একটি ভিন্নধর্মী ফুচকার দোকান
ফুচকা উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে একটি। পার্বতীপুরে বেশ কয়েকটি মজাদার ফুচকার দোকান আছে। আর প্রতিটি ফুচকার দোকানে বেশ ভালোই ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে কিছু ফুচকার দোকান আছে যেখানে বেশি ভিড় থাকে। কারণ এই দোকানগুলোর ফুচকা স্বাদে সেরা। এরকমই একটি ফুচকার দোকান ছিল পার্বতীপুর স্টেশনের কাছে অবস্থিত পার্কের মোড়ে। মূলত এটি কোন পার্ক নয়, জায়গাটির নামই পার্কের মোড়। আমরা প্রায়ই সেই ফুচকার দোকান থেকে ফুচকা কিনে খেতাম। কিছুদিন আগে বন্ধুর সাথে সেই দোকানে ফুচকা খেতে গিয়ে দেখি এর বিপরীত দিকে আরেকটি নতুন ফুচকার দোকান গড়ে উঠেছে।
নতুন ফুচকার দোকানটি আমাদের এলাকার ঐতিহ্যগত ফুচকার দোকানগুলো হতে ভিন্নভাবে সাজানো ছিল। কেননা আগে যে দোকানগুলো হতে ফুচকা খেতাম সেখানে ফুচকার প্লেটেই ছোট্ট একটি পাত্রে টক দেওয়া হত। কিন্তু নতুন এই দোকানটিতে আপনাকে একটি প্লেটে ফুচকা দেওয়া হবে, আর আপনাকে টক বাছাই করে নিতে হবে দোকানের সামনে সাজানো টকের হাড়িগুলো থেকে। এরকম ফুচকার দোকান আমি এর আগে কখনো দেখিনি। তবে এখানে পছন্দমত টক বাছাই করার সুবিধা আছে। অন্যান্য দোকানগুলোতে এই সুবিধা নেই বললেই চলে।
ফুচকায় ভিন্নমাত্রা যোগ করে ঝাল-মিষ্টি বিভিন্ন স্বাদের টক। টক যোগ করলে ফুচকার স্বাদ আরো বেড়ে যায়। এই দোকানে বিভিন্ন ধরণের টক ছিল যেমন- অরেঞ্জ টক, দই টক, লেমন টক, ধুনিয়া টক ইত্যাদি। দোকানটি যেমন ভিন্নধর্মী এবং চমৎকার, তেমনি দোকানদারের ব্যবহারও আমার কাছে ভাল লেগেছে। এই দোকানের অনুকরণ করে পরবর্তীতে এর সামনের দোকানে মানে আগে আমরা যে দোকানে ফুচকা খেতাম, সেখানেও অনুরূপভাবে টকের হাড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
আসলে যে কোন জিনিসে নতুনত্ব কিংবা অন্যনতা থাকলে তা সবাইকে আকৃষ্ট করে। খাবারের দোকান কিংবা যে কোন ব্যবসায় পরিচিতি পাওয়ার অন্যতম কৌশল এটি। ফুচকার দোকানে এরকম টকের পাত্র সাজিয়ে রাখার বিষয়টি আমার কাছে ভাল লেগেছে। কারণ, আমি আমার পছন্দ অনুযায়ী ফুচকায় টক নিতে পারছি। এরকম ভিন্নধর্মী উদ্যোগের কারণে এই ফুচকার দোকানটি জনপ্রিয় হতে পারে বলে আমার ধারণা। তবে আগের ফুচকার দোকানটিও নতুন দোকানের কৌশলকে অনুকরণ করেছে। এখন নতুন দোকানটি জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবে কিনা সেটাও দেখার বিষয়।
Camera Device | Samsung S21 Ultra |
---|---|
Location | MW37+CQJ Parbatipur |
দিনাজপুর বড় মাঠেও এরকম একটি ফুচকার দোকান রয়েছে।বেশ কয়েক মাস আগে আমি সেখানে গিয়েছিলাম ফুচকা খেতে। তখন দেখি যে ভিন্ন ধর্মী এরকম ফুচকার দোকান।শুধু ফুচকা আমাদেরকে উঠায় দেবে এবং আমরা আমাদের নিজ ইচ্ছামত টক ঝাল পানি দিয়ে ফুচকা খাব।দারুন লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ রাহুল ভাই
ফুচকা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফুচকা একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই ফুচকা সব থেকে মেয়েদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। ফুচকা মেয়েরা বেশি পছন্দ করে থাকে। তবে পার্কের মোড়ের নতুন সম্পর্কে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। এই দোকানের যে ভিন্নতা তা হলো টক বেঁচে নেওয়ার সুবিধা আছে। আগে আমি কখনো এই রকম দোকান দেখিনি। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে ভাই।
https://twitter.com/sohan74077/status/1690079695034093568
ফুসকার জনপ্রিয়তা আমাদের উপমহাদেশের মধ্যে হয়ত বাংলাদেশে বেশি। পার্কে গেলে সবথেকে বেশি ফুসকার দোকান গুলোতে ভিড় দেখতে পাওয়া যায়। এই দোকানটি নতুন হলেও এর ব্যতিক্রমধর্মী নিয়মের কারনে সেরা ফুসকা ওয়ালাদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এই দোকানের টক বেচে নেওয়াটা অনেক ভালো লেগেছে ভাই। মেয়েদের জন্য অনেক ভালো হয়েছে তারা ইচ্চে মতো টক বাচাই করে নিতেছে।
ধন্যবাদ ভাই
ফুচকা আমারও খুব পছন্দের, মাঝে মাঝে ফুচকা খাওয়া হয়। তবে আপনাদের পার্বতীপুরের পার্কের মোড়ে, ব্যতিক্রম ফুচকার দোকান দেখে অনেক ভালো লাগলো, যেখানে আপনাকে পছন্দমত টক বাছাই করে নিতে হবে। পার্ক না থাকা সত্ত্বেও জায়গাটার নাম পার্কের মোড় এটা শুনেও ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য
আসলে ভাইয়া টক রাখার সিস্টেমটা একবারে ইউনিক সিস্টেম, আর এটাও সত্যি যে দোকানে ভিন্ন ধরনের কোন সিস্টেম থাকে ওই দোকানে মানুষ জনের ভিড় তত বেশি হয়। আর ফুচকা আমাদের ঐতিহ্য ফুচকা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই
সত্যি ভাইয়া এটি একটি ভিন্নধর্মী ফুচকার দোকান মনে হইতেছে, কারণ এভাবে আমি কোন ফুচকার দোকানে টক রাখতে দেখিনি। দৃশ্যটি দেখতেও অনেক সুন্দর লাগতেছে। আর আমরা বাঙালিরা যেখানে একটু চাকমক দেখি সেখানেই লাফিয়ে পড়ি। ফুচকা সম্পর্কে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাই
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি ভিন্ন ধর্মীয় একটি ফুসকার দোকান নিয়ে সুন্দর লেখছেন ভাই। আসলে আমরা যেগুলো দোকানে ফুসকা খাই।সেখানে তারা ফুসকা আর টক নিজের মত করে দেয়।তবে এই দোকানে আমাদের সুবিধা রয়েছে। আমরা নিজে দেখে টক সিলেক্ট করতে পারবো।এবং টক এর নামও দেওয়া রয়েছে।আপনি ভিন্ন ধর্মীয় ফুসকার দোকান নিয়ে সুন্দর আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
ফুচকা মেয়েদের অত্যন্ত প্রিয় একটা খাবার। তবে বর্তমানে ছেলেরাও ফুচকা খেতে পছন্দ করে। আর আপনার আলোচনার দোকানটির মতো বর্তমানে প্রায় সব ফুচকার দোকান এভাবে সাজানো থাকে। বিভিন্ন ধরনের টক এখন ফুচকার দোকানে পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ