গ্রাম বাংলার প্রকৃতিগত ঐতিহ্য এবং বিলুপ্তপ্রায় দৃশ্য- প্রকৃতির নিপুণ কারিগর বাবুই পাখির বাসা
বর্তমান যুগে বাবুই পাখির বাসা সচরাচর দেখা যায় না। আমি ২ দিন আগে পার্বতীপুরে অবস্থিত একটি আবাসিক এলাকায় গিয়েছিলাম, সেখানেই বাবুই পাখির বাসা দেখতে পেয়েছিলাম। বাবুই পাখির বাসাগুলো প্রথম দেখেছিলেন @toufiq777। তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে প্রকৃতির অনেক জিনিস ধরা পড়ে, যা সাধারণ মানুষের চোখে সহজে ধরা পড়ে না। যাই হোক, যখন @toufiq777 আমাকে বাবুই পাখির বাসা সম্পর্কে অবগত করলেন, তখন আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। কারণ, আমি এখানে বেশ কিছুদিন আগেও একবার এসেছিলাম, তখন এই তালগাছে বাবুই পাখির বাসা ছিল না।
আরেকটি মজার ব্যাপার হল এই তালগাছের সামনের ভবনের তিন তলায় আমরা আগে থাকতাম। আর এই তালগাছটি আমরাই রোপণ করেছিলাম। আমার বয়স আর তালগাছের বয়স প্রায় সমান। যখন আমরা আবাসিক এলাকা ছেড়ে বাহিরের কলোনীতে স্থানান্তরিত হই তখন এই তাল গাছটি অনেক ছোট ছিল। এখন এটি লম্বায় প্রায় তিন তলার কাছাকাছি। গাছটিতে এবার প্রচুর তাল এসেছে। গাছে বাবুই পাখির বাসা দেখা মাত্রই এর কিছু ছবি তুলেছিলাম। আমার যতদূর মনে পড়ে আমি এই প্রথম বাবুই পাখির বাসা দেখলাম। এর আগে বাবুই পাখির বাসা দেখেছি কিনা মনে নেই।
বাবুই পাখিরা সাধারণত তালগাছেই বাসা তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। চড়ুই পাখি মানুষের বাসায় থাকতে পছন্দ করে কিন্তু বাবুই পাখি পরিশ্রমী হয় এবং নিজের বাসায় থাকতে বেশি পছন্দ করে। এদের বাসাগুলোও দেখতে চমৎকার এবং মজবুত হয়। বাবুই পাখিরাই এরকম সুন্দরভাবে বাসা তৈরি করতে পারদর্শী। আর তাই বাবুই পাখিদের প্রকৃতির নিপুণ কারিগর বলা হয়। এরা সুপারি এবং খেজুর গাছেও বাসা তৈরি করতে পারে।
কিন্তু প্রকৃতির নিপুণ কারিগর বাবুই পাখিদের বাসা এখন প্রায় বিলুপ্তপ্রায়। কেননা তালগাছ বা সুপারি গাছ সংখ্যায় খুব কমে যাচ্ছে। আমাদের পরিবেশে এই পাখির জন্য বাসস্থানের খুব অভাব। আমরা ছোটবেলায় বইয়ে বাবুই পাখির বাসা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি, কিন্তু বাস্তবে বাবুই পাখির বাসা খুব একটা দেখিনি। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরাও বাবুই পাখির বাসা কখনো দেখেছে কিনা কিংবা দেখলেও চিনবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পাখিজগতের অস্তিত্ব রক্ষার্থেও আমাদের বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ করা উচিত।
ক্যামেরা ডিভাইস | স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা |
---|---|
লোকেশন | MWH6+3XJ আমেরিক্যান ক্যাম্প |
বাবুই পাখি বাসা বাঁধে তালগাছ কিংবা নারিকেল গাছে। তবে বেশির ভাগ দেখা যায় তালগাছে বাসা বাঁধা। বাবুই পাখি অনেক পরিশ্রমী হয়ে থাকে। তাদের বাসা গুলো দেখতে বেশ ভাল। বাবুই পাখি আকারে বেশ ছোট ।
ধন্যবাদ ভাই
মারি দিলেন আগতে তোরা 🙂
😄😄
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Congratulations, your post is upvoted by CCS curation trail from CCS - A community by witness @visionaer3003.
Vote for @visionaer3003 as witness.
বাবুই পাখি অনেক পরিশ্রম করতে পারে। অনেক দূর থেকে একটু একটু করে নারিকেল পাতা নিয়ে গিয়ে বাসা তৈরি করে থাকে। অন্যদিকে চড়ুই পাখি অন্যের বাসায় থাকে মানুষ তাড়িয়ে দিলে অন্য কোথাও অবস্থান করে। আমাদের এলাকায় একটা গাছে বাবুই পাখির বাসা রয়েছে ভাই কিন্তু প্রায় ৭০ ফিট উচা গাছ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
বাবুই পাখি প্রকৃতিগত ঐতিহ্য, অনেক পরিশ্রমী একটি পাখি বাবুই পাখি। যে কিনা কুঁড়েঘরেনথাকতেও দ্বিধাবোধ করে না। নিজের পরিশ্রম দিয়ে নিপুন হাতে তৈরি করে বাসা। ছোটবেলায় বাবুই পাখি কবিতা পড়তাম, বাবুই পাখিকে ডাকিয়া বলে আছে চড়াই, কুঁড়েঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই। আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকার পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝরে। বাবুই বলে কষ্ট পাই তবু থাকি নিজেরও বাসায়। নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা। তাল গাছটার বয়স আপনার বয়সের সমান শুনে ভালো লাগলো। আর আপনারাই তালগাছটা লাগিয়েছিলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
বাবুই পাখির বাসা নিয়ে সুন্দর লেখছেন ভাই।বাবুই পাখি অনেক পরিশ্রম করে এই ধরনের বাসা তৈরি করে।বাবুই পাখি শুধু তালের গাছে বেশি বাসা তৈরি করে।আমাদের এলাকায় একটা তালের গাছে বাবুই পাখির বাসা ছিল। বর্তমান এখন নাই।আপনি দারুণ ফটোগ্রাফি করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
সত্যি বাবুই পাখি তার বাসা অনেক মেহনত করে তৈরি করে থাকে এবং তাদের বাসা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর দেখায়। এবং পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর বাসা হলো বাবুই পাখির। কিন্তু কালের বিবর্তনে এরা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে...
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
https://twitter.com/sohan74077/status/1688592327638704128
বাবুই পাখিরা সাধারণত তাল গাছেই থাকতে সবথেকে বেশি পছন্দ করেন।তাই তারা তাল গাছ কে তাদের বাসস্থান হিসেবে চিহ্নিত করেন বেশি। বাবুই পাখির বাসা দেখতে অনেক ভালো লাগে ঝড়ের সময় যখন সে বাসা গুলো পড়ে যায় তখন সেগুলো নিয়ে অনেক গবেষণা করি।যাই হোক দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই