রথ মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত || শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
কয়েকদিন আগেই আপনাদের সাথে রথ মেলায় কাটানো দ্বিতীয় পর্ব টা শেয়ার করেছিলাম। আজকে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করছি। মেলার এরিয়া টা বেশ বড় তাই একটা দুইটা পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা চার জন মিলে গিয়েছিলাম এবারের রথ মেলায়। আমি, আমার এক ফ্রেন্ড, আমার ছোট বোন এবং কাজিন। আমরা পুরো সময়টা বেশ ভালোভাবেই ইনজয় করেছি।
গত পর্বে আপনাদের সাথে মেলার বিভিন্ন খাবারের দোকানের ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছিলাম। খাবারের দোকান পার হয়ে আমরা দেখলাম মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসের একটা দোকান। মাটির তৈরি যে কোন জিনিস আমার ভীষণ ভালো লাগে। বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র এই দোকানটাতে ছিল। বিভিন্ন ডিজাইনের মগ, কাপ পিরিচ, বড় প্লেট, ছোট ছোট বাটি, বড় পানি রাখার জগ অনেক কিছুই ছিল দোকানটাতে। আমার বারবার ইচ্ছে করছিল কিছু একটা কিনি। কারণ মাটি যে কোন জিনিস আমার খুব পছন্দ। ব্যবহার না করলেও আমি এগুলো সাজিয়ে রাখি। অনেকক্ষণ দেখলাম কি কিনা যায়। জিনিসগুলো বেশ দারুন ছিল। এছাড়াও বড় বড় মাটির ব্যাংক ছিল। মাটির এই জিনিসগুলো আমাদের বাজারে তেমন একটা দেখা যায় না খুবই কম। তবে মেলাতে গিয়ে অনেকগুলো জিনিস একসাথে দেখে সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। এছাড়াও সেখানে মাটির তৈরি ছোট ছোট খেলনা ছিল। মাটির তৈরি ল্যাম্প স্ট্যান্ড ছিল।
আমি বেশ কিছুক্ষণ দেখে একটা মাটির মগ কিনেছি। মাটির মগকে কলমদানি হিসেবে ব্যবহার করলে সাজিয়ে রাখতে দেখতেও ভালো লাগবে। কলমদানি গুলো খুজেছিলাম তবে পাইনি। যাইহোক পরে আম্মুকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কিছু লাগবে নাকি। আম্মু বলল কয়েল রাখার জন্য মাটির ঢাকনা যুক্ত কয়েলের বাটি গুলো নেওয়ার জন্য। এগুলো আমরা বাজারেও দেখেছিলাম দাম বেশি চেয়েছে তবে মেলাতে দেখলাম সাইজেও বড় ছিল এবং দামেও কম তারপর একটা নিয়ে নিলাম। এরপর দোকানের অন্য এক পাশে দেখলাম ঘর সাজানোর আরো বেশ কিছু জিনিস রয়েছে। বড় দোলনা গুলো রয়েছে সেখানে।
মাটির এই দোকানগুলোর পরেই মেলার একদম শেষের দিকে বিভিন্ন রাইড জাতীয় জিনিসগুলো রয়েছে। সেখানে নাগরদোলা ছিল, চর্কি ছিল, দুইটা বড় বড় নৌকা রাইড ছিল। আমরা সেখানে গিয়ে দাঁড়ালাম। সবাই দাঁড়িয়ে চিন্তা করছিলাম কোথায় উঠব। তারপর আমরা নৌকা রাইড সিলেক্ট করলাম। তবে সেখানে নৌকার রাইড ছিল দুইটা। একটা ছিল বেশ বড় এবং দুই তালা। অর্থাৎ এটার উপরেও ছোট সাইজের একটা বসার মতো করা হয়েছে সেখানে মানুষ সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলো। এরকম নৌকা রাইড আগে কখনো দেখা হয়নি। যদিও এই রাইড গুলোতে আমি অনেক উঠেছি। প্রথমে ভাবলাম যে দুই তলায় এটাতেই উঠবো। কিন্তু তারপরে পাশেরটায় তাকিয়ে দেখলাম সেটা সাইজে ছোট হলেও অনেক স্পিডে চলছে তবে বড়টার অতটা স্পিড নেই। তাই পরে ছোট টা তেই উঠলাম। আমরা একদম প্রান্তে গিয়ে বসেছি। আগে ভয় লাগতো। তবে যেই পরিমাণ উঠা হয়েছে এসবে। এখন আর ভয় লাগে না। এরপর আমরা সবাই মিলে আমড়া, ঝালমুড়ি, ভেলপুরি এবং আইসক্রিম খেয়েছি। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দুপুরের দিকেই বাসায় চলে গেলাম।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X - Promotion
রথ মেলার তৃতীয় পর্বটি পড়ে খুব ভালো লাগলো! মেলার মাটির জিনিসগুলো সম্পর্কে আপনার ভালোবাসা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল। মাটির মগ এবং ঢাকনা যুক্ত কয়েলের বাটি কেনা দারুণ ছিল, এগুলো ঘর সাজানোর জন্য অসাধারণ হবে। নৌকা রাইডের অভিজ্ঞতাও বেশ মজাদার ছিল বলে মনে হচ্ছে। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে যেন নিজের চোখেই সবকিছু দেখে এলাম। ধন্যবাদ এমন সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য, আশা করি সামনে আরও অনেক সুন্দর পোস্ট পড়তে পারবো!
[@redwanhossain]
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ চমৎকারভাবে শেয়ার করেছেন রথ মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত শেষ পর্ব। আপনার লেখা পোস্টটি পড়ে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে মাটির তৈরি জিনিস গুলো দেখতে বেশ চমৎকার ছিল। বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র দোকানটিতে সাজানো ছিল আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ভালো লাগাই আমার এই কাজের সার্থকতা। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
রথ মেলায় এত সুন্দর মুহূর্ত কাটালেন দেখে তো অনেক ভালো লাগলো। নৌকার রাইড গুলো দেখলেই আমার কাছে অনেক বেশি ভয় লাগে, উঠা তো দূরের কথা। ভয়ের কারণ এখনো পর্যন্ত উঠিনি। যেহেতু আপনার উঠতে উঠতে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, তাই আর ভয় লাগে না আপনার কাছে। অনেক কিছুই খেয়েছিলেন দেখছি ওখানে গিয়ে। আপনার কাটানো পুরো মুহূর্তটা ভালোভাবেই উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি রথ মেলা থেকে। সুন্দর মুহূর্তটা শেয়ার করলেন এই জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আজ আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আপনারা মেলায় সময় কাটানোর শেষের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। এর আগের পর্ব গুলো আমি পড়েছি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। মাটির তৈরি জিনিস গুলো দেখতে খুবই চমৎকার ছিল। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।