রেসিপি : বেগুন, ফুলকপি, টমেটো ও আলু দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল
নমস্কার,
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈশ্বরের কৃপায় সকলে সুস্থ আছেন। আজ আপনাদের সামনে আমি আরো একটি নতুন ও মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকের রেসিপিটি হলো বেগুন, ফুলকপি, টমেটো ও আলু দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল।
কদিন ধরে বাড়িতে ফুলকপি আসছে অথচ আমি ভয়ে খেতে পারছি না। কারন, হয় আমি ফুলকপি বেশি সেদ্ধ করে ফেলি কিংবা অল্প সেদ্ধ করি। দুইয়ের মাঝে আটকে থেকে রান্না করার সাহস মোটেই পাচ্ছিলাম না। কাতলা মাছ দেখে সেই ভয়টা কাটাতে বাধ্যই হলাম। কাতলা মাছের সাথে সবকিছুই চালিয়ে দেওয়া যায় আরকি, অসিদ্ধ ফুলকপিও ।
যদিও শেষমেষ আমি ভয়ে ভয়ে রান্নায় বেগুন মূল সবজি হিসেবেই ব্যবহার করেছি কারণ কাতলা মাছ হলেও রিস্ক নেওয়া যায় না । কথা আর বাড়াবো না। চলুন মূল রান্নায় যাওয়া যাক।
- কাতলা মাছ
- বেগুন
- ফুলকপি
- আলু
- টমেটো
- পাঁচ ফোড়ন
- তেজপাতা
- জিরে গুঁড়ো
- হলুদ গুঁড়ো
- লঙ্কা গুঁড়ো
- নুন
- তেল
ধাপ ১
- উনুনে কড়াই চাপিয়ে তাতে খানিকটা তেল গরম হতে দিলাম। তেল গরম হয়ে গেলে কাতলা মাছের পিসগুলো কড়াইতে দিয়ে ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ২
- মাছের পিস গুলো ভালো মতো ভাজা হয়ে গেলে কড়াই থেকে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখলাম।
ধাপ ৩
- মাছ ভাজা হয়ে গেলে তেজপাতা ও গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে নিলাম।
ধাপ ৪
- জিরে ফোড়ন দিয়ে বেগুন, ফুলকপি ও আলু কড়াইতে দিয়ে অল্প ভেজে স্বাদমতো নুন ও হাফ চামচ হলুদ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে শুরু করবো।
ধাপ ৫
- সব সবজি ভালো মতো ভাজতে থাকবো।
ধাপ ৬
- সবজি ভেজে স্বাদমতো জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে সব কিছু কষাতে শুরু করে দেবো।
ধাপ ৭
- সবজি কষে গেলে দু কাপ জল দিয়ে ঝোল ফুটতে ছেড়ে দেবো। মিনিট পাঁচেক ঝোল ফুটিয়ে নিয়ে ভেজে রাখা মাছ গুলো কড়াইতে দিয়ে দেবো।
ধাপ ৮
- ভাজা মাছ ঝোলে দেওয়ার পর আরো মিনিট দশেক ঝোল টগবগিয়ে ফুটিয়ে নিতেই আমাদের বেগুন, ফুলকপি, টমেটো ও আলু দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল তৈরী।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
শুনে মজা পেলাম যে আপনি অল্প সেদ্ধ এবং বেশি
সেদ্ধ দুইয়েরর মাঝে আটকে থাকেন। প্রথম প্রথম আমারও এমন হতো যে কোন তরকারি রান্না করতে ঝামেলা পহাতে হতো। তরকারিটা দেখে কিন্তু বেশ লোভণীয় লাগছে দাদা। আপনি তো রান্নায় বেশ পারদর্শী দাদা।
বেগুন, ফুলকপি, টমেটো ও আলু দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুব সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
অনেকগুলো সবজি দিয়ে খুব চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। কাতলা মাছ অনেকদিন খাওয়া হয়না, আপনার রেসিপিটা দেখে ভীষণ সুস্বাদু দেখাচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে ভাজা মাছ দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে ভাই। চমৎকার ছবিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কাতলা মাছ সত্যি অনেক স্বাদের মাছ একটি ৷ আর আপনি তো অনেক সবজি দিয়ে রান্না করেছেন ৷ সব শীতকালে সবজির সাথে কাতলা মাছ বেশ ভালো করেই রান্না করেছেন ৷ দেখে তো মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে ৷
ধন্যবাদ দাদা ৷
বেগুন আলু আর ফুলকপি দিয়ে মজাদার কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি শেয়ার করেছেন। শুকনা মরিচ দিয়ে মাছের রেসিপিটি তৈরি করেছেন এই জন্য দেখতে আরো বেশি লোভনীয় লাগছে দাদা। সাধারণত শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে যেকোনো ঝোল রেসিপি তৈরি করলে তার রং টা অনেক কালারফুল হয়। একটু খেয়ে টেষ্ট করার দরকার হা হা হা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ফুলকপি অনেক সময় ভালোভাবে সিদ্ধ হতে চায় না। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম সেখানেও ফুলকপি রান্না করেছিল। কিন্তু সুন্দরভাবে সিদ্ধ হয়নি। ফুলকপি আমার সবচেয়ে প্রিয় সবজি। কিন্তু সুন্দরভাবে সেদ্ধ না হলে খেতে ভালো লাগেনা। কাতলা মাছ দেখে একেবারে চান্সটা নিয়েই নিলেন। বেশ ভালো হয়েছে। সবগুলো সবজি দিয়ে কাতলা মাছ রান্না করলে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। রান্নাটা দেখেও মনে হচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে।
দাদা মাছের ঝোল পেঁয়াজ না দিয়েই রান্না করেছেন, এরকম করে আমার মা রান্না করতো ফুলকপি তে মা কখনো পেঁয়াজ দিতো না। আমাদের বাড়িতে পেঁয়াজ খুবই কম খাওয়া হতো। তরকারিতে পাঁচফোড়ন দিলে এমনিতেই স্বাদ বেড়ে যায়। শীতকাল মানেই খাওয়ার মজা। বেগুন ফুলকপি টমেটো আলু দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল খেতে খুবই সুস্বাদু হবে এটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। দাদা আপনি বরাবরই খুব ভালো রান্না করেন। সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।
রান্না করতে জানিনা তাই কোনটা দিলে ভালো হবে, কোনটা দিলে ভালো হবেনা আমার জানা নেই।
আমার মেসে এই রেসিপিটা এখন ভালোই চলছে।শীতকালীন সবজি দিয়ে বড় মাছ দিয়ে ঝোল রান্না,আমার বেশ ভালোই লাগে খেতে।যদিও বেগুন বেছে বেছে ফেলে দেই😐।
অনেক সুন্দর ছিল রেসিপিটি। শুভ কামনা রইলো।
রান্না করতে আসলেই খুবই দক্ষতার প্রয়োজন হয় তবে দক্ষতা না থাকলেও সমস্যা নেই আপনার মত হলেই চলবে হাহাহা। একটার পরিপূরক হিসেবে অন্য আরেকটা ব্যবহার করার দক্ষতা ও থাকতে হয় যেটা আমার মধ্যে কিছুই নেই আমি হতভাগা। যাই হোক ফুলকপি দিয়ে অবশেষে সাহস করে আপনি কাতলা মাছের ঝোল রান্না করার সাহস করেছেন এটা শুনেই ভালো লাগলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটি অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার উইকেলস দাদার কাছ থেকে রান্না শিখতে হবে🤣🤣।ফুলকপি কতক্ষন সিদ্ধ করা লাগবে, দাদা ওই জিনিসটা খুব ভালো জানো। যাইহোক পেঁয়াজ ছাড়া রান্না, আমাদের এখানে পেঁয়াজ ছাড়া রান্না তো কল্পনায় করতে পারে না।যাই হোক কালারটা বেশ সুন্দর হয়েছে। বেগুন, ফুলকপি, টমেটো ও আলু দিয়ে কাতলা মাছের ঝোল টেস্ট করতে পারলে আরো ভালোভাবে জানতে পারতাম।সিদ্ধ ঠিকঠাক হয়েছে কিনা।