দূর্গা পুজো ২০২৩ ( পর্ব ১২ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। গত এগারো পর্বে প্রতাপগড়ের তৈরিকৃত প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলাম। এই পর্বে আমি দুটি ক্লাবের আলোকচিত্র শেয়ার করবো। কারণ এই দুটি ক্লাবে তেমন বেশি একটা বড়ো করে না, ছোটোখাটো এর মধ্যে বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। তবে দেখতে একেবারে খারাপ হয় না, আলোকসজ্জার মাধ্যমে দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয় লাগে। তবে এই দুটি স্থানের প্যান্ডেলটি আসলে কোন থিমের উপরে তৈরি করা জানা নেই, কোথাও লেখা ছিল না আর শুনতেও দেখিনি। শুধু গিয়েছি আর দেখে বেরিয়ে এসেছিলাম। 'জ্ঞান বিকশনির' পুজো প্যান্ডেল অন্যান্য বছর অনেক বড়ো করে তৈরি করতো, কিন্তু ২৩ সালের এই প্যান্ডেলটি দেখে মনে হয়নি যে এখানে কোনো পুজো হচ্ছে বা কোনো প্যান্ডেল আছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
অনেক ছোট করে এইবার তৈরি করেছে। যেহেতু এর আগে একটি বড়ো পুজো তাই এটার আর চোখে না পড়ার মতো অবস্থা ছিল। তবে যেহেতু প্রতি বছর এই জায়গাটার পুজো দেখা হয় তাই জায়গাটা দেখে মনে পড়ে গিয়েছিলো যে, এখানে একটা পুজো হওয়ার কথা। লাইনটাও তেমন একটা ছিল না, হাতে গোনা কয়েকজনের লাইন, আসলে দেখার মতো তেমন একটা কিছু ছিল না এইবার। বাইরে গেটের মুখটা মোটামুটি করলেও ভিতরে ভালোই সাজিয়েছিল দেখলাম, মণ্ডপের আগে বাঁশ দিয়ে উপরে যেগুলো বেঁধেছে সেগুলো তেমন একটা কিছু না করলেও, যে ডিজাইনটা সাজিয়েছে তা দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয় লাগছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
ডিজাইনটা দেখে আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চই যে কি হতে পারে এইগুলো, সার্কেলের মধ্যে এবং বাইরে পাখি আর তাদের বাসা তৈরি করে দিয়েছে। সাইডে যে বেড়ার গায়ে পাতা আর ডালের মতো দেখা যাচ্ছে এইগুলো হাতের তৈরি, ডেকোরেশনটা বেশ ভালোই লাগছে দেখতে। এছাড়া মণ্ডপের মুখ্য দুয়ারে আমার কাছে ঈগলের মুখমন্ডলের ডিজাইনটা দেখতে ভালো লেগেছিলো, যেন থ্রি ডি একটা ডিজাইনের মতো করেছে। আসলে বাইরের থেকে প্যান্ডেলটি দেখতে অতটা আকর্ষণীয় না হলেও ভিতরে অনেক কিছু আকর্ষণীয় ব্যাপার ফুটিয়ে তুলেছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
মণ্ডপের ভিতরে আরো কিছু ছোটোখাটো পাখির আর বাসার ডিজাইন তুলে ধরেছে এবং এইগুলো সাদার উপরে গোলাপি লাইটিং দেওয়ায় চারিপাশটা দেখতে আরো সৌন্দর্যময় হয়ে উঠেছে। এরপর মায়ের মূর্তি দর্শন করে চলে এসেছিলাম। এরপর গিয়েছিলাম শিমুলতলার একটি স্থানের প্যান্ডেল দেখতে, এটাতে কোনো লাইটিং তেমন কিছু ডিজাইন করেনি, সাধারণভাবে তৈরি করেছে। এটাতে আসলে আমার দেখার কোনো টার্গেট ছিল না, কিন্তু গুগল আমাকে আরেকটায় নিয়ে যাওয়ার পথে ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়েছে এই প্যান্ডেলের সামনে দিয়ে তাই ঢুকে দেখে নিয়েছিলাম।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
তবে ছোটোখাটোর মধ্যে একেবারে যে খারাপ করেছে তা কিন্তু না, প্যান্ডেলটি দেখতে ভালোই লাগছে সামনের থেকে। তবে ভিতরে মায়ের মণ্ডপে সাজিয়েছে ঝাড়বাতি এইসব দিয়ে ভালোই। মায়ের মূর্তিটা বেশ ভালো করেছে আর অসুর বধের এই দৃশ্যটা দেখতে বেশ ভালো লাগছে। যাইহোক, এই ছিল মোটামুটি এই দুটি স্থানের কিছু আলোকচিত্র।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | বনগাঁ |
তারিখ | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
দাদা ছোটখাটো হলেও দেখতে কিন্তু অনেক চমৎকার লাগছে। এছাড়াও সেই থিমের নামটা আমিও বলতে পারছিনা। তবে আলোকসজ্জা এবং সব কিছু মিলিয়ে দারুন দেখতে লাগছে দাদা। তবে দাদা google ব্যবহার করে ভুল জায়গায় এসে ভালোই করেছেন। অনেক চমৎকার প্যান্ডেল দেখতে পেরেছেন সেই সাথে আমাদের কেউ দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এই পর্বে শেয়ার করা দুটি ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলই দেখে বেশ ভালো লাগলো। এই বছর যদিও বনগাঁয় গিয়ে পুজো প্যান্ডেল দেখার সুযোগ হয়নি। যাইহোক আপনার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সেইগুলো দেখার সুযোগ হলো। পুজো মন্ডপের মধ্যে ছোটোখাটো পাখি এবং পাখির বাসার ডিজাইন তৈরির আইডিয়াটা বেশ ভালো। এই পুজো প্যান্ডেল গুলো খুব বেশি বড় না হলেও আপনার কাছে বেশ ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনার শেয়ার করা দুটি ক্লাবের ফটোগ্রাফি গুলো একেবারে চোখ ধাঁধানো ছিলো। সীমিত জায়গার মধ্যে তারা চমৎকার আয়োজন করেছে। পাখির বাসাগুলো দারুণ লাগছে দেখতে। প্যান্ডেলগুলো একেবারে চমৎকার ভাবে সাজিয়েছে। সবমিলিয়ে প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
দাদা দুর্গা পুজো ২০২৩ এর অন্য সব পর্বের মত এই পর্বটাও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে দেখতে। গত পর্বে দেখেছিলাম প্রতাপগড়ের একটা স্থানের প্যান্ডেলের কিছু আলোকচিত্র। যেগুলো আমার কাছে জাস্ট অসাধারণ লেগেছিল। আর এই পর্বে আপনি দুইটা ভিন্ন স্থানের প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। কারণ প্যান্ডেল গুলো ছোট হলেও খুব সুন্দর লাগতেছে। সিম্পলের উপরে ছিল এই প্যান্ডেল গুলো বুঝতে পারতেছি দাদা। জ্ঞান বিকশনির পূজা প্যান্ডেল অন্যান্য বছর বড়সড় হলেও, এই বছর ছোট হওয়ার কারণে বোঝা যাচ্ছিল না তেমন। যাইহোক সেখানে অনেকক্ষণ পর্যন্ত থাকার পর google যেহেতু আপনাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, আর দ্বিতীয় প্যান্ডেলের ওখান দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল দেখে, আপনি সেখানে গিয়েছিলেন। এবং সেখান থেকেও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আর সেখানেও ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছেন, সব মিলিয়ে দেখে ভালো লাগলো। ভাগ্য ভালো যে গুগল সেখান দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, না হলে তো আমরা এই প্যান্ডেল দেখা মিস করতাম। সব মিলিয়ে দুইটা প্যান্ডেলের আলোকচিত্রই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে দেখতে।
দাদা আপনি আজকে দুর্গাপূজা ২০২৩ এর ১২ তম পর্ব সবার মাঝে সুন্দর করে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে আপনি অন্য সবগুলো পর্বের মতো এই পর্বটা শেয়ার করেছেন। আজকে আপনার এই পর্বের মাধ্যমে দুইটা প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখলাম দাদা। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর করে করেছেন এবং সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন দেখেই সুন্দরভাবে দেখতে পারলাম। খুব বেশি ডেকোরেশন না করলেও কিন্তু প্যান্ডেল গুলো দেখতে আমার কাছে এমনিতে সুন্দর লাগতেছে দাদা। google কিন্তু ভালোই করেছে আপনাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে নিয়ে গিয়ে। আর দ্বিতীয় প্যান্ডেলের সামনে দিয়ে যাওয়ার কারণেই সেখানে ঢুকেছিলেন। আর সুন্দর কিছু আলোকচিত্র করেছিলেন। আর এখন সুন্দরভাবে পুরোটা সবার মাঝে তুলে ধরলেন। দাদা দুর্গাপুজোর ২০২৩ এর ১৩ তম পর্ব টা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
দাদা দেখতে দেখতে দুর্গাপুজো ২০২৩ এর ১২ তম পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এই সবগুলো পর্বের মাধ্যমে ভিন্ন জায়গার ভিন্ন ১৩ টি প্যান্ডেলের দৃশ্য দেখতে পেলাম। প্রত্যেক পর্বে একটা প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করেছিলেন। কিন্তু আজকে ছোট ছোট দুইটি প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করলেন আপনি। google ভালোই করেছিল আপনাকে ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে। আর দ্বিতীয় প্যান্ডেলটার সামনে দিয়ে যাওয়ার কারণে আপনি সেখানে ঢুকেছিলেন। তারপর সেখানে ঢুকে অনেক সুন্দর করে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলেন, যেগুলো সবার মাঝে আজকে শেয়ার করলেন। দুটি প্যান্ডেল ছোট করে করা হয়েছিল। আর ছোট ভাবে প্যান্ডেল গুলো করলেও, এমনিতে কিন্তু সুন্দর লাগতেছে দাদা। ছোটখাটোর মধ্যে একেবারেও খারাপ লাগেনি এটা ঠিক দাদা। মূর্তিগুলোকেও যেমন সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল, তেমন ফটোগ্রাফিতে দেখতেও ভালো লাগতেছে। দাদা দুর্গা পুজো ২০২৩ এর নিশ্চয়ই আরো কয়েকটা পর্ব হবে। আমার তো মনে হচ্ছে যেভাবে আপনি পর্বগুলো শেয়ার করতেছেন বিশ পর্ব পার হয়ে যাবেই। তবে দেখা যাক আর কয়টা পর্ব শেয়ার করেন। এবং আমরা সুন্দর সুন্দর প্যান্ডেলের দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় আছি।
দাদা ভুল থেকে যদি দারুন কিছু হয় তাহলে ভুলই ভালো। গুগল মামা আপনাকে ভুল জাগায় নিলেও আপনার জন্য সেটা সঠিক ছিল। যার ফলে নতুন কিছু দেখতে পেরেছেন। আজকে জ্ঞান বিকশনির প্যান্ডেলটা ছোট হলেও কারুকার্য ছিল দারুন। আর সামনে যে ঈগলের মাথাটা লাগিয়েছে সেটাও অনেক সুন্দর ছিল। আর উপরে দেখলাম পাটের সুতলি দিয়ে কিছু ডিজাইন করেছে। সে গুলো দখতেও কিন্তুু তেমন খারাপ লাগেনি। আমার মনে হয় তাহলে অল্প বাজেটের মধ্যে সিম্পল কিছু করতে চেয়েছে। যার ফলে অল্প কাজের মধ্যে ভালোই সাজিয়েছে। বাহির থেকে দেখলে গুহার মত দেখা যায়। আর বাহিরে বাশঁ কেটে ডিজাইন করে করে তৈরী করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় যে প্যান্ডেলটা দেখলাম সেটাও দারুন ছিল। সেখানে বাহিরের গেইট টা কি দিয়ে বানিয়েছে সেটা বুঝা যাচ্ছে না তবে,দেখতে বিশাল বড় কোন রাজদরবারের গেইটের মত লাগছে। উপরে দুইটি ঘোড়া দিয়ে আকর্ষনটা বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে আজকের উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। এখন আমরা সবাই ১৩ তম পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
সত্যি কথা বলতে কি ভাই, বনগাঁর যতগুলো পূজা মন্ডপ এখন পর্যন্ত আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেরেছি, সবকটাই বেশ ভালো লেগেছে। এই পর্বের ছবিগুলোও বেশ ভালই উপভোগ করলাম।
আমার কাছে কিন্তু সত্যি খুবই ভালো লাগতেছে দাদা, আপনার দুর্গাপূজা ২০২৩ এর প্রত্যেকটা পর্ব। একটা একটা করে আপনি অনেক সুন্দর করে বিভিন্ন স্থানের পুজো প্যান্ডেলের আলোকচিত্র শেয়ার করতেছেন। প্রত্যেকটা পর্বের মাধ্যমে আপনি ভিন্ন ভিন্ন স্থানের পূজা প্যান্ডেলের আলোচিত্র গুলো শেয়ার করতেছেন দেখেই আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগতেছে। আর আমি করবো ১ থেকে পর্ব ১২ সবগুলো পর্ব দেখেছি। বারোটা পর্ব দেখতে দেখতে কিভাবে শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। আর প্রত্যেকটা পর্বের মাধ্যমেই ভিন্ন ভিন্ন রকমের প্যান্ডেল সাজানো ও দেখতে পেলাম। বিভিন্ন থিম নিয়ে তৈরি করা প্যান্ডেল গুলো খুবই ভালো লেগেছিল। যদিও আজকে দুটি প্যান্ডেলের আলোকচিত্র একসাথে শেয়ার করেছেন। তবে এগুলো ছিল ছোট ছোট। যার কারণে একসাথে শেয়ার করেছেন। গুগলের কারণেই দ্বিতীয় জায়গাটাতে আসা হয়েছে আপনার। তবে এটার জন্য গুগলকে ধন্যবাদই দিতে হয়। কারণ এইজন্যই তো আপনি সেখানে গিয়েছিলেন আর সবার মাঝে শেয়ার করবেন। এবং কি আমাদেরও দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আরো অনেকগুলো জায়গার পূজো প্যান্ডেলের আলোকচিত্র আশা করছি অন্য পর্বগুলোর মাধ্যমে দেখতে পাবো দাদা খুব শীঘ্রই।