লাইফ স্টাইল):- হঠাৎ করে অ্যান্ড্রয়েড টিভি কার্ড কেনার অনুভূতি।

শুভ রাত্রি,

আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশাকরি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো):-হঠাৎ করে অ্যান্ড্রয়েড টিভি কার্ড কেনার অনুভূতি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আসলে এখন বাজারে বিভিন্ন ধরনের স্মার্ট টিভি বের হয়েছে। যেগুলো দিয়ে একদম মোবাইলের মতো ব্যবহার করা যায়। তবে আমাদের ঘরের টিভি যেহেতু অনেক আগে কেনা হয়েছিল। যার জন্য আমাদের টিভি অ্যান্ড্রয়েড ছিলো না। এরপর আমরা অনেক দিন ডিস লাইন দেখেছি। তবে ডিস দিয়ে তেমন কিছু দেখতে না পাড়ায় আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগতো না। তাছাড়া আমার মেয়ে অনেক সময় কার্টুন দেখার জন্য আমার মোবাইল ফোন নিয়ে কান্না কাটি করতো। এরপর চিন্তা করলাম শুধু শুধু ডিস বিল না দিয়ে ডিস লাইন কেটে দিবো। এরপর কিছু দিন পর আমি ডিস লাইন কেটে দিলাম।

এভাবে অনেক দিন টিভি ঘরে পরে থাকে। আর এইদিকে আমার বড় মেয়ের সামনেতো ফোন বেড় করতেই পারি না। ফোন দেখলেই শুধু কার্টুন দেখবে। তারপর অনেক চিন্তা করলাম কি করা যায়। তখন আমার মাথায় হঠাৎ করে অ্যান্ড্রয়েড টিভি কার্ডের কথা মনে পরলো। আসলে অনেক দিন আগে আমার এক বড় ভাইয়ের ঘরে এই টিভি কার্ড দেখেছিলাম। ওনার টিভি ও আন স্মার্ট ছিলো। তবে অ্যান্ড্রয়েড টিভি কার্ড কানেক্ট করার পর স্মার্ট টিভি হয়ে গিয়েছে। এরপর আমি আমার মোবাইলের ইউটিউব এ চলে গেলাম। এবং টিভি কার্ড এর অনেক ভিডিও দেখলাম এবং টিভি কার্ডের দাম সম্পর্কে একটি ধারণা নিলাম।

তারপর শুক্রবার দিন আমার অফিস ছুটি থাকায়। সারাদিন হাতের সব কাজ শেষ করে। বিকেলের দিকে চলে গেলাম টিভি কার্ড কেনার উদ্দেশ্যে। এরপর আমি বাসায় থেকে বের হয়ে সোজা মার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। তবে আমাদের এই দিকে রাস্তার কাজ করার জন্য আমাকে বেশিরভাগ রাস্তা হেঁটে হেঁটে যেতে হয়েছে। এরপর প্রায় আধা ঘন্টা পর আমি উওরা রাজউক মোবাইল মার্কেট এ পৌঁছে গেলাম। তারপর মার্কেট এর ভিতরে প্রবেশ করে সোজা চলে গেলাম পঞ্চম তলায়।

এরপর প্রথমে একটা দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম অ্যান্ড্রয়েড টিভি কার্ড আছে কিনা। তারপর দোকান দার ভাই আমাকে দুইটা টিভি কার্ড বের করে দেখালো। তবে আমার পছন্দ ছিলো Tx 9pro এই মডেলটি। তাছাড়া যে দুইটা আমকে দেখালো ওই দুইটার রেম কম থাকার কারণে আমার পছন্দ হলো না। এরপর আমি দাম জিজ্ঞেস করলাম কোন টার কতো দাম। এরপর দোকান দার ভাই দুইটার দাম চাইলো একটা ১৮০০ এবং অন্যটা ২২৫০ টাকা। তারপর এখানে আমার পছন্দের মডেলটি না থাকার কারণে আমি আর দামাদামি না করে দোকান দার ভাইকে বললাম আচ্ছা ভাই রেখে দেন। আমি অন্য একটি দোকানে দেখি।

তারপর একটু সামনে গিয়ে একটি দোকানে গিয়ে আমার পছন্দের মডেলটির নাম বললাম। এবং সেই ভাই আমাকে Tx 9 pro বের করে দেখালো। এবং এটার রেম হচ্ছে 8GB এর জন্য এইটা পছন্দ হয়েছে। তারপর আমি ভাইয়াকে দাম জিজ্ঞেস করলাম উনি ২২৫০ টাকা চাইলো। এরপর আমি বললাম না ভাই এটার দাম এতো বেশি না। কতো টাকা রাখতে পারবেন সেটা ঠিক ভাবে বলেন। এরপর ২০০০ টাকা রাখবে এটাই লাস্ট। এরপর আমি বললাম আর একটু কম রাখতে। তারপর আমি ওনাকে ১৯০০ টাকা দিলাম।

তারপর ভাইয়া বক্সটি খুলে ওনার কম্পিউটার এর সাথে কানেক্ট করে সব কিছু চেক করে। আবারও বক্স এ তুলে দিলো। এরপর আমি বক্সটি নিয়ে। বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। এবং আবারও অনেকক্ষণ ধরে হেঁটে হেঁটে বাসায় চলে আসলাম।

তারপর বাসায় আসার পর আমি বক্সটি খুলে প্রথমে ওয়াইফাই রাউটার এর সাথে কানেক্ট করে নিলাম। এরপর টিভির সাথে কানেক্ট করলাম।

এরপর দেখলাম সব অপশন চলে এসেছে। তাছাড়া ইউটিউব এ প্রবেশ করে কাটুন বের করলাম। এবং আমার মেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়ে গেলো। মেয়েদের খুশি দেখে আমার কাছে ও ভীষণ ভালো লাগলো। এরপর দেখলাম এখন টিভি প্রায় মোবাইল ফোনের মতো হয়ে গিয়েছে।

যাই হোক এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। সবসময় এই কামনাই করি আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টের-বিবরণ

আমি আসাদুল ইসলাম। আমার স্টিমিট একাউন্ট হচ্ছে @asadul-islam. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি বর্তমান চাকরির পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করছি। নিজের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার জন্য। আমি বর্তমান ঢাকা উত্তরাতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমি বিবাহিত আমার দু'টো ছোট ছোট মেয়ে আছে। নিজের সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করছি। আশাকরি এভাবেই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ ❣️