Movie Review - Captain Marvel (2019) || 22/05/2021
হেলো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আবার ও একটি মুভি রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম আমি @razuahmed . আজকে যে মুভিটি রিভিউ করবো সেটি হচ্ছে Captain Marvel
আজকের মুভিটির নাম ইতিমধ্যেই জেনে গেছেন। এটি মার্ভেল এর এর আরেকটি মুভি। এর আগে আমি এর আগে আমি মার্এভেল এর আরো কিছু মুভি রিভিও করেছি। এগুলো হচ্ছে-
Captain Marvel সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই চলুন -
বিষয় | তথ্য |
---|---|
রিলিজ এর তারিখ | February 27, 2019 (London) |
পরিচালক | Anna Boden, Ryan Fleck |
বক্স অফিস | 1.128 billion USD |
সিরিজ | Marvel Comics |
ধরন | Action, Adventure, Sci-Fi |
ঘটনা | Nicole Perlman; Meg LeFauve; Anna Boden; Ryan Fleck; Geneva Robertson-Dworet |
চাইলে মুভি টির অফিশিয়াল ট্রেইলার দেখে আসতে পারেন -
মূল কাহিনি
এই ছবির মুল কাহিনি হচ্ছে ক্যাপ্টেইন মার্ভেল আর স্কাল এর কাহিনি নিয়ে। মুভি তে দেখা যায় ক্যারল মানে যে ক্যাপ্টেইন মার্ভেল হবে সে একটি লাইট স্পিড ইঞ্জিন ধংশ করার সময় তার সব শক্তি নিজের মধ্যে পেয়ে যায়। তারপর ধিরে ধিরে সে ক্যাপ্টেইন মার্ভেল এ পরিনত হয়। অপরদিকে স্কাল রা তাদের নিজের দের অস্তিত্য টিকিয়ে রাখতে ক্রি দের সাথে যুদ্ধ করে যায়। ক্রি রা হচ্ছে শয়তান। এরা চায় অন্য সব প্লেনেটের বাসিন্দারা তাদের গোলামি করুক। ক্যাপ্টেইন মার্ভেল প্রথমে ক্রি দের দলে থাকলেও পরে সে যখন তার স্মৃতী শক্তি ফিরে পাওয়ার পর বুঝতে পারে সব। তখন সে স্কাল দের হয়ে ক্রিদের বিপক্ষে লরে। শেষে ক্যাপ্টেইন মার্ভেল এর জয় হয়। এসব নিয়েই এই মুভির কাহিনি।
রিভিউ
আগের মুভির মতন এই মুভিটিও ফুল একশন এ ভরা। এই মুভি দেখেই আমি ক্যাপ্টেইন মার্ভেল এর ফ্যান হয়ে যায়। কারন তার অনেক শক্তি। তো যাই হোক শুরু করছি আমার আজকের রিভিউ।
ছবির শুরুতেই ক্যারল কে দেখা যায়। সে মাত্রই সেই প্লেন ক্র্যাশ হওয়ার স্বপ্ন দেখে জাগ্রত হয়। কিন্তু কিছুই মনে করতে পারেনা। সে এখন ক্রি দের প্লেনেট এ আছে। এখানে সে ট্রেনিং নেয় ক্রি কমান্ডার থেকে।
ক্রি এর এক কমান্ডার অনেক রকম এর মারা মারি শিখায় ক্যারল কে। ক্যারল ও অনেক কিছু শিখে কমান্ডার এর কাছ থেকে। কিন্তু ক্যারল অল্পতেই বার বার রেগে গিয়ে পাওয়ার মারতে চায়। কারন তার হাত থেকে প্রোটন ব্লাস্ট বের হয়। যার পাওয়ার অনেক বেশি।
কিন্তু শেষ মেষ ক্যারল তার পাওয়ার ইউস করেই ফেলে। অনেক দূরে ছিটকে যায় ক্রি কমান্ডার। দেখতে মজাই লাগে এই পার্ট টা। আমি হাসতে হাসতে শেষ।
তারপর সবাই এক যায়গায় গল্প করতে থাকে সেখানে অনেক ক্রি সেনাদের দেখা যায়। কমান্ডার আর ক্যারল কথা বলতে থাকে সেখানে। অনেক হাসি ঠাট্টা হয়। হটাথ ক্যারল কে ডাকে ওই প্লেনেটের মেইন কমান্ডার বা প্রেসিডেন্ট। ক্যারল ও সাথে সাথেই এক প্রযুক্তির মাধ্যমে তার কাছে চলে যায়।
হঠাত ক্রি কমান্ডার ক্রি সেনা এবং ক্যারল কে নিয়ে একটি প্ল্যানেট এ যায় যেখানে স্কাল রা এটাক করেছে। সেখানে সবাই স্কাল দের সাথে ফাইট করে। অনেক স্কাল এবং ক্রি সেনা মারা যায়। স্কাল রা আবার রুপ বদলাতে পারে। যেকোনো রুপ ধারন করতে পারে মানুষ এর।
এক স্কাল রূপ বদলিয়ে ক্যাপ্টেইন মার্ভেল কে নিয়ে যায় । ওকে রাখা হয় স্কাল দের একটি স্পেস শিপ এ। সেখানে ওকে বেধে রাখা হয়। স্পেশালি ওর হাত গুলো যেনো প্রোটন ব্লাস্ট না করতে পারে। শুরু হয় ক্যারল এর স্মৃতি দেখার। ক্যাপ্টেইন মার্ভেল ও তা বুঝতে পারে।
স্মৃতি দেখায় এক পর্যায়ে ক্যারল ক্ষেপে যায় খুব। সে সব কিছু ভেঙ্গে ফেলে। স্কাল কে ধরে প্রোটন ব্লাস্ট মারার জন্য যদিও তার হাত আটকানো ছিলো কিন্তু সেটি গরম এর তাপের গলে যাচ্ছিলো। তখন স্কাল বলে যে ক্রিরা মার্ভেল কে সম্মহিত করে ফেলেছে। অনেক ফাইট হয়। এক পর্যায় ওই স্পেস শিপ ধংশ হতে শুরু করে। তখন ছোট্ট একটি স্পেস শিপ এ করে ক্যারল পৃথিবীতে চলে আসে।
ক্যারল পৃথিবীতে এসেই ক্রি কমান্ডার এর সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু হঠাত নিক ফিউরি চলে আসে। সে শিল্ড এর এজেন্ট। প্রথমেই ক্যারল সব খুলে বলে। কারন পৃথিবীতে স্কাল রাও এসে পড়েছে।তারা রুপ বদল করে ঘুরতেছে আর ক্যাপ্টেইন মার্ভেল কে খুজতেছে। ফিউরি প্রথমে বিশ্বাস করে না যে মার্ভেল অন্য গ্রহ থেকে এসেছে। তখন ক্যারল প্রোটন ব্লাস্ট মারে এক স্কাল এর দিকে। স্কাল টি পালিয়ে যায়।
ফিউরির গাড়িতে একটি স্কাল ছিলো কোলসন সেজে তখন সে এটা বুঝতে পারে কোলসন এর কল আসার পর তখন সে এটিকে গাড়ি এক্সিডেন্ট করে মেরে ফেলে। তার দেহ এখানে নিয়ে আসে দেখতে এক্সপেরিমেন্ট করে। ফিউরির বস ও এখানে আসে যদিও সে আসলে স্কাল। বস এর রুপ ধরে এসেছে।
ক্যাপ্টেইন মার্ভেল কফি হাউজের গিয়েছিলো কিছু খোজ খবর নিতে। তখন সেখানে নিক ফিউরিও হাজির হয়। তখন নিক ফিউরি স্কাল এর বডি সম্পর্কে বলে।
তারপর তারা এক সাথে একটা লাইব্রেরি তে যায়। যেখানে অনেক আগের বই আছে। ঘটে যাওয়া সিক্রেট ঘটনা। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে তার এক বন্ধু আছে এখানে। তারপর সে এখান থেকে বার হয়ে তার বন্ধুকে খুজতে বার হয় নিক ফিউরি সহ। এর মাঝে তাদের উপর স্কাল আর শিল্ড থেকে হামলাও হয়েছে।
স্কাল রা মার্ভেল এর বন্ধুর বাসায় ও হাজির হয়। তখন ফিউরি আর মার্ভেল তাকে মার্তে চায় । কিন্তু আগেই অন্য স্কাল মার্ভেল এর বন্ধুর মেয়েকে নিয়ে খেলতে ছিলো। স্কাল আশ্বাস দেয় যে তার ক্ষতি না করলে সেও কারো ক্ষতি করবেনা।
তারপর স্কাল বুঝাতে থাকে যে তারা শত্রু না। তারা কো অর্ডিনেট খুজতেছে। যেখানে তার পরিবার সেফ আছে। তখন তারা একত্রিত হয়ে কো অর্ডিনেট খুজে বার করে। কিন্তু কিচ্ছুক্ষন পর ক্রি এর লোকেরাও এখানে এসে যায়। প্রচুর ফাইট হয়।
এক পর্যায়ে ক্রি এর প্রেসিডেন্ট মার্ভেল কে ডেকে নেয়। কিন্তু মার্ভেল এর সব মনে পরে যাওয়ায় সে ওখান থেকে বের হতে চায়। কিন্তু তার গলায় একটা ডিভাইস দিয়ে তার শক্তি নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। সে সেটা ভেংগে সেখান থেকে মুক্ত হয়ে যায়।
তখন শুরু হয় তুমুল ফাইট। ক্রি কমান্ডার অন্য গ্রহের শয়তান কে পৃথীবিকে ধংশ করতে পাঠায়। তারা এসেই অনেক গুলো শক্তি শালি মিসাইল মারে।
কিন্তু মার্ভেল ক্রি দের থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তার আসল শক্তি রিভিল হয়। আদতে সে অনেক বেশি শক্তি শালি। তখন সে একে একে সব গুলো মিশাইল ঘুসি মেরে ধংশ করে ফেলে। অন্য গ্রহের শয়তান রা এটা বিশ্বাস করতে পারেনা। তখন তারা এখান থেকে পালিয়ে যায়।
এভাবে মুভি টি শেষ হয়ে যায়। তারপর মার্ভেল ফিউরি সহ তার বন্ধুকে পৃথিবীতে দিয়ে যায়। এবং ফিউরি কে একটি ডীভাইস দিয়ে বলে যদি কখনো হেল্প লাগে এই ডিভাইস দিয়ে সিগনাল দিতে। এই ডিভাইস টি পরে কাজে লাগে এভেঞ্জার ইনফিনিটি ওয়ার এর পর। নাতাশা আর ক্যাপ্টেইন আমেরিকা এটা খুজে পেয়ে না জেনেই সিগনাল পাঠিয়ে দেয়।
রেটিং
ছবিটির IMDb রেটিং হচ্ছে - ৬.৯/১০
আমার ব্যাক্তিগত রেটিং হচ্ছে- ৮.৫/১০
ছবি সম্পর্কে আরো জানতে ঘুরে আসতে পারেন - https://www.imdb.com/title/tt4154664/
Note: All the picture I used in this post is taken from movie. I captured the screen shot. So there is no copyright issue.
Great
thanks bro
Onk sundor vabe review korcen
Thanks apu... 😍
অসাধারণ পোস্ট। ধন্যবাদ
Thanks bro
খুব সুন্দর হয়েছে ভাই।