ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ডার্ক ওয়েব- দ্যা লিথাল গেম ( অষ্টম পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'ডার্ক ওয়েব' সিরিজটির অষ্টম পর্ব রিভিউ দেব আর এটিই এই ওয়েব সিরিজের অন্তিম পর্ব । এই পর্বের নাম হলো "দ্যা লিথাল গেম"। গত পর্বে দেখেছিলাম শেরিংস শেষ পর্যন্ত ইন্দ্রর ব্যাপারে সব সাহেবকে খুলে বলেছিল। আর সাহেব এবং সম্পূর্ণা শেরিংসকে কনভিন্স করেছিল যাতে সে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়। এই অন্তিম পর্বে দেখবো গেমটা কি পর্যায়ে শেষ হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
ডার্ক ওয়েব
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
দ্যা লিথাল গেম
পরিচালকের নাম
সায়ন্তন ঘোষাল
অভিনয়
সাহেব ভট্টাচার্য , সম্পূর্ণা লাহিড়ী ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৪ আগস্ট ২০১৮ ( ইন্ডিয়া )
সময়
২১ মিনিট ( অষ্টম পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


❂মূল কাহিনী:❂


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সাহেব আর সম্পূর্ণা অনেক কিছু বলার পরে শেরিংস রাজি হয়ে যায়। কারণ এই ছাড়া তার পিছনে চলে যাওয়ার বা লুকিয়ে চলার কোনো উপায় নেই। সবাই একই ভাবে ফেঁসে গেছে তাই যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকা হয় তাহলেও এমনিতেও বিপদ হবে তার থেকে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করা যায় কিনা সেইটা চেষ্টা করা উচিত। আর শেরিংস তাদের কাছে ক্ষমাও চায় কারণ সেই সময় তাদের আইডেন্টি হ্যাক করে ফেলার পরে আর সেইভাবে ইন্দ্রকে সাহায্য করতে এগোয়নি, আর তাছাড়া ইন্দ্র যে সেই উঁচুর থেকে খাদে পড়ে মারা গেছে না বেঁচে আছে সেই বিষয়েও সে কোনো খবর নেইনি। এর জন্য সেই ভুল যাতে দুবার না হয় সেই জন্য সে আবারো তার ল্যাপটপ ওপেন করে তাদের সার্ভারে ঢোকার চেষ্টা করে। আর এখন কোনো ভয় নেই কারণ অলরেডি তাদের আইডেন্টি খুনিদের কাছে চলে গেছে তাই এখন ডিভাইস ওপেন করলেও খবর এমনিতেই জানতে পারবে গতিবিধি সম্পর্কে। tor ব্রাউসার এর মাধ্যমে তো শেরিংস অ্যাডমিন আর পাসওয়ার্ড দিয়ে ঢুকেছে আর সেই গেমটা একজন অলরেডি কিনেও ফেলেছে ইতোমধ্যে। তবে গেমটা এখনো অব্দি মার্কেটে সেভাবে ছড়িয়ে পড়েনি, মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে আর এই গেম যদি সবাই এইভাবে কেনা শুরু করে তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সাম্মাল দেওয়া খুবই কঠিন হয়ে যাবে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

এদিকে খুনিরা তো হন্নে হয়ে খুঁজছে শেরিংস সহ তাদের দুইজনকে। বোবা লোকটি যখন জঙ্গলের ভিতর থেকে কাঠ নিয়ে আসছিলো তখনি এই খুনিটা তার সামনে এসে হাজির হয়। আর সম্ভবত শেরিংস কিছু ট্রেস করেও ফেলেছে অর্থাৎ তাদের সাইটটা ট্রেস করেছে কিন্তু এখন একটাই প্রব্লেম যে ওই সাইটটা আর কাটা যাবে না বা ঘেটে দেওয়া যাবে না কোনো ইনফরমেশন তাহলে সাইটের অ্যাডমিন এবং buyer দুইজনেই এই বিষয়টা সম্পর্কে সতর্ক হয়ে যাবে। আর সেই খুনিটাকে তাদের ব্যাপারে কোনো ইনফরমেশন না দেওয়ায় তার গলা কেটে দেয় আর তাদের রুমের পাশে চলে যায়। তাদের কথা আসলে শোনার কোনো প্রয়োজন ছিল না সেখানে কারণ সোজা মেরে ফেলার কন্টাক্ট পেয়েছিলো সে তাই সোজা শেরিংস এর উপর প্রথম গুলি চালায়। কারণ শেরিংস-কে শেষ করে দেওয়াই ছিল তাদের জন্য প্রথম হাতিয়ার, আর একেই মেরে দিলে সাহেব আর সম্পূর্ণা তেমন কিছুই যে করতে পারবে না তারা জানতো। আর পরে তাদের সহজেই খতম করে ফেলতে পারবে। যাইহোক, শেরিংস এর উপর গুলি চালাতে প্রথমে সাহেব দেখে ফেলে আর সাথে সাথে শেরিংস-কে সেখান থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্যদিকে ফেলে দেয়।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

শেরিংস-কে মৃত্যুর মুখ থেকে কোনোমতে বাঁচিয়ে নেয় কিন্তু খুনিটি তাদের পিছু ছাড়ে না। তারা সবাই সেখান থেকে বেরিয়ে তৎক্ষণাৎ ছুটতে লাগে কিন্তু খুনিটি সাহেবকে ধরে ফেলে আর তাদের মধ্যে কিছুক্ষন মারামারি হয়, এরপর খুনিটি সুযোগ বুঝে তার দিকে পিস্তল ধরলে পিছন দিক থেকে একজন ছদ্দবেশধারী এসে খুনিটির পিঠে চাকু বসিয়ে দেয় আর তাকে মেরে ফেলে। আর এই ছদ্দবেশধারী লোকটাও একজন কম্পিউটার এক্সপার্ট অর্থাৎ ছোটোখাটো কিছু বিষয়ে সেই হ্যাকিং-এ সাহায্য করতে পারবে আর তাকে নিয়ে শেরিংস আবার তাদের ট্রেস করার চেষ্টা করে। শেরিংস এর প্ল্যান ছিল সাইটটার যে অ্যাডমিন সে সাইটে প্রবেশ করলেই তার আইপি হ্যাক করা। আর তারা অপেক্ষা করতে থাকে কখন সাইটে ঢুকবে, অ্যাডমিন ঢোকার সাথে সাথে তার আইপি হ্যাক করে ফেলে। আর সেই লোকটাকে কিছু ইন্টারনেট প্রোভাইডারকে হ্যাক করতে বলে এই কাজের জন্য। এরপর যে গেমটা কিনেছে তার আইডেন্টিটি খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করে আর তার ছবি সহ সেখানে চলে আসে। যে গেমটা কিনেছে আসলে সে ছিল দেবরাজ নামক একজন লোক আর সে হচ্ছে সম্পূর্ণার অফিসের বস।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

শেরিংস যা যা হ্যাক করেছিল সবকিছুরই ব্যাকআপ নিয়ে নেয় আর FBI এজেন্টদের জানায় সবকিছু প্রমান সহ। আর আজকাল ইন্টারনেট এর যুগে সে যতই বড়ো চালাকি করুক না কেন ভুল কিছুনা কিছু করে প্রমান ছেড়ে দেবে আর ইন্টারনেটে খুঁজতে বেশিক্ষন লাগে না সব বিষয়ে এক্সপার্ট থাকলে। আর দেবরাজ যে এই গেমটাকে কিনেছিলো সে সম্পর্কে তার নিজেরই কোনো ধারণা ছিল না, ফলে তার আইডেন্টিটি লুকাতে সে ভুলে গেছে। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে চলে যায় সমস্ত প্রমান সহ। তবে সাহেব তার দাদাকে আর খুঁজে পায়নি, অর্থাৎ সে আসলে মারাই যায় ওখান থেকে পড়ে গিয়ে। একজন সাধারণ মানুষ নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে সমস্ত লোকসম্প্রদায়কে একটা বড়ো বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়ে যায়। তবে তার দাদার এই কাজের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়ার কথা বলে সরকার থেকে, যেমনটা একজন সৈনিক দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রাণ দিয়ে থাকে।


❂ব্যক্তিগত মতামত:❂

এতক্ষন ধরে আসলে মাঝ পথে যে ছদ্দবেশধারী লোকটা যুক্ত হয়েছিল তাদের সাথে সে আসলে সাদেক সাহেব ছিলো, আর সে মরেনি। খুনিটা যখন তাকে গুলি করেছিল তখন গুলিটা তার কাঁধে ছুঁয়ে চলে গিয়েছিলো আর সে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্য পারে গিয়ে ওঠে। আর সম্পূর্ণার অফিসের একজন স্টাফের সাথে হাত মিলিয়ে সাদেক সমস্ত প্রমান জোগাড় করে। তার মৃত্যুটাকেও একটা মিথ্যা হিসেবে খবরের কাগজে ছাপিয়ে তাদের প্রমান দিয়ে লুকিয়ে ছিল যে সে আর বেঁচে নেই। আর সাহেব আর সম্পূর্ণার পিছু পিছু সে দার্জেলিং গিয়ে তাদের সমস্ত বিপদ থেকে গোপনে সেই বাঁচিয়েছিলো। আর দেবরাজ যে এই সবকিছুর পিছনে ছিল সেটা সে আগেই টের পেয়েছিলো ইন্দ্রর মেইল হ্যাক করে। দেবরাজ নিজেই সবকিছুর মাথা ছিল, সে এই গেমটা কিনে নিয়ে সমস্ত লোকজনদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়ার একটা প্ল্যান ছিল। শেষপর্যন্ত গেমটার মাস্টারমাইন্ড খুঁজে পাওয়া গেলো। আসলে আজকাল বাস্তবেও দেখলে এটাই অনেক জায়গায় দেখা যায় নিজের প্রফেশনের পাশাপাশি এইসব কাজও লুকিয়ে করে যায়।


❂ব্যক্তিগত রেটিং:❂
৯.৮/১০


❂ট্রেইলার লিঙ্ক:❂


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

'ডার্ক ওয়েব' সিরিজটির অষ্টম পর্ব রিভিউ পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা। নতুন নতুন তথ্য সামনে চলে এলো। শেরিংসকে মেরে ফেলা তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। যাতে করে সাহেব এবং সম্পূর্ণা তাদের কোন কিছু করতে না পারে। আর অন্যদিকে ছদ্মবেশে যে সবাইকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করছিল সে সাদেক সাহেব ছিলো। কিন্তু অনেকেই ভেবেছিল সে মরে গেছে। আসলে সে এখনো বেঁচে আছে এবং আড়াল থেকে সবাইকে সাহায্য করার চেষ্টা করছে। দেবরাজ যে সবকিছুর মাস্টারমাইন্ড হতে পারে এটা প্রথমে বুঝতেই পারিনি দাদা। দেবরাজ অনেক বুদ্ধিমত্তার সাথে সবকিছু হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করেছে। ইন্দ্রর মেইল হ্যাক করার ফলে অনেক তথ্য সামনে চলে এসেছে দাদা। আপনার শেয়ার করা এবারের পর্বটির রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 last year 

দাদা এই ওয়েব সিরিজের আজকের পর্বে দেখছি একদম অনেক কিছুই খোলাসা হয়েছে। বিশেষ করে সাদেক সাহেব দেখছি মরে নাই। গুলিটা তার কাঁধে ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল বলে হয়তো বা বেঁচে গিয়েছে। তাছাড়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ওপারে চলেও গিয়েছে। যাইহোক সাদেক সাহেবের বেঁচে থাকার খবরটা ভীষণ ভালো লাগলো। তাছাড়া বেচে থেকেও উনি নিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দিয়েছে আর তার সাথে আস্তে আস্তে সব প্রমাণ গুলো বের করে ভালোই করেছে। তাছাড়া দেখছি সাহেব আর সম্পূর্ণাকেও বাঁচিয়েছে। আর এই সবকিছুর পেছনে দেখছি দেবরাজ রয়েছে। আজকে দেখছি এই পর্বে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। শেষ পর্যন্ত এই গেমটার মাস্টারমাইন্ডকে খুঁজে পাওয়া গেল। যাইহোক তাকে যে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে এই বিষয়টা ভালো লাগলো। আসলেই আজকাল এই ধরনের কাজগুলো একটু বেশি দেখা যায়।

 last year 

ডার্ক ওয়েব' সিরিজটির এই পর্বে এসে মাস্টারমাইন্ড কে এই বিষয়টা আমি জানতে পেরে ভালো লাগলো। বিশেষ করে এই পর্বে দেখছি অনেকগুলো রহস্য বেরিয়ে আসলো। আসলে শেরিংকে মেরে ফেলাটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। আর সাবেক সাহেব দেখছি বেঁচে থেকে পেছন থেকে সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছে। বিশেষ করে অনেক লড়াই করে তিনি বেঁচে ফিরলেন। তাছাড়া এই সব কিছুর পেছনে দেবরাজের হাত ছিল। আর দেবরাজ চেয়েছিল, এই গেমটাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে হাতে তুলে দিতে। আসলে এই ধরনের কাজগুলো এখন একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। পুরো পর্বটা পড়ে আজকে অনেক কিছু ক্লিয়ার হলাম। এই পর্বটা পড়ে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে।

 last year 

আজকের পর্বে জানাগেল যে সেই মাঝ পথে যে ছদ্দবেশধারী লোকটা যুক্ত হয়েছিল তাদের সাথে সে আসলে সাদেক সাহেব ছিলো, আর সে মরেনি। খুনিটা যখন তাকে গুলি করেছিল তখন গুলিটা তার কাঁধে ছুঁয়ে চলে গিয়েছিলো আর সে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্য পারে গিয়ে ওঠে। আর সম্পূর্ণার অফিসের একজন স্টাফের সাথে হাত মিলিয়ে সাদেক সমস্ত প্রমান জোগাড় করে। তার মৃত্যুটাকেও একটা মিথ্যা হিসেবে খবরের কাগজে ছাপিয়ে তাদের প্রমান দিয়ে লুকিয়ে ছিল যে সে আর বেঁচে নেই। আর সাহেব আর সম্পূর্ণার পিছু পিছু সে দার্জেলিং গিয়ে তাদের সমস্ত বিপদ থেকে গোপনে সেই বাঁচিয়েছিলো। এই ওয়েব সিরিজটা প্রতি পদে পদে রহস্য লুকায়িত আছে। দেখা যাক পরের পর্বে দেখা যায়। ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

দাদা আজকের পর্বটি বেশ ভালো লাগলো। আসলে যে ছদ্মবেশে লোকটি সবাইকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছিল। সে আর কেউ নয়। সাদেক সাহেব। তিনি আসলে মারা যাননি। গুলিটা তখন তার বুকে লাগেনি। দেবরাজের মাস্টার মাইন্ড প্ল্যানগুলো বুঝেও ওঠা টাও কিন্তু অত্যন্ত কঠিন। সবকিছু মিলে আজকের পর্বটি আমার বেশ ভালো লেগেছে।

 last year 

দাদা এই ওয়েব সিরিজের মধ্যে আজকের পর্বটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে । কারণ এই পর্বের মধ্যে সবগুলো পর্বের রহস্য বেরিয়ে এসেছে। এই পর্বে এসে মাস্টারমাইন্ডকে খুঁজে পাওয়া গেল দেখে ভালো লাগলো। তাছাড়া গত পর্বে ভেবেছিলাম সাদেক সাহেব হয়তোবা মারা গিয়েছে কিন্তু দেখছি উনি বেঁচে আছে। বিশেষ করে বেঁচে থেকে পেছন থেকে সবাইকে সাহায্য করলো। আর দেবরাজের মূল উদ্দেশ্য ছিল সবাইকে এই গেমটা ছড়িয়ে দিয়ে তারপর সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেওয়ার। আসলে এখন এইরকম অনেক কিছুই দেখা যায়। তবে পুরো পর্বটা ভীষণ ভালো লেগেছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.32
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67489.05
ETH 3760.70
USDT 1.00
SBD 3.70