কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা বাংলাদেশ।

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।

আজকে দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমার ভাইদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেছে পুরো বাংলাদেশ। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। তারা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিল। ১৪ ই জুলাই ২০২৪ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি কথায় কোটা সংস্কারের আন্দোলন মহা আন্দোলনের রূপ নেয়।

১৫ ই জুলাই সকাল থেকে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেয়। বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রলীগ ও পুলিশ আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।এতে করে আন্দোলনরত কয়েকশত শিক্ষার্থী আহত হন এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এরপর সারা দেশব্যাপী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন চলছে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী। শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন চালাচ্ছে।সারা বাংলাদেশে পরিবহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন। সারা বাংলাদেশব্যাপী কারফিউ জারি চলছে। বেসামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে।

কয়েক হাজার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ১৫০-২০০ জন শিক্ষার্থী মারা গিয়েছে। আশঙ্কা অবস্থায় কয়েক শত শিক্ষার্থী মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। সরকার থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের ভাইদের লাশের উপর দিয়ে গিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি না। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারসহ ৮ দফা দাবি দিয়েছে সরকারকে। সরকার পক্ষ থেকে কোটা সংস্কারসহ আট দফা দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের হাইকোর্ট থেকে রায় দেওয়া হয়েছে এবং সেটার প্রজ্ঞাপন জারি করে দিয়েছে সরকার। আজ ২৪ ই জুলাই। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় নাই। এখনো পর্যন্ত সারা বাংলাদেশে কারফিউ চলছে।

প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,আল্লাহ হাফেজ।