ওয়েব সিরিজ রিভিউ: ডার্ক ওয়েব- The Quest Begins ( তৃতীয় পর্ব )

in আমার বাংলা ব্লগlast year
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে 'ডার্ক ওয়েব' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্বের রিভিউ দেব। এই পর্বের নাম হলো "The Quest Begins". গত পর্বে দেখেছিলাম সাহেব সাদেক লোকটার কাছে গিয়ে বিস্তারিত বলে আর ইন্দ্র লোকটার মেইল হ্যাক করে তারপরের স্টেপে কি করা যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করতে লাগে। আজকে দেখবো তারপর কি হয়।


স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব


✠কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:✠

সিরিজটির নাম
ডার্ক ওয়েব
প্লাটফর্ম
hoichoi
সিজন
পর্ব
The Quest Begins
পরিচালকের নাম
সায়ন্তন ঘোষাল
অভিনয়
সাহেব ভট্টাচার্য , সম্পূর্ণা লাহিড়ী ইত্যাদি
মুক্তির তারিখ
৪ আগস্ট ২০১৮ ( ইন্ডিয়া )
সময়
১৫ মিনিট ( তৃতীয় পর্ব )
মূল ভাষা
বাংলা
কান্ট্রি অফ অরিজিন
ইন্ডিয়া


✠মূল কাহিনী:✠


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সাহেবের কাছ থেকে সাদেক লোকটা মোটামুটি কিছু ইনফরমেশন কালেক্ট করে তার মতো ইনভেস্টিগেশন করতে লাগে যে এই ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করা যায় কিনা। এদিকে সাহেবের বৌদি অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়, কারণ এতদিন হয়ে গেছে কোথাও কোনো বিপদ হলো কিনা। এইরকম নানান বিষয় নিয়ে চিন্তায় ভেঙে পড়েছে একপ্রকার আর ইন্দ্রর মেয়ে ছোট আর তার বাবাকে ছাড়া থাকতেই পারে না অর্থাৎ রাতে তার বাবার কাছে ছাড়া ঘুমোতেই পারে না, ফলে সেও রাতে ঘুমের মধ্যে তার বাবাকে কেউ মারছে এইরকম স্বপ্ন দেখছে। সাহেব আর সম্পূর্ণাও এদিকে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে থাকে আর সাহেব সম্পুর্নাদের বাড়িতে আসে তার বাবার সাথে এই বিষয়টা নিয়ে একটু আলোচনা করতে। ওনার আবার একটু ভুল মন, এক একজনকে এক একরকম নামে ডাকে, একপ্রকার বলা যায় বিভ্রান্তকর পরিস্থিতি। যাইহোক ওনার সাথে কথা বলতে এসে সাহেব তো আরো এক বিপদের মুখে পড়ে যায়, কারণ তার সাথে কথা বলতে এসেছে এক বিষয় নিয়ে আর উনি আবার সরকারি-বেসরকারি ব্যাঙ্ক নিয়ে কথার তালে পড়ে গেছেন। যেহেতু ব্যাঙ্ক থেকে হ্যাকিং হয়েছে তাই ওনার মতে বেসরকারি ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে সব ধংস হয়ে যাবে এইরকম বোঝাতে থাকে, আসলে পুরানো মানুষের যেমন কথা হয়ে থাকে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

তবে উনি তার দাদার নিঁখোজ হওয়া নিয়ে একটা বিষয়ে বলেন যে তার অফিসে যেসব বন্ধুবান্ধব আছে বা যাদের সাথে আড্ডা দিতো তাদের কাছে একটু কথা বলতে। কারণ ওনার ধারণা বা অভিজ্ঞতা থেকে বলেন যে বাড়িতে আসলে অনেক সময় অনেক কিছু বলা যায় না, যেটা বন্ধুবান্ধব দের সাথে আড্ডায় অনেক সময় বলা যায়। ফলে এমনটা হতে পারে যে তোমার দাদার বন্ধুরা এই বিষয়ে কিছু জেনে থাকতে পারে। সাহেব ওনার কথা মতো তার দাদার অফিসে যায় এবং তার যত ফ্রেন্ড সার্কেল ছিল সবার সাথে মোটামুটি কথা বলে কিন্তু কেউ কিছু এই বিষয়ে বলতে পারে না। তবে একজন এর সাথে এই বিষয়ে একটু জড়াজড়ি করে মানে একটু ভাবতে বলে যদি এমন কোনো বিষয় মনে পড়ে তার। তবে একজন বলে যে ইন্দ্র অফিসে এসে লাস্ট কিছুদিন চুপচাপই থাকতো, কারো সাথে তেমন কথা বলতো না। এমনকি তার সব থেকে প্রিয় যে ল্যাপটপ ছিল, যেটাকে ছাড়া সে থাকতেই পারতো না, সেটার ধারে কাছেই ঘেঁষতো না। তাছাড়া সে নাকি একবার নর্থ বেঙ্গলে যাওয়ার বাসের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছিলো। আর যেদিন সে অফিস থেকে বেরিয়েছিল সেদিন সে একাই গিয়েছিলো আর ব্যাগ নিয়েই গিয়েছিলো। তবে সে কোনদিকে গিয়েছিলো এটা বলতে পারেনি, কারণ ওইদিন ইন্দ্র সবার থেকে আলাদাই গিয়েছিলো।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সাহেব এরপর বাড়িতে চলে আসে আর সাদেক লোকটার দেখানো অনুযায়ী সেও ল্যাপটপে বসে সেই গেমটার খোঁজ করতে লাগে ডার্ক ওয়েব সাইটে। এই গেমটার নামই ছিল লিটল হার্ট। সাহেব গেমটাতে ঢোকার জন্য এক্সেস পেতে চায় কিন্তু সেখানে এক্সেস পেতে গেলে পার্সোনাল কিছু ইনফরমেশন চাইতে লাগে অর্থাৎ যেমন নরমালি হয়ে থাকে। তবে কিছুক্ষন পরে তাকে চেনে না বলে সাইট ইরর দেখায় আর তার সামনে একটা আচানক ভিডিও কল ওপেন হয়, কিন্তু যে কথা বলছিলো তার চেহারা অন্ধকারের মধ্যে ছিল। তবে লোকটা তার সাথে বাংলায় কথা বলছিলো। আর তার কাছে এই ভিডিও কলটা আসার একটাই কারণ ছিল যে সে 'tor' ব্রাউসার ফুল স্ক্র্রিন করে রেখেছিলো, ফলে তার আইপি এড্রেস হ্যাক করে ফেলে। যাইহোক, এরপর লোকটা তার দাদার বিষয়েও সব জানে আর তাকে সতর্ক করে যে এই গেম থেকে দূরে থাকতে, তা নাহলে এর ফল খুব খারাপ হতে পারে। সাহেব রেগে গিয়ে গেম ধংস করতে চায় কিন্তু এটা করলে তার পরিবারের ক্ষতির হুমকি দিয়ে থাকে।


স্ক্রিনশর্ট: hoichoi

সাহেব পরে সাদেক এর সাথে দেখা করে এই বিষয়ে জানায়। আর সাদেকও তাকে একই বিষয় বলে যে তুমি যে ভুলটা করেছো তোমার দাদাও ঠিক সেই ভুলটা করে ফেঁসে গেছে। তাই তাদের ওই ডার্ক ওয়েব সাইট থেকে দূরে থাকতে বলে। তবে তাদের কথপোকথনের সময় কেউ একজন দুইজনের ফটো তুলে অন্য আরেকজনের কাছে পাঠায় অর্থাৎ এই ডার্ক ওয়েব এর লোকজন হতেও পারে সেটা। তবে যে ফটো তুলেছে তার হাত দেখে মেয়ে মানুষই মনে হলো। সাহেব তার বৌদিকে তার দাদার রুম থেকে বিভিন্ন ধরণের ম্যাগাজিন এর পেপার আর যদি অন্য কোনো পেনড্রাইভ কিছু থেকে থাকে সেগুলো খুঁজতে বলে। তবে সাদেক সাহেব এর কাছ থেকে আগে একটা যে পেনড্রাইভ নিয়েছিল সেই পেনড্রাইভে একটা ফোল্ডার ছিল হাইড করা, আর সেই ফাইলে অনেক কিছু ইনফরমেশন ছিল যেটা সাদেক কপি করে পরে প্রিন্ট করে নিয়ে নিয়েছিল।


✠ব্যক্তিগত মতামত:✠

এই পর্বে একটা বিষয় কিছুটা বোঝা গিয়েছে যে বা যারা এই ডার্ক ওয়েব সাইট চালাচ্ছে তারা এই দেশে থেকেই চালাচ্ছে, যেটা সাহেবের সাথে ওই অচেনা লোকটার ভিডিও কলে কথা বলার সময় বোঝা গেছে। ইন্দ্রর মতো সাহেবও একইভাবে ব্রাউসার ফুল স্ক্রিনে নিয়ে গিয়ে এই গেমে ঢুকেছিলো যার ফলে তার আইপি এড্ড্রেস হ্যাক হওয়ার সাথে সাথে সেই ব্রাউসারে থাকা সমস্ত ডিটেইলস জেনে ফেলেছিলো যেমন, ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর আইডি-পাসওয়ার্ড সব কিছু ব্রাউসারেই সেভ ছিল। এখানে সাহেবরও সমস্ত কিছু হ্যাক করে ফেলেছে ওই লোকটা। তার নামসহ সমস্ত, বিশেষ করে ব্যাংকের ডিটেলস জেনে ফেলেছে। আর এখন সেও তার দাদার মতো ফেঁসে গেছে তাই সেই এই বিষয় থেকে পিছনে না এসে শেষ করতে চায় সামনের দিকে এগিয়ে। তবে সাদেক যে ইনফরমেশন নিয়ে আসছিলো আর সাহেবকে জানাচ্ছিল ফোনে, ঠিক তখনই একটা লোক পিছন থেকে তার উপর গুলি চালায় অর্থাৎ ছবি তুলে যার কাছে দিয়েছিলো সেই লোকটা। বেশ কয়েকবার গুলির হাত থেকে বেঁচে যায় কিন্তু সমুদ্রের কাছে গিয়ে আর পালানোর পথ পায় না, ফলে তাকে মেরে দেয় আর ফাইলের সব ডিটেলস জলে পড়ে যায়।


✠ব্যক্তিগত রেটিং:✠
৮.২/১০


✠ট্রেইলার লিঙ্ক:✠


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

দাদা ডার্ক ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্বে এসে ধারুন কিছু তথ্য জানতে পারলাম। ইন্দ্রর মতো সাহেবও একইভাবে ব্রাউসার ফুল স্ক্রিনে নিয়ে গিয়ে এই গেমে ঢুকেছিলো। যার ফলে তার আইপি এড্ড্রেস হ্যাক হওয়ার সাথে সাথে সেই ব্রাউসারে থাকা সমস্ত তথ্য জেনে ফেলেছিলো। এখানে সাহেবরও সমস্ত কিছু হ্যাক করে ফেলেছে ওই লোকটা। তার নামসহ সমস্ত, বিশেষ করে ব্যাংকের ডিটেলস জেনে ফেলেছে। আর এখন সেও তার দাদার মতো ফেঁসে গেছে। তাই সেই এই বিষয় থেকে পিছনে না এসে শেষ করতে চায় সামনের দিকে এগিয়ে। এখন পরের পর্বে দেখা যাক কি হয়। ধন্যবাদ দাদা।

 last year 

দাদা এর আগেও আপনার এ ধরনের আরও একটি ওয়েব সিরিজ রিভিউ পড়ার সুযোগ হয়েছিল। আপনি এ ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলোর বেশ ভালোই রিভিউ করেন। আজ আপনি ডার্ক ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বেশ ভালোই লাগলো।

 last year 

'ডার্ক ওয়েব' ওয়েব সিরিজটির তৃতীয় পর্বের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা। আরো নতুন কিছু জানতে পারলাম। ইন্দ্র যেমন গেমে আসক্ত হয়ে ভুল ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়েছিল তেমনি সাহেবও একইভাবে ব্রাউসার ফুল স্ক্রিনে নিয়ে গিয়ে এই গেমে ঢুকেছিলো। যার ফলে সেও হ্যাকিং এর শিকার হয়েছিল। আসলে এর পেছনে অনেক বড় একটি চক্র কাজ করছে এটা বোঝাই যাচ্ছে। তার সব তথ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড গুলো হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। আসলে এটা সত্যি অনেক ভয়ঙ্কর ব্যাপার। হ্যাকিং এর শিকার হলে নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো অন্যের হাতে খুব সহজে চলে যায়। দুজনের সমস্যা একই পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা। দারুন একটি ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 last year 

প্রিয় দাদা আপনার লেখা "ডার্ক ওয়েব- The Quest Begins"এর তৃতীয় পর্বের রিভিউটি পরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে দাদা এ ধরনের ওয়েব সিরিজ গুলো দেখলে অনেক বিষয় সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায় এবং নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায়। বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্মে অনেকেই একটু ভুলের কারণে হ্যাকারদের কাছে হ্যাকিং এ পরিণত হয়ে যাচ্ছে। হলে অনেকেই ভয়ংকর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই আমি মনে করি হ্যাকারদের সম্পর্কে সচেতন থাকতে হলে আমাদের সকলের উচিত এই ওয়েব সিরিজটি দেখা।

 last year 

এই ওয়েব সিরিজের তৃতীয় পর্ব টা পড়েও দেখছি অনেক কিছুই জানতে পারলাম। বিশেষ করে কেন্দ্র লোকটার মত সাহেব ও একই রকম ভাবে হ্যাকারদের কবলে পড়লো। বিশেষ করে ব্রাউসার ফুল স্ক্রিনে নিয়ে গিয়ে এই গেমে ঢুকেছিলো। আর হ্যাকারদের শিকার হল। আর এটা দেখছি অনেক বড় একটা চক্র কাজ করছে। আসলে হ্যাকারদের হ্যাক করার কারণে তারা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্যগুলো জেনে গিয়েছে। বিষয়টা খুবই ভয়ংকর লেগেছে। তাছাড়া ওরা দুইজনে দেখছি একই চক্রের শিকার হলো।ৎতবে সাদেক এর গুলি লাগাতে সব ফাইলগুলো জলে পড়ে যায়। পরে পর্বে কি হল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

ডার্ক ওয়েব সিরিজ রিভিউ এর এই পর্ব থেকে আরো কিছু জানতে পারলাম। হ্যাকিং এর ব্যাপারগুলো অনেক খারাপ হয়ে থাকে। বিশেষ করে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে একেবারে সব ধরনের তথ্য গুলো জেনে যাওয়া যায়। এখানেও দেখছি একই ঘটনা ঘটলো। বিশেষ করে ইন্দ্রলোকটি যেরকম হ্যাকিংয়ের শিকার হলো তেমনি আবার সাহেব ও হ্যাকিং এর শিকার হল। আবার দেখছি ওদের সব তথ্য গুলো ওই লোকটা জেনে গিয়েছে। এটাও তো অনেক বড় একটা সমস্যা। এমনকি তাদের নাম সহ ব্যাংকের সকল ডিটেলস জেনে গিয়েছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

এই ওয়েব সিরিজের গত পর্ব টা আমি পড়েছিলাম। নতুন পর্বের অপেক্ষায় ছিলাম। নতুন পর্ব টা পড়ে আরো কিছু ঘটনা জানতে পারলাম। বিশেষ করে এখানে তো দেখতে পাচ্ছি ইন্দ্র যেরকম গেমস খেলতে গিয়ে হ্যাকারদের হাতে পড়ল তেমনি আবার দেখছি সাহেব ও একই রকম ভাবে ব্রাউসার ফুল স্ক্রিনে নিয়ে গিয়ে এই গেমে ঢুকেছিলো আর হ্যাকারদের হ্যাকিং এর কবলে পড়ল। দুইজনেই দেখছি একই বিপদে রয়েছে। তাছাড়া ওদের নাম সহ ব্যাংকের সকল ডিটেলস ও নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু ওই ডিটেলস নিয়ে যাওয়ার সময় তো লোকটা গুলি খেয়েছে। আর সব ডিটেলস গুলো পানিতে পড়ে গিয়েছে। পরবর্তী পর্বে কি হবে তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.32
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67286.78
ETH 3751.52
USDT 1.00
SBD 3.70