পার্বতীপুরে অবস্থিত একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান- পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ
বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ অন্যতম। কলেজটি স্থাপিত হয় ১৯৬৪ সালে। এটি পার্বতীপুরের পুরনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ বর্তমানে সরকারি কলেজে রূপান্তরিত হয়েছে এবং এর বর্তমান নাম "পার্বতীপুর সরকারি কলেজ"।
বিগত কয়েক বছরে পার্বতীপুর সরকারি কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল চোখে পড়ার মত। কলেজের আই.সি.টি ভবন সদ্য নির্মিত একটি ভবন। এছাড়া কলেজের বাকি ভবনগুলোর নির্মাণকালও খুব বেশিদিন আগের নয়। পুরনো কাঠামোগুলো বদলে সম্পূর্ণ নতুনরূপে গড়ে উঠেছে কলেজের বেশ কয়েকটি ভবন। মোটকথা, কলেজটি সম্পূর্ণ নতুনরূপে এর যাত্রা শুরু করেছে। কলেজের নতুন গেট দেখে যে কেউ অবাক হবেন, কারণ পুরাতন গেটটি কলেজের অন্যদিকে অবস্থিত এবং গেটটি ছিল আকারে ছোট। আমি অনেকদিন পর কলেজের গেট দেখে অবাক হয়েছিলাম।
কখনো পার্বতীপুর সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত ছিলাম না, তবে বন্ধু কিংবা বড় ভাইদের সাথে বেশ কয়েকবার এই কলেজে গিয়েছি। পূর্বের ডিগ্রি কলেজ আর বর্তমানের ডিগ্রি কলেজের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত দৃশ্যমান। কলেজটিতে পূর্বের তুলনায় ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। পূর্বের তুলনায় কলেজের পরিবেশ অনেক সুন্দর, এছাড়া কলেজের পাঠদান পদ্ধতিও আরো উন্নত হয়েছে। এসব কারণে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আগের থেকে বেশি এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য আগ্রহী।
কলেজের অফিস ভবনের সামনে সুন্দর একটি বাগান করা হয়েছে। অফিস ভবনটিও আগের থেকে উন্নত হয়েছে। পার্বতীপুর সরকারি কলেজে একটি লাইব্রেরী আছে। লাইব্রেরী ভবনেই বঙ্গবন্ধু কর্ণার অবস্থিত। সব মিলিয়ে পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজে কিছু আমূল পরিবর্তন লক্ষণীয়। পার্বতীপুরের অন্যতম পুরনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিগ্রি কলেজে যে সকল সুযোগ সুবিধা থাকার দরকার তার সবকিছুই এই কলেজে উপস্থিত। তবে আমার মনে হয় এই কলেজটি অবহেলার কারণে বেশ খানিকটা পিছিয়ে গেছে।
এরকম পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসব সুযোগ-সুবিধা আরো আগে প্রতীয়মান হওয়ার কথা ছিল। ঠিক কি কারণে এত বিলম্বে কলেজটির উন্নয়ন সাধিত হল তা ঠিক অজানা। এই কলেজটির পিছিয়ে থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে পার্বতীপুর আদর্শ কলেজ অনেক এগিয়ে গেছে। পূর্বে আদর্শ কলেজের তেমন নাম-ডাক ছিল না। ডিগ্রি কলেজেই অধিকাংশ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করত। কিন্তু মাঝখানে আদর্শ কলেজের পরিবেশ এবং পাঠদান প্রক্রিয়া ডিগ্রি কলেজের থেকে উন্নত হওয়ায় পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ অনেক পিছিয়ে যায়। তবে বর্তমানে কলেজটি পুনরায় বিকাশ লাভ করছে এবং ধীরে ধীরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় পার্বতীপুরের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে বলে ধারণা করি।
ক্যামেরা ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ আল্ট্রা |
---|---|
লোকেশন | MW45+9CJ |
পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ এবং কলেজের ক্যাম্পাস দুটোই অনেক সুন্দর। এরকম ডিজাইনের কলেজ এখন প্রায় প্রতিটি জেলাতেই নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের কুষ্টিয়াতেও এরকম দেখতে কয়েকটি হাই স্কুল এবং কলেজ রয়েছে। ছবিগুলো দেখে বুঝতে পারলাম কলেজে পরিবেশটা অনেক সুন্দর। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন, ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পার্বাতীপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজটি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। আমি সেই কলেজের ছাত্র না হলেও অনেকবার ক্লাস করেছি। ৫ বছর আগেও এতো উন্নত ছিলো না কলেজটি। এই কলেজের ভিতরে থাকা ফুলের গাছের বাগানটি আমার বেশ ভালো লাগে। তবে এই কলেজে ক্লাস তেমন ভালো হয় না। ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে ভাই।
পার্বতীপুর ডিগ্রী কলেজ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আপনি ঠিক বলেছেন পার্বতীপুর সরকারি কলেজের উন্নতি দিন দিন চোখে পড়ার মতো। এবং এই কলেজে আমি পড়াশোনা করতেছি অনেক সুন্দর একটি পরিবেশ এবং এই পরিবেশে পড়াশোনা করতে অনেক বেশি ভালো লাগে বিশেষ করে দুই সাইডে দুটি করে পুকুর থাকায় আরো দেখতে অনেক সুন্দর দেখা যায় আমার কাছে সবচেয়ে বেশি মনোরম পরিবেশ মনে হয়েছে এই জায়গাটি। আমাদের কলেজ সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া৷ ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
পার্বতীপুর ডিগ্রী কলেজ নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশে এই কলেজটি অবস্থিত। আমি এই কলেজটি দেখতে গিয়েছিলাম ভাই। শামীম, রাজিব ভাই এবং শহিদুল ভাই এর সাথে গিয়েছিলাম, অনেক আগেই বেশ ভালো লেগেছিলো।অনেক সময় কাটিয়ে ছিলাম এই কলেজ এর ভিতরে, অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তবে এই কলেজটি অনেক উন্নত সাধিত হয়েছে তা চোখে পড়ার মতো, আর আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে জানতে পারলাম। আপনি অনেক সুন্দর বিস্তারিত লিখেছেন, সব সময় আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেন, আজও তার ব্যতিক্রম নয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় অনেক কয়েকটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ অন্যতম। এই কলেজটি ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় । আর এই কলজটি আগে পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ ছিল।কিন্তু বর্তমান সময়ে এই কলেজটি পার্বতীপুর সরকারি কলেজে রুপান্তরিত হয়। এই কলেজে আমি বেশ কয়েকবার গেছি। পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ এক নামে সকলের পরিচিত। পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাই।
https://twitter.com/Sohanur91533356/status/1701333321547194663
আমার সব বন্ধুরা কম বেশি এই কলেজেই পড়েছে আর আমি পড়েছি গ্রামের ছোট্ট একটি কলেজে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য যেতাম এই কলেজে মাঝে মাঝে আবার তাদের সাথে ক্লাস করতাম। কারণ আমাদের কলেজের তুলনায় এই কলেজের শিক্ষক রা একটু ভালো । তাই ভালো পড়াশোনার লোভে সেখানে যেতাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
পার্বতীপুর সরকারি কলেজ হল দিনাজপুর জেলার ভেতরে একটি অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এখানে আশেপাশের জেলাগুলো থেকে অনেক শিক্ষার্থী পড়তে আসেন। কারণ এটি একটি নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বর্তমানে পার্বতীপুর সরকারি কলেজে অনেক অবকাঠামগত উন্নয়ন হয়েছে যা চোখে পড়ার মতো।এছাড়াও আমি সেখানে একবার গিয়েছিলাম ক্যাম্পাসটি অনেক বড়। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর করেছেন ভাই দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ ঐতিহ্যবাহী কলেজ। এই কলেজটি বহুদিন আগে নির্মিত হয়েছিল। এই কলেজে অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে। এই কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করে ছাত্রছাত্রীরা। এই কলেজ টা পার্বতীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এই কলেজের অনেক সুনাম রয়েছে। কয়েক বছর আগে এই কলেজটির সরকারি কলেজে রূপান্তর হয়েছে। সরকারি কলেজ হওয়ার পর এখানকার পড়াশোনা মান আরো বেড়ে গেছে। আপনি বেশ চমৎকার তুলেছেন ছবিগুলো। এই কলেজের পাশে অনেকগুলো পুকুর রয়েছে এবং পুকুরগুলোর পাশে বসে থাকতে বেশ ভালো লাগে। এছাড়া এই কলেজের একটি মাঠ রয়েছে। এই মাঠটিতে খেলতে বেশ আনন্দ লাগে। এই মাঠে প্রতি বছর কোরবানির পশুর হাট বসে। এই মাঠকে সবাই ডিগ্রী কলেজ মাঠ হিসেবে চিনে।আমি অনেকদিন আগে এই কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলাম তারপর থেকে আর যাওয়া হয়নি। এই কলেজে নতুন নতুন এখন বিল্ডিং হচ্ছে। সব থেকে বড় বিল্ডিংটি এখানে করা হয়েছে। এই বিল্ডিংটি সম্ভবত ছয় তলা। আরো কিছুদিন পর এখানকার পড়াশোনার মান আরো ভালো হবে যখন সরকারি ভাবে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।