সরকার পতনের পর আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ।

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।আজকে আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম‌।আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।

২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে ২০০৯ সালে পিলখানায় হত্যাকাণ্ড চালায়। পিলখানার হত্যাকাণ্ডের ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। এরপর ধীরে ধীরে দেশে অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন দলগুলো ধীরে ধীরে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।

হত্যা, ঘুম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, সবকিছুতেই ছয়লাব করে ফেলে আওয়ামী লীগ। বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে বিনা অপরাধে কারাবন্দী করেন। আরেক বিরোধী দল বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে যুদ্ধ অপরাধীর মামলায় ফাঁসি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন এই হাসিনা সরকার।

২০১৩ সালে ৫ই মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ডাকা আন্দোলনে লাখো লাখো মানুষ এক জায়গায় জড়ো হন। সেদিন রাতে সেই সকল নিরীহ মানুষের উপর গণহত্যা চালায় এই হাসিনা সরকার। দিনে দিনে যেন স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিল এই সরকার। গেল কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে কোন দলের অংশগ্রহণ ছিল না। নিজের ক্ষমতা বলে নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় বসেছেন এই সরকার।
২০০৮ থেকে ২০২৪। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থেকে স্বৈরাচারী শাসক হয়ে উঠেছিল এই সরকার।

১ই জুলাই ২০২৪ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ডাক দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে চেয়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী, ছাত্রলীগ, ও পুলিশ প্রশাসন ছাত্র জনতার উপর গুলি চালায়। এরপরে ধীরে ধীরে সেই আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। গেল ৫ই আগস্ট ২০২৪ এই স্বৈরাচারী সরকার পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সারা বাংলাদেশ আনন্দের জোয়ারে ভেসে ওঠে। সব জায়গায় মিষ্টি বিলানো হয় ও মিষ্টিমুখ করানো হয়। এত বেশি মিষ্টির প্রয়োজন হয় যে সব দোকানের মিষ্টি শেষ হয়ে যায়।

প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।