ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ব্যাধ ( পর্ব ৪ )
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে 'ব্যাধ' ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "The Bait". গত পর্বে দেখেছিলাম সৌভিক ওই খুনি লোকটাকে ধরার জন্য প্ল্যান করে। আর এই প্ল্যানটা আজকে দেখবো কতদূর কি হয়।
✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠
☬মূল কাহিনী:☬
তো সৌভিক আসলে কানাই এর সাথে বসে যে প্ল্যানটা করেছিল, সেটি হলো এইবার তারাই ওই ব্যাধ লোকটার জন্য গ্রাম ঠিক করে দেবে আর তখনি তাকে হাতেনাতে ধরবে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে একটি গ্রাম বের করে আর সেটি খবরের কাগজেও ছেড়ে দেয় যাতে এই বিষয়টা তার কান অব্দি পৌঁছায়। তবে এই লোকটা আবার কিছু ছেলেমেয়ে নিয়ে টিউশনি করে। তো একদিন পড়াতে পড়াতে খবরের কাগজ পড়তে লাগে, তখন সেই গ্রামটার নাম দেখতে পায় যেখানে ফসল খারাপ হয়েছে। এদিকে সেই প্ল্যান মাফিক সৌভিক, কানাই আর সেখানকার লোকাল থানার কিছু লোকজন নিয়ে স্থানটিতে পৌঁছায় আর সেখানে কিছু ছদ্দবেশে থাকে যাতে বুঝতে না পারে। সৌভিক আর কানাই বাঁশ বাগানের ওখানে লুকিয়ে থাকে, কারণ পাখি ধরতে আসলে ওখানেই আসবে ধরতে। বেশ অনেক্ষন পরে বাঁশ বাগানের মধ্যে দিয়ে একজনকে আসতে দেখে এবং লোকটাও খুব চালাকি করে আসতে থাকে। এরপর লোকটা একটা লাঠির মাথায় কাস্তে বেঁধে একধরণের আঠা লাগায়, যেটা পাখি ধরার একটা নতুন টেকনিকও বলা যায়।
মানে এর মাধ্যমে পাখির কাছে নিয়ে গেলেই একটু টাস হওয়ার সাথে সাথে আঠায় আটকে যাবে। আর তারাও অপেক্ষা করতে থাকে, কখন পাখি ধরবে আর তখন হামলা করবে। তবে তার আগেই সৌভিক এর পায়ের আওয়াজ পেয়ে লোকটা ভয়ে পালায়। কিন্তু সৌভিক ধরে ফেলে, ধরলেও সে ধরেছে একটা ভুল লোককে। কারণ যে লোকটা পাখি ধরতে এসেছিলো, এ আসলে চড়াই পাখি ছাড়া আর অন্যান্য বড়ো পাখি এইভাবে ধরে বাজারে বিক্রি করে থাকে, কিন্তু মারে না। তবুও সন্দেহ গেলো না, একজন অফিসার গ্রামের সবার কাছ থেকে শুনে কনফার্ম হয় যে এই লোকটা এই ধরণের কাজ করে চলে। তবে তার বাড়ির থেকে যে দুটি কাঁস্তে উদ্ধার করে আর তার পায়ের ছাপ ফরেনসিক পরীক্ষা করে মিলিয়ে দেখবে যে আগেরটার সাথে মিল আছে কিনা।
তবে এর মধ্যে একজন এসে বলে নদীর ধারে অনেকগুলো পাখির মৃত বডি পড়ে আছে। আর যে মেরেছে সেও ওখানেই ছিল, কিন্তু যেহেতু তাকে কেউ চেনে না, তাই ধরতেও পারেনি। এই নিয়ে সৌভিক এর মেজাজ গরম হয়ে যায়, কারণ এতো প্ল্যান করার পরেও হাতের থেকে ফসকে গেলো। তবে এই বিষয়টা নিয়ে তার মায়ের সাথে বাড়িতে আলোচনা করে যে এর কোনো সমাধান দিতে পারে কিনা। তবে তার মা এই চড়াই পাখি নিয়ে লেখা একটা বই পড়েছিল আর সেখানে লেখা ছিল চড়াই পাখি ফসলের ক্ষতির জন্য প্রধান দায়ী আর এই কথাটার সাথে এই মামলার যোগসূত্র থাকতে পারে। সৌভিক তাই এই বইয়ের লেখকের সাথে দেখা করার জন্য বইয়ের দোকানে যায় আর খোঁজ করে, কিন্তু তারা কিছুই বলতে পারে না, কারণ লেখাগুলো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাঠাতো। তবে পাঠালেও খামের উপরে ঠিকানা থাকে, সেটা দেখতে চায়।
☬ব্যক্তিগত মতামত:☬
এই ব্যাধ লোকটা আসলে খুবই চালাকির সাথে সাথে কাজ করে যাচ্ছে, মানে এরা যেটা ভাবে তার এক ধাপ আগে চলে। তাকে ধরার জন্য ডেকে নিয়ে আসলো নিজেদের পছন্দের গ্রামে, কিন্তু কেসটা হলো উল্টো। এদিকে অন্যজনের পিছনে দৌড়ালো আর খুনি আরেক জায়গায় গিয়ে পাখিগুলোকে ধরে মেরে ফেললো। এই খুনির চড়াই পাখি আর ফসলের ক্ষতির পিছনে অনেক বড়ো যুগসূত্র আছে সেটা বোঝা গেলো। কারণ এই বইয়ে লেখার অর্থ এটাই বোঝায়। আর সাধারণত এই বইয়ের যে লেখক মধুসূদন দত্ত সে আর এই ব্যক্তি একই হতে পারে। আর এই চিঠিগুলো যেহেতু মুকুন্দপুর গ্রামের পোস্ট অফিস থেকে পাঠিয়ে থাকে, তাই তার বাড়িও সেখানে হবে। তাই সৌভিক আর কানাই মুকুন্দপুর গিয়ে পোস্ট অফিস থেকে ঠিকানা নিয়ে তার বাড়ির দিকে যায়। এইবার এই লোকটা ধরা পড়বে কিনা সেটার একটা বড়ো রহস্য লুকিয়ে আছে।
☬ব্যক্তিগত রেটিং:☬
৮.৭/১০
☬ট্রেইলার লিঙ্ক:☬
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জি, দাদা এটা আমার কাছেও নতুন টেকনিক মনে হয়েছে, আর আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে যা উপলব্ধি করতে পারলাম সিরিজটা বেশ রহস্যময়, একদিক থেকে যেমন ইন্টারেস্টিং মনে হল অন্য দিক থেকে যখন চড়ুই পাখি গুলো হত্যা করা হয়েছিল তখন মনটা খুবই খারাপ খারাপ হয়ে গেছিল 😓 কারণ পাখি হলো সৌন্দর্যের প্রতীক এগুলো হত্যা করা উচিত নয় ):
সিরিজটা এখন খুবই টানটান উত্তেজনা এবং রহস্যময় অবস্থায় আছে এখন দেখার পালা হচ্ছে সৌভিক এবং কানাই এর হাতে লোকটি ধরা পড়বে কিনা.....|:
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দা 💞
কলকাতার আর কিছু ভালো না লাগলেও ওয়েব সিরিজগুলি আমার কাছে দারুণ লাগে।বাস্তবতার বিষয়গুলি মন থেকে ফুটিয়ে তোলা হয় যেন জীবন্ত অভিনয়ের মতো করেই।এই ওয়েব সিরিজের আগের পর্বগুলো পড়া হয় নি তাই এক নজরে দেখে আসলাম ঝটপট।নাহলে এই পর্ব পড়ে বুঝতে পারতাম না।দাদা এটা পড়ে বুঝলাম পাখি ধরে মারার কাহিনি ,নিশ্চয়ই
ব্যাধ নামের লোকটিই এমন কাজ করছে।আর তার পিছনে কোনো একটা উদ্দেশ্য আছে, পরের পর্বে জানা যাবে আশা করি।ধন্যবাদ দাদা।
পাখিগুলোর হত্যার স্পটে লোকটাকে ধরতে ব্যর্থ হয় সৌভিক এবং কানাই দা। এখন দেখা যাক মুকুন্দপুরের পোস্ট অফিস থেকে পাওয়া খবরে তারা বাড়ি গিয়ে ঐ লোকটাকে ধরতে পারে কীনা। যে এইরকম চড়ুই হত্যা করছে ফসল বাঁচানোর জন্য। বেশ দারুণ রিভিউ করেছেন দাদা। সিরিজটা অনেক পূর্বেই আমি দেখেছি।।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে এই ওয়েব সিরিজটির চতুর্থতম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে তো খুব ভালো লেগেছে এই ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্ব টা পড়তে। তবে ওই লোকটা দেখছি আরো অনেকগুলো পাখি মেরে ফেলেছে। আর কেসটাও দেখছি উল্টো হয়ে গিয়েছে এখন। লোকটা অন্য জায়গায় গিয়ে পাখিগুলোকে ধরে মেরে ফেলেছিল। আমি তো এখনো পর্যন্ত এটাই বুঝতে পারছে না পাখিগুলোকে কেন ধরে ধরে এভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে? আর পাখিগুলোকে মারার পেছনে উদ্দেশ্যটা কি? শেষ পর্যন্ত কি লোকটা ধরা পড়বে এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম দাদা। আশা করছি আপনি এই ওয়েব সিরিজের পরবর্তী পর্ব টা খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।
দাদা দেখতে দেখতে ব্যাধ ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্ব রিভিউ পড়ে ফেললাম। এখানে দেখা যাচ্ছে যে চোর যেন পুলিশ পুলিশ খেলছে। খুনিকে ধরার জন্য পুলিশে যে প্লান করেছে তাতে কোন কাজই হলো না। আরো হিতে বিপরীত হয়ে গেল। পুলিশ থেকে খুনি যেন আরো বেশি চালাক মনে হচ্ছে। তবে খুনি বেটা যাবে কোথায় একবার না একবার তাকে ধরা পড়তেই হবে। চিঠির তথ্য অনুযায়ী যেহেতো সৌভিক আর কানাই মুকুন্দপুর গিয়ে পোস্ট অফিস থেকে ঠিকানা নিয়ে তার বাড়ির দিকে যাচ্ছে। অবশ্যই কোন তথ্য পাওয়া যাবে। এখানে খুনি দুইটি কাজই অমানবিক করেছে। একটি হলো চড়ুই পাখি মারা আরেক হলো ফসল নষ্ট করা। চোর বা খুনি যতই চালাক হোক এক সময় সব বুদ্ধি বিথা যায়। আর সেও ধরা পড়ে। এখন দেখা যাক পরের পর্বে খুনি ধরা পড়ে কিনা। দারুন একটি ওয়েব সিরিজ শেয়ার করছেন দাদা। ধন্যবাদ।
দাদা এই ওয়েব সিরিজটির চতুর্থ পর্ব টা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। পাখি ধরার এই টেকনিকটা কিন্তু অনেক ইউনিট এটা ঠিক বলেছেন দাদা। আর আমার কাছেও একেবারে ইউনিক মনে হয়েছে পাখি ধরার এই টেকনিকটা। এই ওয়েব সিরিজের পর্বগুলো আমি যত পড়ছি আমার কাছে ততই খুব ভালো লাগছে। সৌরভ আর কানাই দেখছি মুকুন্দপুর গিয়ে পোস্ট অফিস থেকে ঠিকানা টা নিয়েছিল এবং বাড়ির দিকে গিয়েছিল। ওই লোকটাকে কি তারা ধরতে পারবে নাকি পারবে না এটাই চাইছি আমি। আসলে এটা কিন্তু অনেক বড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে, লোকটাকি ধরা পড়বে কিনা এর মধ্যে। খুনিকে ধরার জন্য সবাই অনেক প্ল্যান করেছিল তবে এরকম কিছুই হয়নি দেখছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব টা সবার মাঝে শেয়ার করবেন।
'ব্যাধ' ওয়েব সিরিজের চতুর্থ পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। এই ওয়েব সিরিজটি একেবারেই ভিন্ন রকমের। একজন খুনিকে ধরার জন্য অনেক প্লান করা হয়েছে। সৌভিক ও কানাই ম্যাপ করে সবকিছু করার চেষ্টা করেছিল। আর গ্রামও নির্ধারণ করে নিয়েছিল। ব্যাধ নামক খুনিটি আরো বেশি চালাক প্রকৃতির। সে অনেক চালাকির সাথে এগিয়ে গেছে। খুনি সৌভিক ও কানাই এই দুজনের উর্ধ্বে। সে তাদের প্লান বুঝতে পেরে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেছে। অন্য লোকের পিছে তাদেরকে লাগিয়ে দিয়ে সে ঠিকই পাখিদের খুন করেছে আর ফসলের ক্ষতি করেছে। আসলে সৌভিক ও কানাই এর পক্ষে খুনিকে আটকানো অনেক মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ব্যাধ এর চালাকির কাছে সবাই হার মেনেছে। কত প্লান পরিকল্পনা করে খুনিকে ধরার ম্যাপ এঁকেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাও ব্যর্থ হল। অন্যদিকে মুকুন্দপুর নামক গ্রামের যে ঠিকানা পাওয়া গিয়েছিল সেটা আসলে সেই ব্যাধ এর ঠিকানা কিনা এটা দেখার বিষয়। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে সেই মুকুন্দপুর গেলে অনেক তথ্য সামনে চলে আসবে। আরো অনেক কিছুই জানা যাবে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।