আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।

সকাল থেকে সারাদিনই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরছে। এই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও কাজ বন্ধ নেই। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে এক গাড়ি লোহা লোড হচ্ছে। সকালে বৃষ্টি হওয়ার কারণে মনে হচ্ছিল লেবাররা আজকে আসবে না, কিন্তু বৃষ্টি একটু কম হওয়ার সাথে সাথেই দেখি লেবাররা কাজে চলে এসেছে। লেবাররা কাজে এসে বলতেছে বৃষ্টির মধ্যে তারা গাড়ি লোড করে দিবে। তারা কাজ বন্ধ করবেনা। এই বৃষ্টির মধ্যে কাজ করতে লেবারদের কোন আপত্তি নেই। যেহেতু লেবাররা কাজ করবে তাহলে আমারও কোন সমস্যা নাই।

আজকে কাজে মোট পাঁচজন লেবার এসেছে।লেবারদের নিয়ে গাড়ি প্রথমে চলে গেল বারোবাজার। সেখানে একটি কারখানার মাল আমি অকশনে কিনেছিলাম। সেখানে ১২ হাজার কেজি মাল হয়েছে। সেখান থেকে মাল লোড করে লেবাররা গাড়ি নিয়ে কালীগঞ্জে এসে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করেছে। কালীগঞ্জে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া করে তারা সোজা চলে এসেছে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এবার গাড়ি লোড সম্পূর্ণ করতে যা মাল লাগবে সবটুকুই আমার ঘর থেকে তোলা হবে। আমার এই লেবারগুলো খুব হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে। এই বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে তারা গাড়ি লোড দিচ্ছে।

আজকে তারা একজন লেবার কম নিয়ে এসেছে। তারা মোট পাঁচজন লেবার এই গাড়িটা সম্পূর্ণ লোড করে দিচ্ছে। একজন লেবার কম নিয়ে আসার ফলে আজকে তাদের প্রত্যেকের পারিশ্রমিক প্রায় ১৭০০-১৮০০ টাকা করে পড়বে। তাদের পারিশ্রমিক ও যেমন বেশি ঠিক পরিশ্রম ও ততটাই বেশি।

আজকে প্লেট কাটিং মাল লোড দেওয়া হচ্ছে। এই মালের কোয়ালিটি খুবই ভালো। এই মালের কোয়ালিটি ভালো হওয়ার কারণে যখন রড মিলে এই মালগুলো গলানো হয় তখন অন্যান্য মালের তুলনায় বাদ যায় কম। এজন্য এই মালে চাহিদা অনেক বেশি এবং এই মালের বাজারও সব সময় বেশি থাকে।

গাড়ি লোড সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সন্ধ্যার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। গাড়ির নাম্বার ঢাকা মেট্রো ট ১৪-৭৪১২। আজকের এই গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে আছে ড্রাইভার কিশোর। এই গাড়িটি যাবে সালাম স্টিল মিলে।

প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।