কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র ( পর্ব ৯ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
আজকে আপনাদের সাথে কালী পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এইটা বারাসাত শহরের শেষ দেখা কালী পুজো। আরো অনেক ছিল, তবে এইবার আর অতো বেশি দেখা হয়নি, গুনে গুনে যে কয়টা ভালো হয়েছে, সেগুলোই দেখে শেষ করেছিলাম। এই পুজোর আলোকচিত্র তেমন একটা বেশি না, কারণ এই পুজোটা ছোট করেই করেছে এইবার। এই পুজোটা বারাসাত স্টেশন চত্বরের দিকে হয়ে থাকে, তবে এইটা বেশ ভালোই বড়ো করে থাকে। কিন্তু এইবার দেখে তেমন একটা জাকজমক মনে হয়নি।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই পুজোটার এইবার যে থিম ছিল, সেটা ভুলে গেছি। তবে সময়ের চক্র বা সময়ের ব্যবধান এইরকম কিছু একটা হবে। অনেকদিন হয়ে গিয়েছে তো, সঠিক মনে পড়ছে না। এইটা বাড়ি আসার পথে ভোর রাতের দিকে দেখতে গিয়েছিলাম, আর তেমন একটা ভালো লাগেনি বাইরের থেকে দেখে তাই থিমের দিকে বেশি একটা গুরুত্ত্ব দেওয়া হয়নি। ওখানে লোকমুখে শুনছিলাম এইরকম সময়ের চক্র কিছু একটা। আসলে ভিতরের থিমটা বা ডিজাইন দেখেও সেইরকম মনে হয়েছে যে থিমটা এইরকম একটা কিছু। আসলে প্যান্ডেলটি বাইরের থেকে অতটা বেশি ভালো মনে না হলেও ভিতরে বেশ ভালো সাজানো গুছানো করেছে সবকিছু।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
লাইটিংটাও অনেক সুন্দর করেছে, তবে কিছু কিছু জায়গায় নীল লাইট এর ইফেক্টটা এতো বেশি পড়েছে যে, ক্যামেরায় ধরলে যেন, ছবির পরিবর্তে চারিদিক শুধু নীলাভ বর্ণ দেখা যাচ্ছে। ক্যামেরা ভালো না হলে এই লাইট এ ছবি তোলাও অনেক সমস্যা। প্যান্ডেলের ভিতরে যে ডিজাইন তা অনেকটা জালের মতো অর্থাৎ ডিজাইনটা দেখলে মাকড়শার জাল যেমন বুনা থাকে, ঠিক সেইরকম। এর মাধ্যমেই সময়ের অর্থ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে। এই নীল লাইট গুলোর জায়গায় বুঝতে সমস্যা হতে পারে, কারণ তেমন দেখা যাচ্ছে না, এখানে সামনে বড়ো একটা মাথার মূর্তি মতো করা আছে আর পাশে পঙ্খিরাজ ঘোড়া তৈরি করা আছে।
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
![]() |
---|
Photo by @winkles
এই ঘোড়াগুলোর পাখনা লাগানো আছে, দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিলো সামনের থেকে। এছাড়া সাইটের দিকে কিছু ডিজাইন খাঁচার মতো করেছে, যেখানে বাদ্যযন্ত্র এবং অন্য আরেকটায় বাস, গরুর গাড়ির চাকা এইসব তুলে ধরেছে। যাইহোক, এরপর মায়ের মূর্তির পিছনে ব্যাকগ্রাউন্ড এর দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন যে, বড়ো একটা ঘড়ি, যেটাতে রোমান হরফে ডিজাইন করা। প্যান্ডেলটি মোটামুটি ছোট হলেও, ভিতরে ছোটোখাটোর মধ্যে ডিজাইনগুলো অসাধারণ করেছে। সবমিলিয়ে একেবারে খারাপ ছিল না, দেখার পরে যা বুঝেছিলাম।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | বারাসাত |
তারিখ | ১৩ নভেম্বর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/813259193313394728.gif)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.discordapp.com/emojis/779167798706438164.gif)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পুজোতে গিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো। বিশেষ করে বারাসাতে গিয়ে পুজোর প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো আমার বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন এবং বর্ণনা গুলো পড়ে আরো ভালো লাগলো।
কালীপূজায় গিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।পূজা মন্ডপের এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে দাদা আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। তেমনি বর্ণনাও করেছেন। আর এই বর্ণনা গুলো জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।
আসলেই দাদা অনেকদিন অতিবাহিত হয়ে গেলে, আমরা অনেক সময় অনেক কিছুই ভুলে যাই। তবে তারা প্যান্ডেলের ভিতরে অনেক সুন্দর আয়োজন করলেও,বাহিরের দিকটাও মোটামুটি সুন্দর করা দরকার ছিলো। এতে করে মানুষের আকর্ষণ আরো বাড়তো পূজা প্যান্ডেলের দিকে। বলতে গেলে শুধুমাত্র পূজা প্যান্ডেল না,বরং যেকোনো জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে চাইলে, অবশ্যই বাহিরের দিকটা আকর্ষণীয় করতে হয়। যাইহোক আমার কাছেও মনে হচ্ছে থিমটা সময়ের ব্যবধান বা সময়ের চক্র হবে। কারণ পূজা মন্ডপের বড় ঘড়িটা দেখে সেটাই মনে হচ্ছে। যাইহোক ভিতরের আয়োজনটা আসলেই খুব সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে দাদা। তবে ভিতরের নীল রঙের লাইটিংটা অনেক বেশি মনে হচ্ছে। যাইহোক সবমিলিয়ে পোস্টটি খুব ভালো লাগলো দাদা। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
এবারে বারাসাত শহরের শেষ কালীপুজোর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো দাদা।দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। দাদা আপনাদের ইন্ডিয়াতে পুজোগুলোতে প্রতিটি মন্দিরেই আলাদা আলাদা থিমের পূজা হয় এটা দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
দাদা দেখতে দেখতে কালীপুজোর আলোকচিত্রের নয় তম পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আমার কাছে কিন্তু অন্য সব পর্বের মতো নয় তম পর্বটাও অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই পর্বে আপনি বারাসাতের শেষ দেখা প্যান্ডেলের কালীপুজোর আলোকচিত্র সবার মাঝে শেয়ার করেছেন। এটার থিমের নাম ভুলে গেলেও আপনি আলোকচিত্রগুলো সুন্দর করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো দাদা। লাইটিং টা দেখে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, এটা কিন্তু অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে দাদা। এই পুজোটা ছোট করে করলেও সাজানোটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর সবকিছুর সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করার কারণে দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাদের মায়ের মূর্তিটাকেও সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আর মায়ের মূর্তির পেছনের অংশ দেখছি ঘড়ির মতো করে দেওয়া হয়েছে। উপরের ডিজাইন গুলো কিছুটা মাকড়সার জলের মতো সাজানো হয়েছে দাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা, এই পর্বটার মাধ্যমে এই প্যান্ডেলের আলোকচিত্র সুন্দরভাবে করে সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন দাদা।
দাদা সারা রাত আর কত দেখা যায়। তাও তো অনেক দেখেছেন। বাইক আছে বিধায় এত গুলো প্যান্ডেল ঘুরতে পেরেছেন। আমি হলে তো দুই একটা দেখেই বাড়ি এসে নাক ডেকে ঘুম দিতাম। যায়হোক সর্ব শেষে যেটা দেখেছেন সেটাও মোটামুটি অনেক সুন্দর হয়েছে। প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষ যথা সম্ভব চেষ্টা করেছে ভিন্ন কিছু তুলে ধরতে। আপনি যে ধারনা করেছেন এবারের থিম ছিল সময়ের চক্র বা সময়ের ব্যবধান এইরকম কিছু,আসলেই সেটা ঠিক ধরেছেন। প্রথম ফটোগ্রাফিতে দেখতে পেলাম একটি মেয়ে উপর থেকে পড়ে যাচ্ছে এমন একটা কিছু আবার মানুষের মাথা,মাকর্শার জাল,বাদ্য যন্ত্র এগুলো দিয়ে সে দিকেই ইশারা করা হয়েছে। তবে নীল কালারটা বেশি পড়ে গেছে। যার ফলে স্পষ্ট সব কিছু দেখা যায় না। তবে যারা ফটোগ্রাফি করেনি তারা খুব সুন্দর উপভোগ করেছে। মানুষের আনাগুনা ভালোই দেখলাম। বিশাল বড় একটি ঘড়িও দেখলাম। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে খুব সুন্দর একটি বক্স বানিয়ে তার ভিতরে একটি গিটার রাখা আছে। এটা দিয়ে কোন বিষয়টা বুঝানো হয়েছে সেটা বুঝলাম না। সব মিলিয়ে পর্বটা দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ।
দাদা আমার কাছে আপনার কালীপুজোর প্রত্যেকটা পর্ব খুবই ভালো লেগেছে। সবগুলো পর্ব আমার দেখা হয়েছে। আজকে নয় পর্ব দেখলাম, যার মাধ্যমে ছোটখাটো একটা পুজোর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র দেখতে পেয়েছি। বারাসাতের শেষ পুজো প্যান্ডেল এর ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করেছেন আপনি। একেবারে শেষে আপনি এই জায়গাটাতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো দাদা। আসলে দাদা সব সময় সবকিছু মনে রাখা একেবারে সম্ভব না। তাই আপনি এইটার থিম ভুলে গিয়েছিলেন। খাঁচার মত করা ডিজাইন টা দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে খাঁচাটার মধ্যে অনেক সুন্দর লাইটিং করেছে। চার পাঁচটা মাকড়সার জালের মত করে ডিজাইন করা হয়েছে আর কয়েকটা বর্ণ বসানো হয়েছে। সবগুলো আলোকচিত্র আমি যত দেখছিলাম আমার কাছে ততই খুব ভালো লাগছিল দাদা। এই ধরনের আলোকচিত্র গুলো যত দেখি ততই দেখতে ইচ্ছে করে শুধু। ধন্যবাদ দাদা সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দরভাবে করে, পুরোটা আমাদের মাঝে সুন্দর করে লিখে শেয়ার করার জন্য।