This is my First Post @maniruzzamanazad

আমার পরিচয় দেওয়ার আগে, আমি আপনাকে বলতে চাই কিভাবে আমি steemit সম্পর্কে জানলাম। কয়েকদিন আগে আমার প্রাক্তন সহকর্মী @aparajitoalamin এর সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করেছি। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তিনি আমাকে steemit এর ধারণা দেন। এরপর steemit এর প্রতি আমার আগ্রহ বাড়তে থাকে। আমিও গুগল থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছি। আমি steemit এ খুব নতুন, এটি আমার প্রথম পোস্ট, আশা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।

আমি কে?
আমি মোঃমনিরুজ্জামান, পিতা মোঃ খায়রুজ্জামান ও মাতা মনোয়ারা বেগম। ৮ ভাই বোনের মধ্যে আমি দ্বিতীয়। আমার জন্ম বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে। আমি বর্তমানে শিল্প ব্যবসার সাথে জড়িত আছি। ৩ মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে আমার ৫ জনের সংসার। আমি সামাজিক কাজ এবং লেখালেখি করতে পছন্দ করি।
আমার শৈশব এবং বেড়ে ওঠা:
আমি সম্পূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশে বড় হয়েছি। আমি ছোটবেলা থেকেই শান্ত এবং লাজুক। গ্রামের একটি স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করি। পরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর ডিমলা R.B.R সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা শুরু করি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় অনেক নতুন নতুন বন্ধু তৈরি হয়েছিল সব বন্ধুরা একসাথে অনেক খেলাধুলা করেছি এবং পড়ালেখায়ও খুব ভালো করেছিলাম। পড়া-লেখার পাশাপাশি গল্প লেখার প্রতিও আমার আগ্রহ ছিল। গল্পের বই পড়া এবং উপন্যাস পড়া আমার খুব আগ্রহ ছিল। আমি আমার বন্ধুদের কাছ থেকে গল্প এবং উপন্যাসের বই ধার করতাম, মাধ্যমিক স্কুল জীবন আমার জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের ছিল। মেধার সাথে মাধ্যমিক শেষ করে উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ডোমার উপজেলার ডোমার সরকারি কলেজে ভর্তি হই।

আমার পরিবার এবং কর্মজীবন:
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় জীবনের আসল যুদ্ধ শুরু হয়। জীবনের বাস্তবতার প্রথম ধাপে আরেকটি বাস্তবতা যুক্ত হয় বিয়ে। চাকরির সুবাদে রাজশাহীতে থাকতাম। সেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই শুরু হয় কষ্টের বর্ণিল জীবন।
সারাদিনের পরিশ্রম আর দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটতো যখন দুই কাঙ্খিত মন রাতে একসাথে হতাম,সারাদিনের ক্লান্তি ভুলে যেতাম। কর্মজীবন ভালোই চলছিল কিন্তু ভাগ্যের টানে রংপুরে এসে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশে যোগদান করি। অন্যরকম অনুভূতির জীবন শুরু হল, দুঃখ-দুর্দশা কেটে যেতে না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর কোলে একটি কন্যা সন্তান জন্মেছিলো, যা আমাদের দুজনের জন্যই ছিল এক বিরাট উপহার। সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে, আমি ভালোভাবে চাকরি কালীন সময় পার কছিলাম এবং অল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে উন্নীত হয়েছি। কাজের দক্ষতার কারণে, অল্প সময়ে ঊর্ধ্বতনদের নজরে আসি এবং চাকরি ও ব্যক্তিগত জীবন খুব আনন্দের সাথে উপভোগ করতে থাকি । খুব ভালোভাবে জীবন অতিবাহিত করতে করতে ব্যাক্তিগত শিল্প কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেই ।
বর্তমান জীবনঃ
আমি তৎকালীন জীবনটাকে অন্যভাবে ভাবতে শুরু করেছিলাম,বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পরিবর্তে উদ্যোক্তা হয়ে কর্ম সংস্থান তৈরির চিন্তা করি। চিন্তার ধারাবাহিকতা হিসেবে আমি আমার এলাকায় জামান পার্কিং টাইলস ফ্যাক্টরি নামে একটি কারখানা গড়ে তুলি। বর্তমানে এই কারখানায় ১০/১২ জন শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। আমার কোম্পানির পণ্য কয়েকটি জেলায় সরবরাহ করতে হয়। আমার ৩ মেয়ে ও স্ত্রী সহ মোট ৫ জন সদস্য। বড় মেয়ে দশম শ্রেণীতে দ্বিতীয় মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যয়নরত আর অন্য মেয়ের বয়স ৩ বছর। বর্তমানে, আমি আমার নিজের ব্যবসা দেখাশোনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজ করছি এবং অবসর সময়ে সচেতনতামূলক বার্তা প্রদান করি যা আমি লিখি এবং সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকি। বাকিটা সময় লেখালেখি করতে চাই, আমার লেখা সবার ভালো লাগবে কিনা জানি না।
আপনি যদি এটি পছন্দ করেন, আমি উৎসাহিত হয়ে আরো ভালো কিছু উপহার দিবো।এটাই আমার শেষ কথা, আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক এবং হেদায়েত দান করুন।
My verified post :https://steemit.com/hive-172186/@maniruzzamanazad/achievement-1-my-1st-post-maniruzzamanazad