আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে তৃষ্ণা মিটানোর জন্য লেবুর শরবত নিয়ে আলোচনা করব।
হ্যালো কাছের মানুষজন। আজকে আমার ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা নিয়ে আলোচিত পোস্টে আপনাকে স্বাগতম। হাট-বাজারে এরকম ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা প্রায় দেখা যায়। আর বর্তমানে যা গরম এক গ্লাস লেবুর শরবত আমাদের শরীরকে শীতল করে তোলে। এবং শরীর থেকে সব ক্লান্তি দূর করে। এছাড়াও লেবু মানব দেহের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। এ সকল ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা গুলো অনেক উপকরণ দিয়ে শরবত তৈরি করে থাকেন। তবে এদের মূল আকর্ষণ হল লেবুর রস। কিন্তু লেবু ছাড়াও তারা অনেক উপকরণ দিয়ে থাকে। এর জন্যই এদের শরবত গুলো অনেক সুস্বাদু এবং টেস্টি হয়। তাই এক গ্লাস শরবত খেলে আরো শরবত খেতে ইচ্ছা করে।
| |
এই ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা একটি ছোট বাচ্চা ছিলো। এবং এই ভ্রাম্যমান লেবুর শরবতের দোকানটি রংপুর কারমাইকেল কলেজের গেটে অবস্থিত। আমি সেদিন বন্ধুদের সঙ্গে রংপুর ঘুরতে গিয়েছিলাম। এরপর আমরা সবাই মিলে কারমাইকেল কলেজে যাই , এবং সেখানে গিয়ে এই ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতার সঙ্গে দেখা হয়। আমরা বন্ধুরা সকলেই অনেক তৃষ্ণার্ত ছিলাম তাই এই ছোট ভাই টার কাছ থেকে লেবুর শরবত খেয়ে শরীরটাকে চাঙ্গা করে তুললাম। তবে শহরের তুলনায় আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এরকম লেবুর শরবত গুলো খুবই কম পাওয়া যায়। এমনও গ্রাম আছে যেখানে এরকম লেবুর শরবত এখন পর্যন্ত পৌঁছায়নি। তবে কিছু কিছু গ্রাম অঞ্চলের হাট-বাজার গুলোতে এরকম ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা দেখা যায়।
| |
এই ভ্রাম্যমান শরবত বিক্রেতা গুলো মূলত চার থেকে পাঁচটি উপকরণ দিয়ে শরবত তৈরি করে থাকেন। যেমন পানি, বরফ, বিট লবণ, ট্যাং এবং বিশেষ আকর্ষণীয়তা হলো লেবু। মূলত এই কয়েকটি উপকরণ দিয়ে তারা তৃষ্ণা মেটানো শরবত তৈরি করে থাকেন। তবে ভাগ্যের কি পরিহাস দেখেন যে সময় এই বাচ্চার স্কুলে থাকার কথা সে সময়ে শরবত বিক্রি করতেছে। আমি তার পেশাকে ছোট মনে করিতেছি না তবে এই সময় যদি স্কুলে থাকতো তাহলে আরো ভালো লাগতো। কিন্তু কি আর করার নিজের পরিবারকে চালানোর জন্য সে এই পেশা টিকে বেছে নিয়েছে।
| |
কয়েক বছর আগে এই ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা গুলোর কাছ থেকে যখন মানুষ শরবত খেতো। তখন এরকম প্লাস্টিকের পাইপের ব্যবহার ছিল না। তবে ইদানিং সব শরবত বিক্রেতা গুলো প্লাস্টিকের পাইপ ব্যবহার করতেছেন। যেটি রুচি সম্বোধন একটি কাজ। এই লেবুর শরবত গুলোর দাম বেশি একটা নয়। এক গ্লাস লেবুর শরবত মাত্র ১০ টাকা করে। তবে যদি আপনি স্পেশালি লেবুর শরবত তৈরি করে খেতে চান তাহলে তার মূল্য পড়বে ২০ টাকা। তবে মূলত সবাই ১০ টাকা দামের লেবুর শরবত খেয়ে থাকেন। এই ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা গুলো শুধুমাত্র গরমের সময় লেবুর শরবত বিক্রি করে থাকেন। এবং গরমের সময় এরা ভালো পরিমানের ইনকাম করে থাকেন। গরম শেষে তারা অন্য পেশায় লিপ্ত হন। এই ছিল ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আমার পোস্টি পুরোটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | লেবুর শরবত বিক্রেতা |
ক্যামেরা মডেল | realme 9i |
ফটোগ্রাফার | @rubayat02 |
লোকেশন | রংপুর বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা নিয়ে আলোচনা, আশা করি আমার আলোচন আপনাদের ভালো লেগেছে , দেখা হবে আবার কোনো নতুন বিষয় নিয়ে, সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমি রুবাইয়াত হাসান হৃদয়, সোনালী বাংলাদেশে আমার বসবাস, বাংলা আমার মাতৃভাষা, পেশায় আমি একজন ছাত্র এবং এর পাশাপাশি আমি Steem For Tradition কমিউনিটির নিয়মিত একজন সদস্য, Steem For Tradition কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে সত্যি আমি অনেক গর্বিত, কারণ আমি এখনে আমার জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারি, আমার আগ্রহ, আমি বাংলার ইতিয্য এখানে নতুন করে ফুটিয়ে তুলবো, এছাড়াও আমি ফটোগ্রাফি, অঙ্কণ, রেসিপি এবং DIY পোস্ট করতে অনেক ভালোবাসি, এবং এটা মন দিয়ে মানি যে মানুষ মানুষের জন্য।
you can also vote for @bangla.witness witnesses
VOTE for @bangla.witness
লেবুর শরবত বিক্রেতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে বর্তমান যে পরিমাণ রোদ এবং তাপমাত্রা এর কারণে আমাদের শরীরে ঠান্ডা রাখার জন্য এই শরবত অনেক বেশি প্রয়োজন। কারণটা হলো শরবত খেলে আমাদের শরীরের ভেতরটা একটু হলেও ঠান্ডা হয়ে থাকে। আগে এই শরবত বিক্রেতা গুলো শুধু বাজারে ছাড়া খুজে পাওয়া যেত না কিন্তু এখন এর চাহিদা এতটা বেড়ে গেছ যে এখন গ্রামে গ্রামেও অনেকেই ঘুরে বেড়ায় এই শরবত বিক্রি করার জন্য। আমি একবার এই শরবত খেয়েছিলাম আসলে এগুলো গরমের সময় খেয়ে শুধু খাওয়ার ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে
My Twitter link:-
https://twitter.com/Rubaiyathasan02/status/1699607878796222605?t=JDdBM87ikTOFyuV4n2_LSQ&s=19
ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় বিশেষ করে বাজারে।গরম নিবারনের জন্য লেবুর শরবতের কোনো বিকল্প নেই।ঠিকই বলেছেন এক গ্লাস লেবুর শরবত আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করে এবং শরীরের ক্লান্তি দূর করে।আমারও এমন মনে হয় এক গ্লাস খেয়ে আর গ্লাস খেয়ে ফেলি কিন্তু তখন আর পেটে জায়গা থাকেনা।আপনি সুন্দর করে লেবুর শরবত বানানোর কিছুটা পদ্ধতি লিখেছেন।অনেকের উপকার হবে আর বাসায় বানিয়ে খেতে পারবে।সত্যি বলতে মানুষ ভাগ্যের কাছে অসহায় তাই পরিবার চালাতে এমন কিছু শিশু শ্রমিকদের কিছু জায়গায় কাজ করতে দেখা যায় কখনো নিজের পেট চালাতে বা কখনো পরিবারের দায়িত্বের বোঝা নিতে।কিছু কিছু লেবুর শরবত বিক্রেতার কাছে স্ট্রো দেখা যায়।এমন প্লাস্টিকের পাইপ গুলোকে স্ট্রো বলে।আপনি লেবুর শরবতের দাম সহ বিস্তারিত লিখেছেন,গরম শেষে তারা অন্য পেশায় যায় এ কথা আমার জানা ছিল না।আপনি অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত উপস্থাপনা করেছেন ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা নিয়ে।আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
এই গরমে লেবু শরবতের কোন জুড়ি নেই। গরমে যখন মানুষ নাজেহাল হয়ে যায় তখন লেবুর শরবত বেশ কাজে আসে। লেবু যদিও বেশি মূল্যবান ফল নয় তবুও এর উপকারিতা বেশ বেশি। লেবু আমাদের দেশে সহজে জন্মায় লেবু গাছ বড় হতে খুব কম সময় লাগে। লেবুর শরবত খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ কমই দেখা যায়। আমরা বাজারে গেলে এখন বেশ এই লেবু শরবতের দোকান দেখতে পাই কেননা ইদানিং গরমের পরিমাণ বেড়ে গেছে অনেক তাই মানুষ একটু আরাম পাওয়ার জন্য এই দোকানগুলো থেকে লেবুর শরবত কিনে খাচ্ছে। এতে করে মানুষের জীবিকা বাড়ছে এবং সাধারণ মানুষ আরাম পাচ্ছে হাতের কাছে এ ধরনের শরবত পেয়ে। তবে আমি কোনদিনও বাজারে এরকম শরবত কিনে খাই না। আমি চেষ্টা করে বাড়িতে লেবু এবং অল্প পরিমাণ চিনি দিয়ে শরবত খাওয়া কারণ লেবু সবার বাড়িতেই থাকে। আমি লেবু দিয়ে শরবত খেতে বেশ পছন্দ করি। আপনি এই লেবুর শরবত এর দোকানটি বেশ সুন্দরভাবে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। এনারা অনেক কষ্ট করে সারাদিন ধরে লেবুর রস বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। রংপুর শহরে কারমাইকেল কলেজের সামনে এই দোকানটি অবস্থিত আমি আপনার এই পোস্ট এর মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
প্রচন্ড এই গরমে শরীরকে শীতল ও সতেজ রাখতে লেবুর শরবত অপরিহার্য ভুমিকা পালন করে। লেবুর শরবত এই গরমে পান করলে শরীরের সকল ক্লান্তি দুর হয়ে যায়। লেবুর শরবত বিক্রেতারা তারা এই শরবত বিক্রি করে টাকা উপার্জন করে থাকে।
বাজারে গেলে অনেক ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রি করতে দেখা যায়। সেগুলো কিনে অনেকে তৃষ্ণা নিবারণ করে। গরমের শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য এসব শরবত কিনে খায় সবাই, তবে এই শরবত গুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা সেটা আমার জানা নেই।তবে লেবুর শরবতের দোকানিরা অনেক সুন্দর স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পানিতে লেবু শরবত বানিয়ে পরিবেশন করে। খেতে অনেকটাই সুস্বাদু লাগে এবং অনেক ঠান্ডা থাকার কারণে শরীরে প্রশান্তি এনে দেয় ।যখন আমি বাজারে যাই বাজার করতে বাজারে অনেক গরম আর প্রচুর ভিড় থাকে ওই ভিড়ের মধ্যে শরীর অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে যায় ওই ক্লান্ত শরীরে যখন আমরা শরবত খাই তখন আমাদের খুব ভালো লাগে, মনটাই প্রশান্তি হয়ে যায়। আমি যখন বাজারে যায়, অর্ধেক বাজার করার পরে দেখি কোথাও লেবুর শরবতের দোকান আছে কিনা লেবুর শরবতের দোকান থাকে তখন আমি যাই মামার কাছে বলি আমাকে এক গ্লাস লেবু শরবত দিন। লেবুর শরবত নিয়ে খেয়ে একটু শান্তি করে, তারপর আবার বাজার করি সম্পূর্ন বাজার শেষ করে বাসায় আসি। তবে লেবুর দোকানে অনেক সময় বিশেষ করে প্রচন্ড গরম থাকে যখন লেবুর শরবত দোকানে অনেক ভিড় দেখা যায়। কারণ সকলেইগরমের কারণে লেবুর শরবত খেতে যায়। দোকানে ভীড় থাকার কারণে যাওয়ার পরেই শরবত পাওয়া যায় না কিছুক্ষণ দেরি করলেই ঠান্ডা শরবত খেতে পাওয়া যায়। তবে প্রত্যেক গ্লাস শরবতের মূল্য নেয় ১০ টাকা করে। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে ১০ টাকায় লেবু শরবত পাওয়াটাই তো অনেক কিছু। আপনি অনেক দারুন উপস্থাপন করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
একজন ভ্রাম্যমাণ লেবু শরবত বিক্রেতা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। লেবুর শরবত খেলে শরীরের ক্লান্তি থেকে দূর করে শরীরের প্রশান্তি আসে। এই ভ্রাম্যমাণ লেবুর শরবত বিক্রেতার দোকান গুলো রাস্তার পাশে কিংবা হাট-বাজারে, স্কুল ও কলেজে দেখা যায়। এরা মুলত ভ্যানে করে দোকানদারি করে থাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
এই গরমে লেবুর শরবত সত্যি মানুষের ক্লান্তি দূর করে এবং শরীর সতেজ করে তোলে। এরকম ভ্রাম্যমাণ লেবুর শরবত গুলো শহর অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। তবে ছোট বাচ্চাটার বিষয়টা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। কিন্তু কিছুই করার নেই ভাগ্যে যার যেটা আছে সেটাই করতে হবে। ভ্রাম্যমান লেবুর শরবত বিক্রেতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
গরমের সময়ে লেবুর শরবত অনেক বেশি উপকার করে। তারা বরফ দিয়ে সাথে লেবু এবং মসলা দিয়ে যে শরবত বানিয়ে দেয় আসলেই তা বারবার খেতে ইচ্চে করে। আসলে কোনো পেশার মানুষের কাজ ছোট নয়। আমরা তাদের ছোট করে দেখি। ভাগ্য বলে একটা কথা আছে নয়ত শিশুটি স্কুলে থাকতো।
ধন্যবাদ ভাইয়া