গ্রামীণ মেলার অন্যতম আকর্ষণ : রংবেরঙের বেলুন
গ্রামের মেলাগুলোতে আমরা এমন অনেক দৃশ্য প্রত্যক্ষ করি যা সচরাচর দেখা যায় না। কিছু দৃশ্য আছে যা আমরা ছোটবেলায় অনেকবার দেখেছি কিন্তু বড় হওয়ার পর সেগুলো আর তেমন চোখে পড়েনি। তেমনই একটি দৃশ্য হল রাস্তাঘাটে রংবেরঙের বেলুন বিক্রি হওয়ার দৃশ্য। আগে রাস্তা ঘাটে, বাজারে কিংবা স্টেশনে আমরা বেলুন বিক্রেতাদের দেখতাম। কিন্তু বর্তমানে গ্রামের কোন মেলা ছাড়া বেলুন বিক্রেতাদের দেখা পাওয়া মুশকিল।
আফতাবগঞ্জ মেলায় অনেকেই বেলুন বিক্রি করছিলেন। এসব বেলুন বিক্রেতার মধ্যে বেশিরভাগ বিক্রেতাই ছিলেন যুবক বয়সী এবং প্রত্যেকের পোশাক আশাক বেশ ভালো ছিল। দেখেই অনুমান করা যায় যে, তারা হয়ত শখের বসে মেলায় বেলুন বিক্রি করছেন। কারণ মেলা ছাড়া অন্যান্য সময় তেমন বেলুন বিক্রি হয়না। তবে এটা একদিক দিয়ে ভালো যে যুবকরাও বেলুন বিক্রির সাথে জড়িত। বেকার যুবকদের জন্য বেলুন বিক্রি করাও লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।
ছোটবেলায় যখন বাবার সাথে পার্বতীপুর শহীদ মিনারে যেতাম তখন সেখানকার বেশ কিছু দোকানে ফান্টা বা আরো কিছু কোল্ড ড্রিংকসের লোগো সম্বলিত বেলুন দেখতাম এবং বাবাকে বলতাম ঐ বেলুনগুলো কিনে দিতে। আসলে কোল্ড ড্রিংকসের লোগো যে বেলুনগুলোতে থাকত সেই বেলুনগুলো সাধারণ বেলুনের তুলনায় বেশিদিন টিকত। আর তখন এই ধরণের বেলুন কেনার ট্রেন্ড ছিল আমাদের এলাকায়। আমার বন্ধুরাও এই বেলুনগুলো কিনত। তাদের দেখাদেখি আমিও কিনেছিলাম। বর্তমানে শহীদ মিনারের কোন দোকানেই বেলুন সাজিয়ে রাখতে দেখা যায় না।
যতই দিন যাচ্ছে বিনোদনের মাধ্যমগুলো ততই পরিবর্তিত হচ্ছে। শৈশবে বেলুন, ঘুড়ি, ফুটবল, মাছ ধরার বড়শি, লুকোচুরি, ক্রিকেট, লাটিম ইত্যাদি খেলা বা খেলার সামগ্রী ছিল অবসরে আমাদের বিনোদনের মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে বেশিরভাগ শিশু-কিশোর এই খেলা বা খেলার সামগ্রীগুলো থেকে বঞ্চিত। এখন ছোট থেকেই বাচ্চাদের বইয়ের বোঝা ঘাড়ে তুলে দেয়া হয় এবং এর পেছনে যুক্তি হল এভাবেই বাচ্চারা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে। আবার প্রযুক্তির কারণেও বাচ্চারা ঘরমুখো বিনোদনে যুক্ত হয়ে পড়ছে। আসলে যুগের সাথে আমাদের জীবনেও অনেক পরিবর্তন আসে, যেখানে হারিয়ে যাওয়া কিছু ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। ছোটবেলায় রংবেরঙের বেলুন দেখে আমরা আনন্দ পেতাম, বন্ধুদের হাতে বেলুন দেখলে বাবার কাছে আবদার করতাম বেলুন কিনে দেওয়ার জন্য। হারিয়ে যাওয়া বেলুনওয়ালার কোন খোঁজ নেই সেভাবে, কিন্তু হারিয়ে যাওয়া শৈশবের দৃশ্যগুলো মনে করেই এখন আমরা আনন্দ পাই।
ক্যামেরা ডিভাইস | স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা |
---|
যতদিন যাচ্ছে ততই মানুষের পরিবর্তন। আগেকার সময়ে দেখা যেত মেলায় গেলে বেলুন নেয়ার একটা অন্যরকম অনুভূতি ছিল। মেলা থেকে রংবেরঙের বেলুন নিয়ে এসে খেলা করতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে রংবেরঙের বেলুন আছে কিন্তু এর চাহিদা কমে গেছে।
ধন্যবাদ আপু
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রংবেরঙের বেলুন ছোটদের মেলায় আকর্ষণের প্রধান কারণ ভাই। মেলায় বেলুন গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। এগুলোতে গ্যাস ভরে দেওয়া হয়েছে যা বাতাসের চেয়ে অনেক পাতলা যার কারণে আকাশের দিকে উঠতে থাকে এই বেলুন বিক্রি করতে আপনিও পারেন বেশ লাভজনক ব্যবসা ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
আফতাবগঞ্জ মেলা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি আপনার কাছে ভাই। রংবেরঙের বেলুন শিশুদের আকর্ষণ করে। এসব বেলুনে গ্যাস ভরা থাকে, যার কারণে বেলুন গুলো উড়ে যায়। সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই যত দিন যাচ্ছে বিনোদনের মাধ্যমগুলো তত পরিবর্তন হচ্ছে।আগে বেলুন নিয়ে খেলতাম কিন্তু বর্তমানের এখন বাচ্চারা এসব খেলনা বাদ দিয়ে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্ত।দারুণ লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ রাহুল ভাই
Tweet
https://twitter.com/sohan74077/status/1678484521250070529
মেলায় গেলে হরেক রকমের বেলুন দেখতে পাওয়া যায়। বেলুন গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। এই বেলুনগুলো আকাশে উড়ে। একটি বেলুনের মূল্য ৪০-৬০ টাকা পর্যন্ত। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ সজল ভাই
এ ধরনের বেলুন গুলো সাধারণত মেলাতে বেশি দেখা যায় ৷ তবে এসব বেলুন ছোট বাচ্চাদের আকৃষ্ট করে বেশি ৷কেননা বাচ্চারা রং বে রঙের বিভিন্ন বেলুন পছন্দ করে ৷আর সেজন্য তারা এই বেলুন কেনার জন্য বিভিন্ন রকমের বায়না ধরে ৷ রং বে রঙের বেলুন নিয়ে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি Iসুন্দর লিখেছেন ভাই ৷ধন্যবাদ
ধন্যবাদ শামিম
উপরের কথাটি ভাই একদম ঠিক বলেছেন আপনি। এই ব্যবসা অনেক লাভজনক।
এই রংবেরঙের বেলুন সব ধরনের মেলাতেই দেখা যায়। আমি মাঝে মাঝে মেলা থেকে এরকম বেলুন কিনে থাকি। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই
আমাদের সময় মেলাতে সাধারণ বেলুন পাওয়া যেত যেগুলো হাত দিয়ে মুড়িয়ে মুড়িয়ে ডিজাইন করা হতো। আর এই সময়ের বেলুন গুলো দেখলে অবাক হয়ে যায় যে আমরা ছোটবেলায় কত দূর পিছিয়ে ছিলাম। আপনারা ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ ভাই