THE DAIRY GAME:(05/10/2020)আজকের দিনলিপি

শেষ রাতে মসজিদ হতে মুয়াজ্জিনের আজানের সুমধুর সুর কানে আসতেই ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাহির থেকে ভোরের হাওয়া শরীরে লাগিয়ে বাড়িতে ফিরে এসে ওজু করে ফজরের সালাদ আদায় করে নিলাম।সালাদ আদায় করে গোয়ালে ঢুকে গরু গুলোকে সকালের খাবার দাবার খড় দিয়ে গোয়াল ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে দিয়ে গোয়াল ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আমিও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে নিলাম। বাড়িতে হালকা নাস্তা করে নিলাম। তারপর বাজারে গিয়ে দোকান খুলে দোকানে বসে পড়লাম। দোকানে বসে থাকতে থাকতে সকালে ৯ টা বাজলে বাবা

দোকানে গেলে আমি দোকান থেকে বাড়ি ফিরে এসে গোসল করে সকালের খাওয়া করে নিলাম। খাওয়া শেষ করে রেডি হয়ে ছোটো ভাইটাকে নিয়ে শহরের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিলাম। প্রথমে গেলাম পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেখানে চারটি পরীক্ষা হবে আর বেষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেখানে চারটি হবে তবে কিছু পরীক্ষা আগের দিন হয়েছে সেগুলোর রিপোর্ট নিয়ে বাকি গুলো আজকে করতে হলো। তো প্রথমে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখানে আগের দিন দুই টি পায়খানার পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে আর আজকে হবে দুইটি একটি এন্ড্রোসকপি আরেকটি আলট্রাসনোগ্রাম। পপুলারে তথ্য ছিল যে আপনারা সোমবার সকাল এগারোটায় আসবেন খালি পেটে মানে রাতে খেতে হবে পরেরদিন খাওয়া করা যাবে না এন্ড্রোসকপি হওয়ার আগ পর্যন্ত। পপুলার

ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যথারীতি সকাল ১১ টায় পৌঁছালাম।তো সেখানে পৌঁছানোর পর দায়িত্বরত কর্মকর্তা বললেন ডাক্তার সাহেব আসবেন ১.০০ টার দিকে শুনে তো অবাক এত সময় না খেয়ে থাকতে হবে। তো সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম বেষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেখানে চারটি পরীক্ষা নিরীক্ষা ছিল শুন তিনটি হয়েছে এবং বাকি ছিলো শুধু এক্সরে টা তো সেটা এখানে করা হলো ১৫ মিনিট পরে চারটির রিপোর্ট দিলে ওখান থেকে বেরিয়ে আবার পপুলারে এসে বসে থাকলাম। তো ছোট ভাই টাকে তুমি বসে থাক আমি কয়েকটি কাজ শেষ করে আবার তাড়াতাড়ি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ফিরে আসবো। তো সেখান থেকে বেরিয়ে ১ম গেলাম জিলা স্কুলের অডিটোরিয়ামে সেখানে ৫ই অক্টোবর বিশ্ব-

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় গেলাম। সেখানে থাকতে থাকতে কিছু কাজ করতে আবার একটু বাইরে গেলাম। তো সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম স্কাউট অফিসে ওখান থেকে এক কলিগ এর বাসায় ওনার সাথে কথা বলে গেলাম দোকানের কিছু ঔষধ নিয়ে আবার আসলাম জিলা স্কুলের সেই সমাবেশে তো আলোচনা সভা শেষে নাস্তা নিয়ে বেরিয়ে গেলাম এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে ওনার সাথে দেখা করে কথাবার্তা শেষ করে আবার তাড়াতাড়ি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফিরে আসলাম। আসার পর শুনলাম ডাক্তার তখনও আসে নাই। এদিকে ক্ষীদায় অবস্থা খারাপ ছোট ভাইয়ের। আমি তুমি থাক আমি জোহরের নামাজ পড়ে আসি।

তারপর আড়াইটার দিকে ওকে এন্ড্রোসকপি করার রুমে ঢুকিয়ে পরীক্ষা হলে রুম থেকে বেরিয়ে এলো তার হালকা নাস্তা কলা আর রুটি দিলাম। তার পরে আমি ও হোটেলে গিয়ে খাওয়া করে নিলাম। খাওয়া করতে করতেই বৃষ্টি শুরু হলো প্রায় আধ ঘন্টা পরে বৃষ্টি থামলো ওখানে থেকে বেরিয়ে আবার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফিরে এসে আসরের নামাজ আাদায় করে নিলাম। নামাজ পড়ে আবার বসে থাকলাম বসে থাকতে থাকতে প্রায় ছয়টা বেজে গেল কিছু সময় পরে মাগরিবের আজান হলো তাড়াতাড়ি ওজু করে মাগরিবের নামাজ আাদায় করে নিয়ে
আবার ছোট ভাইটার কাছে গিয়ে বললাম ডাক্তার আসছে ও বললো পরীক্ষা শুরু হয়েছে ৭ সিরিয়াল আমার বেশি বেশি পানি পান করতে বললো প্রশাবের চাপ রাখার জন্য।

সিরিয়াল আসলে পরীক্ষা শুরু হলো। পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলাম । ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বললো আলসার হয়েছে তিনি ১৪ দিনের ঔষধ দিলেন। তার পরে দেখা করতে বললেন। ডাক্তার এর চেম্বার থেকে বেরিয়ে একজন মানুষের সেবা বা সহযোগিতার কথা না বললেই নয়। মেয়েটার নাম লাবি খুবই ভালো সহযোগিতা করার কারণে ওনার সাথে কথা বলে সাদর সম্ভাসন করে বিদায় দিয়ে ঔষধ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। বাড়িতে এসে ওজু করে এশারের নামাজ শেষে রাতের খাওয়া শেষ করে আজও ঐ রোগীর বাড়িতে গিয়ে ইনজেকশন দিয়ে বাড়িতে এসে গরু গুলো কে রাতের খাবার খেতে দিয়ে ঘরে ঢুকে বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইলে বিভিন্ন নিউজ দেখা শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
Introduction post : my introduction post to steem newcomers community