"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আমার সৃজনশীলতা এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে একটি পোস্ট উপস্থাপনা করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে, ইনশাআল্লাহ।
তো বন্ধুরা চলুন তাহলে শুরু করা যাক.... |
আখ আমাদের দেশের সোনালী ফসল। এবং বর্তমানে হাট-বাজারে এই আখের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। এবং এই আখের রস থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পেয়ে থাকি। এবং আমি ছোট থেকে শুনে আসতেছি যে এই আখের রস খাওয়ার কারণে নাকি শরীরের মধ্যে জন্ডিস দেখা যায় না। প্রচুর পরিমাণে আখের রস পান করলে শরীর থেকে জন্ডিসের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর করে। এবং এই আখ সব অঞ্চলে উৎপাদন করা যায় না। এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আখ উৎপাদিত হয় নাটোর জেলার মধ্যে।
| |
বর্তমান আখের মৌসুম। তাই এখন হাট-বাজার গুলোতে প্রায় সব সময় এই আখের চাহিদা দেখা যায় এবং ব্যবসায়ীরা এই আখ জমির মালিকের কাছ থেকে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করতেছে এতে তারা একটু হলেও লাভবান হচ্ছে। এবং বর্তমানে একটু আখের দাম কম কারণ নতুন নতুন বাহির হয়েছে তাই এর চাহিদা অনেক বেশি দাম কম। কিন্তু যখন এটি প্রায় ২-৩ মাস পার হয়ে যাবে তখন আর এর যোগান দিতে পারবে না তাই তখন আখের দাম একটু বেড়ে যাবে। আমরা বর্তমানে যে আখ খাচ্ছি এগুলোতে বেশিটা মিষ্টি অথবা স্বাদ পাচ্ছি না কিন্তু যখন দুই তিন মাস পর এই আখ বিক্রি করবে তখন ঐ আকগুলো খেতে অনেক স্বাদ পাওয়া যাবে এবং এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও রয়েছে।
এই আখের রস থেকে চিনি ও গুড় তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয় বলে এর উৎপাদন এবং চাহিদাও অনেক। এবং বর্তমানে যে পরিমাণ গরম এর জন্য আখের রস আমাদের শরীরে অনেক উপকার করে থাকে। এবং মাঝে মাঝে বাজারে অথবা এলাকার মধ্যে দেখা যায় কেউ কেউ গাড়িতে করে আখের একটি মেশিন নিয়ে এসে আখের রস বিক্রি করতেছে। এবং এই আখের রস তারা গ্লাসে করে বিক্রি করে এক গ্লাসের দাম ২০ টাকা অথবা ৩০ টাকা করে নিয়ে থাকে এক একজন বিক্রেতার কাছ থেকে।
এবং আপনারা দৃশ্যে যে এই ছবিটি দেখতে পারতেছেন এটি আমি আমাদের জমির হাটের মধ্য থেকে তুলেছি। কেননা আমাদের এই বাজারে প্রায় এই আখ তুলে থাকে। এবং এখান থেকে প্রত্যেক দিনে অনেক পরিমাণে আর বিক্রি হয়ে যায়। এবং এখানে যে আখ গুলো বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসে এগুলো রংপুর অথবা তারাগঞ্জের ওই দিক থেকে নিয়ে আসে কারণ ওই দিকেও এই আখের চাহিদা ও অনেক বেশি, এবং তারা জমিতে বর্তমান সময়ে ধান উৎপাদন না করে আখ চাষ করে থাকে। কারণ বর্তমানে তারা আখ চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছে এই মৌসুমে।
আখের রস খেতে যেমনটা মজা লাগে এর চেয়ে বেশি মজা পাওয়া যায় যখন আমরা আখ দাঁত দিয়ে ছিলে খেলে থাকি তখন। এর কারণটা হলো নিজের দাঁত দিয়ে ছিলে খাওয়ার একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে আর শুধু রস পান করা অন্য রকম একটি অনুভূতি পাওয়া যায়। এবং আমরা প্রায় বন্ধু-বান্ধবরা মিলে এক বোঝা আখ নিয়ে গিয়ে বসে একসঙ্গে খেয়ে থাকি এতে অন্যরকম আরেকটি অনুভূতি কাজ করে। এর মূলকথা হলো, সব কিছুরই একটা অন্যরকম অনুভূতি থাকে যা সবার সাথে মিলে না। কারণটা হলো বর্তমানে আখের যে পরিমাণ চাহিদা এবং এই আখ বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা প্রচুর পরিমাণে মুনাফা অর্জন করতেছে।
ডিভাইস | রিলেলমি ছি ১২ |
ফটোগ্রাফার | @rimon03 |
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পোস্টটি সম্পূর্ণ দেখার জন্য আপনাকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। ❤️...
ধন্যবাদ সবাইকে
...
🧡🧡🧡
আমার সম্পর্কে কিছু কথা:
আমি মো: খায়রুল ইসলাম। আর আমার ডাক নাম রিমন। আমি একজন ছাত্র। আমি লিখতে, পড়তে, খেলতে, ফটোগ্রাফি এবং অজানা বিষয় সম্পর্কে শিখতে অনেক ভালোবাসি।..❤️..
can also vote for @bangla.witness witnesses
VOTE for @bangla.witness
আখ ও আখের রস শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আখ আমাদের দেশের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। আখের রস জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য খাওয়া হয়। ৮ থেকে চিনি উৎপাদন করা হয়, আখ মাটিতে বিশেষ পদ্ধতিতে পুঁতে রাখা হয়, সেখান থেকে আখের চারা হয়। আমি একবার উৎপাদন করেছিলাম। শখ করে বাড়ির সামনে আখ লাগিয়েছিলাম। অনেক সুন্দর আখ হয়েছিল। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো। বাজারে এখন আখ পাওয়া যাচ্ছে। এবং ভ্রাম্যমান আখের রস বিক্রির দোকান দেখা যাচ্ছে। আখের রস শরীরে ক্লান্তি দূর করে। শরীরকে সতেজ রাখে। বাজারে যে সমস্ত আখ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো মিষ্টি নেই বললেই চলে, আমি গতকাল আখ কিনে নিয়ে এসেছি। একদম মিষ্টি লাগেনা। আগের তুলনায় বর্তমানে আখ পরিপূর্ণ না হওয়া সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে অর্থ লোভের আশায়। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
আখ ও আখের রস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।আখের ভিতর অনেক গুণ রয়েছে এবং আখ খেলে মুখের দূর্গন্ধ দূর করে,মাড়িকে ভালো রাখে এবং দাঁত ম মজবুত করে।আপনার পোস্ট পড়ে আজকে নতুন একটি কথা জানতে পারলাম।আখের রস খাওয়ার কারণে জন্ডিস হয় না।ঠিকই বলেছেন বাংলাদেশে নাটোর জেলার মধ্যে সব চেয়ে বেশি আখ উৎপাদিত হয়।এছাড়াও সব জায়গায় কম বেশি আখ উৎপাদিত হয়।ঠিকই বলেছেন বর্তমানে আখের মৌসুম।আখ নতুন বের হওয়াতে দাম এখন কম।২-৩ মাস পর দাম বেড়ে যাবে।যে কোনো জিনিস চাহিদা কম থাকলে দাম কম থাকে, আর চাহিদা বেড়ে গেলে দাম বাড়ে।আখ থেকে চিনি ও গুড় তৈরি হয়ে থাকে।আখের চিনির স্বাদ অনেক ভালো।আপনি আপনার জমির হাট থেকে আখের ছবি শেয়ার করেছেন এবং কোন জায়গায় ভালো আখ চাষ হয় তা উল্লেখ করেছেন।ঠিকই বলেছেন আখ বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা প্রচুর মুনাফা অর্জন করছে।অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখেছেন।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে।আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
আখ আসলেই অনেক মজাদার ও উপকারী। এটি শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে।
ধন্যবাদ
আখ আমাদের দেশের মানুষের একটি জনপ্রিয় খাবার। আমরা এই আখ দাঁত দিয়ে কামড় দিয়ে খেতে বেশ পছন্দ করি। দাঁত দিয়ে আখ ছিলে খেলে দাঁতের মাড়ি এবং দাঁত মজবুত হয়। যাদের দাঁত এবং মাড়ি দুর্বল তারা সহজে আখ চিবিয়ে খেতে পারবে না। আখের রসে প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে যা আমাদের ক্লান্তি দূর করতে সহযোগিতা করে। তবে বেশি চিনি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেজন্য আমাদের এই আখ মাঝে মাঝে খেতে হবে। বর্তমানে বাজারে যেসব আখ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো এখনো পরিপক্ক হয়নি এজন্য এগুলো খেতে তেমন মজা এবং মিষ্টি লাগে না। আর কিছুদিন পর যখন বাজারের পরিপক্ষ আখ চলে আসবে তখন এগুলো খেতে বেশ মজা লাগবে। এই আখগুলো বেশ নরম হয়ে থাকে। তবে আগে যেগুলো পাওয়া যেত দেশি। সেগুলো বেশ শক্ত হয় এবং এগুলো সহজে কামড় দিয়ে খাওয়া যায় না। এই আখগুলো দিয়ে চিনি তৈরি করা হয় সুগার মিলে। এই দেশি আখের গাছ আমার বাগানে ছিল তবে বর্ষার পানির অভাবে গাছগুলো মারা গেছে। আমি এ বছর আবার চেষ্টা করব এই নরম গুলো আমার বাগানে রোপন করার। আমি সব ধরনের গাছ লাগাতে পছন্দ করি। তবে এবার চেষ্টা করবো আখ গাছ বড় করার।ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে আখ একটি পরিচিত খাবার।আখের রস বাজারে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও আখ দিয়ে চিনি তৈরি করা হয়। আমাদের দেশে বিশেষ করে গরমের সময় এই আখের চাহিদা সব থেকে বেশি থাকে। আখের বিভিন্ন রকম গুনাগুন রয়েছে। আখ দাত দিয়ে ছিলে খেতে আমাকে অনেক ভালো লাগে ভাই।খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
Thank you
বর্তমানে এই আখ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় সব বাজারে এরকম ভ্রাম্যমান আখের দোকান গুলো দেখা যায়।। ছোট ছোট বাচ্চারা এই আখ অনেক পছন্দ করে থাকে আর এই এক কেনার জন্য অনেক কান্নাকাটি করে বাবা মায়ের কাছে। তাছাড়া আখ ব্যক্তিগতভাবে আমারও অনেক পছন্দের এই তো সেদিন দুই খানা আখ নিয়ে এসেছিলাম খাওয়ার জন্য। আর মন ভরে আখ খেয়েছিলাম কি পরিমান ভালো লেগেছিল তা বলার বাইরে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
আখ ও আখের রস আমাদের শরীরের জন্য ভিষণ উপকারী বটে। এই আখের রস গরমে ক্লান্তি দুর করতে সাহায্য করে। আখ সাধারণত হাট-বাজার যেকোন জায়গায় বসে বিক্রি করে। আখ মুলত প্রতি পিচ ২৫ টাকা করে বর্তমান বাজারে। আখ ও আখের রস নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।
এখন হাট বাজার বলেন গ্রাম অঞ্চল বলেন সব জায়গাতে এরকম ভ্রাম্যমান আখ বিক্রি তাতে ভরপুর হয়ে রয়েছে। বর্তমান আখের মৌসুম তাই সব খানেই আখ পাওয়া যায়। আর আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও আখ চিবিয়ে খেলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত পরিষ্কার থাকে। ভ্রাম্যমান আখ ব্যবসায়ীকে নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। এ প্রচন্ড গরমে আখ ও আখের রস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে জন্ডিস রোগীদের জন্য ডাক্তাররা আখের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আখের রস আমাদের শরীরের ক্লান্তি দূর করতে ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে সক্ষম। আখ বিক্রেতারা প্রতি এক গ্লাস আখের রসের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।