ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ব্যাধ ( পর্ব ৩ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'ব্যাধ' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "দ্যা কিলিং গ্রাউন্ড"। গত পর্বে লাস্ট দেখেছিলাম সেই পাখিদের হত্যা করা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ইনভেস্টিগেশন চালু করে দেয়। আজকে এর পরের কাহিনীটা দেখবো কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
তো এই যে লোকটা মাঝে মাঝে ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে গিয়ে চড়াই পাখিগুলোকে হত্যা করছিলো, সে একদিন বাড়ির থেকে তার সামনের একটি দোকান থেকে মোটামুটি কিছুটা খাবার নিয়ে নেয় অর্থাৎ পাখিরা যে সব খাবার খায়। এরপর লোকটা খানপুর নামের একটি গ্রামকে বেছে নেয় এবং সেই গ্রামে চলে যায়। চলার পথে একজন বৃদ্ধ লোকের সাথে দেখা হয়, বৃদ্ধ লোকটি আবার চোখে ঝাপসা দেখে, ফলে লোকটাকে না চিনতে পেরে জিজ্ঞাসা করলে যেকোনো কিছু একটা বুঝিয়ে চলে যায়। তবে যে নামটা বলেছিলো ওই নামের লোক আবার অনেক বছর আগে মারা গিয়েছে, ফলে বৃদ্ধ লোকটা ক্ষেপে যায় আর চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। তবে এর মধ্যে ওই লোকটা একটা ঝাড়ের মধ্যে, বলতে গেলে একটা পুকুরের পাড়ে সেই খাবারগুলো ছড়িয়ে দেয় আর বেশ কিছু চড়াই পাখি সেখানে চলে আসে। তবে লোকটা পাখিদের ডাকার সিস জানে।
যাইহোক, পাখিগুলো আসলে জাল ছড়িয়ে দেয় আর পাখিগুলো বন্দি হয়ে গেলে এক এক করে কাস্তে দিয়ে সব চড়াই পাখির গলা কেটে ফেলে। এরপর গ্রামের একজন লোক ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শব্দ শুনে সেখানে গিয়ে দেখে এই অবস্থা। ওই লোকটা ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালায়, তবে পালানোর সময়ে সে বড়ো একটা ভুল করে অর্থাৎ এভিডেন্স ছেড়ে যায়। এখানে ভিজে মাটিতে পায়ের ছাপ পড়ে যায়। এরপর সেখানে গ্রামের স্থানীয় থানার পুলিশ আর সাথে কানাই আর সৌভিকও আসে। এরপর তারা এই ঘটনার বিষয়ে সেখানে অনেকের কাছে জিজ্ঞাসা করলে ওই বৃদ্ধ লোকটি বলে সে দেখতে জোয়ান। কিন্তু এর আগে যে বাচ্চা ছেলেটির কাছে শুনেছিলো সে বলেছিলো বয়স্ক। এখানে তাদের আবার একটু গোলমাল পাকিয়ে যায়, কারণ যে, লোকটাতো আবার চোখে ভালো দেখতে পায় না।
এরপরে পাখিগুলোকে পুড়িয়ে দেয় আর সেখান থেকে পায়ের ছাপ ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠায় টেস্ট করার জন্য যে লোকটার আনুমানিক বয়স কেমন হতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের কাছে মোটামুটি যেটা মনে হয় যে ৪৫ এইরকম হবে। এরপর কানাই আর সৌভিক গ্রামে একজনের সাথে দেখা করে এবং তার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সে বলে যে এই পর্যন্ত লোকটা যে গ্রামগুলোতে টার্গেট করে এই চড়াই পাখি মারছে, ঠিক সেই গ্রামগুলোতে ফসল ভালো হয়নি। আর এর মানে একটাই দাঁড়ায় যে লোকটার উদ্দেশ্য যেসব গ্রামগুলোতে ফসল খারাপ হচ্ছে সেখানে গিয়ে এই কাজ করছে। এইবার সৌভিক এখানে প্ল্যান সাজায় যে খুনি তার লোকেশন নিজে ঠিক করবে না বরং আমরা ঠিক করবো, কারণ তাকে ধরতে গেলে তার মতো ভাবতে হবে।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
কাহিনীতে আসলে খুনি এখনো অপরিচিত, তাই এইবার কানাই আর সৌভিক তার নাম দিয়েছে ব্যাধ। এখানে খুনি আসলে কিভাবে ভাবছে, কিভাবে কি করছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে তাকে ধরার একটা ফাঁদ তৈরি করছে সৌভিক। তার মতে এখন এমন একটা গ্রাম খুঁজতে হবে, যেখানে ফসল খারাপ হয়েছে আর এই তথ্যটা সব জায়গায় কোনো মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর এর জন্য সৌভিক ম্যাপ ঘেটে একটা গ্রামের লোকেশন ঠিক করে, এবং সেটি একটি মিডিয়ার মাধ্যমে খবরের কাগজে ছাপিয়ে দেয়, যাতে খুনির পর্যন্ত খবরটা যায়। সেই প্ল্যান অনুযায়ী মোটামুটি কাজে দেয় আর পেপার তার হাতেও পড়ে। তবে কোন গ্রামটি সাজেস্ট করেছে, সেটি এখনো জানা যায়নি। পরের পর্বে বিষয়টা জানা যাবে।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৭.৪/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা দেখতে দেখতে ব্যাধ মুভির তৃতীয় পবে চলে আসলাম। এই পর্বে দেখলাম কানাই আর সৌভিক তাদের নাম দিয়েছে ব্যাধ। এখানে লক্ষ করা যায় খুনি আসলে কিভাবে ভাবছে, কিভাবে কি করছে, সৌভিকসেটাকে কাজে লাগিয়ে তাকে ধরার একটা ফাঁদ তৈরি করছে । সৌভিকের মতে এখন এমন একটা গ্রাম খুঁজতে হবে, যেখানে ফসল খারাপ হয়েছে আর এই তথ্যটা সব জায়গায় কোনো মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর এর জন্য সৌভিক ম্যাপ ঘেটে একটা গ্রামের লোকেশন ঠিক করে। সেই সাথে সেটি একটি মিডিয়ার মাধ্যমে খবরের কাগজে ছাপিয়ে দেয়। যাতে করে খুনি পর্যন্ত খবরটা পৌছে যায়। সেই প্ল্যান অনুযায়ী মোটামুটি কাজে লেগে যায় আর পেপার খুনির হাতেও পড়ে। তবে কোন গ্রামটি সাজেস্ট করেছে, সেটি এখনো জানা যায়নি। হয়তো পরের পর্বে ঐ বিষয়ে কিছুটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে। দেখা যাক সৌভিকের প্লান কাজে লাগি কিনা । ধন্যবাদ দাদা।
ব্যাধ ওয়েব সিরিজ টা অনেক আগেই শেষ করেছি। চড়ুই হত্যা করার বিষয়টি আমার কাছে বেশ কৌতূহলের লেগেছিল। তার উপর খুনির বয়স ৪৫ এর উপরে। আর এই ঘটনা গুলো ঘটছে ঐ এলাকা গুলোতে যেখানে ফসল কম হচ্ছে। বেশ দারুণ রিভিউ করেছেন দাদা। দেখা যাক সৌভাক এর ফাঁদে চড়ুই হত্যাকারি ধরতে পারে নাকী।।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে আজকে ব্যাধ মুভিটার তৃতীয়তম পর্ব শেয়ার করেছেন। আর এই পর্বটির নাম ছিল দ্যা কিলিং গ্রাউন্ড। গত পর্বে দেখেছিলাম পাখিগুলোর হত্যা করার বিষয়টা। এখানে কিন্তু তারা খুবই ভালো একটা প্ল্যান তৈরি করেছে, আর এই প্ল্যানটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। খবরের কাগজে ওই তথ্যটি ছাপিয়ে দিয়ে ভালো করেছে, আর খুনি পর্যন্ত ও তাহলে সেই তথ্যটা গিয়েছে। এখন এটাই দেখার পালা যে কোন গ্রামটি সাজেস্ট করেছে। আর এই প্ল্যানের মাধ্যমে তারা খুনি পর্যন্ত যেতে পারবে কিনা, এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি আপনি এই গল্পটার পরবর্তী পর্ব আমাদের মাঝে খুব শীঘ্রই শেয়ার করবেন।
খুনি এখনো অপরিচিত হওয়ার কারণে কানাই এবং সৌভিক তার নাম ব্যাধ দিয়েছে। ওই খুনি টা পাখিগুলোকে হত্যা করেছিল আর এটা সত্যি অনেক কষ্টদায়ক। সৌভিক ওই খুনিটাকে ধরার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর এখন তো দেখছি তারা অনেক ভালো একটা প্ল্যান তৈরি করেছে। যেটা দেখে আমার মনে হচ্ছে তারা এতে সাকসেস হতে পারবে। খাবারের কাগজটা যেহেতু ওই খুনির হাতেও গিয়েছে তাই সে নিশ্চয়ই ফাঁদে পা দিবে। দাদা দেখতে দেখতে কিন্তু এই ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আজকের এই পর্বটা পড়তে। এখন এই ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্বে কি হবে এটা ভাবছি। সৌভিক কি তার প্ল্যান মত কাজ চালিয়ে যেতে পারবে কিনা এটা দেখতে হবে। দাদা আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্বটা পড়ার জন্য।
'ব্যাধ' ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। এই ওয়েব সিরিজটি একেবারে ভিন্ন ধরনের। নতুন নতুন ওয়েব সিরিজের রিভিউ পড়তে বেশ ভালো লাগে। এই ওয়েব সিরিজে মূলত একজন খুনিকে খোঁজা হচ্ছে। খুনি সত্যি অনেক নিকৃষ্ট কাজ করছে। পাখিগুলোকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এটা খুবই জঘন্য একটি কাজ। তবে কে এই কাজ করেছে যেটা এখনো সবার কাছে অজানা। কানাই আর সৌভিক বেশ ভালো বুদ্ধি করেছে। প্লান অনুযায়ী তারা এগিয়ে যাচ্ছে।সৌভিক খুনিতে ধরার জন্য ফাঁদ পেতেছে। আর উনিও মনে হয় সেই ফাঁদে পা দিবে। সৌভিক ম্যাপ ঘেটে একটি লোকেশন বের করে এবং একটি গ্রাম নির্ধারণ করে। আর মিডিয়ার মাধ্যমে সেটা প্রচার করে দেয়। যাতে করে সেই খবর খুনি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। আর খুনিও সেই ফাঁদে হয়তো পা দিবে। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।