যের। মধুসুদন দওের বাড়ি গিয়ে জানা যায় সে মারা গিয়েছে। এবং অন‍্যদিকে সৌভিক কেউ বদলি করে দিয়েছে। এখন কানাই দা কী একাই কেসটা সলভ করবে না সৌভিক কানাইদার সঙ্গে থাকবে সেটাই দেখার বিষয়। এই পর্বটার রিভিউ টা বেশ সুন্দর করেছেন দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

জী দাদা ব্যাধ ওয়েব সিরিজের কাহিনী প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। এখন খুনিকে হাতেনাতে ধরার পালা। যেহেতু পোস্ট মাস্টারের বক্তব্য অনুযায়ী এই লোকটা ১৫ দিন পর পর এসে চিঠি দিয়ে যায়, সেহেতু এই দিনের অপেক্ষা করতে হবে। ঝোপ বুঝে কুপ মারার আশায় বসে থাকতে হবে। আর পোষ্ট মাস্টারের তথ্য অনুযায়ী ওই লোকটা মুকুন্দপুরের না, অন্য গ্রাম থেকে এসে এই পোস্ট অফিসে এসে এসে চিঠি দিয়ে যায়। এদিকে সৌভিক সাহেব অনেক চিন্তাভাবনা অন্য কোথাও জয়েন করতে যায়নি বরং কানাই এর কাছে এসে এই কেসকে সল্ভ করতে রাজি হয়। খুনিকে ধরার জন্য তাদের এখন প্রথম কাজ হলো থানায় গিয়ে খোঁজ নেওয়া, কারণ যে মধুসূদন মারা গিয়েছে সে যদি সেই সময়ে কারো সাথে তার এই চড়াই পাখি লেখা নিয়ে আলোচনা করে থাকে তাহলে তার সন্ধান পাওয়া যাবে। খুনিকে না ধরা পর্যন্ত সৌভিক সাহেবের কোন শান্তি নাই। এখন দেখা যাক খুনি কোন নতুন চাল মারে কি না। কারন খুনি তো অনেক চালাক। সে পুলিশের আগে চলে। দাদা পরের পর্বটা তারাতরি প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ।

 last year 

'ব্যাধ' ওয়েব সিরিজটির পঞ্চম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। কানাই এবং সৌভিক খুনি লোকটিকে খোঁজার জন্য সেই গ্রামে চলে যায়। অর্থাৎ মুকুন্দপুর গ্রামে চলে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে বাড়িটিতে যায় সেই বাড়িটি ছিল অন্য কারো। সেই বাড়িতে গিয়ে যখন মধুসূদন দত্তের কথা যখন বলে তখন সবাই জানায় তিনি অনেক আগেই মারা গেছে। এই কথা শুনে সৌভিক এবং কানাই অনেকটা অবাক হয়ে যায়। আসলে তারা হয়তো ভুল করে ফেলেছে। আর খুনি এই ভুল ঠিকানা ব্যবহার করেছে। খুনি হয়তো মুকুন্দপুর গ্রামের কেউ নয়। সে এই ঠিকানা ব্যবহার করে নিজেকে আড়াল করতে চেয়েছে। আসলে প্রকৃত খুনির কাছে পৌঁছানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। আর পোস্টমাস্টার তাদেরকে জানায় সেই লোকটি ১৫ দিন পর পর চিঠি পোস্ট করে যায়। তবে সেই লোকটি সবার কাছেই অচেনা। অন্যদিকে সৌভিক ফোর্স চাইলে তাকে বদলি করে দেওয়া হয়। এখন সে নতুন জায়গায় জয়েন করবে নাকি খুনিকে ধরার চেষ্টা করবে এটা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত তারা খুনি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে কিনা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 79169.45
ETH 3182.99
USDT 1.00
SBD 2.63