লাস্ট ওভারে শেফার্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিং

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে নেবো। গতকাল আইপিএল এর কুড়ি তম ম্যাচ ছিল আর এই ম্যাচে মুম্বাই বনাম দিল্লী মুখোমুখি হয়। মুম্বাইয়ের খেলা আজকে প্রথম দেখলাম। দিল্লী এইবার আসলে মার খেয়ে যাচ্ছে সবকিছুতে, তেমন সুবিধা করতে পারছে না ভালো প্লেয়ার থাকা সত্বেও। যাইহোক, এই ম্যাচটি মুম্বাইয়ের একদম ঘরের মাঠে খেলা হয়েছে, ফলে নিজেদের মাঠ সম্পর্কে তারা আরো বেশি পরিচিত। দিল্লী টসে জিতলেও তারা সিদ্ধান্তটা সঠিক নিতে পারেনি এই পিচে, আগে ব্যাটিং করলে মনে হয় ভালোই করতো। যাইহোক ফিল্ডিং বেছে নেয় তারা। মুম্বাইয়ের এইবার অধিনায়কও চেঞ্জ, তবে এই নিয়ে তাদের মধ্যে একটা সমস্যাও তৈরি হয়েছিল, এখন মনে হলো সমাধান হয়েছে নিজেদের মধ্যে। মুম্বাই ব্যাটিংয়ে শুরুটা করেছিল বেশ ভালো। রোহিত আর কিষান দুইজনেই ওপেনিং পজিশন -এ খুবই ভালো ব্যাটিং করে। আর মেরেও খেলে থাকে।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

প্লে ওভারে যে পজিশনটা ধরে রাখার সেটা কিন্তু ভালোই রেখেছিলো আর এই ধারাবাহিকতা ওভার প্রতি রেখে দিয়েছিলো। তবে রোহিত বাউন্ডারি মারতে লাগলেও অক্ষর এর বলে এসে ধরা খেয়ে যায়। যদিও আসলে স্পিনটা ভালোই ছিল, বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড হয়ে যায়। স্পিনে অনেক সময় একটা সমস্যা যে, যেমন মারা যায় আবার না বুঝতে পারলে আউট নিশ্চিত। সেটা বোল্ড এর ক্ষেত্রে ক্যাচ আউটটা বেশিই হয়ে থাকে। যাইহোক, রোহিত মাত্র ১ টা রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারলো না, এইটাই আফসোস তার জন্য। এদিকে কিষাণ এরও একই অবস্থা হয়ে থাকে, সেও এই অক্ষর প্যাটেল এর স্পিনে ধরা খেয়ে যায়। তবে তার ক্যাচটা সহজও ছিল না আবার কঠিনও ছিল না। প্যাটেল এর হাতেই পড়ে যায়, যদিও এই ক্যাচগুলো অনেক সময় ছাড়িয়ে যায়, তবে হাতে হঠাৎ আটকে গিয়েছিলো যেটা দেখলাম রিপ্লেতে।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

এরা দুইজন ওপেনে মোটামুটি যেটা করার সেটা ভালোই পজিশনে রেখে আউট হয়েছিল। তবে কিন্তু মাঝখানে ১০ ওভারের পরে দুই ওভার একটু রান চেপে যায়, কারণ সূর্যকুমার এসেই আউট হয়ে যায় এবং সেই সাথে তিলক বর্মাও। এক্ষত্রে পান্ডিয়া একটু খেলে এবং সাথে সব থেকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ডেভিড। একদম ঝাড়া মার যাকে বলে, এইরকম না খেললে টি২০ ম্যাচে জমে না। সব থেকে বিপদজনক খেলেছে হলো শেফার্ড নামের এক প্লেয়ার। লাস্ট ওভারে যে কি মার মারলো সেটা না দেখলে বিশ্বাস করার মতো না, প্রতি বলে ৪ আর ৬ মেরেছে। বেশিটাই ৬ মেরেছে ,মাত্র ১০ টা বল খেলেছে তাতে ৩ টা ৪ আর ৪ টা ৬ মেরেছে। লাস্ট ৫ ওভারে ৯৬ রান তুলেছে মুম্বাই ভাবা যায়! লাস্টের দিকে বেধড়ক মেরেছে। শেফার্ড মাত্র ১০ বলে স্ট্রাইক রেট ৩৯০ তে তুলে দিয়েছে। দিল্লী এদিকে যে এই পিচে রান চেজ করতে গিয়ে খারাপ খেলেছে সেটা বললে ভুল হবে।


স্ক্রিনশর্ট: ষ্টার স্পোর্টস

তারাও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে বলতে গেলে। কিন্তু বলে না যখন ওভারলোড পড়ে যায়, তখন সেটা অনেকসময় নেওয়া যায় না। পৃথ্বী, আর ত্রিস্তান এরা দুইজন খুবই মেরেছে আর তারাও ২০০ রান ক্রস করেছিল। কিন্তু বিষয় হলো, এখানে মুম্বাই লাস্ট ৫ ওভারে যে এতো রান তুলেছে, সেটা টার্গেটে কিন্তু তোলা খুবই মুশকিল একটা বিষয়। তবে পৃথ্বি আর ত্রিস্তান এরা দুইজনের যদি কেউ একজন ক্রিজে থেকে যেত তাহলে সম্ভবত এই রান চেজ হলেও হয়ে যেত। এরা পড়ে যাওয়ায় রান রেট অনেকটা ডাউনে চলে যায়। কারণ ১২ পার ওভারে করার কথা, সেখানে প্রথম থেকে ৮-১০ পার ওভারে কন্ট্রোল করে এগিয়ে রেখেছিলো। কিন্তু শেষের দিকে একজনও খেলতে পারেনি, শেষে ৩-৪ জন উঠে উঠে আউট হয়ে গেলো। যাইহোক, মুম্বাই ফিল্ডিং এ একটু মিস করলেও ব্যাটিং দুর্দান্ত করেছে।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 months ago 

মুম্বাইয়ের মাঠে মুম্বাই টিমকে হারানো এতো সহজ নয়। আমি একসময় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এর ভক্ত ছিলাম, যখন শচীন টেন্ডুলকার মুম্বাই ইন্ডিয়ানস টিমে খেলতো। যাইহোক এই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস এককথায় অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান টিম ডেভিড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোমারিও শেফার্ড এককথায় দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। শেফার্ড লাস্ট ওভারে চারটি ৬ এবং দুটি ৪ মেরেছে। শেষ ওভারে ৩২ রান পাওয়ার পর মুম্বাইয়ের স্কোর এমনিতেই অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। এই ম্যাচে শেফার্ডের ব্যাটিং দেখে যে কেউ অবাক হয়ে যাবে। তবে শুধুমাত্র দিল্লী কেনো,যেকোনো দলের কষ্ট হয়ে যাবে এতো বড় স্কোর চেজ করতে। তবে সাউথ আফ্রিকা দলের ত্রিস্তান যা ব্যাটিং করলো,দেখে তো পুরোপুরি অবাক হয়ে গিয়েছি। এমন জমজমাট ম্যাচ দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। আপনি চমৎকার ভাবে এই ম্যাচের রিভিউ শেয়ার করেছেন দাদা। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

 3 months ago (edited)

স্পিন বল বুঝতে পারলে খেলা খুবই সহজ। আর যদি স্পিন বোঝা না যায় তাহলে তার থেকে কঠিন বল হয়তো আর নেই হা হা। গতকালের ম‍্যাচটা আমার দেখা হয়নি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে একটা ধারণা পেলাম। যদি বড় রান চেজ করে ম‍্যাচ জিততে হয় তাহলে একটু দেখেশুনে খেলা লাগে তবে সঙ্গে সঙ্গে মারমুখী ও খেলতে হবে এবং উইকেটও ধরে রাখতে হবে। কিন্তু এগুলো একসঙ্গে দিল্লি করতে পারেনি।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 63718.61
ETH 3390.60
USDT 1.00
SBD 2.62