লুকিয়ে রাখা কিছু অনুভূতি - স্বাদের খাবারের ফটোগ্রাফি
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। কারন শীতের মাত্রাটা বেশী হ্রাস পেয়েছে এবং সূর্যের তাপ বেশ বৃদ্ধি পেয়েছি। যদিও শীতের সময় শীত না থাকলে কেমন জানি লাগে, আবার শীত বেশী হলেও একটু অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে। আসলে আমরা সবটা চাই, দুঃখের যন্ত্রনা হতে যেমন মুক্তি চাই ঠিক তেমনি অধিক সুখে পাথর হয়ে দুঃখের কামনা করি। যেমনটা এখন আমরা করছি, শীতের ঠান্ডা হতে বাঁচার জন্য সূর্যের উপস্থিতি কামনা করি এবং তার সাথে সাথে সূর্যের তীব্র তাপ প্রত্যাশা করি। আবার অন্য দিকে গ্রীষ্মের সময় যখন তীব্র তাপ আমাদের অস্থির করে তোলে তখন আবার আমরা সূর্যের তাপ হ্রাসের প্রত্যাশা করি। যাইহোক আমরা মাঝে মাঝে দ্বিমুখী আচরণ করি, তবে আমার আজকের বিষয়টি এটা না বরং প্রসঙ্গের খাতিরে অপ্রাসঙ্গিক কিছু কথা বলে ফেললাম, বরাবর যেমনটা করে থাকি, হি হি হি।
আজকে একটু ভিন্ন অনুভূতির কথা শেয়ার করবো, অবশ্য টাইটেল দেখে এতোক্ষনে বুঝে গেছেন যে খাবারের দৃশ্য শেয়ার করবো। সত্যি বলছি আমি খুব একটা ফাস্টফুড বা এই রকম স্বাদের খাবার খাই না, যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। তবে মাঝে মাঝে বউয়ের প্যাচে আটকা পড়ে খেতে হয়, ঠিক তেমনি মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে মিষ্টি আলাপের ফাঁকে খেয়ে থাকি। তবে সে যেভাবেই হোক না কেন এগুলো যে স্বাদের সেটা কিন্তু সবাই স্বীকার করতে বাধ্য। তবে আমি যদিও নিয়মিত খাই না কিন্তু এই কথা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে, আপনি যতটুকু খাবেন আমি তার দ্বিগুন খাবার চোখ বন্ধ করেই খেতে পারবো, হা হা হা। আরো ভাই চোখ বন্ধ করে খেলেতো আর বুঝতে পারবেন না, আমি বেশী খেলাম না আপনি বেশী খেলেন হি হি হি।
ছবিগুলো অবশ্য বেশ পুরনো, একটা ভিন্ন উদ্দেশ্যে ঢাকার বিখ্যাত বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স এ গিয়েছিলাম। বুঝতেই পারছেন একাধিক বন্ধু একত্রে একটা সুন্দর শপিং কমপ্লেক্সে গেলে কি কি ঘটতে পারে, আরে না ধুর কি যা তা ভাবছেন? ভালো কিছু ভাবেন এবং ভালো কিছু চিন্তা করেন, উল্টা পাল্টা ভাবা কিন্তু সব সময় ভালো না, মামলা খেয়ে যেতে পারেন, হি হি হি। হ্যা, আমরা বেশ সময় সেখানে আড্ডা দিলাম, পছন্দের কিছু কেনাকাটা করলাম, অবশ্য এটা আমাদের পুর্ব পরিকল্পিত ছিলো, যার কারনে আমাদের কেনা কাটার জন্য খুব বেশী সময় ব্যয় করতে হয় নাই, তবে আমরা কিন্তু আমাদের পূর্বে সিলেক্ট করা জিনিষগুলো কিনতে পারি নাই, কারণ সেগুলো ছিলো না, পরে অবশ্য সেই রকমই এবং সমমানের অন্য কিছু ক্রয় করি, কারন আমাদের হাতে কেনার জন্য খুব বেশী সময় ছিলো না।
তারপর নিশ্চিন্ত মনে চুটিয়ে আড্ডা দেয়ার পালা, শপিং কমপ্লেক্স হতে বের হয়ে আসলাম। বাহিরের পরিবেশে দীর্ঘ হাঁটলাম তারপর একটা ফ্রি গিফট নিয়ে বেশ মজা করলাম, সত্যি আমাদের আড্ডার কেন্দ্র ভূমি হয়ে উঠলো সেই ফ্রি গিফটটি। বেশ দারুণ ভাবে সময় কাটতে থাকলো। হাঁটতে হাঁটতে একটা সময় আমরা ক্লান্তি অনুভব করলাম। তারপর পুনরায় আবার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স এর সামনে আসলাম এবং তার সম্মুখ সিড়িতে বসে আবার আড্ডায় মেতে উঠলাম। কিন্তু এবার বাধ সাধলো সেখানে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা, বাঁশি বাজিয়ে জানান দিলেন ভেতরে বসার জন্য চমৎকার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাই সম্মুখ সিঁড়িতে বসে সৌন্দর্য নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না কেউ। কি আর করা আমরা তখন বাধ্য হয়ে পুনরায় আবার ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং আড্ডায় পরিবর্তন আনার জন্য স্বাদের খাবার অর্ডার করলাম।
এটা একটা সমস্যা, না ঠিক সমস্যা না আমাদের কাছে কারন আমরা আড্ডা দেয়ার বেশ সময় পাচ্ছিলাম। কিন্তু যারা শুধুমাত্র খাওয়ার জন্য এখানে আসেন তাদের জন্য হয়তো কিছুটা কষ্টের, কারন খাবার অর্ডার করে বেশ সময় সেখানে অপেক্ষা করতে হয় খাবারের জন্য। কিন্তু আমরাতো আড্ডার জন্য গিয়েছিলাম, খাবারতো শুধুমাত্র উছিলা তাই আমাদের কোন সমস্যা হয় নাই। তারপর যথারীতি সময়ের শেষে খাবার আসলো, আর আমি সেই আগের মতো চোখ বুঝে সবার চেয়ে বেশী খাবার খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়লাম। না না না আবার অন্য কিছু ভাববেন না যেন, আমি বরাবরই কম খাই। আরে ভাই বেশী খেলে তো ভুঁড়ি বড় হয়ে যাবে হা হা হা।
তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে বিদায় নিলাম এবং সড়কের জ্যাম ঠেলে বাড়িতে ফিরে আসি। সত্যি সেদিন বেশ জ্যাম ছিলো সড়কে। আমরা হাঁটতে হাঁটতে ধানমন্ডি ৩২ নং সড়ক ছাড়িয়ে আরো সামনে চলে আসি তারপর বহু কষ্টে একটা লোকাল বাস পেয়ে যাই এবং বাড়ীতে পৌছানোর মিশনে সফল হই। স্মৃতি আবার সেটা যদি হয় আড্ডার সাথে খাবারের? আহ! সেটা কি কখনো ভুলা যায়? একদমই না, আমিও তাই সেটা ভুলতে চাই না। তবে আপনারা ভুলে যেতে পারেন না হলে কিন্তু পকেট ফাঁকা হবে, হি হি হি।
তারিখঃ অজানা থাক।
লোকেশনঃ বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স।
ক্যামেরাঃ রেডমি-৯ স্মার্টফোন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।
|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||
>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার পোষ্টের প্রথম অংশ পড়ে আমার নিজের কথাই মনে পড়ে গেল। কয়েকদিন আগে আমি আমার স্ত্রীকে বলছিলাম কি ব্যাপার শীতের সময় প্রায় শেষ হয়ে গেল। অথচ এখনো শীতের দেখা নেই। তার দুদিন পর থেকে এমন শীত পড়া শুরু হলো যে আমার মতো শীতকাল পছন্দ করা লোকেরও রীতিমতো কাপুনি ধরে গেল। যাইহোক বসুন্ধরা সিটির ফুড কোর্টটি কিন্তু আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি জায়গা। বসুন্ধরা সিটিতে ঘুরতে গিয়েছি আর ফুডকোর্ট থেকে কোন খাবার খাইনি এমনটা আমার মনে হয় কখনোই হয়নি। আমি আবার একটু বেশিই ভোজন রসিক। আপনার প্লেটের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খাবারটা অত্যন্ত সুস্বাদু ছিল। বন্ধু-বান্ধব মিলে এভাবে সময় কাটাতে আসলেই চমৎকার লাগে। সময়টা যে কোথা দিয়ে চলে যায় বোঝাই যায় না।
হ্যা, এই বিষয়টি সত্য যে বসুন্ধরা সিটি শপিং সেন্টারের ফুডকোর্ট এর খাবারের দোকানগুলো কিছুটা ব্যতিক্রম এবং হিউজ খাবারের দোকান রয়েছে। আমিও যতবার গিয়েছি কিছু না কিছু খেয়েই তবে আসছি।
প্রথম কথা হলো আমরা আসলে কোন কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারিনা। যখন গরম তখন ঠান্ডা প্রত্যাশা করি আবার তীব্র শীতে গরমের আকাঙ্ক্ষা। তবে প্রকৃতি তার আপন নিয়মেই চলবে আমরা চাই বা না চাই।
আমিও তেমন ফাস্টফুড পছন্দ করিনা, তবে মাঝে মধ্যে খাওয়া হয় আরকি। বন্ধুদের সাথে নিয়ে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে দারুন সময় কাটিয়েছেন। মাঝে সিকিউরিটি একটু ঝামেলা করলেও আপনাদের আড্ডা আর খাওয়া দাওয়া বেশ জমে উঠেছিল।
খাবারের ছবিগুলো কিন্তু ভালোই লেগেছে 😋
একদমই সব সময় বিপরীত বিষয়টির প্রতি বেশী আগ্রহী থাকি আর আকাংখার তো কোন শেষ নেই মানুষের জীবনে। আমিও তেমন পছন্দ করি না, তবে সময় সুযোগ হলে মাঝে মাঝে চেক করি এই আরকি।
ভাইয়া আসলে আমরা পরিস্থিতির কারণে, কখনো কখনো আমানের ড়আচরণগুলো কিংবা চাওয়া পাওয়া গুলো টপাল্টে যায়। পরিবর্তন ঘটে, ঠিক যেমন গরমের সময় আমরা চাই শীতল হাওয়া। আর শীতের সময় আমরা চাই সূর্যের উষ্ণ পরশ। তবে বসুন্ধরা সিটিতে কোন একসময় আমরাও অনেক বেশি আড্ডা দিতাম।এবং মজার মজার ফাস্টফুড খেতাম যদিও ফাস্টফুড আমি তেমন একটা পছন্দ করি না।যাইহোক আপনারা বন্ধুরা মিলে শপিং শেষ করে মজার আড্ডা দিয়েছিলেন। সেটা খারাপ মনে করলাম না। বরং ভালো মনে করেই নিলাম হাহাহা,,,, ফ্রী গিফট এর মজাটা সেই ছিল♥♥
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মানুষ সহজে সন্তষ্ট হতে পারে না। শৈত্য প্রবাহের কারনে শীত ছিল এখন আবার গরম। যাই হোক আপনার খাবারের প্লেটে খাবারগুলো বেশ লোভনীয় ই লাগছে। আমি বাইরের খাবার তেমন একটা খাই না।তবে বসুন্ধরা এলে খাওয়া হয় ই, সবার সাথে একটু আধটু খেতেই হয়। খাবারগুলো বেশ ভালোই লাগে। খাওয়া আর গল্পের মধ্যে দিয়ে বন্ধুদের সাথে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই তবে আমি আপনাকে একটা পরামর্শ দেই বুঝছেন, যখন বন্ধুদের সাথে খেতে বসবেন তখন চোখ বন্ধ করে কখনোই খাবেন না কারণ আপনার প্লেট থেকে খাবার চুরি হয়ে যেতে পারে হা হা হা।
আমার একটা প্রশ্ন আছে
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে হাড্ডিগুলো সহ খালি প্লেটের ছবি দিয়ে কি আমাদেরকে লোভ দেখাচ্ছেন??
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
হুম আজকে যা রোদ উঠছে মনে হচ্ছে গরম চলে এসেছে শীত যেয়ে।যাই হোক আগে বলেন বন্ধু ছিলো নাকি ভয়ে বান্ধবী দেরকে বন্ধু বলে চালিয়ে নিচ্ছেন😉😉।খাওয়া সময় চোখ বন্ধ রাখেন বেশি খাওয়ার জন্য নাকি।ভাইয়া আপনার ভুরি বাড়েনি তাহলে🙃🙃,এটা ভাবির কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
বন্ধুদের সাথে মিষ্টি আলাপের ফাঁকে আমরাও এই ধরনের ফাস্টফুড খেয়ে থাকি দাদা। সত্যি কথা বলতে ফাস্টফুডের স্বাদ সবসময় কেন জানি না বেশি থাকে। এইসব খাবারের পুষ্টিগুণ যতটা কম, স্বাদ ততটাই বেশি। স্বাদের দিক থেকে যেহেতু অতুলনীয় হয় তাই চাইলেও আমরা সব সময় ত্যাগ করতে পারি না, কোন না কোন ভাবে খেয়ে নিতে হয়। ফাস্টফুড এবং ভুঁড়ি একে অপরের সমানুপাতিক। ফাস্টফুড খাওয়া বাড়ালে ভুঁড়িও বাড়বে! আমাদের সমানুপাতিকের পরিবর্তে ব্যস্তানুপাতিক এর খাবার খেতে হবে যে খাবার গুলো খেলে ভুঁড়ি কমবে। 🤭🤭