আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ২২ শে আগস্ট ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর মিল কলকারখানা সব খুলে দেয়া হয়েছে। মিল কলকারখানা খোলার পর মালের দাম প্রতি কেজিতে তিন থেকে চার টাকা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এজন্য তাড়াতাড়ি করে একটি গাড়ি লোড দিয়ে দিলাম। আজকের এই গাড়িতে পুরাতন চাপা টিন লোড দেওয়া হচ্ছে। এই গাড়ি লোড করতে মোট ছয় জন লেবার এসেছে। তারা খুব সকাল করেই কাজে এসেছে। তাদের সাথে আমার কন্টাক্ট করা হয়েছে ১০৫০০ টাকা। এই ১০৫০০ টাকার বিনিময়ে তারা এই গাড়িটা সম্পূর্ণ লোড করে দিবে।

তাদের অনেক হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়। প্রথমে এই মালগুলো মাথায় করে নিয়ে হাইড্রোলিক প্রেস মেশিনের মধ্যে দেয়া হয়। সেখান থেকে একজন অপারেটর মেশিন চালিয়ে চাপ দিয়ে সেই মাল্টি সম্পূর্ণরূপে প্রসেসিং করে। এরপর সেই মালটি হাইড্রোলিক প্রেস মেশিন থেকে বের করে মাথায় নিয়ে আবার গাড়ির মধ্যে লোড করতে হয়। এটা খুবই কষ্টের একটি কাজ। এরপরও আমার এই লেবাররা প্রতিনিয়তই এই কাজ করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে।

আজকে যে গাড়িটি লোড হচ্ছে সেই গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো ট ১৪-৭৪১২। এই গাড়ির ড্রাইভারের নাম কিশোর কুমার। তিনি একজন হিন্দু ধর্মাবলীর লোক। খুবই সৎ এবং নিষ্ঠাভান একজন ব্যক্তি। এই গাড়িতে ১৫ হাজার ২৫০ কেজি মাল যাচ্ছে। আজকের মিলনের অনুযায়ী প্রতি কেজি মালের বাজার দর ৪০ টাকা ৫০ পয়সা করে।
দুপুরের মধ্যেই গাড়িটা সম্পূর্ণ লোড হয়ে গিয়েছে। লেবাররা সুন্দর করে রশি দিয়ে গাড়িটা বেধেছে। এখনই এই গাড়িটা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবে। আজকের এই গাড়িটা মুনতাহা স্টিল মিলে যাবে। এই মিলটি ঢাকায় অবস্থিত।

প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।