মুভি রিভিউ: ইনসিডিয়াস-দ্যা লাস্ট কীয়
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করবো। এই মুভিটি হরর মুভি। এই মুভিটির দুটি পার্ট আছে, আজকে একটি শেয়ার করবো। প্রথম পার্টের এই মুভির নাম হলো "ইনসিডিয়াস: দ্যা লাস্ট কীয়"। তাহলে দেখা যাক কাহিনীটি কিভাবে কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
✠মূল কাহিনী:✠
কাহিনীটা সাধারণত শুরু হয় একটি বাড়িকে কেন্দ্র করে। একটি পরিবার বাড়িটি কেনার পরে তারা বেশ কিছুদিন ধরে ঠিকঠাক বসবাস করতে লাগে। তবে তাদের দুটি সন্তান ছিল একটি মেয়ে এবং একটি ছেলে। মেয়েটির ভিতরে একটা অদ্ভুত ধরণের শক্তি ছিল অর্থাৎ মেয়েটা আগে থেকেই সবকিছু বুঝতে পারতো এবং যেটা সাধারণ মানুষ সামনে না দেখতে পায় সেটা সে দেখতে পায়। আর দেখার বিষয় সাধারণত সামনে আমরা যে জিনিষটা দেখতে পাইনা সেটা হলো অদৃশ্য কোনো কিছু, সেটা হতে পারে অদৃশ্য আত্মা। ঠিক সেইরকমই এই মেয়েটা ঘরের মধ্যে আত্মা দেখতে পেতো, এবং তার ধারণা ছিল যে এই ঘরের মধ্যে অনেকগুলো আত্মা আছে এবং তার মধ্যে ভালো আত্মাও আছে আবার খারাপ আত্মাও আছে। এই বিষয়টা তার মা বুঝতে পারলেও তার বাবা বুঝতে চাইতো না, সবসময় হেয়ালি করতো এই বিষয়টাকে। আর মেয়েটা যখনি এই আত্মার কথা তুলতো তখন তার বাবা তার উপর রেগে গিয়ে খুবই মারধর করতো এবং সেটা প্রতিনিয়ত চলতে থাকে। একদিন রাতে মেয়েটা শুতে যাওয়ার সময় দেখে তার ঘরে খেলনার জিনিসপত্র অগোছালো ভাবে পড়ে আছে আর মেয়েটি জানতো যে এই ঘরে একটা বাচ্চা আছে যে আত্মা রূপে ঘোরাঘুরি করে অর্থাৎ এই ঘরে আগে যারা থাকতো তাদের আত্মাও এই ঘরের মধ্যে ঘোরাঘুরি করে আর আত্মাগুলোও মেয়েটার সাথে ফিস ফিস করে কথা বলে।
একদিন যখন মেয়েটির বাবা তাকে সিঁড়ির নিচে একটি অন্ধকার ঘরে বন্দি করে রাখে তখন মেয়েটি জেনারেটরের মাধ্যমে কিছু লাইট কোনোমতে জ্বালায় কিন্তু পরোক্ষনে বন্ধ হয়ে যায় আর তারপর একটি দরোজার ওপার থেকে একটি খারাপ আত্মা ফিস ফিস করে তার সাথে কথা বলতে লাগে এবং পাশের থেকে একটি চাবি নিয়ে সেই দরজাটা খুলতে বলে। এরপর আত্মাটি বেরিয়ে এসে মেয়েকে বস করে ফেলে। মেয়েটি চিল্লালে তার মা চলে আসে কিন্তু তার মাকেও সেই আত্মাটা মেরে ফেলে। এরপর তার বাবা এসে মেয়েটিকে খুবই মারধর করলে পরে সবাইকে ফেলে ঘর ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়া চলে যায় আর একা একা জীবন অতিবাহিত করে। এরপর অনেকটা বছর কেটে যায় এবং সেই মেয়েটা অনেক বৃদ্ধ হয়ে যায়। তবে সে তার জীবনে পরবর্তীতে আত্মাদের থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় বা তাদের কিভাবে তাড়ানো যায় এইরকম আর কি বিষয়ের উপরে জ্ঞান অর্জন করে এবং এটাকেই সে তার প্রফেশনমূলক কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছিল। যাইহোক অনেক বছর বাদে সেই বাড়িটা পরে আরেকটা লোক ক্রয় করলে তার সাথেও একই রকম ভৌতিক সমস্যা হতে লাগে এবং তাকে ফোন করলে প্রথমে ওই বাড়িতে আর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু পরে আবার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই আত্মাগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়ার চিন্তা করে। সাথে আবার তার দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্টও ছিল।
যাইহোক ক্যালিফোর্নিয়া থেকে অনেকদূর জার্নি করে তার শৈশবের সেই বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। এরপর রাতের দিকে ওই ঘরে সে একা অতিবাহিত করার কথা বলে, তবে তার অ্যাসিস্ট্যান্ট তার কাপড়ে একটা ক্যামেরা আর কানে একটা মাইক্রোফোন সেট করে রাখে যাতে করে ভিতরের সবকিছু ক্যামেরায় ধরা পড়লে তারা বাইরে গাড়িতে বসে দেখতে পারে এবং তাকে সতর্ক করতে পারে। এরপর সে ঘরের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় যেতে লাগে এবং তাদের ক্যামেরায় কিছু আত্মা দেখতে পায় বাইরের থেকে কিন্তু সে সামনে দেখতে পায় না বিষয়গুলো। তবে পিছন থেকে একটা আত্মা তার গলা জড়িয়ে ধরে বলে "আমাকে সাহায্য করো" অর্থাৎ সে তাদের কাছে সাহায্য চায় কোনো বিষয়ে । এরপর পরেরদিন আবার রাতে কাজে লেগে পড়ে তবে এইবার সামনে একজনকে দেখতে পায় ঠিকই কিন্তু সে আত্মা ছিল না বরং সে মানুষ ছিল যাকে বর্তমান এই বাড়িওয়ালা গলায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। এরপর সেই বাড়িওয়ালার সাথে তার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট এর এই নিয়ে ধস্তাধস্তি হয় আর তাকে মেরে ফেলে। যাইহোক, এরপর তারা সবাই একটা ক্যাফে গেলে সেখানে তার ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে যায় কিন্তু তার ভাই তার উপরে রেগে থাকে, কারণ তাকে একা ফেলে চলে গিয়েছিলো। তার ভাইয়ের আবার দুইজন কন্যা আছে। যাইহোক তার ভাই তার সাথে আর কথা না বলে সেখান থেকে চলে যায়।
তবে পরে তার ভাই ওই ঘরটিতে একটা জিনিস খুঁজতে আসে, যেটা তার মা ছোটবেলায় তাকে দিয়েছিলো যাতে কোনো বিপদ হলে আর সেই দেওয়া বাঁশি বাজালে তার মা সাথে সাথে চলে আসবে। তার দুই কন্যা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে লাগে এবং একজন খুঁজতে খুঁজতে একটি রুমে যায় যেখানে এক গাদা চাবি রাখা ছিল আর ওটাতে হাত দিতেই একটি আত্মা তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আর চাবি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। পরে এলাইস নামক সেই মেয়েটি এসে তাকে বাঁচায় আর তাকে হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সে সিদ্ধান্ত নেয় যে আজকেই এই ঘর থেকে সমস্ত আত্মাগুলোকে মুক্তি দিয়ে ছাড়বে। সে তার একজন অ্যাসিস্ট্যান্টদের নিয়ে একটি ক্যানেলের ভিতরে যায় এবং সেখানে কিছু সুটকেস দেখে যার মধ্যে অনেকজনের মাথার খুলি পড়ে আছে। আর এইগুলোর পিছনে একটা কারণ হলো তার বাবা লুকিয়ে লুকিয়ে অনেক মানুষজনকে মেরে ওইভাবে সুটকেস বন্দি করে ওখানে রাখতো আর তার কারণে সেই সমস্ত আত্মা এই ঘরের ভিতরে ঘোরাঘুরি করতে লাগে। এরপর এলাইস সেখান থেকে বেরিয়ে আসলেও সে অন্য দুনিয়ায় চলে যায় অর্থাৎ আত্মাদের দুনিয়ায়, কেবল তার শরিরটা এখানে থাকে। আমরা যেটাকে বলি হাইপোটোনাইস, যার মাধ্যমে মানুষ স্থূল শরীরটাকে রেখে শুষ্ক শরীরটাকে আত্মারূপে বাইরে নিয়ে যায়।
যাইহোক সেখানে গিয়ে সে বিপদে পড়লে তার ভাইয়ের আরেকজন মেয়ে তাকে সাহায্য করার জন্য সেই দুনিয়ায় যায় অ্যাসিস্ট্যান্টদের সাহায্য নিয়ে। এরপর সেখানে খারাপ আত্মাগুলো তাকে এটাক করলেও একটা ভালো আত্মা মেয়েটিকে রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে যায় যেখানে এলাইসকে আটকে রেখেছিলো। এরপর সেখানে গেলে তাদের দুইজনের উপরেও আবার হামলা করলে এলাইস সেই বাঁশি বাজালে তার মা চলে আসে,কারণ তার মাও সেখানে আত্মা রূপে আটকে ছিল। যাইহোক এইভাবে তারা সেই খারাপ আত্মাকে ধংস করে নিজের নিজের শরীরে ফিরে আসে।
✠ব্যক্তিগত মতামত:✠
ওই ঘরটি আসলে বর্তমান সময়ে এবং পরেও একটা ভুতুড়ে ঘর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যায় জনসাধারণের কাছে। তবুও মাঝে মধ্যে অনেকে এই প্রপার্টি কিনে বসবাস করলেও একইরকম সমস্যায় ভুগতে থাকে, অর্থাৎ রাতে তারা কারো চলার শব্দ, হাঁটার শব্দ, কান্নার শব্দ ইত্যাদি এইরকম নানাবিধ। এইটার সৃষ্টি করেছিল এলাইস এর বাবা। আর তারা বাবা একপ্রকার শয়তান টাইপ এর লোক ছিল, সবসময় মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করতো, আর মারধর করতো। যার ফলে সে দিন দিন অনেক মানুষকে গোপন রুমে আটকে রাখতো সে মহিলা হোক আর পুরুষ মানুষ হোক, লাঠি দিয়ে মেরে মেরে মেরে ফেলতো অনেক সময়। এইভাবে বহু মানুষকে মেরে ঘরের একটা ক্যানেলের ভিতরে সুটকেস করে বন্ধি করে রাখতো। আর এইটা বাড়ির অন্যরা কিছু জানতো না, আর তার মেয়ে যে আত্মা দেখতে পেয়েছে বলতো, এর আসল সত্য সে কিন্তু জানতো, তবে স্বীকার করতো না এই একটা কারণে। কারণ সে নিজেই এই আত্মাদের তৈরি করেছে। তবে একটা দরোজার বাইরে বন্দি ছিল সবাই, যেটা এই এলাইস নামক মেয়েটা চাবি দিয়ে খুলে আত্মাদের মুক্ত করে দিয়েছিলো আর সেখান থেকেই এই কাহিনী শুরু হয়েছিল।
✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.৪/১০
✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠
দাদা আজকে আপনি অনেক সুন্দর একটা হরর মুভির দুটি পাটের মধ্যে প্রথম পার্টের রিভিউ পোস্ট করেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে হরর মুভিটির রিভিউ পোস্ট পড়তে। আসলে আমি হরর মুভি গুলো দেখতে খুব পছন্দ করি। ভুতুড়ে যে কোন কিছু শুনতে পড়তে এবং কি দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে অনেকদিন হয়ে গিয়েছে এরকম হরর মুভি গুলো দেখা হয় না আমার একেবারেই। এই এলাইসের এতটা জঘন্য, কিন্তু তার কন্যা এলাইস অনেক বেশি ভালো। ওই বাড়িটিতে এতগুলো আত্মা থাকার কারণ হচ্ছে এলাইসের বাবা। তিনি প্রত্যেকটা মানুষকে মেরে ঘরটাতে বন্দী করে রাখত। আর সেজন্য পুরো ঘরে আত্মার বসবাস হয়ে গিয়েছিল। যখন মেয়েটি তার ফ্যামিলিকে বলতো সে আত্মা দেখেছে, কিন্তু তার বাবা জানার সত্ত্বেও সব সময় অস্বীকার করতো এটা নিজের স্বইচ্ছায়। তিনি প্রত্যেকটা মানুষকে অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে। এটা ভাবতেই অনেক বেশি খারাপ লাগছে। এতগুলো মানুষকে মারার সময় তার মধ্যে একটু মায়া ও কাজ করেনি। তিনি সত্যি একজন জঘন্য মনের মানুষ। নিজের মেয়েটাকে পর্যন্ত মারধর করতো বেশিরভাগ সময়। এরকম মুভিগুলো অনেক রাতে দেখলে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমিতো ভাবছি এই মুভিটা দেখার চেষ্টা করব সময় পেলে। যাইহোক দাদা পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা যদিও এরকম হরহর মুভি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভয় লাগে, তবে আপনার রিভিউটা পড়ে ভয় লেগেছে আবার ভালোও লেগেছে। ইনসিডিয়াস- দ্যা লাস্ট কীয় হরহর মুভি টির প্রথম খন্ডটা পড়ে ভালোই লাগলো দাদা। এলাইসের বাবা অনেক বেশি খারাপ ছিল এটা পড়েই বুঝতে পারছি। তার বাবা মানুষদেরকে মারধর করে একেবারে মেরে ফেলে। আর যে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিল, সেই ঘরে প্রত্যেকটা মানুষের আত্মা ছিল। মেয়েটার মধ্যে অদ্ভুত শক্তি থাকার কারণেই তো সে আত্মা দেরকে দেখতে পেরেছিল। তার বাবা ই তো এসব কিছু সৃষ্টি করেছিল, যার কারণে তিনি বুঝার পরেও স্বীকার করত না, এই বিষয়টা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি দাদা। দেখা যাক পরবর্তী খন্ডে কি হয়। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
হরর মুভি দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে এখন কেন জানি সময়ের সাথে সাথে সব ইচ্ছে গুলো হারিয়ে গেছে। এখন মাসের পর মাস কখনো হরর মুভি দেখা হয় না। একটা সময় অনেক দেখতাম। রাত জেগে হরর মুভি দেখতাম আর ভয় পেয়ে বসে থাকতাম। এই মুভিটির গল্প পড়ে মনে হল মুভিটি বেশ ভয়ংকর আছে।এলাইস এর বাবা আসলে সবকিছুর জন্য দায়ী। তিনি সবকিছুর পেছনে রয়েছেনে। হঠাৎ মাঝরাতে কারো চলার শব্দ, কারো কান্নার আওয়াজ আর ভয়ংকর সব ঘটনা ঘটতো। এই বিষয়গুলো সত্যি অনেক ভয়ের। তবে এলাইস এর বাবা কিন্তু অনেক খারাপ কাজ করেছে। এভাবে মানুষগুলোকে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে এটা সত্যি অনেক ঘৃণ্য কাজ করেছে। তিনি আসলে এই বাড়িটাতে সবাইকে আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু তার মেয়ে সেসব আত্মাদের মুক্তি করে দিয়েছে। গল্পের কাহিনীচিত্র একেবারেই আলাদা ছিল। আর হরর মুভি গুলোতে ভয়ংকর সব সিন থাকলে মুভি দেখার প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যায়। রাতের বেলার দৃশ্য আর আত্মাদের আনাগোনা সব মিলিয়ে এই মুভিটি বেশ আকর্ষণীয় ছিল বোঝাই যাচ্ছে। সময় পেলে অবশ্যই দেখার চেষ্টা করব দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
প্রিয় দাদা, খুবই রহস্যজনক একটি মুভি রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে দাদা এ ধরনের আত্মা সম্পর্কীয় মুভি গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি অবশ্যই সময় পেলে আপনার রিভিউ করা "ইনসিডিয়াস-দ্যা লাস্ট কীয়" মুভিটি দেখে নিব। দারুন একটি মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি খুব ভয়ংকর মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আসলে আমি এ রকম মুভি খুব কম দেখি। তবে আপনি যেহেতু ইনসিডিয়াস:দ্যা লাস্ট কীয় মুভির কাহিনী সহ এর বর্ণনা করেছেন তাই এই মুভিটি দেখার চেষ্টা করব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ইনসিডিয়াস:দ্যা লাস্ট মুভিটি শেয়ার করে জানানোর জন্য ভালো থাকবেন।
কত বড় খারাপ মানুষ হলে এমন কাজ করতে পারে চিন্তা করা যায়। এলাইস এর বাবা সত্যিই একজন জঘন্য মানুষ। আর এই জঘন্য মানুষের ঘরে জন্ম নিলো এলাইসের মত একজন ভাল মানুষ। এলাইস যা বলেছে সেটা সত্যিই বলেছে কিন্তুু তার বাবা জেনেও না জানার ভঙ্গি ধরেছে। সব কিছুর মূল তো সে নিজেই। আমার কথা হলো সবাই জানে যে এটা একটি ভূতের বাড়ি তারপরও মানুষ ঐ বাড়িতে যায় কেন সেটাই বুঝি না। যায়হোক দেখা যাক পরের পর্বে কি অপেক্ষা করছে। ধন্যবাদ দাদা।
ইনসিডিয়াস- প্রথম পর্ব দ্যা লাস্ট কীয় এই পর্ব টা দেখছি হরর মুভি। এইরকম মুভি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভয় লাগে। বিশেষ করে রাতে যদি এই ধরনের মুভি দেখি তখন বেশি ভয় লাগে। তবে এখানে দেখছি এলাইস এর বাবার জন্যই মূলত এত সব ঘটনা গুলো ঘটেছে। বিশেষ করে মানুষকে নির্যাতন করে আটকে রাখতো। আর এইসব কিছুর কারণেই দেখছি মূলত এটা একটা ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। আর যখন বর্তমানে অন্য কেউ বাড়িটা নিয়েছে তখন তাদের সাথে ভয়ঙ্কর সব ঘটনাগুলো ঘটতে ছিল। আসলে লোকটা সবাইকে আটকে রেখে গেলেও তার মেয়ে নিজেই সব আত্মাগুলোকে মুক্ত করে দিয়েছিল। এইসব ঘটনাগুলো দেখতে ভীষণ আকর্ষণীয় লাগে। এই রিভিউ টা পরেও অনেক আকর্ষণীয় লেগেছে। পরের পর্ব টা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
দাদা এটা তো দেখছি একটা ভুতুড়ে বাড়ির কাহিনী। এইরকম ভুতুড়ে বাড়িতে থাকতে সত্যিই ভীষণ ভয় লাগবে। তবে এই ধরনের কাহিনী গুলো পড়তে কিংবা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। অবশ্য রাতে দেখলে কিছুটা ভয় লাগে নিজের কাছে। এখানে তো দেখছি বিষয়টার জন্য এলাইসের বাবা দায়ী। সে মূলত মানুষদেরকে মারধোর করতো আর আটকে রাখতো। কিন্তু সে বাড়ির মধ্যে আটকে রাখলেও তার মেয়ে সকল আত্মাদেরকে মুক্তি দিয়ে ফেলেছে। আর এইসব গুলো নতুন যারা বাড়িতে এসেছে তাদের উপর পড়ছে। একেবারে ভয়ঙ্কর আওয়াজ, হাঁটার শব্দ, চলার শব্দগুলো শুনতে পেত তারা। যাই হোক এলআইসের বাবা লোকটি খুবই খারাপ একজন মানুষ। তবে এই ধরনের একটি কাহিনী পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বটা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।