ফিরে গেলাম চিরচেনা সেই চুয়েট-এ পর্ব ২ || 10% beneficiary for shy-fox
আচ্ছালামুয়ালাইকুম,
আশা করি আমার বাংলা ব্লগের সকলে পরিবারবর্গ নিয়ে সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন।
গত পর্বে আপনাদের চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে চুয়েট) এর একাংশ তুলে ধরেছিলাম। গত পোস্টে সব তুলে ধরার সম্ভব হচ্ছিলো না বিধায়, আজকে এই পোস্ট।
আজকে আপনাদের সামনে চুয়েট সম্পর্কে আরো কিছু তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ। আজকের পর্বে থাকছে ছাত্রীহল, চুয়েট পাওয়ার প্ল্যান্ট, শেখ রাসেল হল, জিমনেসিয়াম, চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজ, ডরমেটরি পুকুর, স্টুডিও এপার্টমেন্ট, ব্যস্ত চত্বর, শিশুপার্ক, বাস পার্কিং, পানির ট্যাংক, অফিসিয়াল যানবাহন পার্কিং, টিচার্স কোয়ার্টার, চুয়েট রেসিডেন্সশিয়াল মসজিদ।
ছাত্রী হল রোড
এই রোড দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হলে যাতায়াত হয়। ছাত্রী হলের মধ্যে রয়েছে, সুফিয়া কামাল হল,শামসুন্নাহার হল এবং নতুন একাডেমিক ভবন, ই.এম.ই ভবনে যাওয়ার রোড ও এটি। ছবিতে সামনে তার কাটা দিয়ে ঘেরা অঞ্চলটি হচ্ছে বিপদজনক বৈদ্যুতিক অঞ্চল এখানে। এটা হচ্ছে চুয়েটোর পাওয়ার প্ল্যান্ট, এইখানে থেকে ইলেক্ট্রিসিটি সরবরাহ করা হয়।
ছাত্রদের শেখ রাসেল হল এবং চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজে যাওয়ার জন্য ইন্ডিকেটর পেছনে চুয়েটের সেন্ট্রাল ফিল্ড দেখা যাচ্ছে।
চুয়েটের সেন্ট্রাল ফিল্ড
এখন পর্যন্ত আমার দেখা সবচাইতে বড় মাঠ হচ্ছে এটি। এটি লম্বায় দুইটি আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল মাঠের সমান এবং প্রস্থে ফুটবল মাঠের চেয়েও বেশি।
শেখ রাসেল হল
ছাত্রদের জন্য নবনির্মিত শেখ রাসেল হল এবং সেন্ট্রাল ফিল্ড এর এককোনায় জিমনেসিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে। মাঠের কোণায় জিমনেসিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে সেটা সত্যিই আমার খারাপ লেগেছে, ঐখানে আমরা কত যে ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছি।
চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজ
এটাই চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজ, যেখানে আমি ষষ্ঠ শ্রেণী থেক এইচএসসি পড়াশোনা করেছি। চুয়েট সেন্ট্রাল ফিল্ডের পাশেই এর অবস্থান। চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজে, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজ অব্দি অধ্যয়ন করার সুযোগ রয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়
অতঃপর আমি
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি নিজের ছবি নিলাম, এইখান থেকেই আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পড়া শুরু। ২০১১ সালে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এইখানে ভর্তি হই এবং এসএসসি পর্যন্ত কমপ্লিট করি। আহা কত যে স্মৃতি রয়েছে এখানে যা বলে শেষ করা যাবে না।
চুয়েট কলেজ
চুয়েট কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত অধ্যয়ন করা যায় মাত্র।এসএসসি পাশের পর চুয়েট কলেজে ভর্তি হই। এইচএসসি এই কলেজ থেকেই পাশ করে, আমার নতুন অধ্যায়ের শুরু হয়, আমার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা। পড়াশোনার পাশাপাশি চেষ্টা করছি ব্লগিং করার। বাসায় আর্নিং সোর্স শুধু আম্মু, আম্মুকে সহায়তা করার জন্যই পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করার চেষ্টা করছি। বর্তমানে আম্মু অসুস্থ, আম্মুর জন্য দোআ করবেন প্লিজ।
ডরমেটরি পুকুর
চুয়েট স্কুল এন্ড কলেজের পাশেই ডরমেটরি পুকুর। আহা কতবার যে গোসল করেছি। কত স্মৃতি যে আছে। একবার তো আমাদের এক ফ্রেন্ড সাঁতার না জানার কারণে ডুবতে বসেছিল।
স্টুডিও এপার্টমেন্ট
সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য ১০তলা বিশিষ্ট স্টুডিও এপার্টমেন্ট নির্মাণ হচ্ছে।
ব্যস্তময় চত্বর
এর কোন নামকরণ করা হয় নি, তবে এটি সবসময় ব্যস্ত থাকে। এই চত্বরে চারপাশ চারটি রোড, দুই পাশে টিচার্স কোয়াটার,এক পাশে চুয়েট মেইন রোড, একপাশে ডরমেটরি। আরো একটি ছোট রোড রয়েছে, সেটা হচ্ছে বাস রাখার গ্যারেজ এ যাওয়ার রোড।
শিশুপার্ক
আবাসিক এ যারা বসবাস করেন তাদের শিশুদের জন্য রয়েছে ছোট এই শিশু পার্কটি। বিদ্যালয়ে পড়ার সময় টিফিন টাইমে মাঝে মাঝে চলে আসতাম এখানে।
বাস পার্কিং
চুয়েটে ১৪টি বাস রয়েছে, বাসগুলো রাখার গ্যারেজ এটি। তবে অফিসিয়াল গাড়ি গুলো রাখার জন্য আলাদা আরো একটি পার্কিং রয়েছে।
চুয়েট রেসিডেন্সিয়াল মসজিদ
এটি কেন্দ্রীয় মসজিদ এর তুলনায় ছোট একটি মসজিদ। আশেপাশের ডরমেটরি, টিচার্স কোয়ার্টারের যারা থাকেন, তাদের সুবিধার্তে এটি।
পানির ট্যাংক
এটি চুয়েটের পানির ট্যাংক। দেখতেই পাচ্ছেন এটি কত উচুঁতে। সামনের ভবনটি হচ্ছে অফিসিয়াল যানবাহন রাখার পার্কিং।
অপরাহ্নের সময়
সূর্য ডুবে যাচ্ছে। সূর্য ডুবে যাওয়ার দৃশ্য দেখে আশা করি বুঝতে পারছেন সময় ফুরিয়ে এসেছে। দেখতে দেখতে দুই ঘন্টা সময় কিভাবে ফুরিয়ে গেল বুঝতে পারি নি। বন্ধুদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করলে সময়গুলো কোনদিকে ফুরিয়ে যায় ট্যার পাওয়া বড়ই মুশকিল
সমাপ্ত
আমি মোঃ আশরাফুল গণি, পেশায় আমি একজন ছাত্র। ফ্রন্ট এন্ড ওয়েব ডেভেলপিং, ওয়েব ডিজাইনিং সিএমএস এক্সপার্ট, ইমেইল টেম্পলেট ডিজাইনিং, মেইলচিম্প এক্সপার্ট, হালকা - পাতলা গ্রাফিক্স ডিজাইন এ দক্ষতা আছে। শখঃ টেক রিলেটেড যেকোন কিছু করতেই ভালো লাগে। বর্তমানে ব্লগিং শিখছি, নতুন কিছু শিখতেই সবসময় ভালো লাগে। |
চুয়েট ফটোগ্রাফি গুলা খুব ভালো লেগেছে আমার চুয়েট কখনো দেখা হয়নি আমার কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তা দেখতে পেলাম এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ধন্যবাদ জানাচ্ছি পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া। নিজেকে এখন স্বার্থক মনে হচ্ছে যে, আমার মাধ্যমে চুয়েটের কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলেন।
আপনিতো চুয়েট এর অনেক কিছু আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যদিও এখনও সামনাসামনি আমার চুয়েট দেখা হয়নি। কিন্তু আপনার পোষ্টের মাধ্যমে একটু একটু করে সব কিছু দেখার সৌভাগ্য হয়ে গেল। শিশু পার্ক টির খুবই ভালো লেগেছে। আর শেখ রাসেল হলটিও অনেক ভালো লেগেছিল। আর আপনার ফটোগ্রাফিতো অসাধারণ। আমার ইমুতে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনাকেও ধন্যবাদ।
সত্যি ভাই আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন আর অনেক সুন্দর করে ছবি গুলো তুলেছেন। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে ভাই ডরমেটরি পুকুর। ভালোবাসা অবিরাম ভাইয়া।
সাকিব ভাইয়া, ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আপনার জন্য ও ভালবাসা💙🤍 রইল এবং শুভকামনা ও থাকবে।🤍