কিছু স্মৃতি কথা সাথে নদীর কিছু ফটোগ্রাফি || 10% beneficiary for shy-fox


আচ্ছালামুয়ালাইকুম,

আশা করি আমার বাংলা ব্লগের সকলে পরিবারবর্গ নিয়ে সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন।

||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||

আজ কোন টিপস-এন্ড-ট্রিকস নয়।

আজকে আপনাদের সাথে আমার জীবনের কিছু স্মৃতি কথা শেয়ার করবো।

সময় তার গতিতে আগাচ্ছে। সেই যেন ছুটছে, ছুটে চলেছে, থামার কোন প্রয়াস নেই। আমরাও সময়কে আটকে রাখতে পারি না।
শুধু পারি, কোন সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে স্মৃতির জেলখানায় বন্দী করতে। জীবনের কোন না কোন সময় সেই স্মৃতির জেলখানায় বন্দী স্মৃতিকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা যায়। আজ আমিও সেই আমার কিছু স্মৃতিকে আদালতের কাঠগড়ায় রেখে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো।

তো চলুন শুরু করা যাক।


গতকাল অনেকদিন পর ফিরে গেলাম কর্ণফুলী নদীর তীরে।

কর্ণফুলী নদীর সাথে যেন আমার এক গভীর সম্পর্ক আছে। কর্ণফুলী নদীর সাথে আমার একটা টান কাজ করে। যখনই সুযোগ পাই ছুটে যায় কর্ণফুলীতে।



||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||

কেন আমার সাথে এরকম গভীর সম্পর্ক?

ছোটবেলা থেকেই আমার জীবনে অনেক ট্র্যাজেডি হয়ে আসছে।

নদীর এক পারে আমার দাদুর বাড়ি, অপর পারে নানুর বাড়ি। নানুর বাড়ি নদীরে পারের কাছে হলেও দাদুর বাড়ি নদীর থেকেও অনেকদূরে।

এখন পর্যন্ত জীবনের বেশিরভাগ সময় নানুর বাড়িতে কাটানো।


||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||

দাদুর বাড়ি থাকাকালীন একটি কিন্ডারগার্টেনে ভর্তি হয়েছিলাম। অবশ্য কিন্ডারগার্টেনটি আমাদের উপজেলার মধ্যে টপ থ্রী-তে থাকে সবসময়। সেই কারণেই আমাকে ঐখানে ভর্তি করা। শিশু শ্রেণী এবং কেজি শ্রেণী দাদুর বাড়ি থেকে পড়াশুনা হলেও তারপর থেকে ক্লাস থ্রী পর্যন্ত নানুর বাড়ি থেকেই পড়াশুনা।


||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||

ছোট একটা বালক নদী পার হয়ে এক-দেড় কি.মি. হেঁটে স্কুলে যেত আবার আসত। সবচেয়ে বিপদজনক ছিল নদী পারাপার। আমার স্কুল থেকে ফেরার সময় হলে নানু প্রতিনিয়ত এসে দাঁড়িয়ে থাকতো।

আহ, কি দিনগুলোই না ছিল! যত ঝড়-ঝঞ্ঝা হোক না কেন তবুও স্কুলে যেতাম।

||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||


একবার খুব সম্ভবত কোন এক ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্কুলে গিয়েছিলাম, ফেরার সময় নৌকা আর পার হচ্ছিলো না। বসতে বসতে বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যার কাছাকাছি।


||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||

আমার সাথে আরো কয়েকজন সাধারণ মানুষ ও ছিল। সবার অনুরোধে মাঝি যেন দয়া করে যাত্রা শুরু করলো। সেদিন এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। নদীতে যে বড় বড় ঢেউ। এই বুঝি, নৌকা উল্টে যাবে। আমার ঠিক মনে নেই, আমি সাঁতার জানতাম কি জানতাম না। তবে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো এটা এখনো মনে আছে। নদীর পারে আমার নানু দাঁড়িয়ে ছিল আমার অপেক্ষায়।

এরকম ভয়ংকর আরো কিছু অভিজ্ঞতা আমার জীবনে রয়েছে। একবার তো পানিতে ডুবতে ডুবতে যেন বেঁচে গেলাম তখন অবশ্য সাঁতার জানতাম না। আমার,আমাদের জীবনটাই আসলে অন্যরকম। আমাদের জীবনে যে কত ট্র্যাজেডি, হয়তোবা জীবনে কোনদিন ইনশাআল্লাহ সফলতা আসলে, আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আসলে দুঃখ শেয়ার করলে, নিজেকে হালকা হালকা লাগে। আপনাদের প্রার্থনায় মনে রাখবেন যেন বড় বাড়ি করতে না পারলেও যেন নিজেদের ছোট একটা বাড়ি করতে পারি।

||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||

আজ এই পর্যন্ত। ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||

||→→→→→→→☆☆☆→→→→→→→||



ডিভাইসের নাম :
Mi 10T Pro


ক্যামেরা স্প্যাসিফিকেশন :
5 ম্যাগাপিক্সেল ম্যাক্রো লেন্স


লোকেশন :
বেতাগী, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।

ধন্যবাদ

আমি মোঃ আশরাফুল গণি, পেশায় আমি একজন ছাত্র। ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপিং, ওয়েব ডিজাইনিং সিএমএস এক্সপার্ট, ইমেইল টেম্পলেট ডিজাইনিং, মেইলচিম্প এক্সপার্ট, হালকা - পাতলা গ্রাফিক্স ডিজাইন এ দক্ষতা আছে।

শখঃ টেক রিলেটেড যেকোন কিছু করতেই ভালো লাগে।

বর্তমানে ব্লগিং শিখছি, নতুন কিছু শিখতেই সবসময় ভালো লাগে।

পর্ব
একের ভেতর সব
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী ওয়েবসাইট
ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোভ ওয়েবসাইটটির টিউটোরিয়াল
সহজেই ছবিকে কম্প্রেসড করার টিউটোরিয়াল
আপনার ব্লগ পোস্টের শব্দ গুনুন
গোগল ক্রোম যেন একটি স্মার্ট ফোন
ইংরেজি আর্টিকেল লিখুন প্রফেশনাল ভাবে
আপনার কম্পিউটার কি হ্যাকিং থেকে নিরাপদ?
আপনি কি ভাইরাসবিহীন এপস ডাউনলোড করেন?


Sort:  
 3 years ago 

আসলে সময় তার গতিতে এগিয়ে যাবে। তাকে থামানোর মত কেউ নাই। এভাবে আমাদের জীবন চলতে চলতে হঠাৎ একদিন থেমে যাবে। আপনি কর্ণফুলী নদীর ছবি সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো

জি ভাই৷ এভাবেই আমাদেরকে পরপারে পাড়ি জমাতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া এবং আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভাইয়া🤍

 3 years ago 

স্মৃতি মানি হচ্ছে গুপ্তধন যেটা কখনো কখনো তুলে সেটা ব্যবহার করা যায়, যেমন করে আপনার স্মৃতি আপনি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। অনেক ভয়ানক কিছু স্মৃতি আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নেভলু ভাইয়া।

 3 years ago 

সেদিন এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। নদীতে যে বড় বড় ঢেউ। এই বুঝি, নৌকা উল্টে যাবে। আমার ঠিক মনে নেই, আমি সাঁতার জানতাম কি জানতাম না। তবে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হলো এটা এখনো মনে আছে। নদীর পারে আমার নানু দাঁড়িয়ে ছিল আমার অপেক্ষায়।

আসলেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে নদী পারাপার টা খুবই রিক্স ছিল। আপনার এই ভয়াবহতার কথা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে আমার কাছে। তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন আমার মনে হয় সকল নানুরায় এরকম তার নাতিদের জন্য অপেক্ষায় থাকে চিন্তা করে। আমারও মনে পড়ে যখন ছোটবেলায় নানুর বাড়ি যেতাম এবং যখন আবার শহরে ফিরে আসতাম, তখন অনেক দূর পর্যন্ত আমাদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো নানু। খুব ভাল লেগেছে আপনার আজকে ব্লকটি। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হ্যা, এখন পর্যন্ত নানুর আদর সবচেয়ে বেশি পেয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

অও,অসাধারণ ফটোগ্রাফিগুলি।খুবই সুস্পষ্ট, তাছাড়া আপনার কিছু হয়নি এটাই ঈশ্বরের অশেষ কৃপা।ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকুন।

ধন্যবাদ আপু। আপনিও ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশাই করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 81815.05
ETH 3185.92
USDT 1.00
SBD 2.79