গ্রামীণ ঐতিহ্য বাঁশের বেড়া
আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি বাঁশের তৈরি ব্যাড়া নিয়ে আলোচনা করবো। তো বন্ধুরা বেশী দেরি না করে শুরু অওরা যাক। |
---|
আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যগুলো মধ্যে একটি হলো বাঁশের বেড়া। বাঁশের বেড়া প্রতিটি গ্রামেই দেখা যায়। সেই ছোটোবেলা থেকেই আমি বাঁশের বেড়া দেখে আসছি। বাঁশের বেড়া বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। বাঁশের কঞ্চি সারিবদ্ধভাবে বেধে এক ধরনের বেড়া বানানো হয়, আবার বাঁশ খুবই চিকন চিকন করে কেটে পাতি বানানো হয় ও সেগুলো দিয়ে এক ধরনের বেড়া বানানো হয় যেগুলো খুব সহজেই ভেঙে যায় এবং বাঁশ বেশ মোটা করে কেটে এক ধরনের বেড়া বানানো হয় যা খুবই শক্তিশালী হয়ে থাকে। তবে বাঁশের কঞ্চির বেড়াও অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে এগুলো সহজে নষ্ট হয় না এবং সহজে ভাঙেও না। আমি এখানে তিন ধরনের বেড়ার ছবিই তুলেছি।
বাঁশের বেড়া বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে শাক-সবজি ও ফসল গরু ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাঁশের বেড়া বেশী ব্যবহৃত হয়। গ্রামে বাঁশের ব্যবহার বেশ ভালোভাবেই করে থাকে মানুষ। তাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজেই লাগায় এই বাঁশকে। এই ধরনের বাঁশের বেড়া বানানোর জন্য পেরেক, হাতুর, গুনা বা দড়ি এগুলোর প্রয়োজন হবে। এই বাঁশের বেড়াগুলো দিয়ে মানুষ তাদের শাক-সবজির ক্ষেতের পাশাপাশি অনেকে তাদের বাড়ির আঙিনাও ঘিরা দেয় এবং সেখানে ঘিরা দিয়ে ধান শুকায়। আবার অনেক সময় জমি ভাগাভাগি হলে তখনো এই বাঁশের বেড়া দিয়ে মানুষ তার নিজের জমি ঘিরে নেয়। গ্রামে এরকম অনেক বাড়ি আছে যেগুলো বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করা থাকে এবং দরজাও হয় বাঁশের তৈরি।
উপরের ছবিগুলোতে যে বাঁশের বেড়াগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো আমাদের বাঁশের বেড়া। এখানে আমি তিন ধরনের বেড়াই দেখিয়েছি। বড় বেড়াগুলো অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে। আমাদের বাড়ির সামনে একটি জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগানো হয়েছে। ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই বাঁশের বেড়া সেখানে দেয়া হয়েছে। এই বাঁশের বেড়াগুলো গ্রামে ঐতিহ্য। এগুলো গ্রামের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। এমন কোনো গ্রাম বেই যেই গ্রামে বাঁশের বেড়া নেই। এই বাঁশের বেড়াগুলো যখন পুরনো হয়ে যায় বা ভেঙে যায় তখন এগুলো জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বাঁশের বেড়ার কোনো বিকল্প নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এর ব্যবহার আছে। এগুলো আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য। এগুলো ছিলো, আছে এবং থাকবে।
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ১৩ |
---|---|
ক্যামেরা | ৫০ মেগাপিক্সেল |
লোকেশন | জমির হাট, পার্বতীপুর, দিনাজপুর। |
তো বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। ভূল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। |
---|
https://twitter.com/saikat01718/status/1705019611455135984?t=tA_9gXMm0sIDwMYUldY2vg&s=19
অনেক চমৎকার একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই আপনি।কথাটি ঠিক গ্রামীণ ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে একটি বাঁশের বেড়া।বাঁশের বেড়া বিভিন্ন হয়ে থাকে,গ্রামে এবং শহরে সব জায়গায় বাঁশের বেড়া দেখা যায়।ঠিকই বলেছেন যে কোনো শাক সবজি ও ফসল গরু ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাঁশের বেড়া বেশি ব্যবহৃত হয়।আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন বাঁশের বেড়া যেভাবে তৈরি করতে হয় তা।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার উপস্থাপনা করেছেন দেখছি। আসলে সত্যি বলতে বাশেঁর ব্যবহার সেই আদিম কাল হতে চলে আসছে। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তারা কিন্তু বাশেঁর ব্যবহার সম্পর্কে বেশ ভালোই জানি। গ্রাম বাংলায় বাশঁ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। ঘরের মাচা বাধঁতে, সাকো বানাতে। এমন কি ফসলের জমিতে বাশেঁর ব্যবহার কিন্তু অনেক বেশী। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের বেড়া নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। গ্রামে এই বেড়ার জুড়ি নেই। বিভিন্ন ধরনের কাজে এই বেড়া ব্যবহার করা হয়। আমার মনে হয় সার্ভার প্রবলেমের কারণে আপনি আপনার পোস্টটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। বেড়া তৈরির পদ্ধতিটিও আপনি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। এই ধরনের বেড়ার বেশ কিছু ব্যবহার রয়েছে। অনেকেই ফসলি জমি কে গরু-ছাগলের হাত থেকে রক্ষার জন্য জমির পাশে বেড়া লাগিয়ে দেন। তাছাড়া এই বেড়া লাগিয়ে অনেকেই জমির সীমানাও নির্ধারণ করেন ।আপনি দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার ঐতিহ্যমূলক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বাঁশ আমাদের গ্রামীণ জীবনে বিশেষ প্রয়োজনীয় একটি উদ্ভিদ। বাঁশ দিয়ে অনেক কিছু করা যায়। যেমন - আপনি বেড়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই বেরা আসলেই অনেক কাজে আসে। আমার বাগানের প্রতি বছর অনেক বেড়া লাগাতে হয়। এগুলো লাগানোর ফলে গরু ছাগল আর ভিতরে আসতে পারেনা। এগুলো অনেক সাহায্য করে গাছ গুলোকে বাঁচাতে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় এই বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়। এগুলো আমাদের জন্য বেশ ভালো একটি জিনিস। প্রথমে বাঁশ কেটে সেগুলো কেটে ছোট ছোট করে নেওয়া হয়। এর পর এগুলোকে ফাটিয়ে এ রকম বাতা তৈরি করা হয়। এরপর খিল দিয়ে এগুলোকে একখানে করে যে কোন স্থানে লাগিয়ে দেওয়া হয়। সব থেকে বেশি ব্যবহার করা হয় ছোট গাছ লাগালে সেই গাছকে গরু ছাগল থেকে রক্ষা করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আপনি আরো নতুন নতুন কিছু বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। বাঁশের তৈরি বেড়া আমাদের ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত। বিভিন্ন ধরনের ফসল গুলোর নিরাপত্তা অর্থাৎ গবাদি পশু থেকে চাষকৃত এসব ফসল রক্ষা করার জন্য বাঁশের তৈরি বেড়া গুলো ব্যবহার করা হয়। আপনি আপনার আজকের এই পোস্টে বাঁশের তৈরি বেড়া নিয়ে একটি বিস্তারিত আলোচনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাঁশ দিয়ে বানানো বেড়া আমাদের অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। বাঁশের বানানক এই বেড়া আমাদের একটি প্রাচীন ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। বাগান থেকে শুরু করে করস্থান, গাছপালা ঢেকে রাখার জন্য এই বাঁশের বেড়া ব্যবহার করা হয়। কঞ্চির থেকে বাঁশের বাতা করে বানানো বেড়া বেশিদিন টিকে থাকে।
বাঁশের বেড়া নিয়ে দাঁড়ান উপস্থাপন করেছেন ভাই । ফসলের জমি হাঁস মুরগি গরু ছাগলের আক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য এই বেড়া ব্যবহার করা হয়। গ্রাম অঞ্চলে এই বেড়া বেশি দেখা যায়। বাঁশের বেড়া গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। গ্রামের মানুষ তাদের ফসলের জমিতে এই বেড়া বেশি দিয়ে থাকে। শাক সবজির জমিতে বেশি দেওয়া হয় এই বেড়া। কারণ গরু ছাগলের হাত থেকে শাক সবজিকে বাচানোর জন্য । আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই, আপনার ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাঁশের বেড়া সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে বাঁশ এমন এক বস্তু যা আমাদের সকল কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে বিশেষ করে গ্রাম বাংলার যে কোন জায়গায় কোন কিছু দেওয়ার জন্য এই বাঁশ সবার আগে প্রয়োজন হয়। এবং বিশেষ করে এরকম বেড়া দেওয়ার জন্য এই বাঁশ গুলো সবার আগে প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং এই বাঁশ গুলোকে বড় বাঁশা বলা হয় আমাদের এলাকায়। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।