আমার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহশালা (ডিসেম্বর পর্ব)
নমস্কার,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। ঈশ্বরের কৃপায় আমি ভালো আছি। আপনাদের সামনে আজ আমি ডিসেম্বর মাসে আমার করা সব কটি নতুন রেসিপির সংগ্রহশালা নিয়ে হাজির হয়ে পড়লাম।
আমার চেষ্টা থাকে প্রতি মাসে আমার রান্না করা সব কটি নতুন রেসিপির সংগ্রহশালা বানিয়ে রাখা। রেসিপির সংগ্রহশালা বানিয়ে রাখার পেছনে আমি দুটো প্রয়োজন বোধ করেছি। প্রথমত, রেসিপি গুলো থেকে যা কিছু শিখলাম তার সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা ব্যক্ত করে রান্নার ফের পুনঃমূল্যায়ন করা। আর দ্বিতীয়ত, রেসিপি গুলোর একটি সুনির্দিষ্ট আর্কাইভ বানিয়ে রাখা।
ডিসেম্বর মাসে আমি আরো নতুন ৪ টি রেসিপি আপনাদের সবার সাথে ভাগ করে নিয়েছিলাম, আজ তাদের সব কটির রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম।
ডিসেম্বরে আমার প্রথম রেসিপিটি ছিলো বেগুন, ফুলকপি, টমেটো ও আলু দিয়ে কাতলা মাছের ঝোলের। শীত কালের সুবাদে কদিন ধরে বাড়িতে অনেক ফুলকপি আসছিলো কিন্তু আমি ভয়ে ফুলকপি রান্না করতে পারছিলাম না। তার কারন আমি কখন ফুলকপি বেশি সিদ্ধ করে ফেলি আবার কখন সিদ্ধই হয় না। দুইয়ের মাঝে আটকে ফুলকপি রান্নার সাহস হচ্ছিলো না। কাতলা মাছ দেখেই আমার সেই ভয়টা কাটলো। আদপে কাতলা মাছের সাথে আধা সিদ্ধ সবজিও চালিয়ে দেওয়া যায় আরকি 😁। পরে যদিও ভয়ে ভয়ে রান্নায় বেগুনও দিলাম। কাতলা মাছ রিস্ক নেওয়া ঠিক না। শেষমেষ ঝোলের ফুলকপিও সুসিদ্ধ হলো। খেতেও ভালো হয়েছিলো।
আমি যে দ্বিতীয় রেসিপিটি রান্না করেছিলাম সেটাও হরেক রকমের সবজি দিয়ে। তবে এইবার আর ফুলকপি নয়, রান্না করেছিলাম বেগুন, মুলো, টমেটো ও আলু দিয়ে কাতলা মাছের ঝোলের। আমার মতে বেগুন দিয়ে কোনো রান্নাই খারাপ হতে পারে না। তবে মুলো কিছু মানুষের কাছে সন্দেহ জনক। তাহলেও আমি ভয় পাই না। ভয় ডর হীন ভাবেই তাই রান্না করেছিলাম। স্বাদ বেশ ভালোই হয়েছিলো।
আমার তৃতীয় রেসিপিটি, ফুলকপি, আলু ও টমেটো দিয়ে সিলভার কার্প মাছের ঝোল। যা করার সময় আমাকে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়েছিলো। সব দোষ ওই ফুলকপির 😁। আমি বেশ কয়েকবার রান্না করার পরেও মাঝেমাঝে সঠিক আন্দাজ পাইনা যে ফুলকপিটা আদৌ সিদ্ধ হয়েছে কিনা। আজ সিদ্ধ না হওয়ার পরে বুঝলাম আমার ভাজাও কম হয়েছে আবার সিদ্ধও। আর এসব যখন বুঝতে পারলাম তখন রান্না শেষ। আসলে ভুল আমারই। ফুলকপি ভাজার সময় মনে হলো ফুলকপি ভাজা কমপ্লিট। কিন্তু আদপে যে সেগুলো ভেতরে কাঁচাই আছে সেটা ধরতে পারিনি। ঝোলে ভাজা মাছ দিয়ে ঝোল ফুটিয়ে রান্নার শেষে এসে বুঝলাম ফুলকপি ভেতরে শক্ত। উপায় না পেয়ে রান্না উনুন থেকে নামিয়ে ফের উনুনে তুলে আরো কিছুক্ষন ঝোল ফুটিয়ে তবেই রান্না শেষ হলো। তবুও ফুলকপির ভেতরে অল্প শক্তই ছিলো।কথায় আছে না, শিক্ষার বয়স নেই।
শীত মানেই হরেক রকম সবজি। ডিসেম্বর মাসে আমার করা সর্বশেষ রেসিপিটিও ছিলো হরেক সবজি দিয়েই। রেসিপিটি হলো মুলো, বেগুন, শিম, টমেটো ও আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল। ডিসেম্বর মাস জুড়েই যখনই রান্নার সুযোগ পেয়েছি তখনই হালকা পাতলা ঝোলের দিকেই ঝুঁকেছি। আসল কথা কি নানান শাক সবজি দিয়ে মাছের ঝোল আমার দারুন লাগে।নানা শাক সবজি দিয়ে স্যুপ। তবে আগের রেসিপিতে ফুলকপি সিদ্ধ করার যে বিপত্তিটা পোহাতে হয়েছিলো সেটা আর হয়নি। বেশ সময় ধরে সবজি গুলো ভালো মতো ভেজে তবেই ঝোলের জন্য জল দিয়েছি। সেজন্য রান্না যেমন চেয়েছিলাম ঠিক তেমনই হয়েছিলো, হালকা ও পাতলা।। তবে রান্না শেষে মনে হচ্ছিলো যে আরো কয়েকটা সবজি দিয়ে দিলে হয়তো গোটা সবজির বাজার পাতে চলে আসতো। হাঃ হাঃ
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এজন্যই বলে মাছে ভাতে বাঙালি 😋।আমি তো নিজেও মাছ বলতে অজ্ঞান।
খুবই লোভনীয় রেসিপি ছিল সবগুলোই।এমন লাল টকটকে ঝোল দেখলে এমনিতেই ক্ষুধা পায়।
মাছ আমার সবচাইতে প্রিয়। মাছ পেলে আর কিছু চাই না। হাঃ হাঃ
বলেন কি দাদা। ফুলকপি রান্না করতে এতো প্যারা খেতে হয়। আমি তো আজ জানলাম। নিজে কখনো ট্রাই করিনি তো। ডিসেম্বর মাসের রেসিপি মনে হয় বেগুন কেন্দ্রিক। বেগুন অবশ্য আমার ভাজা বেশি ভালো লাগে।
ওরে বাপরে বাপ। বিশাল ঝামেলা ভাই। ট্রাই না করলে জানতে পারবেন না।
দাদা আপনার রেসিপি পোষ্টের সংগ্রহশালা দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা রেসিপি আলাদাভাবে রান্না করেছেন সবজির পরিমাণ অনেক বেশি ছিল ।রেসিপি কালারটা বেশ সুন্দর।
শীতে ভালো করে সবজি খেয়ে নিই। কি বলেন রিপন ভাই?
হ্যাঁ দাদা শীতের সবজি তো আমার খুবই পছন্দের ।গরম গরম খেতে মাছ মাংসের চেয়ে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। হ্যাঁ অবশ্যই খাবেন দাদা।
শীতকালীন সবজি দিয়ে ডিসেম্বর মাসে আপনি মজাদার মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন দাদা। আপনার তৈরি প্রতিটি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। প্রতিটি রেসিপি নতুন করে আবার দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা
ধন্যবাদ দিদি। 🙏
রেসিপি পোস্ট এর সংগ্রহশালা দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে কারণ এক জায়গায়ই অনেক ধরনের রেসিপি পোস্ট পাওয়া যায়। আপনার রেসিপি সংগ্রহশালায় প্রত্যেকটি রেসিপি বেশ দারুন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।
আবার নিজের ভুল ত্রুটি গুলোও ফের মনে করা যায়। হাঃ হাঃ
শীতকাল মানেই সবজির সমারোহ।আমি একটি বিষয় খেয়াল করলাম দাদা,আপনার প্রত্যেকটি রেসিপিতে আলু,বেগুন ও টমেটো থাকবেই।বেগুন ও আলু খেতে আমার ও খুব ভালো লাগে।আপনি ফুলকপি সেদ্ধ করা নিয়ে যে বিপত্তিতে পড়েছিলেন,আশা করি ভবিষ্যতে আর পড়তে হবে না।সবগুলো রেসিপিই ভালো ছিল, ধন্যবাদ দাদা।
ওই সবজি গুলো কমন। শীতে যা বেগুন খাওয়ার খেয়ে নিই পরে আবার পাওয়া যাবে কিনা। হাঃ হাঃ
বেগুন তো সারাবছরই পাওয়া যায় দাদা।😊
আমাদের শীতের বেগুন মিষ্টি হয় 🤣
হি হি
দাদা আপনার রেসিপি পোস্টের সংগ্রহ শালা দেখতে খুব ভাল লাগলো। সংগ্রহশালাতে একসাথে অনেকগুলো রেসিপি দেখা যায়, এজন্য আমার খুব ভাল লাগে। প্রতিটি রেসিপি লোভনীয় ছিল।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
ধন্যবাদ দিদি 🙏।
এর আগেও বেশ কিছু রেসিপি দেখা হয়েছিলো তবে সব গুলো মনে হয় দেখিনি,দাদা আপনার সংগ্রহশালা এর মাধ্যমে সব একসাথে দেখা হয়ে গিয়েছে। সব গুলো রেসিপি বেশ দারুন হয়েছে।কোনটা রেখে কোনটা ভালো বলবো তাই ভেবে পাচ্ছি না।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আপনি মিস করে গেছেন তাই বানিয়ে ফেললাম দিদি। কাজের কাজ করে ফেলেছি একটা। 🤣
দাদা আপনার রেসিপি গুলো দেখে আমার খিদাটা বিদ্যুতের গতিতে বেড়ে গেছে। এরকম রেসিপি করে মাঝে মাঝে আমাদের নিমন্ত্রন করলে আমরা কিন্তুু রাগ করবো না,হি হি হি। সব গুলো রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
বিদ্যুতের গতিতে খিদে মিটিয়ে নিতেও হবে।