রিয়াদের ছেলেবেলার রুটিন@10% benificial beauty of creativity.

in Beauty of Creativitylast year

IMG_4665.JPG

নিজেদের ক্ষেতে উৎপাদিত শস্য হাতে হাস্যোজ্জ্বল রিয়াদ

রিয়াদ যার পুরো নাম সাইমন হোসেন রিয়াদ। আমার মেয়ে রূপন্তীর গৃহশিক্ষক। অতি দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা একটি ছেলে। ইংরেজীতে অনার্স শেষ করে এখন মাস্টার্স করছে।সহজ সরল ছেলে রিয়াদ। অকপটে ওর ছেলেবেলার কথাগুলো বলে যায়। তাই মনে হল, রিয়াদের ছোটবেলার একটি ঘটনা নিয়েই আজকের লেখাটা লিখি। ওর মুখে আমি যেভাবে শুনেছি সেই ভাবটা বজায় রাখার জন্য রিয়াদের মুখের ভাষাতেই লিখছি । অর্থাৎ কথাগুলো রিয়াদের মুখের ভাষায়-

IMG_4661.JPG

সেই গ্রামীণ স্মৃতি ফেলে আসা আজকের রিয়াদ।

“সপ্তম শ্রেণী থেকে এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত আমার একটা কর্ম ব্যস্ত রুটিন ছিল। প্রতি সকালে উঠে নামাজ পড়ে চলে যেতাম গোয়াল ঘরে। গরুর মল পরিষ্কার করার পর গরুর খাবার প্রস্তুত করতাম। এতে মোটামুটি এক দেড়েক ঘণ্টা লেগে যেত। বাসায় এসে হাত মুখ ধুয়েমুছে পড়তে বসে যেতাম। এর মাঝে ছোট কাকা গরুর দুধ দোহন করে নিয়ে আসতেন আমি গোসল খাওয়াদাওয়া করে স্কুলের জন্য তৈরি হয়ে যেতাম।
IMG_4664.JPG

কলকাতা শহরে রিয়াদ।

এক হাতে বই আর এক হাতে ৫-৬ কেজি দুধ সহ বালতি হাতে নিয়ে প্রথমে বাজারের উদ্দেশ্য রওনা দিতাম। উল্লেখ যে, ওই সময়ে আমাদের খুব কম সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীই স্কুল ব্যাগ ব্যবহার করত। যারা ব্যবহার করত তাদের আমি অন্তত পক্ষে ধনির দুলাল মনে করতাম। প্রায় দুই আড়াই কিলোমিটার পথ এভাবে হাটতে হতো বাজারে পৌঁছাতে। অনেক সময়ই হাত কাধ ব্যথা হয়ে যেত, হাত লাল হয়ে যেত। রাস্তায় পাইকারি গোয়ালের কাছে দুধ বিক্রি করতাম না তারা দাম কম দিত বলে। বাজারে নিয়ে বিক্ রি করলে একটু বেশি দাম পাওয়া যেত, যার অতিরিক্ত টাকাটা দিয়ে আমার টিফিন এর খাওয়া হয়ে যেত। দুধ বিক্রি করে বালতিটা এক দোকানে রেখে স্কুলে চলে যেতাম। দীর্ঘ ক্লাস শেষ করে সেই বিকাল চার টায় আবার বাসার জন্য রওনা দিতাম। বাসায় এসে খাওয়াদাওয়া করে আবার সেই গোয়াল ঘরে। দুপুরের গরুর খাবার খাওয়াতো ছোট কাকা। সন্ধ্যা নেমে গেলেই পড়তে বসে যেতাম। টানা রাত ১০-১১ পর্যন্ত পড়তাম। মাঝে রাতের খাওয়া ও ইশার নামাজ পড়ে নিতাম। অনেক সময় এমন হয়েছে যে পড়তে পড়তে কখন যে টেবিলের উপর ই মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেছি তা অজানা। মেঝো কাকা বা ছোট কাকা এসে জাগালে আবার উঠে মুখ হাত ধুয়ে কিছুক্ষণ পড়ে ঘুমিয়ে যেতাম। সকালে উঠে আবার একই রুটিন পুনঃ আবৃতি হত।”

আমার ছেলেবেলা (রুটিন)
মুহাম্মদ রিয়াদ হোসাইন
Md Saimon Ahmed Riad

কেমন লাগলো রিয়াদের ছোটবেলার সংগ্রামমুখর জীবনের দৈনন্দিন রুটিন। আশা করছি ভাল লেগেছে।

এতক্ষন ধৈর্য্যধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভালথাকুন সবাই।
@rezaulfdm

ছবিগুলো রিয়াদ সাহেবের কাছ থেকে সংগ্রহ করা। কিন্তু তার আগের জীবনের ছবি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

Some verified links are given below:
My achievement 1 link: https://steemit.com/hive-172186/@rezaulfdm/achievment-1-my-first-post-rezaulfdm
My achievement 2 link: https://steemit.com/hive-172186/@rezaulfdm/achievement-2-necessary-knowledge-of-basic-security-on-the-steemit-platform-rezaulfdm
Beauty of Creativity verified Link: https://steemit.com/hive-144064/@rezaulfdm/rezaulfdm

Sort:  
 last year 

you are newcomer in our community. be active in our community and share the quality content. self pictures are not allowed in our community.

 last year 

Dear Sir,
Thank you very much for replying to me. The pictures in this content are not mine. I wrote about Mr. Riad, who is my daughter's house tutor. This picture is of Mr. Riad. I will follow your instructions.

Best Regards.
@rezaulfdm

 last year 

we welcome to you in our community. your post is manually curated for new user appreciation. please follow the community rules for further community support.

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 61143.97
ETH 3363.47
USDT 1.00
SBD 2.51