কোটচাঁদপুর টু খুলনা।

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম।আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।

গত ৬-৮-২০২৪ তারিখে আমার বাবা একটু শারীরিক অসুস্থ বোধ করার কারণে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করানো হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমার বাবা সুস্থ রয়েছে। আমার বাবার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী। আমি ও আমার ছোট ভাই গত ৭-৮-২০২৪ তারিখে আমার বাবাকে দেখতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলাম। আমার সকাল ১১ টার দিকে কোটচাঁদপুর থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। আমরা খুলনা বিভাগের মধ্যে থাকলেও খুলনা আমাদের থেকে অনেক দূরে বিধায় ওই অঞ্চলে যাতায়াত অনেকটাই কম। আমরা কালিগঞ্জ হয়ে যশোর পর্যন্ত হাইওয়ে রোড দিয়ে গিয়েছিলাম। যশোরে যেতে হলে আপনাকে যশোর সেনানিবাস এর সামনে দিয়েই যেতে হবে। যশোর সেনানিবাসী একটি গেট রয়েছে স্বাধীনতা তোরণ নামে। আমি গাড়ির মধ্যে থেকে সেই গেটটির একটি ছবি তুলেছিলাম।

যশোরের রাজারহাট থেকে খুলনায় যাওয়ার দুটি রাস্তা রয়েছে। একটি রাস্তা হল যশোর খুলনা মহাসড়ক দিয়ে। আরেকটি রাস্তা হল মনিরামপুর কেশবপুর দিয়ে চুকনগর হয়ে খুলনা জিরো পয়েন্ট। আমার ড্রাইভার বলল যশোর খুলনা মহাসড়কে কাজ চলতেছে রাস্তা অনেক খারাপ যদি ভিতর দিয়ে যায় তাহলে রাস্তা অনেক ভালো। তখন আমি ড্রাইভারকে বললাম ঠিক আছে তাহলে ভিতর দিয়েই যাওয়া যাক। আমার রাজারহাট থেকে মনিরামপুরের ভিতর দিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে আবার রওনা করলাম। মনিরামপুর কেশবপুরের রাস্তা দিয়েই আমাদের গাড়ি খুলনার দিকে ছুটে চলছিল। গাড়ি যখন খুলনার দিকে ছুটে চলছিল তখন রাস্তার আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। ওইদিকে রাস্তা ও যেমন সুন্দর ঠিক তার আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ততটাই সুন্দর। আমরা যখন যশোর পার হয়ে খুলনার সীমানার মধ্যে ঢুকে পড়লাম তখন খেয়াল করে দেখলাম রাস্তার দুইপাশে শুধু পুকুর আর পুকুর। আমরা সবাই জানি খুলনায় অধিক মাত্রায় পুকুর রয়েছে এবং সেখানে অনেক চিংড়ি মাছের চাষ করা হয়।

দুই পাশেই শুধু পুকুর আর পুকুর তার মাঝখান দিয়ে বুক চিরে চলে গিয়েছে সাতক্ষীরা খুলনা মহাসড়ক। এই ভাবেই রাস্তার দুইপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে আমরা পৌঁছে গেলাম খুলনা জিরো পয়েন্টে। খুলনা জিরো পয়েন্ট থেকে ৫ কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হসপিটাল। আলহামদুলিল্লাহ আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হসপিটালে পৌঁছে গেলাম।

প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।