রবিবারের আড্ডা - ৭৫ | এবিবি ফিচার্ড পোস্ট আড্ডা - ৬ পর্ব

ব্যানার ক্রেডিটঃ @hafizullah

আমার বাংলা ব্লগের আয়োজন রবিবারের আড্ডার নতুন সংযোজন হচ্ছে এবিবি ফিচার্ড পোস্ট নিয়ে আলোচনা। মূলত এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরো মাসের বাছাই করা ফিচার্ড পোস্ট থেকে কিছু পোস্ট মনোনীত করে, সেই পোস্ট গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়। মূলত মনোনীত পোস্টগুলো যারা লিখেছেন, ঠিক সেই অথরদের কথা গুলোই তুলে ধরা হয় এই শো'র মাধ্যমে। এখানে অথররা সাবলীলভাবে চেষ্টা করে তাদের নিজের পোস্ট নিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য।

তাছাড়া এই অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যেহেতু চারজন অতিথি থাকে প্রথমত দুইবারে চারজন থেকে পাঁচজন অতিথির মতামত শোনা হয়, দ্বিতীয়তঃ কিছুটা বিরতি দিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মতামত গ্রহণ করা হয় এবং নিজেদের পছন্দের গান শোনা হয়। সর্বশেষে উপস্থিত সকল দর্শক ও শ্রোতাদের জন্য থাকে শুভেচ্ছা পুরস্কার ।

প্রথম অতিথিঃ @kausikchak123
সদস্যঃ আমার বাংলা ব্লগ
মনোনীত পোস্টঃ লিংক
মতামতঃ
প্রথমেই আমাকে এখানে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। তাছাড়া কথা বলার তো জায়গা পাওয়া যায় না সবসময়,আমি মূলত যে মানসিকতার মানুষ, তাই আমার সঙ্গে এই জায়গাটার বেশ মানানসই হয়েছে। আমি তো কবিতা নিয়েই বাঁচি, তাই সেই ছোটবেলা থেকেই কবিতা লিখে আসছি। যখন থ্রি কিংবা ফোরে পড়ি, তখনোই দেখেছি আশেপাশে কোন অনুষ্ঠান হলে সেটা নিয়ে আমি খুব অনায়াসে লিখতে পারতাম এবং পরবর্তীতে আমি বুঝেছি লেখা খুব শক্ত একটা মাধ্যম হতে পারে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য। কেননা যে লিখতে পারে, সে বলতেও পারে,এই কথাগুলো চিরকাল কবি সাহিত্যিকরা বলে গিয়েছে। কবি রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল তো সরাসরি বলেই গিয়েছে লেখার মাধ্যমটা কিন্তু স্ট্রং একটা মিডিয়া মানুষের কাছে মতামত পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এ কথাটা আমিও খুব ভালোভাবে বিশ্বাস করি। লেখার জন্য শুধুমাত্র কলম আর পাতা প্রয়োজন। তার বাইরে আর কিছু না, এটা সেই আদিকাল থেকে হয়ে আসছে। যদি জয়দেব ও চন্ডীদাসের কথাবলি সেই যুগেও কিন্তু মানুষ লিখে তার মনের ভাব প্রকাশ করেছে। এই যে আদি বক্তব্য পেশ করার মাধ্যম হচ্ছে লেখা আর সেই লেখার সূত্র ধরেই কিন্তু আপনাদের এখানে আমার যুক্ত। আমি লিখতে চাই, লেখার মাঝেই থাকতে চাই। কবিরা কিন্তু কবিতার মধ্যেই বাঁচে। দেখুন, কবি নজরুল যুদ্ধে গিয়েও প্রতিনিয়ত সম্পাদকদের কাছে লেখা পাঠিয়েছে, সে আসলে লেখা ছেড়ে দূরে যেতে পারেনি। মূলত আমি বুঝাতে চেয়েছি, যারা কবি তারা যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, তারা লিখেই যান। কবির কলম প্রতিনিয়ত কথা বলে যায়। আমার এখন পর্যন্ত দুই-আড়াই হাজার কবিতা রয়েছে , পাঁচটা বই আছে, এবারও কলকাতা বইমেলায় আর একটা বই বের হওয়ার কথা চলছে। তাছাড়া ঢাকা থেকেও বই বের হওয়ার কথা চলছিল, সেজন্য আমি মার্চ মাসে ঢাকাতেও গিয়েছিলাম। এভাবেই আমার লেখার মধ্যে বেঁচে থাকা। চেষ্টা করেছি লেখার মাধ্যমে নিজের মেরুদণ্ডটা শক্ত করার জন্য, যেটা নুইয়ে পড়ার মতো না। আমি মূলত আমার পোস্টে এটাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, কিভাবে লেখাকে আমার মেরুদন্ডে পরিণত করেছি। যেহেতু স্টিমিটে সবাই আমার বন্ধু, তাই আমি চেষ্টা করেছি আমার যাপনটা তুলে ধরার জন্য। তাছাড়া আমি সাথী আপুর কাছে খুব কৃতজ্ঞ, আমাকে এই প্লাটফর্মের সন্ধান দেওয়ার জন্য।

দ্বিতীয় অতিথিঃ @selinasathi1
ভেরিফাইড সদস্যঃ আমার বাংলা ব্লগ
মনোনীত পোস্টঃলিংক
মতামতঃ
আমার বাড়ি থেকে আমার বাবার বাড়ির দ্রুত পাঁচ মিনিট পথ। যদিও ব্যস্ততার কারণে সেভাবে যাওয়া হয়ে উঠতো না, তাছাড়া অন্য একটা কারণে কিছুটা অভিমান ছিল। সেই কারণে পরবর্তীতে আর বাবার বাড়িতে যাওয়া হয়নি, তাও তো সেটা তিন বছরের অধিক সময় হবে। সেদিন সিয়ামের মামা এসে বলছিল আমাকে যাওয়ার কথা। অবশেষে আমি সিয়াম শিপুর সঙ্গে কথা বললাম এবং নিজেও মনস্থির করলাম যাওয়ার জন্য । যে কারণই ঘটুক না কেন বিগত সময়ে, আমি মনে করি ক্ষমা করা মহৎ গুণ। দীর্ঘদিন পরে সেদিন যখন বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন চেনা রাস্তাটাও যেন বড্ড অচেনা লাগছিল। সবকিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে, আমাদের পূর্বের যে বাড়িটা ছিল সেটা ভেঙে বিল্ডিং করা হয়েছে, এসব দেখে কিছুটা খারাপ তো লাগছিল, কেননা যে বাড়িতে আমি বেড়ে উঠেছি আমার শৈশব কেটেছে, সেটা আর আগের মত নেই। ভিতরে ভিতরে বড্ড কষ্ট পাচ্ছিলাম, তবে কাউকে বুঝতে দেইনি। আসলে মেয়েদের আপন বাড়ি বলে কোন কিছু নেই, এক বাবার বাড়ি আরেকটা শ্বশুর বাড়ি।মূলত আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে সেদিনের আমার কাটানো মুহূর্তের উপর ভিত্তি করে কিছু কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলাম।

তৃতীয় অতিথিঃ @neelamsamanta
সদস্যঃ আমার বাংলা ব্লগ
মনোনীত পোস্টঃ লিংক
মতামতঃ
আমি তো এখানে খুব একটা পুরনো নই, তবে যত সময় যাচ্ছে ততই সবকিছু যেন নতুন করে শিখছি,আমি চেষ্টা করছি পোস্টে প্রতিনিয়ত ভিন্নতা নিয়ে আসার জন্য এবং কোয়ালিটি বৃদ্ধি করার জন্য। যাইহোক সেই ভিন্নতার জায়গা থেকেই পোস্টটা লেখার চেষ্টা করেছিলাম, তবে আমি হয়তো লিখতে পারি, সেভাবে বলতে পারি না, গুছিয়ে বলতে গেলে মাঝে মাঝে জড়িয়ে যাই। দেখুন, আমি বরাবরই বলে এসেছি সাথীদির সঙ্গে আমার যে ব্যাপারটা, সেটা কাকতালীয় কিংবা আকস্মিক কিছুই না, হয়তো তা পূর্ব নির্ধারিত, তাই হয়তো সম্ভব হয়েছে। দুটো মানুষ এত তাড়াতাড়ি বন্ধু হয়ে ওঠা, কাঁটাতারের সীমানা কে মুছে ফেলা কিংবা আমাদের নিজেদের ভেতরের যে সখ্যতা , তারই বহিঃপ্রকাশ হয়তো এই পোস্টটা। বেশি মজা হয়েছিল সাথীদির সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হয় ঠিক তখন, আমরা তিন তলার সিঁড়ি বেয়ে সেদিন উপরে উঠছিলাম এবং রুমটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অতঃপর যে দিদির নাম লিখেছিলাম মানে পূবালী দি, তাকেও আমি সেদিন প্রথম দেখেছিলাম। এই মুহূর্তগুলো আসলে জীবনের একটা উজ্জ্বল ঘটনা, কোথাও গিয়ে জায়গা করে নেয়। দেখুন একটা ছোট্ট দেখা জীবনের যে একটা বাঁক তৈরি করতে পারে সেটাই হয়েছে আমাদের মাঝে। সেদিন আমাদের সময়টা বেশ ভালই কেটেছিল, আমি চেয়েছিলাম যেহেতু ওরা আমার দেশের অতিথি, স্থানটা যেহেতু বড় বাজারের আশেপাশেই ছিল, এছাড়া সেখানকার লস্যি খুব জনপ্রিয়। তাই তাদের লস্যি খাইয়ে ছিলাম। সব মিলিয়ে বেশ ভালোই দারুণ অতিবাহিত হয়েছিল সময়টা। অনেকটা উপহারের জায়গা থেকেই সাথীদি কে নিয়ে এই পোস্টটা।

অতিথি ও শ্রোতাদের শুভেচ্ছা পুরস্কার তাৎক্ষণিক পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুরস্কার বিতরণের সম্পূর্ণ অবদান @rme দাদার

মূলত এভাবেই আয়োজন করা হয়েছিল এবিবি ফিচার্ড পোস্ট সংক্রান্ত আড্ডা। আমাদের চিন্তাধারা প্রতিনিয়তই ব্যতিক্রম, তাই সব ব্যতিক্রম চিন্তা-ভাবনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই প্রতিনিয়ত সামনের দিকে। আশাকরি আমাদের সঙ্গে সকলেই থাকবেন, এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে।

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht

|| Join the Discord Server for more Details ||

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy